কী ভাবে যাবেন:
হাওড়া থেকে ট্রেনে করে যেতে হলে রামনগর স্টেশনে নামতে হবে । রামনগর থেকে সড়ক পথে প্রায় চল্লিশ মিনিট সময় লাগে তাজপুর যেতে। রামনগর স্টেশনের বাইরে গাড়ির স্ট্যান্ড রয়েছে ।
ট্রেন ছাড়াও গাড়িতে করে যেতে চাইলে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে পৌঁছতে হবে কোলাঘাট। কোলাঘাট থেকে নন্দকুমারের দিকে যেতে হবে । নন্দকুমার থেকে কাঁথি বা রামনগরের রাস্তায় গেলে চাউলখোলা। বাসে এলে এই চাউলখোলাতেই নামতে হবে । এখান থেকে তাজপুর যাওয়ার ভ্যান বা অটো পেয়ে যাবেন।
কোথায় থাকবেন:
জনসমাগম খুব বেশি না হলেও তাজপুরে থাকার জায়গার অভাব নেই । এখানে সাধারণ থেকে দামি প্রায় সব ধরনের থাকার জায়গাই পাওয়া যায়। সাধারণত থাকার জায়গাতেই মেলে খাওয়াদাওয়ার বন্দোবস্তও। আপনি চাইলে অনলাইনে আগে থেকেই পছন্দের রিসর্ট বুক করে নিতে পারেন।
কী দেখবেন:
তাজপুরে সাধারণত তাঁরাই যান যাঁরা ব্যস্ত জীবনের থেকে কিছুটা বিরতি চান। কাজেই কিছু না করে শুধু ঝাউবন আর সমুদ্র দেখেই কাটিয়ে দেওয়া যেতে পারে দু’-তিনটি দিন। তবে এখন দিঘার মতোই তাজপুরের সমুদ্রে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার সুযোগ সুবিধা হয়েছে। চাইলে এই সুযোগে ঘুরে নিতেন পারেন দিঘা, শঙ্করপুর, মন্দারমণিও।
বৃ্হস্পতিবার সকালে ওই মুহুর্তের কিছু ছবি ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (BCCI) তার টুইটে শেয়ার করেছে। ওই ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে কোভিড-১৯ প্রটোকল মেনে হাসি মুখে ভারতীয় খেলোয়াড় বিমানে বসে আছে। যা স্বভাবতই ভারতীয় শিবিরের “ফিল গুড ফ্যাক্টরে”র বার্তাকে তুলে ধরে দেশের ক্রিকেট ভক্তকুলদের মাঝে।

প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে সফরে টিম ইন্ডিয়া তিন ম্যাচের টেস্ট এবং সম-সংখ্যক ম্যাচের ওডিআই সিরিজ খেলবে,তবে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফর্ম্যাটের দিনক্ষণ এবং ম্যাচ ভেন্যু এখনও ঠিক হয়নি। ২৬ ডিসেম্বরে প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে ভারত সেঞ্চুরিয়নে, দক্ষিন আফ্রিকার বিরুদ্ধে।
জোহানসবার্গে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ হবে ৩ জানুয়ারি এবং তৃতীয় তথা শেষ টেস্ট ম্যাচ ১১ জানুয়ারি পারলেতে আয়োজিত হবে। টেস্ট ম্যাচ সিরিজ শেষ হলেই টিম ইন্ডিয়া প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজ খেলবে।
ওডিআই সিরিজের প্রথম এবং দ্বিতীয় ম্যাচ ২৯ এবং ২১ জানুয়ারী পারল ক্রিকেট গ্রাউন্ডে হবে এবং তৃতীয় তথা শেষ ওডিআই ম্যাচ হবে ২৩ জানুয়ারী কেপটাউনে।
<
p style=”text-align: justify;”>প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে টিম ইন্ডিয়ার টেস্ট স্কোয়াড: বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), প্রিয়াঙ্ক পাঞ্চাল, কেএল রাহুল, মায়াঙ্ক আগরওয়াল, চেতেশ্বর পূজারা, অজিঙ্কা রাহানে, শ্রেয়স আইয়ার, হনুমা বিহারী, ঋষভ পহ্ন (উইকেটরক্ষক ), ঋদ্ধিমান সাহা (উইকেটরক্ষক), আর অশ্বিন, জয়ন্ত যাদব, ইশান্ত শর্মা, মহম্মদ সামি, উমেশ যাদব, জসপ্রিত বুমরাহ, শার্দুল ঠাকুর, মহম্মদ সিরাজ।
]]>শনিবার বিসিসিআই’র বার্ষিক সাধারণ সভায় এই ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে টিম ইন্ডিয়া তিন টেস্ট, তিন ওডিআই, তবে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ পরবর্তী তারিখে অনুষ্ঠিত হবে, যা নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
বিসিসিআই’র জন্য সবচেয়ে বড় ইতিবাচক দিক হল ভারতীয় ‘A’ দলের চলতি দক্ষিণ আফ্রিকা সফর রয়েছে, প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে এখন তারা ব্যস্ত।
ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা (CSA) একটি মিডিয়া রিলিজে বলেছে,”ভারতের সফর মূলত নির্ধারিত হিসাবেই চলবে, লজিস্টিক ব্যবস্থায় কিছু সামঞ্জস্য রেখে, যেমন ভারতীয় দলের আগমনের সময়।”
CSA মিডিয়া রিলিজে জানিয়েছে “সফরটি এখন নিশ্চিত করা হয়েছে এবং কার্যকর লজিস্টিক পরিকল্পনার অনুমতি দেওয়ার জন্য ভারতীয় দলের আগমনের সময় এক সপ্তাহের মধ্যে সরিয়ে দেওয়া হবে।”দক্ষিণ আফ্রিকান বোর্ডও নিশ্চিত করেছে যে সফর চলাকালীন কঠোরভাবে কোভিড-১৯ প্রটোকল বলবৎ রাখা হবে।CSA আরও বলেছে, “আগামী ৪৮ ঘন্টা” মধ্যে ভেন্যুগুলি নিশ্চিত করা হবে।
CSA এর ভারপ্রাপ্ত সিইও ফোলেতসি মোসেকি বলেছেন,”আমি ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার নেতৃত্ব এবং সেইসাথে বিসিসিআই-এর নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানাতে চাই এই সফরকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য, এত অক্লান্ত পরিশ্রম করার জন্য। এমনকি সবচেয়ে অনিশ্চিত সময়ের মধ্যেও, বোর্ডগুলি আশার আলোকে বাঁচিয়ে রেখেছিল এবং আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম যে এই সফরটি সত্যিই হবে। CSA হিসাবে আমাদের জন্য এটি সর্বদা পুরানো বন্ধুদের একটি মিটিং যখন প্রোটিয়ারা ভারতের সাথে লড়াই করে, তবে আমরা এখনও ভক্তদের একটি বাধ্যতামূলক প্রস্তাব এবং দেখার জন্য একটি দুর্দান্ত দর্শন উপস্থাপন করব।”
তবে খবর এমনও উঠে আসছে যে ম্যাচ ভেন্যুতে দর্শক প্রবেশের ওপরে নিষেদ্ধাঞ্জা আরোপিত হতে পারে, জমায়েত এড়িয়ে যাওয়ার প্রশ্নে করোনার ‘ওমিক্রন’ প্রজাতির বাড়বাড়ন্তের কারণে।
ইতিপূর্বে বিসিসিআই’র সচিব জয় শাহ বলেছিলেন যে ভারত নির্ধারিত সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় তিনটি টেস্ট এবং যতগুলি ওয়ানডে খেলবে তবে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ পরবর্তী তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগেই ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, তার দল আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সফর সম্পর্কে স্পষ্টতা চাইছে।
বিরাটের কথায়,”এমন কিছু খেলোয়াড় আছেন যারা এই মুহূর্তে এই দলের অংশ নন যারা দলে যোগদানের জন্য কোয়ারেন্টাইনে প্রবেশ করবে,এই ধরনের জিনিসে আপনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্পষ্টতা চাইতে চান।”
]]>এর জেরে টিম ইন্ডিয়ার দক্ষিণ আফ্রিকা সফর ঘিরে তৈরি হয়েছে ঘোর অনিশ্চয়তা। কেননা ভারতীয় ক্রিকেট দল মুম্বইতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলে, সেখান থেকেই ৮ বা ৯ ডিসেম্বর বিমানে জোহানেসবার্গের উদ্দেশ্যে রওনা হবে।
প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে চার টেস্ট,দুটি ওডিআই এবং চারটি টি টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচ রয়েছে। টিম ইন্ডিয়া সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলবে ১৭ ডিসেম্বর, জোহানসবার্গে।
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যেসব বিমান যাত্রীরা ভারতে এসেছেন,তাদের হোম আইসোলেসনে থাকার পরামর্শ দিয়েছে ভারত সরকার।ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন(DGCA) ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমস্ত আন্তজার্তিক উড়ানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
— DGCA (@DGCAIndia) December 1, 2021
এই নিয়ে DGCA বুধবার নিজেদের অফিসিয়াল টুইটার হ্যাণ্ডেলে পোস্ট করে জানিয়েছে,”উদ্বেগের নতুন রূপের উত্থানের সাথে ক্রমবর্ধমান বিশ্বের পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে, সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের সাথে পরামর্শ করে পরিস্থিতিটি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং একটি উপযুক্ত সিদ্ধান্তের ইঙ্গিত দেওয়া হবে। নির্ধারিত বাণিজ্যিক আন্তর্জাতিক যাত্রী পরিষেবা পুনরায় চালু করার কার্যকর তারিখ যথাসময়ে অবহিত করা হবে”।
বাণিজ্যিক বিমান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও পরিবর্তিত করোনা পরিস্থিতির জেরে আন্তজার্তিক উড়ান চলাচল স্থগিত করা হয়েছে।ম মুম্বইতে ডিসেম্বরের ৩ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। ভারত কানপুরে প্রথম টেস্ট ড্র করেছে কিউইদের বিরুদ্ধে।
গোটা ঘটনার প্রেক্ষিতে টিম ইন্ডিয়ার দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে মঙ্গলবার বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বয়ান সামনে এসেছিল।
বোর্ড প্রেসিডেন্টের বয়ান,”এখন পর্যন্ত সফর নির্দিষ্ট সময় হিসাবে চলছে। আমাদের এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আছে। প্রথম টেস্ট ১৭ ডিসেম্বর থেকে নির্ধারিত রয়েছে। আমরা এটি নিয়ে চিন্তাভাবনা করব।”
বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন,”খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য সবসময়ই বিসিসিআইয়ের প্রথম অগ্রাধিকার, আমরা এর জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করব। আমরা দেখব সামনের দিনগুলিতে কী হয়।”
ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হলেও ভারত রাষ্ট্র ব্যবস্থার উর্দ্ধে নয়। DGCA ইতিমধ্যেই আন্তজার্তিক উড়ান চলাচল নিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। তাই টিম ইন্ডিয়ারর সিনিয়র দলের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর ঘিরে ঘোর অনিশ্চয়তার কালো মেঘ ক্রমেই গাঢ় হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই ভারতীয় ‘এ’ দল দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে খেলছে। কোভিডের নতুন প্রজাতির সন্ধান মেলায় ভারতীয় ‘এ’ টিমকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিও ইতিমধ্যেই উঠেছে ভারতের ক্রিকেট মহলে। চলতি বছরের ২৩ নভেম্বর থেকে ভারতীয় ‘এ’ দল দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে রয়েছে। ৬ ডিসেম্বর ভারতীয় ‘এ’ দলের তৃতীয় তথা শেষ চারদিনের ম্যাচ রয়েছে। এই দল এখন দক্ষিণ আফ্রিকায় ক্রীড়া সফরে। সব মিলিয়ে অনিশ্চয়তা আর আশঙ্কা ভারতের সিনিয়র ক্রিকেট দলের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর ঘিরে।
]]>না কোন প্রসিদ্ধ টুরিস্ট স্পট এটি নয় । এটি বিহারের রোহতাস জেলার সাসারামের কিছু শহরকেন্দ্রিক ও শহর সংলগ্ন মনমুগ্ধকর স্থান ।
সাসারাম বিহারের এক লুকানো সম্পদ। এটা জলপ্রপাতের দেশ। শেরসাহের দেশ বললেও ভুল হয় না। চার চারটে প্রধান জলপ্রপাতের সাথে পরিচয় হবে । সীতাকুন্ড, মাঁঝেরকুন্ড, ধোঁয়াকুন্ড, আর তুতলা ভবানী জলপ্রপাত । আর জলপ্রপাত বলেই বর্ষামঙ্গল । বর্ষাতে নদীর জলে যৌবনে ভরপুর, ভয়ঙ্কর মনোরম সুন্দর । কিন্তু শীতে একদমই শুকনো, জলশূন্য । তাইতো বর্ষামঙ্গলের আদর্শ ঠিকানা বিহারের সাসারাম । বেশী দিনের ট্রিপ নয় । মিনিমাম দুদিন, ম্যাক্সিমাম তিনদিন (যাওয়া আসা নিয়ে) দিলেই আপনিও এই বর্ষামঙ্গলের শরিক হতে পারেন ।
প্রথমে আসি পাইলট বাবার মন্দির এবং ট্যুরিজম সেন্টারের কথায় । নতুন তৈরী হচ্ছে পাইলট বাবার আশ্রম মন্দির ট্যুরিজম । ২০১৩ থেকে কাজ শুরু হয়েছে । ২০২১ এ কমপ্লিট হবে । মূলত গুজরাতের সোমনাথ মন্দিরের আদলে তৈরী হচ্ছে । এছাড়া গৌতম বুদ্ধের মন্দির আর বিশালাকার শিব মূর্তি নিয়ে একটা জমজমাট প্যাকেজ হচ্ছে পাইলট বাবার আশ্রম মন্দির । সাসারাম ট্যুরিজম আসতে আসতে গড়ে উঠছে । এরপর চন্দনগিরি প্রাচীন শিব মন্দির এবং ত্রিনেত্র গুম্ফা । পাহাড়ের উপর এক প্রাচীন শিব মন্দির এবং পাহাড়ের মধ্যে এক গুহা – প্রকৃতির সৃষ্টি ।
এরপরই আসল সীতাকুন্ড, মাঁঝেরকুন্ড, ধোঁয়াকুন্ড অভিযান । স্টেশনের কাছ থেকেই একটা বড়ো গাড়ী সারাদিনের জন্য রিজার্ভ করে নিন । আমরা হয়তো সীতাকুন্ড, মাঁঝেরকুন্ড, ধোঁয়াকুণ্ডের নাম জানি না কিন্তু বিহারে সাসারাম এরিয়াতে এগুলো জনপ্রিয় পিকনিকের জায়গা । ছোটো গাড়ী, অটো নিয়ে কঠিন পাহাড়ী পথ যাওয়া সম্ভব নয় । বড়ো গাড়ীই ভরসা । আর দরকার একজন গাইডের । গাড়ীর ড্রাইভারই গাইডের কাজ করতে পারে ।
শুরু হলো পাহাড়ী রাস্তায় গাড়ী ওঠা । রাস্তার কথা যত কম বলা যায় তত ভালো । সীতাকুন্ড পর্যন্ত গাড়ী যায় । তারপর আর যাওয়ার উপায় নেই । গাইডের সাহায্যে পাহাড়ী পাথরের রাস্তা ধরে ট্রেক । ২ থেকে ৩ কিমির মধ্যেই তিনটে জলপ্রপাত । প্রথমেই সীতাকুন্ড । তারপর মাঁঝেরকুন্ড এবং শেষে ধোঁয়াকুন্ড । একই নদীর জল থেকে সৃষ্ট । এবং নিচে নেমেছে “কাই” নদী নামে । বর্ষাকালে জলে ভরপুর । দেখে মনে হবে কোনো এক বিদেশ । ভাষায় বর্ণনা দেওয়া বৃথা । ছবি আর ভিডিওতেই বোঝা যায় এর সৌন্দর্য্য । যার জন্য আমার মনে হয় দুদিন সংসার, অফিস ছেড়ে দেখে আসি এই অজানা লুকানো প্রকৃতিকে । এরপর ধোঁয়াকুন্ড । সবচেয়ে সুন্দর ।
স্নান করা যাবে সীতাকুন্ড আর মাঁঝেরকুণ্ডে । ধোঁয়াকুণ্ডে এতো উঁচু থেকে জলরাশি পড়ছে প্রবল বেগে স্নান করার কোনো সুযোগ নেই । কিন্তু সবচেয়ে সুন্দর এবং ভয়ংকর এই ধোঁয়াকুন্ড । দেখলেই মনে হবে আশা সার্থক।
এরপর চলুন ৫১ পীঠের এক পীঠ তাঁরা চন্ডী মন্দির দর্শনে । এখান থেকে গুপ্তধামও যাওয়া যায় । (এলবামে একটা ম্যাপও আছে তাঁরা চন্ডী মন্দির থেকে গুপ্তধাম যাওয়ার)৷
৫১ পীঠের এক পীঠ মা তাঁরাচন্ডী মন্দির দর্শন করে চলুন তুতলা ভবানী জলপ্রপাত দেখতে । পাশেই মা তুতলা ভবানী মন্দির । দুটো বড়ো বড়ো পাহাড়ের মাঁঝে জলরাশি বিপুল বেগে পড়ছে । এও এক সুন্দর জলপ্রপাত । সবশেষে সাসারাম শহরের মধ্যে শেরসাহের সমাধি সৌধ দর্শন। তখন সূর্য প্রায় অস্ত যাওয়ার পথে । এবার তো ফেরার পালা ।
রাতে ফেরার ট্রেন । কিন্তু উত্তর ভারতের ট্রেন লাইন তো । সব ট্রেনই চার পাঁচ ঘন্টা লেটে চলে । কিন্তু দুদিনের ট্রিপে (একদিন পুরো ঘোরা) যা দেখবেন সারা জীবন মনে থাকবে। চারটে জলপ্রপাত, একটা শক্তিপীঠ, এক সমাধি সৌধ কিম্বা নির্মীয়মান পাইলট বাবার ট্যুরিজম কেন্দ্র ইত্যাদি হাতে গোনা শুধুই সংখ্যা মাত্র । সীতাকুন্ড, মাঁঝেরকুন্ড, ধোঁয়াকুন্ড এবং তুতলা ভবানী স্মৃতিতে সারা জীবন থেকে যাবে । হয়তো আবার পরের বর্ষাতে আবার ছুটে যাবেন সাসারাম এই কুণ্ডের টানে।
কিভাবে যাবেন? হাওড়া থেকে দিল্লি, বেনারস, মোগলসরাই (ওল্ড নেম) গামী যেকোনো ট্রেন সাসারাম স্টেশনে দাঁড়ায় । ঘন্টা দশেক সময় নেয় । স্টেশনে নেমেই প্রচুর গাড়ী পাবেন । বড়ো গাড়ী বুক করবেন । ফেরার ট্রেন গড়ে চার/পাঁচ ঘন্টা লেট থাকবেই ।
কোথায় থাকবেন? সাসারাম স্টেশনের পাশেই অনেক হোটেল আছে । এসি রুম ও আছে । যোগাযোগ : ০৬১৮৪/২২১২৭৭ । এছাড়াও আরো অনেক হোটেল আছে।
কি কি দেখবেন: ১) সীতাকুন্ড জলপ্রপাত/২) মাঁঝেরকুন্ড জলপ্রপাত ৩) ধোঁয়াকুন্ড জলপ্রপাত ৪) তুতলা ভবানী জলপ্রপাত এবং মা তুতলেশরী মন্দির ৫) ৫১ পীঠের এক পীঠ তাঁরা চন্ডী মন্দির ৬) শেরশাহ সুরির সমাধি সৌধ
৭) পাইলট বাবার মন্দির আশ্রম ট্যুরিজম সেন্টার
৮) চন্দনগিরি পুরানো শিব মন্দির এবং ত্রিনেত্র গুম্ফা
এছাড়াও যেতে পারেন গুপ্তধাম এবং কাসিস জলপ্রপাত৷