UN – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Sat, 13 Nov 2021 07:19:13 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png UN – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 COP26 : নজিরবিহীন জলবায়ু সম্মেলন! দরিদ্র দেশগুলির চাপে সময় পেরিয়েও আলোচনা https://ekolkata24.com/uncategorized/cop-26-conference-controversy Sat, 13 Nov 2021 07:19:13 +0000 https://ekolkata24.com/?p=11141 News Desk: ধনী দেশগুলির কার্বন নির্গমণ বিশ্বকে চরম ক্ষতির মুখে ফেলে দিচ্ছে। গড় তাপমাত্রা মাত্র ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের একটু বেশি হলেই দুনিয়া রসাতলে যাবে। এই যুক্তি মেনে নিয়েও তুমুল বাকবিতন্ডা চলছে জলবায়ু সম্মেলনে।

সম্মেলনে অংশ নেওয়া দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলির অভিযোগ ধনী দেশের সরকাররা কোনওভাবেই জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে টাকা বরাদ্দ বৃদ্ধিতে রাজি নয়। এই অবস্থান স্কটল্যান্ডের রাজধানী গ্লাসগো শহরে রাষ্ট্রসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে (Cop 26) নজিরবিহীন পরিস্থিতি। সময়সীমা পেরিয়েও চলছে আলোচনা।

যদিও জলবায়ু সম্মেলনে চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহমত জানিয়েছে একযোগে চারদশক কাজ করার।  দুটি দেশই বিশ্বে সর্বাধিক কার্বন নি:স্বরণ করে। ব্রাজিল সহ বিশ্বের শতাধিক দেশের নেতারা ২০৩০ সালের মধ্যে বনভূমি ধংস বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

COP26

তবে টুভালুর মতো ছোট ও দরিদ্র প্রাকৃতিক সম্পদের দেশগুলির অভিযোগ, জলবায়ু সম্মেলন আসলে একটি লোক দেখানো মঞ্চে পরিণত হয়েছে। বিপদ বুঝেও ধনী দেশগুলি গাছাড়া মনোভাব দেখাচ্ছে।

গবেষণায় উঠে এসেছে, গড় তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লেই উষ্ণতার প্রভাবে সামুদ্রিক জলস্ফিতি হবে। এর জেরে বহু দ্বীপরাষ্ট্র তলিয়ে যেতে পারে। বিভিন্ন সমুদ্র উপকূলীয় দেশ বিরাট ক্ষতির মুখে পড়বে।

ক্ষুদ্র দ্বীপ দেশগুলো শুক্রবার জানায়, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির ফলে দ্রুততার সঙ্গে তাদের ভূমি হারিয়ে যাচ্ছে। ২০০৯ সালে মালদ্বীপ সরকার ভারত মহাসাগরের তলায় মন্ত্রিসভার বৈঠক করে বিশ্বকে জলস্ফিতির সতর্কতা দিয়েছিল। এবার জলবায়ু সম্মেলনে প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র টুভালুর বিদেশমন্ত্রী সাগরে দাঁড়িয়ে সতর্কতাবাণী দেন। তিনি বলেন ‘আমাদের দেশ সত্যি সত্যি ডুবে যাচ্ছে। এটা আমাদের অনেকের জীবন মরণের প্রশ্ন। গ্লাসগো সম্মেলনকে অবশ্যই কার্যকর পদক্ষেপের ঘোষণা করতে হবে। আমরা যেন ব্যর্থ না হই।’

আরও পড়ুন: COP26 : ঘাড়ের কাছে বিপদ, মহাসাগর থেকে টুভালুর সতর্কতায় বিশ্ব কাঁপল

<

p style=”text-align: justify;”>এই প্রেক্ষিতে শনিবার দুপুরে জলবায়ু সম্মেলনের চূড়ান্ত আলোচনার সময় ক্রমাগত পিছিয়ে যাচ্ছে। এবারের সম্মেলনের সভাপতি ব্রিটেনের মন্ত্রী অলোক শর্মা জানান বিশ্ব উষ্ণায়ণ রুখতে এটাই শেষ সুযোগ। বিজ্ঞানীদের মতে, বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ধরে রাখার বিষয়টি তুলনা করলে শিল্পপূর্ববর্তী যুগে ফিরে যাওয়ার সমান। সেটা কী করে করা সম্ভব তাই জটিল বিষয়।

]]>
COP26 : ঘাড়ের কাছে বিপদ, মহাসাগর থেকে টুভালুর সতর্কতায় বিশ্ব কাঁপল https://ekolkata24.com/uncategorized/2021-united-nations-climate-change-conference Tue, 09 Nov 2021 07:29:14 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10777

News Desk: বিশ্ব উষ্ণয়নে বাড়ছে সাগর, মহাসাগরের জলস্তর। ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে বিশ্ব। তবে উন্নত দেশগুলি মুখেই আশঙ্কা করছে। এই পরিস্থিতিতে স্কটল্যান্ডের রাজধানীতে রাষ্ট্রসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৬ উপলক্ষে বিশ্বকে সতর্কতা দিল ছোট দ্বীপ রাষ্ট্র টুভালু।

সাগর জলে দাঁড়িয়ে টুভালির বিদেশমন্ত্রী সাইমন কোফে বলেছেন, পরিস্থিতি কীরকম তা আন্দাজ করতেই এই বার্তা। যেভাবে জলস্তর বাড়ছে তাতে টুভালু নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

প্রশান্ত মহাসাগরের তটরেখায় একহাঁটু জলে দাঁড়িয়ে সানুদ্রিক জলস্তর বৃদ্ধির যে সতর্কতা দিল টুভালু সরকার, তা বিশ্বজুড়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ, এমন সতর্কতা আর কোনও দেশ দিতে পারেনি এই সম্মেলনে।

united-nations-climate

মঙ্গলবার দ্বীপরাষ্ট্র টুভালুর সরকার তাদের অবস্থান ও সতর্কতা সংক্রান্ত বার্তা দেবে এমনই নির্ঘণ্ট তৈরি। সেই সূচি মেনে টুভালুর বিদেশমন্ত্রী ভিডিও বার্তা পাঠান জলবায়ু সম্মেলনে। তারই কিছু ছবি বিশ্বজুড়ে ভাইরাল হয়েছে।

২০০৯ সালে বিশ্ব উষ্ণায়ণ নিয়ে মালদ্বীপ সরকার বিশ্বকে সতর্কতা দিয়েছিল ভারত মহাসাগরের  তলায় বিশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠক করে। তৎকালীন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাশিদ ও মন্ত্রিসভার সদস্যরা ডুবুরির পোশাক পরে এই বৈঠক করেন।

বিবিসি জানাচ্ছে, জলবায়ু সম্মেলন কপ ২৬ ইতিমধ্যেই বিতর্কিত। কারণ, আবহাওয়া ও প্রকৃতি বিশেষজ্ঞ আর বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সম্মেলন বিভিন্ন দেশের ভূমিকা নিয়ে প্রবল বিরোধিতায় সামিল। বারবার গ্লাসগো শহর বিক্ষোভে সরগরম হয়েছে। বিশৃঙ্খল পরিবেশ রুখচে সম্মেলনস্খলে কড়া নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বড় বড় দেশগুলি শুধু দেখনদারি প্রতিবাদ করেই দায় ঝাড়ছে। তাদের উদাসীনতায় বহু দেশ বিপদের সামনে।

বিবিসি জানাচ্ছে, জলবায়ু সম্মেলন থেকে বার্তা এসেছে এটাই শেষ সুযোগ। সম্মেলনের সভাপতি, ব্রিটিশ মন্ত্রী অলোক শর্মা বলেছেন, এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ বিশ্ব তাপমাত্রা বৃদ্ধি হার ১.৫ ডিগ্রিতে বা তার নীচে সীমাবদ্ধ রাখতে হলে এখনি পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি বলেন, ”ছয় বছর আগে প্যারিসে আমরা একটি যৌথ লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলাম,” ২০১৫ সালে প্যারিসে বৈশ্বিক উষ্ণতা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামিয়ে আনার চুক্তি হয়েছিল। সেখানে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামিয়ে আনার চেষ্টার কথা বলা হয়েছিল।”

]]>
Africa: অভ্যুত্থান বিরোধী জনতা যেন ইঁদুর! তাড়া করছে সুদানের সেনা https://ekolkata24.com/uncategorized/sudans-armed-forces-arrested-government-officials-and-leaders Thu, 28 Oct 2021 08:49:19 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=9445 News Desk: সরকার ফেলে দেওয়ার পর জরুরি অবস্থা জারি করেছে সুদানের সেনা। আফ্রিকার আরও এক নীল নদের দেশ হিসেবে পরিচিত সুদান রক্তাক্ত। শুরু হয়েছে অভ্যুত্থান বিরোধী জনতাকে ইঁদুরের মতো খাঁচা বন্দি করার পালা।

বিবিসি জানাচ্ছে, সুদানের সেনাবাহিনী দেশটির অসামরিক নেতাদের বেছে বেছে গ্রেফতার করছে। তবে মুক্তি পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী হামদক। তিনি এখন নজরবন্দি।

আল জাজিরার খবর, সুদানের সেনা ক্ষমতা দখল করার পর দেশটির জনগণের একাংশ সেনা শাসনের বিরোধিতা করে। তবে অভ্যুত্থানের পক্ষে রয়েছেন বহু সুদানি। এদিকে ক্ষমতা দখল করেই সুদানি সেনা শুরু করেছে ব্যাপক ধরপাকড়। গণতন্ত্র চাওয়া বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলিও চালাচ্ছে। বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।

বিবিসি জানাচ্ছে, সেনার হাতে বন্দি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সেচমন্ত্রী, মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিকরা।অধিকাংশ সরকারি কর্মকর্তা গ্রেফতার। সোমবার সুদানের সেনাবাহিনী দেশটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। সেনা অভ্যুত্থানের বিষয়ে জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহান বলেন সরকার অকার্যকর হয়ে পড়েছিল।

সুদানে সেনা শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে একদা তিরিশ বছরের স্বৈরশাসক ওমর আল বাশিরের সমর্থকরা। ২০১৯ সালে প্রবল গণবিক্ষোভের জেরে তার সরকার পড়ে গিয়েছিল। অভ্যুত্থানের পর বশিরের সমর্থকরা ফের সক্রিয় হয়েছেন।

বিবিসি জানাচ্ছে, ২০১৯ সালে ওমর আল বশিরের স্বৈরশাসন শেষের পর সুদানি সেনা ও রাজনৈতিক দলগুলি মিলিতভাবে সরকার গড়ে। সেই সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগির ভিত্তিতে গঠিত পরিষদ ঘিরে জনগণের একাংশ ক্ষোভে ফেটে পড়ে। প্রকাশ্যে সেনা শাসনের পক্ষে আন্দোলন শুরু হয়। অভিযোগ, জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ বুরহান পূর্ণ ক্ষমতা দখল করতে এই বিক্ষোভ সংঘটিত করেন।

পরিস্থিতি আরও ঘোরতর। গৃহযুদ্ধের পথে যাচ্ছে সুদান।

]]>
Myanmar: ফের গণহত্যার আশঙ্কা, ট্যাংক নিয়ে ঘিরছে বর্মী সেনা https://ekolkata24.com/uncategorized/massive-mobilisation-of-forces-by-the-myanmar-military-government-in-the-chin-state-bordering-mizoram Sat, 23 Oct 2021 12:17:06 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=8853 নিউজ ডেস্ক: রক্তপাতহীন সেনা অভ্যুত্থানের পর রক্তাক্ত পরিস্থিতি তৈরি করেছে মায়ানমারের সামরিক সরকার। গণতন্ত্রের পক্ষে থাকা জনগণের উপর হামলা চলছেই। হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ফের একবার সেনা অভিযানের পথে মায়ানমারের সেনা প্রধান জেনারেল মিন অন হ্লাইং।

বিবিসি জানাচ্ছে, উত্তর মায়ানমারের বিদ্রোহী মনোভাবাপন্ন এলাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

রাষ্ট্রসংঘের মায়ানমার বিষয়ক বিশেষজ্ঞ টম অ্যান্ডুস জানিয়েছেন, বর্মী সেনা মোতায়েন করা হয়েছে দেশটির দুর্গম উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে। হাজার হাজার সেনা এবং ভারী অস্ত্র নিয়ে হামলার আশঙ্কা থাকছে।

আশঙ্কা করা হচ্ছে, জেনারেল হ্লাইংয়ের নির্দেশ এলেই শুরু হবে চূড়ান্ত অভিযান। গণতন্ত্রী গোষ্ঠী বিশেষ করে মায়ানমার সরকারের বিরোধী সশস্ত্র চিন আর্মির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।

বর্মী সেনার বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংঘর্ষের পথেই গিয়েছে চিন (Chin) ও কাচিন (Kachin) দুই প্রদেশের বিদ্রোহী গোষ্ঠী। সম্প্রতি সেখানে আক্রমণ করেছিল বর্মী সেনা। বহু মানুষ পালিয়ে ভারতের দিকে ঢুকে পড়েন। নাগাল্যান্ড, মিজোরাম ও মনিপুরের সীমান্তে পলাতক বর্মীরা আশ্রয় নিয়েছেন।

এএফপি জানিয়েছে, মায়ানমারে বর্মী সেনার রক্তক্ষয়ী অভিযানে হাজারের বেশি অসামরিক নাগরিক নিহত। ৮ হাজারের বেশি গ্রেফতার। দেশটির উৎখাত হওয়া সরকারের সর্বময় নেত্রী আউং সান সু কি ও প্রেসিডেন্ট সহ মন্ত্রিসভার অনেকেই বন্দি।

]]>
Afghanistan: পোলিও জীবাণুর ভয়ে টিকা প্রদানের অনুমতি জঙ্গি তালিবান সরকারের https://ekolkata24.com/uncategorized/un-to-launch-a-polio-vaccination-campaign-in-afghanistan-with-taliban-permission Tue, 19 Oct 2021 06:41:05 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=8239 নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানের ( Afghanistan )শিশুদের জন্য পোলিও টিকা কার্যক্রম চালানোর তালিবান জঙ্গি সরকার অনুমতি দিয়েছে। এমনই জানাচ্ছে রাষ্ট্রসংঘ। এই জঙ্গি গোষ্ঠী বারবার পোলিও টিকাকরণ কর্মীদের খুন করার ঘটনায় জড়িত।

বিবিসি জানাচ্ছে, ১৯৮৮ সাল থেকে পোলিও রোগের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী টিকা প্রয়োগ শুরু হয়। তবে তালিবান হামলা ও গোঁড়ামি মানসিকতার কারণে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও নাইজেরিয়া থেকে এখনও পোলিও পুরোপুরি নির্মূল করা যায়নি। 

রাষ্ট্র সংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ বলেছে, নভেম্বর মাস জুড়ে আফগানিস্তানে পোলিও টিকাকরণ শুরু হবে। এই কাজের জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার ঘোষণা করেছে তালিবান সরকার।

প্রথমবার ১৯৯৬ থেকে ২০০১ তালিবান সরকারের আমলে আফগানিস্তানে পরপর খুন করা হয় পোলিও টিকাকরণ কর্মীদের। পরবর্তী সময়ে একাধারা বজায় রাখে এই জঙ্গি গোষ্ঠী। দ্বিতীয় দফায় গত ১৫ আগস্ট ফের আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করার পর এবার তালিবান সরকার পোলিও টিকাকরণ নিয়ে নরম মনোভাব দেখাল।

রাষ্ট্রসংঘ ও আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী তালিবান সরকারের মধ্যে বৈঠকে পোলিও টিকাকরণ শুরু করার ব্যাপারে মতৈক্য হয়েছে বলে ইউনিসেফ জানিয়েছে। এর আগে শিশুদের পোলিও টিকা খাওয়ানোর ঘোর বিরোধী ছিল তালিবান।

বিবিসি জানাচ্ছে, তাালিবানের পাকিস্তানি শাখা তেহরিক এ তালিবান পাকিস্তান বা টিটিপি পোলিও টিকা কার্যক্রম ভণ্ডুল করত বহু কর্মীকে খুন করেছিল।

ইউনিসেফ জানাচ্ছে, আফগানিস্তানে পোলিও টিকাকরণের জন্য নারী কর্মীদের অংশগ্রহনে আপত্তি জানায়নি তালিবান সরকার। টিকাকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্মত হয়েছে। আগামী ৮ নভেম্বর থেকে আফগানিস্তানে পোলিও টিকাকরণ শুরু হবে। ৩৩ লক্ষের বেশি আফগান শিশুকে এই টিকা দেওয়া হবে।

]]>
UN: গবেষণা রিপোর্টে ভয়াবহ ইঙ্গিত, ছাই হবে বিশ্ব https://ekolkata24.com/uncategorized/earth-could-be-burn-after-400-years Wed, 29 Sep 2021 12:52:52 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=6034 নিউজ ডেস্ক: পরপর দাবানল দিচ্ছে ভয়াবহ ইঙ্গিত। আসছে আরও বড় দাবানল। সেই আগুনে পুড়ে যাবে বিশ্ব। যেহেতু বিশ্বের অন্দর এখন জ্বলছে, লাভা বেরিয়ে আসা তারই প্রমাণ তাই পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়াই দুনিয়ার পরিনতি।

আর ৪০০ বছরের মধ্যে বাসযোগ্য এই নীল গ্রহের সবকিছু জ্বলে পুড়ে নষ্ট হয়ে যাবে। খুব দ্রুত হারে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পৃথিবী আর বাসযোগ্য থাকবে না।এই হুঁশিয়ারি দিল রাষ্ট্রসংঘে দাখিল করা গবেষণা রিপোর্ট।

ইউনাইটেড নেশন্স অ্যাসেসমেন্ট অব ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন্স নামে এই রিপোর্ট ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে হই হই পড়েছে। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক জলবায়ু বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘গ্লোবাল চেঞ্জ বায়োলজি’-তে।

রিপোর্টে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি বিভিন্ন রাষ্ট্র গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের পরিমাণ কমানোর যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সেগুলি পুরোপুরি রক্ষিত হলেও আর ৭৯ বছরের মধ্যে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা প্রাক শিল্পযুগের চেয়ে অন্তত ২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এবং ফলে এমন ঘনঘন ও ভয়ঙ্কর দাবানল হবে বিশ্বজুড়ে।

একইভাবে ঝড়, ঘূর্ণিঝড়, খরা, বন্যা, তাপপ্রবাহ ও শৈত্যপ্রবাহের তীব্রতা ও সংখ্যা অকল্পনীয়ভাবে বেড়ে যাবে। ২১০০ সাল থেকে পরবর্তী ৪০০ বছরের মধ্যে পৃথিবী বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে।  মানবসভ্যতার কাছে হয়ে পড়বে আরও একটি ভিনগ্রহ। শুধু তা-ই নয়, স্থল ও জলের যাবতীয় বাস্তুতন্ত্রেরও আমূল পরিবর্তন ঘটবে।
দুনিয়ার শেষের ইঙ্গিত স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে এই রিপোর্টে। হাতে আর মাত্র চারশ বছর। তার পরেই খেল খতম।

]]>
সন্ত্রাসবাদ: রাষ্ট্রসংঘে পাক-প্রধানমন্ত্রীকে ‘বধ’ করলেন ‘ভারত কি বেটি’ স্নেহা দুবে https://ekolkata24.com/uncategorized/sneha-dubey-know-all-about-indias-first-secretary-at-un-general-assembly-who-gave-reply-to-pakistan-prime-minister Sat, 25 Sep 2021 15:23:48 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=5571 নিউজ ডেস্ক: দেশের বিরুদ্ধে তোলা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরানের খানকে যোগ্য জবাব দিল ভারত৷ ইমরানের দেশকে সন্ত্রাসবাদের সংরক্ষক এবং পাক-সংখ্যালঘু দমনকারী বলে অভিনহত করল ভারত৷ রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ভাষণে বরাবরের মতো কাশ্মীরের সুর গেয়েছেন এবং নিজেকে সন্ত্রাসের সবচেয়ে বড় শিকারি বলে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু, যথারীতি পাকিস্তান আবারও ভারতের কাছ থেকে উপযুক্ত জবাব পেল। ভারতের প্রথম সচিব স্নেহা দুবে ((India First Secretory Sneha Dubey) পাকিস্তানকে রাইট টু রিপ্লাই (Right to Reply) -এর আওতায় উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন।

স্নেহা দুবে৷ পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে কড়া ভাষায় তিরস্কার করে রীতিমতো ‘হিরোইন’ হয়ে গিয়েছেন ভারতবাসীর কাছে৷ ভারত-বিরোধী কার্যকলাপে পাকিস্তানের অবস্থান বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছেন৷ তিনি বলেন, এই প্রথম নয় যে একজন পাক নেতা রাষ্ট্রসংঘের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আমার দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভুল প্রোপাগান্ডা ছড়াল। তিনি বলেন, যে এরা (পাকিস্তান) সন্ত্রাসের সমর্থক। মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী ওসামা বিন লাদেন পাকিস্তানে আশ্রয় পেয়েছিলেন। পাকিস্তান তাকে শহিদের মর্যাদা দিয়েছে। তারা (পাকিস্তান) বাড়িতে শুধুমাত্র একজন জঙ্গি লালন পালন করে, যাতে সে তার প্রতিবেশীদের ক্ষতি করতে পারে। স্নেহা দুবে কটাক্ষ করে বলেন, আমরা শুনতে পাই পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের শিকার। আসলে, অগ্নিসংযোগকারী পাকিস্তান মুখোশ পরে নিজেকে অগ্নিনির্বাপক হিসেবে বর্ণনা করছে।

India First Secretory Sneha Dubey

পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় জবাব দেওয়ার পরেই দেশবাসী জানতে চাইছে কে এই স্নেহা দুবে?
সারা বিশ্বের সামনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে তিরস্কার করা স্নেহা ২০১২ ব্যাচের আইএফএস অফিসার৷ প্রথমবারের চেষ্টাতেই তিনি ইউপিএসসিতে সাফল্য পেয়েছিলেন। আইএফএস হওয়ার পর তিনি বিদেশ মন্ত্রকে নিযুক্ত হন৷ ২০১৪ সালে মাদ্রিদে ভারতীয় দূতাবাসে তাঁকে পাঠানো হয়েছিল। বর্তমানে তিনি রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে ভারতের প্রথম সচিব। স্নেহা জেএনইউ থেকে পড়াশোনা করেছেন। তিনি সেখান থেকে এমএ এবং এমফিল করেছেন। তিনি গোয়াতে প্রাথমিক শিক্ষা করেন এবং তারপর পুনের ফার্গুসন কলেজ থেকে স্নাতক হন। তিনি তাঁর পরিবারের প্রথম সিভিল সার্ভিস অফিসার।

রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে ভারতের প্রথম সচিব স্নেহা দুবে বলেন, “অনেক দেশ জানে যে পাকিস্তানের জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার ইতিহাস রয়েছে৷ তাদের সক্রিয়ভাবে সমর্থন করা হচ্ছে। এটা তাদের নীতি। এটি এমন একটি দেশ, যারা সন্ত্রাসীদের সমর্থন, অস্ত্র সরবরাহ এবং আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত।

প্রসঙ্গত, ইমরান খান এবার নিউইয়র্কে আসেননি। তিনি নিজেই পাকিস্তান থেকে তাঁর ভার্চুয়াল ভাষণের সময় কাশ্মীর ইস্যু উত্থাপন করেছিলেন। তিনি বলেন, পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে শান্তি চায়৷ দক্ষিণ এশিয়ায় স্থায়ী শান্তি জম্মু ও কাশ্মীর বিরোধের সমাধানের উপর নির্ভর করে।

]]>
রাষ্ট্রসংঘে তালিবান সরকারের স্বীকৃতি চাইলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান https://ekolkata24.com/uncategorized/in-una-pak-pm-imran-khan-made-a-strong-pitch-for-taliban-government Sat, 25 Sep 2021 08:20:11 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=5547 নিউজ ডেস্ক: আনন্দে আত্মহারা আফগান শাসক তালিবান জঙ্গি নেতারা। কে নেই এই আনন্দযজ্ঞে। একের পর এক মোস্ট ওয়ান্টেড তালিবানি ও হাক্কানি নেটওয়ার্কের নেতারা উল্লসিত। যেন আনন্দাশ্রু আর থামতে চাইছে না এমন অবস্থা।

কারণ, রাষ্ট্রসংঘ অধিবেশনে গিয়ে খোদ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান চাইলেন আফগানিস্তানের তালিবান শাসকদের প্রতি সমর্থন। বিশ্বে প্রথম কোনও সরকারের তরফে রাষ্ট্রসংঘ অধিবেশন কক্ষে তালিবানের পক্ষে আওয়াজ তোলা হয়েছে। যদিও পাক সরকার এখনও তালিবান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দেয়নি।

ইমরান খান বলেন,আফগানিস্তানের জনগণের স্বার্থে তালিবানকে স্বীকৃতি দিক আন্তর্জাতিক মহল। তিনি বলেন, আফগানিস্তানের জনগণের স্বার্থে আন্তর্জাতিক দুনিয়াকে পদক্ষেপ নিতে হবে। আমাদের সামনে এখন একটাই পথ আফগানিস্তানের বর্তমান সরকারকে স্থিতিশীল এবং শক্তিশালী করা।

আফগানিস্তানের সঙ্কটের কথা তুলে ধরে ইমরান খান বলেন, আমরা যদি আফগানিস্তানকে অবহেলা করি, তবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। আফগানিস্তানের অর্ধেক মানুষ এখন সঙ্কটে আছেন। পরিস্থিতি এমনই চলতে থাকলে আগামী এক বছরের মধ্যে ওই দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে চলে যাবেন।

গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট য আশরাফ ঘানির সরকারকে হটিয়ে দিয়ে দ্বিতীয়বার সরকার গড়েছে তালিবান জঙ্গিরা। মার্কিন সেনা নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিতেই জঙ্গি সংগঠনটি কাবুল দখল করে নেয়। তাদের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে নারীর অধিকার খর্ব করার অভিযোগে বিশ্বের অধিকাংশ তালেবানকে স্বীকৃতি দিতে নারাজ। ফলে বন্ধ রয়েছে আন্তর্জাতিক সাহায্যের পথ।

এদিকে রাষ্ট্রসংঘে নিজেদের অবস্থান পাকা করতে মরিয়া তালিবান। তাদের নির্বাচিত দূতকে যদিও স্বীকৃতি দেয়নি রাষ্ট্রসংঘ। তবে জানানো হয় বিষয়টি বিবেচনাধীন। যতদিন না পাকা সিদ্ধান্ত হবে ততদিন অপসারিত প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির নিযুক্ত দূতকেই মান্যতা দেবে রাষ্ট্রসংঘ।

]]>
রাষ্ট্রসংঘ প্রথমবার গমগম করল জলগগম্ভীর বাংলা ভাষণে, নজির গড়লেন বঙ্গবন্ধু https://ekolkata24.com/offbeat-news/first-ever-bengali-spech-at-un-by-sheikh-mijibur-rahman Sat, 25 Sep 2021 06:57:29 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=5543 প্রসেনজিৎ চৌধুরী: ১৯৭১ সালে বিশ্ব জেনেছিল পদ্মা-মেঘনা-ধলেশ্বরীর তীরে ভারতীয় সেনা ও মুক্তিবাহিনীর যৌথ আক্রমণে রক্তাক্ত সংঘর্ষের পর পাকিস্তানকে পরাজিত করে বাংলাভাষার দেশ বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে। এই ঐতিহাসিক আত্মপ্রকাশের চার বছরের মাথায় সরাসরি রাষ্ট্রসংঘ থেকে পুরো দুলিয়া শুনেছিল প্রথম বাংলা ভাষণ।

১৯৭৪ সালের ঐতিহাসিক ২৫ সেপ্টেম্বর। এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রসংঘের ২৯তম সাধারণ অধিবেশনে প্রথম বারের মতো বাংলা ভাষায় ভাষণ প্রদান করেন। বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণের মাধ্যমে রাষ্ট্রসংঘের সদস্য পৃথিবীর সব দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে পারে, বাংলা ভাষাভাষী বাঙালি জাতির জন্য রয়েছে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। তার নাম বাংলাদেশ।

কী বলেছিলেন বঙ্গবন্ধু ? তাঁর বহু বিখ্যাত এই প্রথম আন্তর্জাতিক বাংলাভাষার ভাষণ আজও রাষ্ট্রসংঘের কাছে অমূল্য সংগ্রহ। বহু রাষ্ট্রনায়কের বহু ঐতিহাসিক ভাষণ ও চমকদার মুহূর্তের কেন্দ্র নিউইয়র্কের রাষ্ট্রসংঘ সদর কার্যালয়ের অধিবেশন কক্ষ।

রাষ্ট্রসংঘ অধিবেশনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আজ এই মহামহিমান্বিত সমাবেশে দাঁড়াইয়া আপনাদের সাথে আমি এই জন্য পরিপূর্ণ সন্তুষ্টির ভাগীদার যে বাংলাদেশের সাড়ে ৭ কোটি মানুষ আজ এই পরিষদে প্রতিনিধিত্ব করিতেছেন। আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের পূর্ণতা চিহ্নিত করিয়া বাঙালি জাতির জন্য ইহা একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার অর্জনের জন্য এবং একটি স্বাধীন দেশে মুক্ত নাগরিকের মর্যাদা নিয়া বাঁচার জন্য বাঙালি জনগণ শতাব্দীর পর শতাব্দীব্যাপী সংগ্রাম করিয়াছেন, তাঁহারা বিশ্বের সকল জাতির সাথে শান্তি ও সৌহার্দ্য নিয়া বাস করিবার জন্য আকাঙ্খিত ছিলেন।’

বিশ্ব চমকে গেল। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের অনুবাদ করে সব দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা শুনলেন। রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ সংগ্রহশালায় সেই বাংলাভাষার প্রথম ভাষণ রক্ষিত আছে। বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের মাধ্যমে জাতিসংঘের সদস্য পৃথিবীর সব দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে পারে, বাংলা ভাষাভাষী বাঙালি জাতির জন্য রয়েছে একটি সার্বভৌম দেশ। তার নাম বাংলাদেশ।  বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পরেই রাষ্ট্রসংঘে আলোড়ন পড়ে। সেই ভাষণ শুনেছিলেন শুধু বাংলাদেশবাসী নন, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরার অগনিত মানুষ। সবাই জানলেন বাংলা আন্তর্জাতিক সরকারি ভাষা হয়ে গিয়েছে।

]]>
মুসলিম বিশ্বে কালো মেঘ, ইরানের পরমাণু কর্মসূচির জেরে ভীত আরব https://ekolkata24.com/uncategorized/saudi-arabia-again-opposed-irans-nuke-program Thu, 23 Sep 2021 13:40:03 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=5406 নিউজ ডেস্ক: এমনিতেই প্রতিপক্ষ সম্পর্ক। তায় আবার শিয়া সুন্নি বিভাজন। স্বাভাবিকভাবেই শিয়াপন্থী ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিরোধিতা করে প্রতিবেশি সুন্নিপন্থী সৌদি আরব। রাষ্ট্রসংঘ অধিবেশনে ভার্চুয়াল কনফারেন্সে সৌদি বাদশাহ

সলমন বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ সরাসরি ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিরোধিতা করতে আহ্বান জানালেন।
সৌদি বাদশাহের আহ্বান, ইরানকে পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হয়ে ওঠা থেকে বিরত রাখার আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা দরকার। ভিডিও ভাষণে সৌদির বাদশাহ বলেছেন সৌদি আরব মধ্যপ্রাচ্যকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র থেকে মু্ক্ত রাখার উপর জোর দেয়। এই ভিত্তিতে আমরা ইরানকে পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে ঠেকানোর আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টাকে সমর্থন করি।

Iran's nuclear program

প্রতিক্রিয়া দেবে তেহরান। ইরানের তরফে কী প্রতিক্রিয়া আসে সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বরাবর বিশ্বে আলোড়ন ফেলে। সৌদি আরব সেই ক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি। ফলে রিয়াধ চিন্তিত হয়।

ইরান ও সৌদি আরব বহু বছর ধরে পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী। তাদের কূটনৈতিক অবস্থানে মুসলিম বিশ্ব বিভক্ত। দুটি দেশ ইয়েমেন, সিরিয়া সহ কিছু অঞ্চলের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে বিপক্ষ অবস্থান নিয়ে রেখেছে। বিবিসি জানাচ্ছে, তেহরান ও রিয়াধ ২০১৬ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করলেও চলতি বছর নিজেদের মধ্যে আলোচনা শুরু করেছে।

তবে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসি সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নেওয়ার পথ খুলতে পারমাণবিক আলোচনা ফের শুরু করার জন্য বিশ্ব নেতাদের আহ্বান জানান।

]]>
Who Report: করোনা তো শিশু! বায়ু দূষণে বছরে মৃত্যু ৭০ লক্ষ https://ekolkata24.com/uncategorized/who-report-air-pollution-death-report-published-by-who Thu, 23 Sep 2021 05:43:43 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=5335 নিউজ ডেস্ক: টানা দু বছর ভয়াবহ করোনাভাইরাসের কবলে বিশ্ব। মৃত্যুর মিছিল চলেছে সর্বত্র। গবেষণা রিপোর্ট বলছে, করোনায় মৃত্যুর চেয়ে বায়ু দূষণে মৃত মানুষের সংখ্যা আরও ভয়াল। বছরে অন্তত ৭০ লক্ষ মানুষ মারা যান।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) আরও জানাচ্ছে, বিশ্বজুড়ে বায়ুর মান উন্নত করতে এয়ার কোয়ালিটি গাইডলাইনসে (একিউজিএস) পালনে কঠোর শর্ত আরোপ করা হচ্ছে। বুধবার নতুন একিউজিএস প্রকাশ করে হু।

হু বলেছে, তীব্র বায়ুদূষণ প্রতিরোধ করতে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। কেননা বিশ্বজুড়ে বায়ুর মানের প্রতিটি সূচক নিম্নমুখী রয়েছে। জনস্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এই অবস্থা অস্বাস্থ্যকর খাবার ও ধূমপানের চেয়েও বেশি স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি তৈরি করেছে।

air pollution

হু মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস বলেন, বায়ু দূষণের ফলে প্রতি বছর অন্তত ৭০ লক্ষ মানুষের অকালমৃত্যু হচ্ছে। গবেষকেরা দেখিয়েছেন, এমনকি কম মাত্রায়ও দূষিত বায়ুও মানুষের শরীরের সব অঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। মস্তিষ্ক থেকে শুরু করে মায়ের গর্ভে থাকা সন্তান এতে ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
রয়টার্স জানাচ্ছে, ২০০৫ সালের পর এবার এয়ার কোয়ালিটি গাইডলাইন আরও কঠোর করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আগের গাইডলাইন অনুযায়ী, ২০১৯ সালে বিশ্বের ৯০ শতাংশ মানুষ অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়েছেন।

নতুন একিউজিএসে নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড ও কার্বন মনোক্সাইড সহ ছয় ধরনের দূষণ থেকে বায়ুমান উন্নত করার সুপারিশ করা হয়েছে।
রয়টার্স জানাচ্ছে, অক্টোবরে স্কট

]]>
আমাদের কিছু বলতে দিন… রাষ্ট্রসংঘে চিঠি পাঠাল তালিবান জঙ্গি শাসক https://ekolkata24.com/uncategorized/taliban-asked-un-to-enrolled-their-nominated-person-on-behalf-of-afghanistan Wed, 22 Sep 2021 10:02:44 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=5266 নিউজ ডেস্ক: বন্দুক আছে আবার ই মেল-ও আছে! আফগানিস্তানের কর্পোরেট তালিবান জঙ্গি শাসকদের তরফে চিঠি পৌঁছে গেল রাষ্ট্রসংঘ কার্যালয়ে। তালিবানের দাবি, তারাও বক্তব্য রাখতে চায় কারণ এখন আফগানভূমিতে তাদেরই সরকার।

নিউইয়র্কে চলছে রাষ্ট্রসংঘ অধিবেশন। সেই অধিবেশনে আফগানিস্তানের শাসক হিসেবে নিজেদের কথা তুলে ধরতে তালিবান অন্তর্বতীকালীন সরকার আবেদন পত্র পাঠিয়েছে। এতে লেখা হয়েছে, আফগানিস্তানের সরকারের পতনের পর এখন তালিবান সংগঠন দেশটির শাসক। আরও জানানো হয়, কাতারের রাজধানী দোহা শহরে তালিবান আন্তর্জাতিক কার্যালয়ের মুখপাত্র সুহাইল শাহিনকে রাষ্ট্রসংঘে আফগানিস্তানের দূত হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।

নিয়মানুসারে রাষ্ট্রসংঘে পাঠানো এই চিঠি পর্যালোচনা করবে বিশেষ কমিটি। বিবিসি জানাচ্ছে ৯ সদস্যের এই কমিটির মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন ও রাশিয়র মতো নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। যতক্ষণ পর্যন্ত সেই কমিটি পূর্ণাঙ্গ অনুমোদন দেবে ততক্ষণ রাষ্ট্রসংঘে আফগান মুখপাত্র হিসেবে থাকবেন অপসারিত প্রেসিডেন্ট

আশরাফ ঘানির সরকারের মনোনীত গুলাম ইসাকজাই। গত ১৫ আগস্ট তালিবান জঙ্গিরা কাবুল দ্বিতীয়বার দখল করে। সেইদিনই প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি দেশত্যাগ করেন।

রাষ্ট্রসংঘের কর্মসূচি অনুসারে আগামী সোমবার সাধারণ সভা শেষ হওয়ার আগে এই বিশেষ কমিটির বৈঠকের সম্ভাবান নেই। কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত পরবর্তী সাধারণ অধিবেশনে প্রয়োগ হবে। সেক্ষেত্রে এখনই তালিবানের পক্ষে তাদের মনোনীত জঙ্গি প্রতিনিধিকে রাষ্ট্রসংঘে দেখা যাচ্ছে না।

]]>
9/11: কাবুলে তালিবান জয়োল্লাস, শপথের জন্য প্রস্তুতি https://ekolkata24.com/uncategorized/9-11-taliban-interim-government-to-take-outh Sat, 11 Sep 2021 05:25:34 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=4335 নিউজ ডেস্ক: কুড়ি বছর আগে আমেরিকায় টুইন টাওয়ারে আল কায়েদা জঙ্গি সংগঠনের ভয়াবহ বিমান হামলা দিয়েই আফগান অভিযান শুরু করেছিল মার্কিন সেনা। কয়েকদিনের মধ্যেই কাবুল থেকে উৎখাত হয়েছিল প্রথম তালিবান সরকার। কুড়ি বছর পর সেই কাবুলের কুর্সিতে ফের তালিবান জয়োল্লাস। শনিবারেই তাদের ছায়া মন্ত্রীপরিষদ শপথ নেবে।

গত কুড়ি বছরে মার্কিন সেনা তাদের ইতিহাসে বৃহত্তম সেনা অভিযান আফগানিস্তানেই চালিয়েছে। দু’দশক পরে মার্কিন সরকার ও তালিবান আলোচনার সূত্রে সম্পূর্ণরূপে দেশে ফিরেছে মার্কিন সেনা। আফগানিস্তানে ফের তালিবান জঙ্গি সরকা। তাদের বন্ধু আল কায়েদা। এই সংগঠনটির প্রধান তথা ৯/১১ হামলার মূল নির্দেশদাতা ওসামা বিন লাদেন ঘটনার সময় আফগানিস্তানেই ছিল। তাকে চেয়ে তালিবান সরকারের কাছে বার্তা দেয় ওয়াশিংটন। রাজি হয়নি তালিবান। এর পরেই মার্কিন সেনা অভিযান ও কাবুল হয়েছিল জঙ্গি মুক্ত।

দু দশক পরে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। তালিবান দখলে আফগানিস্তানের ক্ষমতা। বিশেষ দিনটিকে তারা বেছে নিয়েছে শপথ গ্রহণের জন্য। তবে দ্বিতীয় তালিবান সরকারের ঘোষণা, তাদের ভিন্ন রূপ দেখবে দুনিয়া। তালিবান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ নেওয়ার পরেই আফগানিস্তানকে ঘিরে নতুন করে দুর্দশার মেঘ জমাট নেবে। ইতিমধ্যেই আফগান তালিবান সরকারের নিয়ন্ত্রক হয়েছে পাকিস্তান। চিন্তিত রাষ্ট্রসংঘ।

]]>
অ-মঙ্গল: গান্ধার দেশে মঙ্গলেই তালিবান আস্ফালন শুরু https://ekolkata24.com/uncategorized/afghanistan-conditions-us-troops-withdrawal-dead-line-started Mon, 30 Aug 2021 19:54:09 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=3489 প্রসেনজিৎ চৌধুরী: কুড়ি বছরের মারাত্মক অভিযান শেষ হয়ে যাচ্ছে। আজ ৩১ আগস্ট, ২০২১ আমেরিকার (US) সেনা পুরোপুরি সরে যাবে আফগানিস্তান (Afghanistan) থেকে।

আমেরিকা সরকার তালিবানের (Taliban) সঙ্গে যে শান্তি বৈঠক করেছিল তার ফল হিসেবে জঙ্গিরা এখন দ্বিতীয়বারের জন্য আফগানভূমির ক্ষমতায়। আজই আমেরিকান সেনা তাদের সর্ববৃহৎ বিদেশে সামরিক কর্মসূচি তুলে নিচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার, আজ মাথা কাটার তালিবানি আস্ফালনের দিন
ঠিক পনের দিন আগে, গত ১৫ আগস্ট ভারতের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসের দিন দ্বিতীয়বার তালিবান জঙ্গি কব্জায় ঢুকেছিল আফগান রাজধানী কাবুল। সেইদিনই বিশ্ববিখ্যাত সাংবাদিক সম্মেলনে তালিবান জঙ্গিদের ঝাঁ চকচকে কর্পোরেট আদল দেখাতে মরিয়া চেষ্টা করে সংগঠনটির মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ। আন্তর্জাতিক সংবাদদাতাদের সামনে তার দাবি ছিল, এই তালিবান তাদের পূর্বসূরিদের তুলনায় নরম মনোভাব দেখাবে।

আরও পড়ুন: ২০ বছরের যুদ্ধ শেষে আফগানিস্তানে পরাজিত আমেরিকা

তালিবান তার চরিত্র বদলাবে না এটা আফগানবাসীর পালানো দেখেই স্পষ্ট। ঘরপোড়া গোরু যেমন সিঁদূরে মেঘ দেখলে ডরায় তেমনই ভুক্তভোগী আফগানিরা ভীত। তাঁরা প্লেনের চাকা ধরে পালাতে গিয়ে মরেছেন। কিন্তু পালাতে চাইছেন দেশ থেকে। কারণ সরকার গড়বে তালিবান। যে তালিবানের ভয়ঙ্কর মাথা কাটার রূপ গত ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানে দেখা গিয়েছিল।

প্রথম তালিবান সরকার তৈরি হয় আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত ইউনিয়নের লাল ফৌজ সরে যাওয়ার পর নির্বাচিত সরকারের প্রেসিডেন্ট ড নাজিবুল্লাহকে খুন করে। সম্পূর্ণ আমেরিকান মদতে তালিবান দখল করেছিল আফগানিস্তানের কুর্সি। তারপরেই তাদের বন্ধু জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদার বাড়বাড়ন্ত। ২০০১ সালে আল কায়েদার হামলায় আমেরিকা সর্বাধিক নাশকতার কবলে পড়ে। ভয়াবহ ৯/১১ হামলার পরেই আফগানিস্তানে প্রবেশ করেছিল আমেরিকান সেনা।

আরও পড়ুন : মার্কিন-আফগানিস্তান যুদ্ধে মৃত্যু এবং খরচ হল কত?

২০০১-২০২১ এই কুড়ি বছরে আমেরিকা তাদের সর্ববৃহৎ সামরিক অভিযান সংঘটিত করেছে আফগানিস্তানে। এই অভিযান শেষের চূড়ান্ত মুহূর্ত কাতারের রাজধানী দোহা শহরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তালিবান উপপ্রধা মোল্লা আবদুল বারাদারের মধ্যে শান্তি আলোচনায় তৈরি হয়। আফগানিস্তানের পুতুল সরকারের পক্ষে কিছুই করার ছিলনা। একপ্রকার পতন বুঝেই যায় আফগান সরকার।

বৈঠকের সিদ্ধান্ত মতো আমেরিকা সেনা সরাতে শুরু করে। বিভিন্ন প্রদেশের দখল নেয় তালিবান। ন্যুনতম প্রতিরোধ করে আফগান সেনা পালাতে থাকে। অবশেষে গত ১৫ আগস্ট কাবুলে আফগান সরকারের পতন হয়। প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি দেশত্যাগ করেন।

আনুষ্ঠানিকভাবে তালিবান এখনও আফগানিস্তানের ক্ষমতা নেয়নি। ৩১ আগস্ট আমেরিকার সেনা পুরো সরে গেলে কী হবে তা তালিবান ও আফগান জনতা জানে।

ইতিমধ্যেই আফগানিস্তানে ফিরেছে আল কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনের দেহরক্ষী আমিন উল হক। লাদেন মৃত। আফগান সীমান্তের কাছে রুশ সামরিক মহড়া চলছে।রাষ্ট্রসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠক হয়েছে।

সবই ৩১ আগস্টের পরের পরিস্থিতি বিচার করে পদক্ষেপ নেওয়ার পালা। আজকেই তালিবান আফগানভূমিতে ফের মুক্ত। তাদের আস্ফালন শুনছে বিশ্ব। ঘর ফেরত আমেরিকান সেনারা জানেন তারা কী পরিস্থিতি পিছনে ফেলে যাচ্ছেন। অসহায় আফগানিরা মাথা কাটার ভয়ে দিন শুরু করবেন আজ থেকে।

]]>