এবার আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে বাইডেনের সমালোচনায় দেশবাসীর একাংশ। পেনসিলভেনিয়ার বিলবোর্ডে প্রকাশ পেল সেই বাইডেন বিরোধী অভিব্যাক্তিই। বাইডেনকে তালিবান জঙ্গি সাজিয়ে ওই বিলবোর্ডে লেখা হয়েছে ‘তালিবানদের আবার শ্রেষ্ঠ আসন দাও (Making Taliban Great Again)’। গোটা পেনসিলভেনিয়াই ছেঁয়ে গিয়েছে এরকম বিলবোর্ডে। যদিও এর পেছনে ট্রাম্প নন, মাস্টারমাইন্ড একজন প্রাক্তন পেনসিলভানিয়া রাজ্য সিনেটর, স্কট ওয়াগনার। যিনি একজন রিপাবলিকান এবং ২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ইয়র্ক কাউন্টির অন্তর্ভুক্ত একটি জেলার প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ৯/১১ হামলার পরই তাদের ন্যাটো বাহিনী দখল নেয় আফগানিস্তানের। প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় আফগান সেনাদের, জেলবন্দি করা হয় তালিবানদের। বিশ্বজুড়ে আল কায়েদার যে দাপট ছিল, তাও নিয়ন্ত্রণে আনে মার্কিন সেনা। লক্ষ্য ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সন্ত্রাসমুক্ত করা। কিন্তু ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তালিবানদের সঙ্গে দোহায় চুক্তি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই চুক্তিতে বলা হয়, আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে মার্কিন সেনা, কিন্তু আমেরিকায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বন্ধ রাখবে তারা। অন্য সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীকে আমেরিকায় হামলা করা থেকে বিরত রাখারও চেষ্টা করবে তালিবানরা।
এই চুক্তির পরেই নির্বাচনে হেরে যান ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে ক্ষমতায় বসেন জো বাইডেন। কিন্তু, ক্ষমতায় এসেও তিনি ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকেই পূনর্বহাল রাখেন। উল্টে জানান, এই বছরের সেপ্টেম্বরের আগেই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। অনেক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞই ভেবেছিলেন, তালিবানদের বাড়বাড়ন্ত দেখে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখবেন বাইডেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত না বদলে বাইডেন জানান, “আফগান নেতাদের একজোট হতেই হবে। আফগানিস্তানের সেনার সংখ্যা তালিবানদের তুলনায় অনেক বেশি। তাদের দেশের জন্য লড়াই চালাতেই হবে।”
সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে এক ইমেলে ওয়াগনার জানিয়েছেন, “প্রেসিডেন্ট বাইডেন তাড়াহুড়ো করেছে। তার সিদ্ধান্ত আমাদের বিশ্বের কাছে হাসির খোরাক করে তুলেছে। তালিবানরা খোলাখুলিভাবে বলছে যে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আফগানিস্তান থেকে বের করে দিয়েছে।” তিনি কাউকে ভয় পান না এবং সত্যিটা সবার সামনে আনতে চান বলে ওয়াগনার জানিয়েছেন যে বিলবোর্ডগুলি এখনই নামানো হবে না। কমপক্ষে আরও দু’মাসের জন্য গোটা পেনসিলভেনিয়ার মানুষ ওগুলো দেখতে পাবেন।
]]>আরও পড়ুন নতমস্তকে বাইডেন: প্রবীণ কমিউনিস্ট ভিয়েতকং গেরিলারা ফিরলেন সোনালি অতীতে
এবার আফগানিস্তানের সেই অবস্থা নিয়েই চিনকে একহাত নিলেন জো বিডেন। আমেরিকার সিদ্ধান্তে কোনও ভূল নেই আগেই জানিয়েছিলেন, এবার জানিয়ে দিলেন নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্যই হাত মিলিয়েছে তালিবান-বেজিং। ২৪ ঘন্টা আগেই নতুন সরকারের ঘোষণা করেছে তালিবান (Taliban)। নয়া সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে চিন, পাকিস্তান, রাশিয়া, তুরস্ক, ইরান ও কাতারকে আমন্ত্রণও জানিয়েছে।
চিন, পাকিস্তান, রাশিয়ার মতো দেশগুলি নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্যই একসাথে হয়েছে। তালিবানদের সঙ্গে শুধু সমঝোতাই নয়, তাদের কাজে লাগানোর চেষ্টাও করবে তারা। ওরা সকলেই কী করা উচিত, তা বোঝার চেষ্টা করছে এক অনুষ্ঠানে প্রশ্ন করা হলে এই মন্তব্যই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

চিনের তরফে এখনও অবধি তালিবানকে আফগানিস্তানের নতুন শাসক হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার না করা হলেও, গত জুলাই মাসেই বর্তমানের আফগানিস্তানের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী মোল্লা বরাদরের সঙ্গে দেখা করেছিলেন জিনপিং। সেই সময়ও চিনের তরফে জানানো হয়েছিল, তালিবানদের তাদের সরকার গঠনের প্রক্রিয়ায় সাহায্য করা হোক।
আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ৯/১১ হামলার পরই তাদের ন্যাটো বাহিনী দখল নেয় আফগানিস্তানের। প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় আফগান সেনাদের, জেলবন্দি করা হয় তালিবানদের। বিশ্বজুড়ে আল কায়েদার যে দাপট ছিল, তাও নিয়ন্ত্রণে আনে মার্কিন সেনা। লক্ষ্য ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সন্ত্রাসমুক্ত করা। কিন্তু ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তালিবানদের সঙ্গে দোহায় চুক্তি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই চুক্তিতে বলা হয়, আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে মার্কিন সেনা, কিন্তু আমেরিকায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বন্ধ রাখবে তারা। অন্য সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীকে আমেরিকায় হামলা করা থেকে বিরত রাখারও চেষ্টা করবে তালিবানরা।
এই চুক্তির পরেই নির্বাচনে হেরে যান ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে ক্ষমতায় বসেন জো বাইডেন। কিন্তু, ক্ষমতায় এসেও তিনি ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকেই পূনর্বহাল রাখেন। উল্টে জানান, এই বছরের সেপ্টেম্বরের আগেই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। আমেরিকার ভবিষ্যতবানী ছিল, আগামী তিন মাসের মধ্যে আফগানিস্তান দখল করবে তালিবানরা। যদিও সে হিসেব উল্টে তিনদিনের মধ্যে কাবুল দখল করেছে তালিবানরা।
অনেক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞই ভেবেছিলেন, তালিবানদের বাড়বাড়ন্ত দেখে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখবেন বাইডেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত না বদলে বাইডেন জানান, “আফগান নেতাদের একজোট হতেই হবে। আফগানিস্তানের সেনার সংখ্যা তালিবানদের তুলনায় অনেক বেশি। তাদের দেশের জন্য লড়াই চালাতেই হবে।” এরপরেই বাইডেনকে কটাক্ষ করে আমেরিকানদের উদ্দেশ্য করে টুইট করেন ট্রাম্প। সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “আমায় মিস করছেন কি?” শুধু তাই নয়, আমেরিকায় করোনা পরিস্থিতি, অর্থনীতি সহ নানা বিষয়েও বাইডেনের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি।
]]>২৬/১১ মুম্বাই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী মাসুদ আজহারের সঙ্গে বৈঠক করে তালিবান নেতা মোল্লা আবদুল গণি বরাদার। আফগানিস্তানে তালিবানরা ক্ষমতা দখলের পর থেকেই অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, এর পিছনে মদত রয়েছে পাকিস্তানের। দেশে শরিয়তি আইন কায়েম হওয়াতে গোটা পাকিস্তানজুড়েই রীতিমতো উতসবের মেজাজে দেখা গিয়েছে কট্টরপন্থীদের।
কে এই আবদুল গণি বরাদার ?
কয়েক দশক পর আফগানিস্তানের ক্ষমতা পেয়েছে তালিবানরা। ১৫ আগস্ট কাবুলে আসরাফ ঘানি সরকারকে হারিয়ে ক্ষমতা কায়েম করেছে। আফগানিস্তানের নাম বদলে নাম রেখেছে ইসলামিক এমিরেটস অফ আফগানিস্তান। এই সমস্ত ঘটনার পেছনে অন্যতম নাম আবদুল গণি বরাদার।
১৯৬৮ সালে দক্ষিণ আফগানিস্তানের এক পুস্তুন (আফগান উপজাতি) পরিবারে জন্ম। মুজাহিদদের হয়ে সোভিয়েত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধেও অংশ নিয়েছেন। তারপর মহম্মদ ওমারের সঙ্গে প্রতিষ্টা করেন তালিবান গোষ্ঠী।
১৯৯৬ সাল নাগাদ দ্রুত উঠতে থাকে তালিবানিরা। দখল করতে থাকে একের পর এক রাজ্য। সে সময়েই উল্কা গতিতে উত্থান হয় বরাদারেরও। পরবর্তী ২০ বছর তালিবানদের হয়ে যুদ্ধবাহিনী পরিচালনা এবং কুটনৈতিক দিক পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ২০১০ সালে পাকিস্তানের করাচি থেকে তাকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি, আইএসআই।
দোহা চুক্তি এবং বরাদার
গ্রেফতারের আট বছর পর দোহাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং আফগানদের মধ্যে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য পাকিস্তানকে বরাদারকে মুক্তি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন জালম্যে খালিজাদ। পাকিস্তান তার অনুরোধ মেনে নিলে দু’বছর পর দোহায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালিবানদের হয়ে চুক্তি করেন তিনি।

মাসুদ আজহারের মুক্তি এবং বরাদার
কয়েক দিন আগে মাসুদ আজহার “মার্কিন সমর্থিত আফগান সরকারকে” হটিয়ে ক্ষমতা দখল করায় তালিবানদের প্রশংসা করেছিলেন। জইশ-ই-মহম্মদ নেতা “মঞ্জিল কি তারফ” (গন্তব্যের দিকে) শিরোনামের একটি নিবন্ধে আফগানিস্তানে “মুজাহিদিনের সাফল্যের” প্রশংসা করেছেন। পাকিস্তানের বাহওয়ালপুর মারকাজে জইশ-ই-মহম্মদ কর্মীদেরও তালিবানদের বিজয়ের আনন্দে অভিনন্দন বিনিময় করতে দেখা গিয়েছে।
১৯৯৯ সালে মাসুদ আজহারের মুক্তির পর থেকেই জইশ-ই-মহম্মদ জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে শুরু করে। কাঠমান্ডু থেকে লখনউ যাওয়ার পথে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট আইসি-৮১৪ হাইজ্যাক করে পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীরা। এরপর ফ্লাইটটি আফগানিস্তানের কান্দাহারে নিয়ে যাওয়া হয়, সেসময় আফগানিস্তান শাসন করছিল তালিবানরা। ফলে চাপে পড়ে মাসুদ আজহারকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল ভারত সরকার। অনেক আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলেন, গোটা প্ল্যানের পেছনে ছিল বরাদারের মস্তিষ্ক।
কাশ্মীর ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ’ বিষয়: তালিবান
আফগানিস্তান দখল করার কয়েকদিন পরেই তালিবানরা কাশ্মীরের ব্যাপারে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দেয়। সরকারীভাবে জানিয়ে দেয়, এটি একটি “দ্বিপক্ষীয়; এবং ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়”।
ইন্ডিয়ান ইনটেলিজেন্সের রিপোর্ট অনুযায়ী তালিবানদের কাবুল দখলের পর থেকেই জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাস এবং দেশের গুরুত্বপূর্ন অঞ্চলে নাশকতার সম্ভাবনা বেড়ে গিয়েছে। মাসুদ আজহারের গলাতেও কাশ্মীর দখলের সুর শোনা গিয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল ‘পাকিস্তান তহেরিক-ই-ইনসাফ’-এর জনপ্রিয় নেত্রী নীলম ইরশাদ শেখও বলেন, ”তালিবান বলেছে ওরা আমাদের সঙ্গে আছে। এবং কাশ্মীরকে স্বাধীন করতে আমাদের সাহায্যও করবে।” আফগানিস্তান্মে তালিবানরা ক্ষমতা দখলের পর থেকেই অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, এর পিছনে মদত রয়েছে পাকিস্তানের। নীলমও জানান যে তালিবানের পাশে পাকিস্তান যেভাবে দাঁড়িয়েছে তাতে আফগানিস্তানের তালিবান নেতৃত্ব খুব খুশি। তার প্রতিদানেই কাশ্মীর দখলে পাকিস্তানকে সাহায্য করবে তারা।
প্রথমে কাশ্মীরকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে নিজেদের সরকারীভাবে সুরক্ষিত করা এবং কাশ্মীর সমস্যাতে পেছন থেকে অনুঘটক হিসেবে কাজ করা, সমস্ত ঘটনার পেছনেই রয়েছে আফগানিস্তানের সম্ভাব্য রাষ্ট্রপতির মস্তিষ্ক।
]]>আরও পড়ুন তালিবানদের এত দ্রুত আফগানিস্তান দখলে আমরা অবাক, মন্তব্য বিপিন রাওয়াতের
আফগানিস্তান সেনা তাদের সামনে শুধু পিছুই হটেনি, রীতিমতো ধরাশায়ীও হয়েছে। গোটা দেশের একমাত্র পঞ্জশির, জালালাবাদ বাদে কোথাও প্রতিরোধ গড়ে ওঠেনি সেভাবে। তাও প্রতিরোধ এসেছে সাধারণ মানুষের কাছ থেকেই। আফগান প্রেসিডেন্ট আসরাফ ঘানি দেশ ছেড়েছেন। ফলে প্রশ্ন উঠেছে এত প্রশিক্ষণ, টাকা খরচের পরেও আফগান সেনা কোনওরকম প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারল না কেন ? অনেক বিশেষজ্ঞ ঈঙ্গিত দিয়েছিলেন ‘সাবোতাজ’ এরও। এবার দেশ দখল হওয়ার দশদিন পর মুখ খুললেন আফগানিস্তান সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল সামি সাদাত। কার্যত শীলমোহর দিলেন ‘সাবোতাজ’ এর অভিযোগেই।

সামি সাদাত জানিয়েছেন, “দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এবং রাষ্ট্রপতিরা তাঁর সেনাবাহিনীকে ব্যর্থ করেছে। শুধু আসরাফ ঘানি নন, সাদাতের নিশানায় রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেনও। দ্য নিউইয়র্ক টাইমসে সাদাত লিখেছেন যে জো বাইডেনের তাড়াহুড়ো করে সেনা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত দেশের অবস্থা আরও খারাপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট চুক্তি না মেনে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বলেও অভিযোগ আফগান সেনাপ্রধানের।
আরও পড়ুন তালিবানদের সাহায্যেই কাশ্মীর দখলের স্বপ্ন দেখছে পাকিস্তান
সাদাত লিখেছেন, “যুদ্ধের শেষ দিনগুলো ছিল অকল্পনীয়। আমরা তালিবানদের বিরুদ্ধে গুলির লড়াইয়ে ব্যস্ত ছিলাম, আমেরিকান যুদ্ধবিমান আমাদের মাথার উপরে চক্কর দিচ্ছিল সরব দর্শকের মতো। আমেরিকার পাইলটরা আমাদের বলেছেন আমাদের দেখে তাদের খারাপ লাগলেও আমাদের সাহায্য করতে তাঁরা অক্ষম, রাষ্ট্রের নির্দেশ অমান্য করতে পারবেন না তাঁরা।”
তিনি আরও জানিয়েছেন, “রাজনীতি এবং রাষ্ট্রপতিরা আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এটা শুধু আফগান-তালিবান যুদ্ধ ছিল না, একটি আন্তর্জাতিক যুদ্ধ ছিল, এতে অনেক দেশের সামরিক কর্মীরা জড়িত ছিল। ফলে একা আমাদের সেনাবাহিনীর পক্ষে তালবানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা অসম্ভব। এটা আমাদের সামরিক পরাজয় নয়, রাজনৈতিক ব্যর্থতা।”
]]>আরও পড়ুন তালিবান উৎখাতে আফগান নাগরিকদের ভরসা ‘রিয়েল হিরো’ আমরুল্লাহ সালেহ
‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’কে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সম্প্রতি আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে তালিবানের অন্যতম শীর্ষনেতা আবদুল ঘানি বরাদরের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন সিআইএ (Central Intelligence Agency) প্রধান উইলিয়াম বার্নস। কাবুল বিমানবন্দর এখনও আমেরিকার নিয়ন্ত্রণে। আর সেখান দিয়েই মার্কিন ও বিদেশি নাগরিকদের উদ্ধার করার কাজ চলছে।
আরও পড়ুন G-7 Summit: তালিবানের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করবে বিশ্বের সুপার পাওয়ার’ দেশ
সমস্ত লোককে উদ্ধার না করা গেলে ৩১ আগস্টের পরও আফগানিস্তানে সেনা রাখতে হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অন্যদিকে আমেরিকা সেনা না সরালে লড়াইয়ের ঈঙ্গিত দিয়েছে তালিবানরাও। এই অবস্থায় সিআইএ প্রধানের সঙ্গে তালিবানের বৈঠক যথেষ্ট ঈঙ্গিতপূর্ন বলে মনে করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন তালিবানদের জয়ে আনন্দে আত্মহারা পাকিস্তান, হুমকির মুখে ভারত-আমেরিকা
যদিও সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির তরফে জানানো হয়েছে, এজেন্সির চিফের বিষয়ে বিশদে কিছু জানানো যায় না। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়েই বৈঠক করেছেন ওই দুই শীর্ষ নেতা। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শেষ ২৪ ঘণ্টায়ও প্রায় ২১৬০০ জনকে কাবুল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
]]>আরও পড়ুন G-7 Summit: তালিবানের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করবে বিশ্বের সুপার পাওয়ার’ দেশ
সংবাদসংস্থা আইএএনএস (Indo-Asian News Service) সূত্রে খবর, তালিবানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ পাকিস্তানের ইসলামীয় সংগঠনগুলি। বহুদিন ধরেই পাকিস্তানের বিভিন্ন সংগঠন মদত দিয়ে আসছে। এবার সরকারীভাবে ইসলামাবাদের প্রভাবশালী সংগঠন জমিয়ত-ই-উলেমা-ই-ইসলাম ও দিফা-ই-পাকিস্তান কাউন্সিল-এর প্রধান মৌলানা হামিদ-উল-হক হাক্কানি তালিবানের কাবুল জয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও তালিবানদের আফগানিস্তান দখল এবং আমেরিকান সৈন্য প্রত্যাহার করার জন্য ‘আল্লাকে ধন্যবাদ জানাতে’ ২৭ আগস্ট একটি অনুষ্ঠান পালন করা হবে পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে।

পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় সেই অনুষ্ঠান এবং তালিবান ও লস্করের জঙ্গিদের জন্য চাঁদা সংগ্রহ করতে দেখা গিয়েছে সেদেশের বিভিন্ন সংগঠনগুলিকে। তালিবানের জন্ম হয় পাকিস্তানেই। পাকিস্তানেই মহিলাদের বিভিন্নভাবে কোনঠাসা করা শুরু হয়েছিল, গুলি করা হয়েছিল মালালা ইউসুফজাইকেও।
আরও পড়ুন শিল্পেই বিপ্লব: তালিবানদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে কাবুলের গ্রাফিতি শিল্পী শামসিয়া হাসানি
এরপর আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত সৈন্য ফিরে যাওয়ার পর মুজাহিদিনরা রীতিমতো ক্ষমতাশালী হয়ে ওঠে। আইএসআইয়ের হাত থেকে তাদের রাশ বেরিয়ে যায়। গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার, আহমেদ শাহ মাসুদের মতো মুজাহিদ কমান্ডাররা ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করে তোলে। মুজাহিদিনদের শায়েস্তা করতেই নয়ের দশকে তালিবান প্রতিষ্ঠা করে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন রাজনীতিতে পা রেখেই পুর-প্রার্থী হচ্ছেন ‘করোনা-হিরো’ সোনু সুদ
জমিয়ত-ই-উলেমা-ই-ইসলাম ও দিফা-ই-পাকিস্তান কাউন্সিল-এর প্রধান মৌলানা হামিদ সাংবাদিক সন্মেলনে জানিয়েছেন, ‘বিশ্বের উচিত আফগানিস্তানে এক্ষুনি তালিবান সরকারকে মান্যতা দেওয়া।’ শুধু তাই নয়, আমেরিকা এবং ভারতের মদতেই এতদিন আফগানিস্তানে অশান্তি লেগে ছিল। ফলে তাঁর কথায় আবার নতুন করে ভারতে জঙ্গিহামলার আশঙ্কা বেড়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
]]>আরও পড়ুন নিজেকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ
২০ বছর ধরে ক্ষমতা থেকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তালিবানরা আবারও আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়েছে। কিন্তু, আফগানিস্তানে ক্ষমতা পরিবর্তনের এই সংকটের মধ্যে দেশের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ একটি বড় ঘোষণা করেছেন৷ সালেহ নিজেকে আফগানিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, আমি দেশের সব নেতাদের সহযোগিতা ও সমর্থনের জন্য যোগাযোগ করছি।
কে এই আমরুল্লাহ সালেহ ?
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠী তাজিকদের নেতা হলেন আমরুল্লাহ সালেহ। গত মঙ্গলবার তিনি টুইট করে হুঁশিয়ারি দেন, ঘানির অনুপস্থিতিতে তিনিই দেশের ‘কেয়ারটেকার প্রেসিডেন্ট’। ঘানির ডেপুটি হলেও শরীরে তাজিক রক্ত বইছে তাঁর। ফলে এত সহজে হাল ছাড়তে রাজি নন সালেহ। জনসমক্ষে জানিয়ে দিয়েছেন, ঘানির মতো তিনি পালিয়ে যাবেন না।
আমেরিকার অনেক আগেই পাকিস্তানে লাদেনের ডেরার হদিশ পেয়েছিলেন তিনি। একবার কিংবা দু’বার নয়, মৃত্যুকে হারিয়ে ফিরে এসেছেন বার বার। তাই বাকিরা যখন গা ঢাকা দিয়েছেন, বন্দুকের নলের সামনে এগিয়ে এসেছেন আমরুল্লাহ সালেহ। নিজেই নিজেকে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছেন। জানিয়ে দিয়েছেন, তালিবানের সামনে মাথা নোয়ানোর প্রশ্নই ওঠে না। শৈশবেই অনাথ হয়ে যাওয়া থেকে দেশের অন্যতম সাহসী গুপ্তচর, পরবর্তী কালে দুঁদে রাজনীতিক, বছর ৪৮-এর আমরুল্লাহর জীবন হার মানায় রোমাঞ্চকর সিনেমাকেও।
Clarity: As per d constitution of Afg, in absence, escape, resignation or death of the President the FVP becomes the caretaker President. I am currently inside my country & am the legitimate care taker President. Am reaching out to all leaders to secure their support & consensus.
— Amrullah Saleh (@AmrullahSaleh2) August 17, 2021
১৯৭২ সালে পঞ্জসিরে তাজিক পরিবারে জন্ম আমরুল্লার। শৈশবেই মা-বাবাকে হারান। তার পর থেকে একমাত্র বোনকে নিয়ে শুরু হয় বেঁচে থাকার লড়াই। সোভিয়েত শাসনের বিরুদ্ধে ১২ বছর বয়সেই মুজাহিদিনে যোগ দেন। তৎকালীন মুজাহিদিন কম্যান্ডার আহমদ শাহ মাসুদের কাছে পাকিস্তানে অস্ত্র শিক্ষাও নেন। অল্প কয়েকদিনেই মাসুদের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন আমরুল্লাহ। আমরুল্লাহকে না পেয়ে ১৯৯৬ সালে তাঁর বোনকে নৃশংস অত্যাচারের পর খুন করে তালিবানরা।
পরবর্তী কালে একটি আন্তর্জাতিক পত্রিকায় আমরুল্লাহ লেখেন, ওই ঘটনার পর তালিবানদের প্রতি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি একেবারেই পাল্টে যায়। প্রাণ চলে গেলেও কখনও তালিবানদের সঙ্গে এক ছাদের নীচে দাঁড়াবেন না তিনি। মুজাহিদিনে থাকাকালীন মাসুদ এবং ভারতের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। তালিবানদের রুখতে ভারত থেকে আফগানিস্তানে অস্ত্রশস্ত্র যেত তাঁর তদারকিতেই। মাসুদের তালিবান বিরোধী নর্দার্ন অ্যালায়্যান্সের সদস্যও ছিলেন আমরুল্লাহ। ২০০১ সালের মাসুদকে হত্যা করে তালিবানরা। তার দু’দিন পরেই আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলা চালায় আল কায়দা।
আরও পড়ুন আত্মসমর্পণের প্রশ্ন উড়িয়ে আমেরিকার কাছে অস্ত্রসাহায্য চাইলেন নিহত তালিবান-বিরোধী নেতার ছেলে
ঠিক তার পরেই আফগানিস্তানে ন্যাটো পাঠায় আমেরিকা। আমরুল্লাহকে দেশের গুপ্তচর সংস্থা ন্যাশনাল ডিরেক্টরেট অব সিকিয়োরিটির প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করেন তৎকালীন আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই। ৯/১১ হামলাকারী আল কায়দা এবং তাদের প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ ছিল তালিবানের বিরুদ্ধে। ফলে সেই সময় তালিবান-বিরোধী নেতা হিসেবে পরিচিত আমরুল্লাহকে লুফে নেয় আমেরিকা। তাঁর তদারকিতেই পাকিস্তান সীমান্তে ঢুকে বহু জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করেন আফগান গুপ্তচররা।
২০০৬ সালে তৎকালীন পাকিস্তান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে আমরুল্লা দাবি করেন, পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদ সংলগ্ন এলাকায় লুকিয়ে রয়েছেন ওসামা বিন লাদেন। ইসলামাবাদ তাঁকে আশ্রয় দেওয়ায় মাসুল গুনতে হচ্ছে আফগানিস্তানকে। আমরুল্লাহর এই দাবিতে তৎকালীন পাক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুসারফ রেগেমেগে বৈঠক বাতিল করে দেন। পাঁচ বছর পর, ২০১১ সালে সেও অ্যাবোটাবাদেই পাক সেনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অদূরেই লাদেনের হদিশ মেলে। তার আগেই অবশ্য, ২০১০ সালে কারজাই সরকার থেকে বেরিয়ে যান আমরুল্লাহ। কারজাই তালিবানের প্রতি নরম মনোভাব দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। কারজাইয়ের সঙ্গ ছেড়ে বসেজ-ই-মিল্লি নামে আলাদা দলও গড়েন তিনি। ২০১৭ সালে নিজের দলের সদস্যদের নিয়ে আশরফ ঘানির সরকারে যোগ দেন। একবছর পর, ২০১৮ সালে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী হন। ২০২০ সালে দেশের উপরাষ্ট্রপতি নিযুক্ত হন।

১৪ আগস্ট তালিবানরা আফগানিস্তান দখল করায় দেশ ছাড়েন প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি। শোনা গিয়েছিল, দেশ ছেড়েছেন আমরুল্লাহও। কিন্তু তিনি টুইট করে জানিয়ে দেন, আফগানিস্তানেই রয়েছেন। তালিবানদের সামনে মাথা নোয়ানোর প্রশ্নই ওঠে না। শুধু তাই নয়, তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি সঞ্চয় করছেন। তাঁর ‘গুরু’ মাসুদের ছেলে আহমদ মাসুদ এবং গনি সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বিসমিল্লা খান মহম্মদির সঙ্গে মিলে পঞ্জসিরে তালিবানের বিরুদ্ধে প্রত্যাঘাতে তিনিই নেতৃত্ব দেন।
এখনও পঞ্জশির দখল করতে পারেনি তালিবানরা। উলটে তাঁর মদতেই আহমেদ মাসুদ তালিবানদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামার জন্য আমেরিকার কাছে অস্ত্রসাহায্য চেয়েছেন বলেও মনে করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন শিল্পেই বিপ্লব: তালিবানদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে কাবুলের গ্রাফিতি শিল্পী শামসিয়া হাসানি
আহমেদ মাসুদ বলেন, “আমি পঞ্জশির উপত্যকা থেকে লিখছি, আমার বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করার জন্য আমি প্রস্তুত। মুজাহিদিন যোদ্ধারা আবারও তালিবানদের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।” পঞ্জশিরে প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষের বসবাস৷ কাবুলের উত্তর-পূর্ব উপত্যকায় মুজাহিদিনরা তাদের ঘাঁটি থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালিবানদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। এলাকাটি এতটাই বিপজ্জনক যে, ১৯৮০ থেকে ২০২১ পর্যন্ত তালিবানদের কব্জায় আসেনি এই উপত্যকাটি৷ শুধু তাই নয়, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং মার্কিন সামরিক বাহিনীও এই এলাকায় শুধুমাত্র বিমান হামলা চালিয়েছে৷ তারা কখনও কোনও পদাদিক বাহিনী পাঠানোর সাহস দেখাতে পারেনি৷
আহমদ শাহ মাসুদকে শের-ই-পঞ্জশির বলা হয়৷ তিনি ছিলেন এই অঞ্চলের সর্বশ্রেষ্ঠ সেনাপতি। এলাকার ভৌগোলিক কাঠামো এমন যে, কোন সেনাবাহিনী এই এলাকায় প্রবেশ করার সাহস দেখাতে পারে না। চারদিকে উঁচু পাহাড় দিয়ে ঘেরা এই অঞ্চলের মাঝখানে সমতল ভূমি রয়েছে। সেখানকার গোলকধাঁধা সবার জন্য সহজ হয় না৷
An anti-Taliban coalition seems to be forming, including Vice President @AmrullahSaleh2 and Ahmad Massoud, son of Ahmad Shah Massoud – they are in Panjsher, about three hours drive from Kabul #Afghanistan pic.twitter.com/EbuF1UXlNY
— Yalda Hakim (@SkyYaldaHakim) August 16, 2021
১৯৯০ -এর দশকে তালিবানদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় আহমেদ শাহ মাসুদ দারুণ প্রতিপত্তি অর্জন করেছিলেন। ভারতও তাদের সাহায্য করে আসছে। বলা হয়ে থাকে যে, একবার যখন তালিবানদের হামলায় আহমদ শাহ মাসুদ মারাত্মকভাবে আহত হন, তখন তাঁকে ভারত সরকার এয়ারলিফ্ট করে তাজিকিস্তানের ফারখোর এয়ারবেসে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করায়। এখানই ভারতের প্রথম বিদেশি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে৷ ভারত বিশেষ করে নর্দান অ্যালায়েন্সকে সাহায্য করার জন্য এই সামরিক ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করেছিল। তাঁর ছেলে মাসুদ জানিয়েছেন যে তিনি দেশের বিশেষ বাহিনীর প্রাক্তন সদস্য এবং আফগান সেনাবাহিনীর সৈন্যদের কমান্ডারদের তালিবানদের সামনে আত্মসমর্পণে বিরক্ত।
ফলে তালিবানদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি, আর তার জন্য দরকার প্রচুর অস্ত্র, গোলা-বারুদ এবং আমেরিকান সাহায্য। কারণ সোশ্যাল মিডিয়ার ছবিতে দেখা গেছে তালেবান যোদ্ধারা M4 এবং M18 অ্যাসল্ট রাইফেল, M24 স্নাইপার নিয়ে আইসনিক মার্কিন হামভিসে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যার মোকাবিলা করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্টের অস্ত্র সাহায্য প্রয়োজন।
]]>