উত্তর প্রদেশ নির্বাচনে অন্যতম ইস্যু হতে পারে কৃষক আন্দোলন। যোগী রাজ্যের চাষিদের অনেকেই সমর্থন জানিয়েছিলেন আন্দোলনে। এবং তার উত্তরে রাজ্য সরকারের মনোভাবও উঠে এসেছিল সংবাদ শিরোনামে। চাষিরাও দেশের নাগরিক। ভোটার। তাই আদিত্যনাথের সরকার তাঁদেরকে যে ক্ষুণ্ণ করেছিল তা বলাই বাহুল্য। লখিমপুরের ঘটনা আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল দেশে। মন্ত্রীর ছেলে নাকি পিষে মেরেছিলেন কৃষকদের! আসন্ন নির্বাচনে প্রভাব পড়বে কি ভোট ব্যাঙ্কে?
অতিমারি-কালও কাল হতে পারে যোগী সরকারের। রাজনৈতিক বোদ্ধাদের কেউ কেউ এমনটাও মনে করছেন। দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় উত্তর প্রদেশের গ্রামের দিকে শোনা গিয়েছিল হাহাকার৷ নদীর জলে ভেসে গিয়েছিল একের পর এক মৃতদেহ৷ স্বজনের প্রাণ রক্ষা করতে অন্য রাজ্যে ছুটে গিয়েছিল পরিবার। এসবই এখনও মনে রয়েছে আম-জনতার। প্রদেশের চিকিৎসা পরিষেবা সম্বন্ধে নেতাবাচক বার্তা পৌঁছেছিল জাতীয় স্তরে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তা কি আগের মতো রয়েছে এখনও? এ প্রশ্ন আগে উঠেছে বহুবার। কিছু বেসরকারি সংস্থা সমীক্ষা চালিয়েছিল। যার ফলাফল বিজেপি সমর্থকদের অনেকেই হয়তো পছন্দ করবেন না। হিন্দুত্ববাদী ইমেজ খাড়া করা সত্বেও বারাণসীতেও চিড় ধরেছে মোদীর জনপ্রিয়তায়। সংবাদমাধ্যমের পর্দাদেও উঠে এসেছে সেই ছবি। অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের দুধ কা দুধ পানি কা পানি করে দিয়ে গিয়েছে অনেক কিছুই।
উত্তর প্রদেশে নিরাপত্তা এখনও চিন্তার বিষয়। যোগী আদিত্যনাথ দুষ্টের দমন করতে নিয়েছিলেন একাধিক পদক্ষেপ৷ অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড থেকে এনকাউন্টার, বিগত কয়েক বছরে হয়েছে অনেক কিছুই। কিন্তু সুফল মিলেছে কতোটা। উন্নাও-এর ঘটনা এখনও ভোলেননি ইউপি নিবাসীরা। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯-এ রাজ্যে অপরাধের সংখ্যা বেশি। ২০১৮ সালে নথিভুক্ত হওয়া ক্রাইমের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৮৫ হাজার ১৫৭। ২০১৯ সালে ৬ লক্ষ ২৮ হাজার ৫৭৮।
রাজ্যের ক্ষমতায় বিজেপি থাকবে কি না তা অনেকাংশে নির্ভর করবে বিরোধীদের ওপর। উত্তর প্রদেশে বিজেপির বিরুদ্ধে সর্বাগ্রে সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেস। সম্প্রতি বিরোধী হিসেবে বিজেপিকে বেশ বেগ দিচ্ছে হাত শিবির। প্রচারে অখিলেশও ছড়িয়েছেন সুগন্ধী। গেরুয়া শিবিরকে পরাস্ত করার ইচ্ছা নিয়ে কাছাকাছি এসেছে সপা ও কং। আর মায়াবতী? মায়াতীর দল নিয়ে একলা চলো নীতি। কিছু ভোট নিশ্চয় পাবেন নেত্রী। তাতে বরং লাভ হতে পারে বিজেপির। মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। ‘ভোট কাটুয়া’ শব্দ দু’টির চল বেড়েছে সম্প্রতি।
উত্তর প্রদেশে শিক্ষার হার এখনও অনেকটা কম। বিশেষ করে নারী শিক্ষার হার ৬০ শতাংশেরও নীচে। উত্তর প্রদেশ সরকারের তথ্য অনুযায়ী রাজ্যে পুরুষ শিক্ষার হার ৭৯.২৪ শতাংশ। নারী শিক্ষার হার ৫৯.২৬ শতাংশ। গড়ে শিক্ষার হার ৬৯.৭২ শতাংশ। যোগী রাজ্যে মহিলাদের বর্তমান অবস্থা এক আলোচ্য বিষয়৷
অযোধ্যা। উত্তর প্রদেশ নির্বাচনে বিজেপির অন্যতম হাতিয়ার৷ রাম মন্দিরের ভিত-পুজো করে মাইলেজ আদায় করে নিয়েছিলেন মোদী। উত্তর প্রদেশ সহ অন্যান্য রাজ্যেও সেদিন উড়েছিল গেরুয়া ধ্বজা। অভাব অনটনের মাঝেও ভারতবাসীদের একাংশ ধর্মপ্রাণ। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা এ কথা জানেন খুব ভালো করে।
অর্থাৎ ইস্যু রয়েছে। হয়েছে আন্দোলন। বিরোধীরা উঠে পড়ে লেগেছেন যোগীকে আসন চ্যুত করতে। কিন্তু এমনই কিছু পয়েন্ট রয়েছে যা হাসি ফোটাতে পারে গেরুয়া শিবিরে। তাই লড়াই হবে সেয়ানে সেয়ানে।
]]>কংগ্রেস নেতা তথা বরেলির প্রাক্তন মেয়র সুপ্রিয়া অ্যারন (supriya aron) সাফাই দিয়ে বলেছেন, বৈষ্ণোদেবী মন্দিরেও তো বিরাট ভিড় হয়েছিল। কিন্তু সেই ভিড় নিয়ে তো কেউ কোনও কথা বলছেন না। সেখানে তো পদপিষ্ট (stamped) হয়ে অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন। কই তার নিন্দা তো কেউ করছেন না। আর কিছু স্কুলছাত্রী ম্যারথনে অংশ নিলে সকলেই হায় হায় করছেন।
‘লড়কি হুঁ, লড় সকতি হুঁ’, এই নামেই বিশেষ ম্যারাথনের আয়োজন করেছিল উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস নেতৃত্ব। মঙ্গলবার সকালে বরেলিতে ম্যারাথনে অংশও নেন অনেকেই। কিন্তু ম্যারাথন শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় পরিস্থিতি। বহু মহিলা মাস্ক ছাড়াই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।
এই ম্যারাথনের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন কংগ্রেস নেত্রী তথা বরেলির প্রাক্তন মেয়র সুপ্রিয়া অ্যারন। তিনি দলীয় কর্মসূচির পক্ষে সাফাই দিয়ে বলেন, ‘বৈষ্ণোদেবীতেও তো হাজার হাজার মানুষের ভিড় হয়েছিল। কিন্তু তা নিয়ে তো কারও আপত্তি ওঠেনি। এখানে স্কুল পড়ুয়াদের একটি অনুষ্ঠান হচ্ছে। তা নিয়ে এত গেল গেল রব তোলার কী আছে। ঘরবন্দি মেয়েদের জন্য একটা মানবিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এতে যদি কারও খারাপ লেগে থাকে, তাহলে আমার আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’ কোভিড বিধির তোয়াক্কা না করে এই কংগ্রেসের এই কর্মসূচির তীব্র সমালোচনা করেছে শাসক দল বিজেপি।
]]>পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে আগেই যে চার্জশিট পেশ করেছিল তাতেই বলা হয়েছিল এটা দুর্ঘটনা নয়। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই কৃষকদের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছেলে আশিসের নাম। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে অনেক বেশি রাজনৈতিক বিতর্ক হয়েছে। সে কথা মাথায় রেখেই বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনার তদন্ত করেছে। সোমবার একটি বড় ট্রাঙ্কে করে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় ৫ হাজার পাতার চার্জশিট আদালতে নিয়ে আসা হয়। আদালতে প্রবেশের পর ট্রাঙ্কের তালাখুলে চার্জশিট বের করা হয়।
এই মামলার অন্যতম তদন্তকারী অফিসার এসপি যাদব জানিয়েছেন, আদালত যদি এই চার্জশিট গ্রহণ করে তবে খুব শীঘ্রই শুনানি শুরু হবে। বিশেষ তদন্তকারী দলের এই চার্জশিটে অবশ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয়ের নাম নেই। তবে নাম আছে মন্ত্রীর এক আত্মীয় বীরেন্দ্র শুক্লার। ইতিমধ্যেই এই মামলার তদন্তে পুলিশের ঢিলেমির জন্য একাধিকবার আদালত ভর্ৎসনা করেছে। সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার পর এই মামলার তদন্ত কিছুটা গতি পায়। গত মাসেই সিট তার প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে জানিয়েছিল, লখিমপুরে দুর্ঘটনাজনিত কারণে কোনও কৃষকের মৃত্যু হয়নি। রীতিমতো পরিকল্পনা করেই কৃষকদের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এখন দেখার চার্জশিট পেশ করার পর কতদিন পরে এই মামলার শুনানি শুরু হয়।
রাজ্যের বিজেপি সরকারকে (bjp goverment) কড়া ভাষায় আক্রমণ করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ (aravind kejriwal) বললেন, উত্তরপ্রদেশে ৫ বছর ক্ষমতায় থেকে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (yogi adityanath) এখানে শুধু শ্মশান বানিয়েছেন। শ্মশান যাতে নিয়মিত প্রচুর মানুষ যায় তার ব্যবস্থাও করেছেন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে উত্তরপ্রদেশের বিপুলসংখ্যক মানুষের মৃত্যুর জন্য সরাসরি যোগীকেই দায়ী করেন কেজরিওয়াল।
লখনউয়ে এক জনসভায় কেজরি বলেন, গোটা বিশ্বের মধ্যেই উত্তরপ্রদেশ সরকারই করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে সবচেয়ে ব্যর্থ হয়েছে। যোগী সরকারের ব্যর্থতার কারণেই রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে হাজার হাজার মানুষের। এই সরকার পাঁচ বছরে রাজ্যের উন্নয়নের কোনও কাজই করতে পারেনি। এই সরকার রাজ্যকে শ্মশান বানিয়ে ছেড়েছে। শ্মশানে কিভাবে আরও বেশি লোক পাঠানো যায় তার ব্যবস্থা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী নিজে। উত্তরপ্রদেশের ৪০৩ টি বিধানসভা আসনের প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে আপ।
দলের প্রচারে এসে বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে কেজরিওয়াল বলেন, যোগী সরকার শুধু বিজ্ঞাপনের পিছনে পয়সা খরচা করে। আসলে কাজের কাজ কিছুই করে না। যোগী সরকার আমেরিকার পত্রিকাতেও পাতাজুড়ে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। এভাবেই সরকারি টাকা নয়ছয় করছে। দিল্লিতে যোগী সরকার ৮৫০টি হোর্ডিং দিয়েছে। অথচ রাজধানীতে দিল্লি সরকারের হোর্ডিংয়ের সংখ্যা মাত্র ১০৮। এ থেকেই বোঝা যায় যোগী সরকার কীভাবে অর্থ অপব্যয় করছে।
একইসঙ্গে কেজরি প্রতিশ্রুতি দেন, মানুষ যদি আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন তবে আমরা এরাজ্যে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল করব। কীভাবে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের উন্নতি করা যায় আমরা তা করে দেখাবো। যেমনটা আমরা দিল্লিতে করেছি। একইসঙ্গে পূর্ববর্তী সমাজবাদী পার্টি সরকারকে আক্রমণ করে কেজরি বলেন, সপা সরকার উত্তরপ্রদেশে শুধুই কবরস্থান তৈরি করেছিল। উন্নয়নের কোনও কাজই করতে পারেনি।
]]>ওমিক্রণ রুখতে ইতিমধ্যে বেশ কিছু নিয়ম-নীতির পথে হেঁটেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ফের বন্ধ করে দেয়া হয়েছে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়। কাটছাঁট করা হয়েছে লোকাল ট্রেনে যাত্রী সংখ্যার উপরে। স্বভাবতই সাধারণ মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে এক আতঙ্কের বাতাবরণ। কিন্তু রাজনৈতিক নেতাদের একাংশ করোনার এই নয়া উপ-প্রজাতি সম্পর্কে দুশ্চিন্তা করতে নারাজ।
আদিত্যনাথ বলেছেন, “এই ওমিক্রন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ঠিকই। তবে খুব হালকা রোগের সৃষ্টি করে। ভাইরাসটি দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়েছে। এটি ভাইরাল জ্বরের মতো, তবে সতর্কতা প্রয়োজন। আতঙ্কিত হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।”
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ে উত্তর প্রদেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বিস্তর। নদীর জলে ভাসমান মৃতদেহের ছবি এখনো জ্বলজ্বল করছে অনেকের চোখের সামনে। যোগী রাজ্যের চিকিৎসা পরিকাঠামো, অক্সিজেনের যোগান ইত্যাদি সম্পর্কে উঠেছিল প্রশ্ন। প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, উত্তর প্রদেশে মোট করোনা কেসের সংখ্যা ১৭.১ লক্ষ। মৃত্যু হয়েছে ২২ হাজার ৯১৫ জনের।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন অতিমারির তৃতীয় ঢেউয়ের সামনে দাঁড়িয়ে দেশ। সভাপতি রাজনৈতিক মহলের একাংশের চোখ এখন উত্তর প্রদেশের দিকে। কোভিদ পরিস্থিতির ছাড়াও আরো একটি কারণে সে রাজ্যের দিকে চোখ রয়েছে অনেকের। উত্তরপ্রদেশের দুয়ারে নির্বাচন। নিঃসন্দেহে ভারতীয় জনতা পার্টি রাজ্যে নিজেদের ইমেজ সুশ্রী রাখতে চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখতে চাইবে না।
]]>পুলিশ জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশে প্রতিদিন রাত ১১টা থেকে ভোট ৫টা পর্যন্ত নাইট কারফিউ জারি থাকছে। তাই নিয়ম মেনেই রাতে হোটেল বন্ধ করে দিয়েছিলেন কপিল (kapil)। প্রায় মাঝ রাতে দুই যুবক এসে ওই হোটেলে পরোটা খেতে চায়। কিন্তু হোটেল মালিক কপিল জানিয়ে দেন, এত রাতে পরোটা করে দেওয়া সম্ভব নয়।
বিষয়টি নিয়ে ওই দুই যুবকের সঙ্গে হোটেল মালিকের তুমুল তর্কাতর্কি চলে। শেষ পর্যন্ত হাল ছেড়ে দিয়ে ওই দুই যুবক চলে যায়। কিন্তু রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ ওই দুই যুবক ফিরে আসে। ফের তারা ডেকে তোলে কপিলকে। এরপর এক যুবক আচমকাই কপিলকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গেই হোটেল মালিককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। তবে পুলিশ অভিযুক্ত দুই যুবক আকাশ ও যোগেন্দ্রকে গ্রেফতার করেছে। কেন তারা এভাবে কপিলকে খুন করল তা জানতে চলছে জেরা।
জেরায় ওই দুই যুবক জানিয়েছে, তারা কপিলের হোটেলে নিয়মিত খেতে আসত। কিন্তু দীর্ঘ দিনের পরিচয় সত্ত্বেও হোটেল মালিক তাদের খাবার না দেওয়ায় তারা প্রবল ক্ষুব্ধ হয়েছিল। সে কারণেই তারা কপিলকে খুন করেছে।
]]>স্বাস্থ্য পরিষেবার দিক থেকে সেরা রাজ্য হিসেবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করেছে যথাক্রমে তামিলনাড়ু ও তেলেঙ্গানা (tamilnadu and telengana)। অর্থাৎ স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে প্রথম স্থান দখলকারী তিনটি রাজ্যের কোথায় বিজেপির হাতে শাসন ক্ষমতা নেই। ২০১৯-২০ বর্ষের উপর ভিত্তি করে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, রিপোর্ট তৈরির এই সময়টিতে করোনা পর্ব চলেছে। বিশ্বব্যাংকের প্রযুক্তিগত সহায়তায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক এবং নীতি আয়োগ যৌথভাবে এই রিপোর্ট তৈরি করেছে। ছোট রাজ্যগুলির মধ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবায় সবার সেরা মিজোরাম। কেন্দ্রশাসিত রাজ্যগুলির মধ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে দিল্লির ঠাঁই হয়েছে যথেষ্ট নিচের দিকে। একই অবস্থা জম্মু-কাশ্মীরের।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে নীতি আয়োগের সূচক অনুযায়ী স্বাস্থ্য পরিষেবায় সবার শেষে স্থান পাওয়াটা নিঃসন্দেহে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে সমস্যায় ফেলবে। কারণ বিরোধী শিবির এই রিপোর্টকে হাতিয়ার করেই যোগীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাবে।
বিরোধীরা একাধিকবার অভিযোগ করেছে, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আইনশৃঙ্খলা সব ক্ষেত্রেই ব্যর্থ যোগী সরকার। যদিও মুখ্যমন্ত্রী বিরোধীদের সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের বারানসী হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী কেন্দ্র। যোগী নিজেও যথেষ্টই মোদী ঘনিষ্ঠ। তার পরেও উত্তরপ্রদেশের এই খারাপ ফলাফল অবশ্যই উদ্বেগের। কারণ এই রিপোর্টটি তৈরি করেছে কেন্দ্রের অধীনস্থ নীতি আয়োগ। কোনওভাবেই যোগী এটাকে বিরোধীদের ষড়যন্ত্র বলে চালাতে পারবেন না।
]]>সংবাদপত্রে প্রথম পাতার বিজ্ঞাপন দিয়ে সরকার জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী চান মহিলাদের ক্ষমতায়ন হোক। তিনি সেলফ হেলপ গ্রুপগুলির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১ হাজার কোটি টাকা ট্রান্সফার করবেন। এর ফলে ১৬ লক্ষ মহিলা উপকৃত হবেন। এদিনের অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা উত্তরপ্রদেশ সরকার। এর আগেও মোদী সরকারি অনুষ্ঠান থেকে বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ করেছিলেন। একটি অনুষ্ঠানে মোদী সমাজবাদী সুপ্রিমো অখিলেশ সিং যাদবকে ‘সন্ত্রাসবাদীদের সমর্থক’ বলে দাবি করেছিলেন।
অখিলেশও পালটা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, বিজেপি কোনও সরকারি পরিকাঠামো ব্যবহার না করে, নিজের শক্তিতে জনসভা করে দেখাক। এদিন প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়, দীনদয়াল উপাধ্যায় অন্ত্যোদয় যোজনা-ন্যাশনাল রুরাল লাইভলিহুড মিশনের আওতায় ৮০ হাজার সেলফ হেলপ গ্রুপ কমিউনিটি ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড থেকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা করে পাবে। এছাড়া ৬০ হাজার সেলফ হেলপ গ্রুপের প্রতিটি ১৫ হাজার টাকা পাবে।
উত্তরপ্রদেশে যাঁরা ডোরস্টেপ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদেরও ওই জনসভা থেকে ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করবেন মোদী। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী কন্যা সুমঙ্গল প্রকল্পে ১ লক্ষ মানুষ ২০ কোটি টাকা পাবেন।
এছাড়াও এদিন প্রধানমন্ত্রী সাপ্লিমেন্টারি নিউট্রিশন ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটের শিলান্যাস করবেন। এরকম মোট ২০২ টি ইউনিট গঠন করা হবে। তাতে ১ কোটি টাকা খরচ হবে।
]]>রাতভর একের পর এক সপা নেতা, বিধায়ক, প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়িতে হানা দিয়েছেন আয়কর দফতরের কর্তারা। তালিকা মিলিয়ে চলেছে অভিযান। লখনউ, মৈনপুরী, আগ্রা, কানপুর, ইটাওয়া, সহ রাজ্যের ১২টি জায়গায় চলেছে আয়কর অভিযান।
চাঞ্চল্যকর ঘটনা, মউ জেলায় সমাজবাদী পার্টির জাতীয় সম্পাদক রাজীব রায়ের ঘরে অভিযান চালায় আয়কর বিভাগ। তার বিরুদ্ধে কেবল তার কানেকশন বরাত দেওয়ার দুর্নীতির অভিযোগ আছে। রাজ্যের অন্যতম নেতা জীতেন্দ্র যাদবের বাড়িতেও অভিযান চালায় আয়কর অফিসাররা।
সূত্রের খবর, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ সিং যাদবকেও নিশানা করা হয়েছে। তবে সমাজবাদী পার্টির নেতাদের অভিযোগ, রাজ্যের বিজেপি জোট সরকার ভোটের জমি হারিয়ে ভুয়ো তদন্তের ধুয়ো তুলছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ রাজ্যে কুশাসন কায়েম করেছেন।
শুক্রবার রাতে আয়কর অভিযান শুরু হতেই বিভিন্ন জেলায় সমাজবাদী পার্টির সমর্থকরা হাঙ্গামা শুরু করেন। কয়েকটি এলাকায় বিজেপি সমর্থকরা আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। অভিযান সুষ্ঠুভাবে চালাতে সশস্ত্র পুলিশের সাহায্য নেন আয়কর দফতরের অফিসাররা।
]]>ঘটনার জেরে সিট আদালতের কাছে লখিমপুর কাণ্ডে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার ধারা যুক্ত করার আবেদন জানায়। সেই আবেদনে সাড়া দিল আদালত। বুধবার আদালত অভিযুক্ত ১৩ জনের বিরুদ্ধেই খুনের চেষ্টার ধারা যুক্ত করার অনুমতি দিয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলে আশিস মিশ্রও (Ashish Mishra)। আদালতের এই নির্দেশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবির নিশ্চিতভাবেই চাপে পড়ল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
লখিমপুরের ঘটনায় বিরোধীরা প্রথম থেকেই অভিযোগ করে আসছে, বিজেপি নেতা ও মন্ত্রীর ছেলে এই ঘটনায় সরাসরি যুক্ত। তারা পরিকল্পনা করেই এই কাজ করেছে। বিরোধীদের সেই অভিযোগকে মান্যতা দিয়েছে সিটের রিপোর্ট।

প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় ধৃতদের বিরুদ্ধে আইপিসির ২৭৯, ৩৩৮ এবং ৩০৪এ (অবহেলায় মৃত্যু ঘটা) ধারা ছিল। কিন্তু সিটের রিপোর্টে ঘটনাটি সুপরিকল্পিত, ইচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টা বলে উল্লেখ করা হয়। সিট তার রিপোর্টে স্পষ্ট জানায়, এটি কোনও দুর্ঘটনা বা অসতর্কতামূলক ঘটনা বলে মনে করার কোনও কারণ নেই। সাক্ষ্য প্রমাণ ও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বিচার করে বলা যায় রীতিমতো পরিকল্পনা করেই কৃষকদের পিষে মারা হয়েছিল। তাই অভিযুক্তদের প্রতি কোনওভাবেই নরম মনোভাব দেখান উচিত নয়। এর পরই সিটের তদন্তকারীরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭৯-ধারার পরিবর্তে ৩০৭ (খুনের চেষ্টা), ৩২৬ (স্বেচ্ছায় বিপজ্জনক অস্ত্রের দ্বারা গুরুতর আঘাত করা) ধারার মত বিভিন্ন ধারা যুক্ত করার জন্য আদালতের কাছে আর্জি জানান। পাশাপাশি এই ঘটনায় ৩০৪-এ ধারা বাতিল করার কথা জানায় সিট। ৩০৪ ধারার পরিবর্তে ৩০৭ ধারা-সহ বাকি ধারা যোগ করার অনুমতি চায় সিট। সিটের এই আবেদনে ইতিবাচক সাড়া দেয় আদালত। এদিন আদালত নির্দেশ দেয়, লখিমপুর কাণ্ডে ধৃতদের বিরুদ্ধে অবহেলার কারণে মৃত্যু’র পরিবর্তে ৩০৭ ধারা তথা ‘খুনের চেষ্টা’র ধারা যোগ করার।
<
p style=”text-align: justify;”>উল্লেখ্য, ৩ অক্টোবর লখিমপুর খেরিতে মন্ত্রী-পুত্র আশিসের গাড়ি পিষে দেয় বিক্ষোভরত চার কৃষকে। আহত হন অনেকে। যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয়ের দাবি, ঘটনার সময় তাঁর ছেলে আশিস গাড়িতে ছিলেন না। ঘটনার সময় তাঁর ছেলে অন্য একটি অনুষ্ঠানে ব্যস্ত ছিলেন। তবে মন্ত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে শুধু পিষে খুন করার অভিযোগই নয়, গুলি চালানোরও অভিযোগও উঠেছে। ৯ অক্টোবর আশিসকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। উদ্ধার হয় তাঁর বন্দুক। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে ধৃতদের সকলের বিরুদ্ধেই খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনতে চলেছে সিট।
]]>কাশীর সদগুরু সদাফলদেব যোগ সংস্থার বার্ষিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, কাশীতে যে সব বিদেশি পর্যটকরা আসেন তাদের কাছে এখন বদল ধরা পড়বে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের লক্ষ্য কন্যাদের শিক্ষাদান। দেখতে হবে আর্থিক দিক থেকে কোনও ‘বেটি’ যেন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়। তার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ‘বেটি পড়াও’ কর্মসূচির আরও বিস্তার ঘটানোর আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, যখন আমি বারাণসীর উন্নয়নের কথা বলি তখন দেশের উন্নয়নের রোড ম্যাপ তৈরি হয়ে যায়। এখানে যারা আসবেন তারা চলে যাবার সময় অনেক কিছু সংগ্রহ করে নিয়ে যাবেন।
প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে রাজনৈতিক হাওয়া উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখেই প্রধানমন্ত্রী বারাণসীতে জমকালো উন্নয়ন বার্তা দিচ্ছেন। রাজ্যের বেটিরা বিজেপি সরকারের আমলে চরম নিরাপত্তাহীনতায়।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ সিং যাদব পৌরাণিক প্রবাদের সাহায্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রাক নির্বাচনী কাশী সফরকে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেছেন যখম অন্তিম সময় আসে তখন মানুষ কাশী যায়।
]]>আজও বারাণসীতে (Varanasi) তাঁর একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। সকালে বিশ্বনাথ মন্দিরে (Kashi Viswanath Temple) যাবেন তিনি। তারপর বিজেপি (BJP) শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক রয়েছে। ওই বৈঠকে ১২টি বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা তাঁদের কাজের খতিয়ান পেশ করবেন। তা পর্যালোচনা করে দেখবেন প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi)।

সোমবার গভীর রাতে বারাণসী রেল স্টেশন (Baranasi Rail Station) ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। স্টেশনের বিভিন্ন আধুনিক ব্যবস্থা সম্পর্কে খোঁজ নেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। প্রধানমন্ত্রী জানান, রেল যোগাযোগের পাশাপাশি আধুনিক, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন স্টেশন গড়ে তোলাই তাঁর সরকারের লক্ষ্য। একটি যোগ সংস্থার অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন তিনি। বিকেলে তাঁর দিল্লি ফেরার কথা।
প্রসঙ্গত, গতকাল ক্রুজে এসে প্রথমে গঙ্গাস্নান, পরে বিশ্বনাথ মন্দিরে পুজো দেন প্রধানমন্ত্রী। শিব দীপাবলিতে গঙ্গাবক্ষ থেকে সন্ধ্যারতিও দেখেন। এদিন বারাণসীতে নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ করা কাশী বিশ্বনাথ মন্দির করিডরের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পোশাক বদলে গেরুয়া পরে তাঁকে গঙ্গায় নামতে দেখা যায়। তারপর গঙ্গার জল নিয়ে সোজা চলে যান কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে। শেষে ষোড়শ উপচারে পুজোয় অংশ নেন, সঙ্গে করেন আরতি।
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘এখানে সবাই আসতে চাইতেন, কিন্তু রাস্তা সংকীর্ণ ছিল। এখন সোজা গঙ্গার ঘাট থেকে মন্দিরে আসা অনেক সহজ হবে। ৩ হাজার বর্গফুটের করিডর এখন ৫ লক্ষ বর্গফুটের করা হয়েছে। এখন মন্দির পরিসরে প্রায় ৭০ হাজার পুণ্যার্থী আসতে পারবেন। কাশীর সঙ্গে জুড়ে পণ্ডিত রবিশঙ্কর থেকে বিসমিল্লা খান। বাংলার রানি ভবানী কাশীর মন্দিরে সর্বস্ব দান করেছিলেন। দক্ষিণ ভারতেও কাশীর প্রভাব অবিস্মরণীয়। কাশীর বার্তা দেশের দিশা বদলে দেয়।’
<
p style=”text-align: justify;”>এদিন মন্দির চত্বর-সহ গোটা কাশীকেই সাজিয়ে তোলা হয়েছিল। প্রায় ১১ লক্ষ প্রদীপ দিয়ে সাজানো হয় দশাশ্বমেধ-সহ একাধিক ঘাট। সঙ্গে রঙ্গোলির কারুকাজ। ২০১৯ সালে এই প্রকল্পের শিল্যন্যাস করেছিলেন মোদী। তারপর প্রায় ৩৩৯ কোটি টাকা খরচে তৈরি হয়েছে এই করিডোর।
]]>তৃণমূল সাংসদ এদিন কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন (social justice and empowerment) মন্ত্রীর কাছে জানতে চান, দেশে কি শিশু ভিক্ষুকের সংখ্যা বাড়ছে? শিশু ভিক্ষুকের সংখ্যা কেন বাড়ছে? এই মুহূর্তে গোটা দেশে শিশু ভিক্ষুকের সংখ্যা কত? ভিক্ষা না করে এই শিশুরা যাতে সমাজের মূল স্রোতে ফিরেতে পারে তার জন্য কেন্দ্র কি কোনও ব্যবস্থা নিয়েছে?
তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের ওই প্রশ্নের উত্তরে সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রী বীরেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরে দেশে শিশু ভিক্ষুকের সংখ্যা বাড়েনি বরং অনেকটাই কমেছে। ২০০১ সালে দেশে শিশু ভিক্ষুকের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১২ হাজার ৭৯৪ জন। ২০১১ সালে সেটা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার ২৯৬ জন। শিশুরা যাতে ভিক্ষা না করে তার জন্য কেন্দ্র ‘স্মাইল’ নামে একটি প্রকল্প চালু করেছে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভিক্ষাজীবি শিশুদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা হয়েছে। দরিদ্র পরিবারের এই সমস্ত শিশুদের সুরক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক ‘চাইল্ড প্রোটেকশন সার্ভিসেস’ নামে একটি প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রকল্পে বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে ওই সমস্ত ভিক্ষাজীবি শিশুদের দেখভাল করার জন্য অর্থ সাহায্য করা হয়।
একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এদিন বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিতে ১৪ বছরের কম বয়সি কতজন ভিক্ষুক শিশু আছে তার একটি তালিকাও দিয়েছেন। মন্ত্রীর তালিকায় দেখা যাচ্ছে সবচেয়ে বেশি শিশু ভিক্ষুক আছে উত্তরপ্রদেশে। এই রাজ্যে শিশু ভিক্ষুকের সংখ্যা ১০১৬৭। পাশাপাশি আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, দাদরা ও নগর হাভেলিতে একটিও শিশু ভিক্ষুক নেই। লাক্ষাদ্বীপ এবং সিকিম এই দুই রাজ্যে শিশু ভিক্ষুকের সংখ্যা মাত্র একজন করে। পশ্চিমবঙ্গে শিশু ভিক্ষুকের সংখ্যা ৩২১৬। অন্যদিকে চণ্ডীগড়, মিজোরাম, দমন ও দিউ এবং পুদুচেরিতে শিশু ভিক্ষুকের সংখ্যা যথাক্রমে ১১, ৬, ৮ ও ৯ জন।
]]>পুলিশ জানিয়েছে, প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার প্রশিক্ষণের জন্য ১৭ নভেম্বর রাতে ছাত্রীদের ডেকে পাঠানো হয়। ১৭ জন ছাত্রী নির্দিষ্ট সময়মতোই স্কুলে আসে। এরপর তাদের খেতে দেওয়া হয়। ওই খাবারের মধ্যে মাদক মেশানো ছিল। মাদক মেশান খাবার খেয়ে তারা অচেতন হয়ে পড়লে তাদের উপর যৌন নিগ্রহ চালানো হয়। এই যৌন নিগ্রহের ঘটনায় দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। যে স্কুল ওই ছাত্রীদের ডেকেছিল সেখানকার ম্যানেজার এবং যে স্কুলে নিয়ে গিয়ে তাদের উপর যৌন নিগ্রহ চালানো হয়েছিল সেখানকার ম্যানেজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ছাত্রীদের অভিভাবকরা তাঁদের দায়ের করা এফআইআর-এ জানিয়েছেন, গার্লস স্কুলের ম্যানেজার তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানিয়েছিলেন, প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার জন্য মেয়েদের অন্য স্কুলে নিয়ে যেতে হবে। ছাত্রীদের প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হলেও ছাত্রদেরকে সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ করা হয়নি।
ওই ১৭ জন ছাত্রী ১৮ নভেম্বর সকালে বাড়ি ফিরে এসে মা-বাবাকে বিষয়টি জানায়। ওই ছাত্রীরা সকলেই খুব গরিব পরিবারের মেয়ে। সে কারণেই স্কুলে তাদের বিনা পয়সায় প্রশিক্ষণ দেওয়ার নাম করে ডেকে পাঠানো হয়েছিল।
নিগৃহীত দুই ছাত্রীর বাবা এলাকার বিজেপি বিধায়ক প্রমোদ উতওয়ালের কাছে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানান। ঘটনার জেরে স্থানীয় থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অপসারিত অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু হয়েছে। যদিও জেলা প্রশাসনের কর্তারা ওই ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন।
বিধায়ক প্রমোদ জানিয়েছেন, তিনি আশা করছেন শিগগিরই এই ঘটনায় অভিযুক্তরা ধরা পড়বে। তিনি নিজে জেলা পুলিশ সুপারকে এই বিষয়টি নিয়ে অবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছেন। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ছাত্রীরা যৌন নিগ্রহের যে অভিযোগ করেছে তা ঠিক । বিধায়ক আরও জানান, অভিযুক্ত দুই শিক্ষক ছাত্রীদের পরিবারকে রীতিমতো হুমকি দিয়েছিল। এমনকী, স্থানীয় থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও রকম ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ দেখাননি। আমরা চাই অভিযুক্ত শিক্ষকরা যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায়।
ছাত্রীদের উপর যৌন নিগ্রহের তদন্ত করছেন মুজফফরনগরের পুলিশ সুপার অর্পিত বিজয়বর্গীয় এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে কে বিষ্ণোই। সংশ্লিষ্ট থানার নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার বলেছেন, ছাত্রীদের উপর যারা যৌন নিগ্রহ করেছে তারা কেউই পার পাবে না। অপরাধীরা গর্তে লুকিয়ে থাকলেও আমরা সেখান থেকে তাদের বের করে আনব। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।
]]>হবু শিক্ষকরা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে এগোনোর চেষ্টা করতেই পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ (lathi charge) করে। পুলিশের লাঠির ঘায়ে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। যে কারণে কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে সহকারি শিক্ষক নিয়োগের একটি পরীক্ষা নিয়েছিল যোগী সরকার। ৬৯ হাজার শূন্যপদ রয়েছে। কিন্তু ওই নিয়োগের পরীক্ষায় ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন হবু শিক্ষকরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে যথাযথ নিয়ম মেনে উপযুক্ত প্রার্থীদের নিয়োগ করতে হবে। ৬৯ হাজার শূন্যপদের সঙ্গে রাজ্যে নতুন করে তৈরি হওয়া আরও ২২ হাজার শূন্য পদে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।
69000 शिक्षक भर्ती में पिछड़ों-दलितों का आरक्षण मारने वाले CM अब लाठियां बरसा रहे हैं।
लखनऊ में शांतिपूर्ण तरीके से कैंडल मार्च निकाल रहे 69000 शिक्षक भर्ती के अभ्यार्थियों पर पुलिस द्वारा बर्बर लाठीचार्ज दुखद एवं शर्मनाक!
युवा बेरोजगारों इंकलाब होगा, बाइस में बदलाव होगा। pic.twitter.com/t6H56O8ydX
— Samajwadi Party (@samajwadiparty) December 4, 2021
যথারীতি মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথের পুলিশের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। পাশাপাশি সমালোচনা করেছে রাজ্যের অন্যতম দুই বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টি। শিক্ষকদের মিছিলে লাঠি চালানোর ঘটনার সমালোচনা করে রাহুল রবিবার ট্যুইট করেন, চাকরির দাবিতে হবু শিক্ষকরা পথে নেমে ছিলেন। যোগী সরকার চাকরি দেওয়ার পরিবর্তে তাঁদের লাঠিপেটা করেছে। যাঁরা দেশ গড়ার কারিগর তাঁদের উপরে এভাবে লাঠি চালানোর ঘটনা অত্যন্ত লজ্জাজনক। মুখ্যমন্ত্রী যোগী দলিত ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন। হবু শিক্ষকরা তো সামান্য একটা চাকরি চেয়েছিলেন। কিন্তু শিক্ষকদের সেই দাবিতে কর্ণপাত না করে যোগী আদিত্যনাথ পুলিশ দিয়ে তাঁদের পিটিয়েছেন। এই অমানবিক ঘটনার নিন্দা করার মত কোনও ভাষা নেই।
সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবও এই ঘটনার নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, যোগী সরকার মানুষকে একমুঠো ভাত দিতে পারে না, কিন্তু অকারণে লাঠিপেটা করতে পারে। হবু শিক্ষকরা ন্যায্য দাবিতেই পথে নেমেছেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান করা উচিত ছিল সরকারের। কিন্তু সেটা না করে মুখ্যমন্ত্রী যোগী ব্রিটিশ শাসকদের মতো আচরণ করেছেন।
উল্লেখ্য, শূন্য পদে নিয়োগের দাবি জানিয়ে প্রায় ছয় মাস ধরে আন্দোলন করে আসছেন হবু শিক্ষকরা। তাঁদের অভিযোগ, তাঁরা শিক্ষামন্ত্রীকে বিষয়টি জানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু গত ৫ মাসে শিক্ষামন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে দেখা করার সময় পেলেন না। সে কারণেই তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর বসসভবনের উদ্দেশ্যে মোমবাতি মিছিল করে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। তাঁদের এই মিছিল ছিল সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। কিন্তু পুলিশ তাঁদের অকারণে লাঠিপেটা করেছে।
]]>শুক্রবার দিল্লি দূষণ (pollution in delhi ) নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (supreme court) শুনানি চলছিল। দিল্লির দূষণের জন্য কলকারখানা ও গাড়ি থেকে নির্গত ধোঁয়ার পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, পাঞ্জাবের মত রাজ্যে ফসলের গোড়া পোড়ানো অন্যতম কারণ হিসেবে উঠে এসেছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামান্নার বেঞ্চে দূষণ সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলছে।
সেই শুনানিতেই শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের আইনজীবী রঞ্জিত কুমার দাবি করেন, দিল্লির দূষণের জন্য উত্তরপ্রদেশকে কখনওই দায়ী করা যায় না। কারণ উত্তরপ্রদেশের প্রতিটি শিল্প-কলকারখানা পরিবেশ সংক্রান্ত বিধি মেনেই কাজ করে। তাই সেখান থেকে কোনও রকমভাবে দূষিত ধোঁয়া নির্গত হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। এরপরই রঞ্জিত কুমার আদালতকে স্তম্ভিত করে দিয়ে দাবি করেন, পাকিস্তান থেকে দূষিত বায়ু প্রবেশ করছে দিল্লিতে। সে কারণেই দিল্লির বাতাসে দূষণ বাড়ছে।
উত্তরপ্রদেশ সরকারের আইনজীবীর এই বক্তব্যে বিচারপতিরাও কিছুক্ষনের জন্যে চুপ করে যান। বিচারপতিরাও বুঝতে পারেননি, কীভাবে একজন আইনজীবী এই মন্তব্য করতে পারেন। এরপরই প্রধান বিচারপতি রামান্না উত্তরপ্রদেশের আইনজীবীকে ব্যঙ্গ করে বলেন, তাহলে আপনারা কি চান আমরা পাকিস্তানের শিল্প-কারখানাও নিষিদ্ধ করি। উত্তর প্রদেশ এবং দিল্লির মধ্যে কয়েক কিলোমিটারের ব্যবধান। তুলনায় পাকিস্তান ও দিল্লির মধ্যে ব্যবধানটা অনেক অনেক বেশি। তাহলে উত্তরপ্রদেশ থেকে যদি দূষিত বাতাস দিল্লিতে প্রবেশ করতে না পারে পাকিস্তান থেকে কিভাবে দূষিত বাতাস দিল্লিতে ঢুকছে?
রামান্না আরও বলেন, আসলে আপনারা কোনও চিন্তাভাবনা করে কথা বলেন না। একটি কথা বলার পর তার কি প্রতিক্রিয়া হতে পারে সেটা ভেবে দেখেন না। আপনার মনে যা এল সেটাই বলে দিলেন। এর চেয়ে হাস্যকর আর কিছু হতে পারে না।
উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তকমা পেয়েছে দিল্লি। সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে সুপ্রিম কোর্ট সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিতে পারে মাত্র, তা বাস্তবায়িত করার কাজ রাজ্য সরকারের। সেই কাজে ইতিমধ্যেই দিল্লি সরকারের ভূমিকায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের মত রাজ্যগুলিকে দূষণ নিয়ন্ত্রণে একযোগে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে।
]]>শুধু যোগ্য সরকার গঠনের প্রতিশ্রুতিই নয়, একই সঙ্গে অখিলেশ কৃষক আন্দোলন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। অখিলেশ এদিন বলেন, উত্তরপ্রদেশের মানুষ যদি তাঁর দলকে ক্ষমতায় নিয়ে আসে তবে গত একবছরে আন্দোলন করতে গিয়ে যে সমস্ত কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁদের পরিবারকে সব ধরনের সাহায্য করবে সমাজবাদী পার্টির সরকার।
অখিলেশ এদিন প্রশ্ন তোলেন, গত এক বছরে তিন কালা কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে ৭০০-রও বেশি কৃষক শহিদ হয়েছেন। এই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সাহায্য করার বিষয়ে মোদি সরকার একটি কথাও বলছে না। কিন্তু আমি এটা গর্বের সঙ্গে বলছি যে, উত্তরপ্রদেশে যদি সমাজবাদী পার্টি সরকার গঠন করে তবে ওই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবারগুলিকে আমরা সব ধরনের সাহায্য করব।
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে এবার শাসক দল বিজেপির সঙ্গে মূল লড়াইটা হচ্ছে সমাজবাদী পার্টির। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ দখল করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে প্রায় সব বিজেপি নেতা-নেত্রী ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের বাগপত জেলায় স্থানীয় সাংসদের আয়োজন করা এক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। ওই অনুষ্ঠানে সরাসরি অখিলেশকে আক্রমণ করেছিলেন অনুরাগ। মন্ত্রী বলেন, অখিলেশ ভাই আমরা তো ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করি, আর তোমরা কর দাঙ্গার আয়োজন।
অন্যদিকে সমাজবাদী পার্টিও যোগী সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করতে শুরু করেছে। বিশেষ করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কর্মসংস্থানের বিষয়গুলিতে সরকারের ব্যর্থতাকেই সামনে এনেছে সপা। গো বলেয়ের এই বৃহত্তম রাজ্যে বিজেপিকে হারাতে প্রয়োজনে অখিলেশকে সব ধরনের সহযোগিতা করার কথা বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এমনকী অখিলেশ ডাকলে তিনি উত্তর প্রদেশে প্রচারে যাবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এখন দেখা যাক, আগামী বছরের শুরুতেই উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে কী সিদ্ধান্ত নেয় আমজনতা!
]]>মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। দিল্লি থেকে বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে চেপে সরাসরি পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ের উপর এসে অবতরণ করেন মোদি। পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধনের করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিন বছর আগে আমি এই প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলাম। তখন কেউই ভাবেনি যে, তিন বছর পর আমি বিমানে চেপে এই এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করতে আসব। পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে উত্তরপ্রদেশ নির্মাণের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নেবে। আজ এই এক্সপ্রেসওয়ে দেশবাসী তথা উত্তরপ্রদেশের মানুষের হাতে তুলে দিতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি।

রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের (assembly election) আগে প্রধানমন্ত্রী যথারীতি কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেছেন। পাশাপাশি প্রশংসা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (yogi adityanath)।
মোদি বলেন, আগের সরকারের আমলে উত্তরপ্রদেশের কোনও উন্নয়ন হয়নি। শুধুই অপরাধীদের বাড়বাড়ন্ত ছিল। কিন্তু বিগত পাঁচ বছরের শাসনে যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে উত্তরপ্রদেশ উন্নয়নের সড়কে ফিরেছে।
<
p style=”text-align: justify;”>উল্লেখ্য, আপাতত ছয় লেনের হলেও পরে পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে আট লেনের করা হবে। এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ২২৫০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। লখনউ জেলার চৌরসরাই গ্রাম থেকে শুরু হয়ে গাজীপুরের হায়দরিয়া পর্যন্ত এই এক্সপ্রেসওয়ে বিস্তৃত। উত্তর প্রদেশের অযোধ্যা, সুলতানপুর, বরাবাঁকি, ফৈজাবাদ, আম্বেদকরের মতো একাধিক শহরকে যুক্ত করবে এই রাস্তা। এই রাস্তা চালু হওয়ার ফলে উত্তরপ্রদেশের একাধিক ছোট বড় শহরের সঙ্গে দিল্লির (delhi) যোগাযোগ আরও সহজ হয়ে গেল।
]]>রাজ্যের দুগ্ধ উৎপাদন ও পশুপালন মন্ত্রী লক্ষ্মীনারায়ণ চৌধুরী (Lakhsminarayan Choudhury) এই অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা চালু করার কথা জানিয়েছেন। মন্ত্রী বলেন, যে সমস্ত গরু গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে বা দীর্ঘ দিন কোনও রোগে ভুগছে তাদের চিকিৎসার জন্যই এই অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা চালু করা হল। মন্ত্রীর দাবি, গোটা দেশে এই প্রথম কোনও রাজ্যে গরুর জন্য অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা চালু হল।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই এ ধরনের প্রকল্প চালু করল যোগী সরকার। এটা একটা ধর্মীয় সুড়সুড়ি মাত্র। উত্তরপ্রদেশের পশুপালন মন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, তাঁরা মোট ৫১৫ টি অ্যাম্বুলেন্স চালু করবেন। অসুস্থ গরুদের চিকিৎসায় অ্যাম্বুলেন্স পেতে গেলে একটি টোল ফ্রি নম্বর চালু করা হচ্ছে। ওই নম্বরটি হলো ১২২।

এই নম্বরে ফোন করলে অসুস্থ বা আহত গরুকে দ্রুত নিকটবর্তী কোন পশু চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে। কোন গরুর মালিক ফোন করার পর ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যেই তাঁর বাড়িতে অ্যাম্বুলেন্স চলে আসবে। তবে শুধু অ্যাম্বুলেন্স নয় অ্যাম্বুলেন্সে থাকবেন একজন দক্ষ পশু চিকিৎসক ও তাঁর দুই সহকারি। চিকিৎসাকেন্দ্র নিয়ে যাওয়ার আগেই অসুস্থ গরুটিকে যদি কোনও প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে হয় সে কারণেই এই ভাবনাচিন্তা।
মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ১ ডিসেম্বর থেকেই এই পরিষেবা রাজ্যের সর্বত্র পুরোদমে চালু হয়ে যাবে। অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা নিয়ে কারও কোন অভিযোগ থাকলে তা জানানোর জন্যও একটি অভিযোগ কেন্দ্রও তৈরি করা হচ্ছে। লখনউয়ের ওই অভিযোগ কেন্দ্রে যে কেউ ফোন করে তাঁদের অভিযোগ জানাতে পারবেন।
<
p style=”text-align: justify;”>শুধু অসুস্থ গরুর চিকিৎসাই নয়, রাজ্যে দুধ (milk) উৎপাদন বাড়ানোর জন্যও বিজেপি সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে মন্ত্রী দাবি করেন। মন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যের দুধের উৎপাদন বাড়াতে ভ্রুণ প্রতিস্থাপন প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। এই প্রযুক্তিতে শুধু যে দুধের উৎপাদন বাড়বে তা নয়, রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো বেওয়ারিশ গরুর সমস্যাও দূর হবে। উল্লেখ্য, একদিন আগেই মধ্যপ্রদেশের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং (shibraj singh) চৌহান জানিয়েছিলেন, দেশের অর্থনীতির দ্রুত বৃদ্ধি করতে হলে গরুর উপরেই ভরসা রাখতে হবে।
]]>একই সঙ্গে তিনি স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ প্রথমদিকে ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তবে ওই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই ইচ্ছারামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে যোগী আদিত্যনাথের (yogi adittanath) রাজ্য উত্তরপ্রদেশে।
গত সপ্তাহে লখনউয়ের হুসেনগঞ্জের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের অফিসে এই ঘটনাটি ঘটেছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে, অফিসের ভিতরেই ইচ্ছারাম নামে ওই সহসচিব এক মহিলাকে জোর করে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করছেন। শুধু তাই নয়, ওই মহিলার গায়ে পিঠে হাত বুলাচ্ছেন। স্পর্শ করছেন আপত্তিকর অঙ্গ। সংশ্লিষ্ট মহিলা ইচ্ছারামাকে বারবার ঠেলে সরানোর চেষ্টা করলেও তিনি ব্যর্থ হচ্ছেন। ইচ্ছারাম কার্যত ওই মহিলাকে জড়িয়ে ধরেছেন। ইচ্ছারাম ছিলেন সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের সহসচিব পদে কর্মরত। সংশ্লিষ্ট মহিলা ওই অফিসের চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার অপারেটর (computer operator)। শ্রীলতাহানির শিকার হওয়া বছর তিরিশের ওই বিবাহিত মহিলা হুসেনগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ওই মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন, ২০১৩ সাল থেকে তিনি হুসেনগঞ্জের (husengang) ওই অফিসে চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করছেন। ওই দফতরের বিভাগীয় ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন ইচ্ছারাম। ২০১৮ সাল থেকেই তাঁর উপর ইচ্ছারাম মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতেন বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন ওই কম্পিউটার অপারেটর। তিনি বলেছেন, তাঁকে একাধিকবার বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাব দিয়েছেন। এমনকী, তাঁর কথা মত কাজ না করলে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার হুমকিও দিয়েছেন ইচ্ছারাম।
কয়েকদিন আগে মহিলাদের টয়লেটের মধ্যে ঢুকে ইচ্ছারাম ওই কম্পিউটার অপারেটরকে জোর করে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করেন। ওই মহিলা পুরো ঘটনাটি ভিডিয়ো রেকর্ডিং করেন এবং পরে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন। ওই কম্পিউটার অপারেটর ২৯ অক্টোবর হুসেনগঞ্জ থানায় ইচ্ছারামের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তাই কার্যত বাধ্য হয়েই তিনি শ্লীলতাহানীর ওই ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। তারপরই ইচ্ছারামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করার পর ওই আধিকারিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। রেকর্ড করা হয়েছে নির্যাতিতার বয়ান।
]]>