Uttarakhand – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Sun, 15 Oct 2023 10:45:43 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Uttarakhand – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 उत्तराखंड जाएं तो पार्वती कुंड और जागेश्वर जाना न भूलें : मोदी https://ekolkata24.com/uncategorized/if-you-go-to-uttarakhand-do-not-forget-to-visit-parvati-kund-and-jageshwar-modi Sun, 15 Oct 2023 10:45:43 +0000 https://ekolkata24.com/?p=46166 पहाड़ घूमने का शौक रखने वाले लोगों को प्रधानमंत्री नरेंद्र मोदी ने सलाह दी है कि अगर उत्तराखंड घूमने जा रहे हैं, तो पार्वती कुंड और जागेश्वर जाना न भूलें। 

पीएम मोदी ने आगे कहा कि इन दोनों जगहों की प्राकृतिक सुंदरता और दिव्यता मंत्रमुग्ध करने वाली है। इसके साथ ही उन्होंने लिखा कि बेशक, उत्तराखंड में घूमने लायक कई मशहूर स्थान हैं। पार्वती कुंड और जागेश्वर मंदिर के दर्शन करना बेहद खास अनुभव रहा।

पीएम मोदी ने सोशल मीडिया प्लेटफॉर्म एक्स (ट्विटर) पर बृहस्पतिवार को किए दौरे की तस्वीरें साझा करते हुए लिखा, अगर कोई पूछे कि उत्तराखंड में एक जगह जरूर देखनी चाहिए, वह कौन सी जगह होगी, तो कहूंगा कि आपको राज्य के कुमाऊं क्षेत्र में पार्वती कुंड और जागेश्वर मंदिर को जरूर देखना चाहिए।

]]>
‘টেগোর টপ’-এ তৈরি হচ্ছে দ্বিতীয় বিশ্বভারতী, জুলাই থেকেই শুরু পঠন-পাঠন https://ekolkata24.com/uncategorized/the-second-visva-bharati-is-being-made-in-tagore-top-reading-has-started-from-july Fri, 07 Jan 2022 18:04:27 +0000 https://ekolkata24.com/?p=18374 পশ্চিমবঙ্গ তথা দেশের মধ্যে অন্যতম বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশ্বভারতী বিশ্ব বিদ্যালয়। রাজ্যের অন্যতম পরিচিতি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এবার বাংলার বাইরেও গড়ে উঠবে বিশ্বভারতী।

সূত্রের খবর, উত্তরাখণ্ড সরকার প্রায় ৪৫ একর জমি দিচ্ছে বিশ্বভারতীর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণ করার জন্য। এমনকি চলতি বছরের জুলাই থেকেই পঠন পাঠন শুরু হয়ে যাবে।

বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে ক্যাম্পাস তৈরি করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ১৫০ কোটি টাকার অনুদান চাওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ১২৫ কোটি টাকা ক্যাম্পাস নির্মাণে খরচ হবে। কিছুদিনের মধ্যেই এই অনুদান চলে আসবে। ২০১৯ সালে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরি করার উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। অবশেষে সরকারি জমির অনুমোদন পাওয়া গেল। উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালের রামগড় গ্রামে নতুন ক্যাম্পাস তৈরির জন্য বিনা শুল্কে ৪৪.৪৬ একর জমি দেওয়া হয়েছে। জানা যায়, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রামগড়ে বসেই গীতাঞ্জলী লিখেছিলেন। সেই জায়গাটি ‘টেগোর টপ’ নামেও পরিচিত।

কর্তৃপক্ষ উত্তরাখণ্ড সরকারের কাছে রামগড়ের জমির জন্য আবেদন করে। শুক্রবার ওই রাজ্য চিঠি দিয়ে বিশ্বভারতীর নতুন ক্যাম্পাস তৈরি করতে জমির অনুদানে সম্মতি দেয়।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২২-এর জুলাইয়ের বিশ্বভারতীর নতুন ক্যাম্পাস তৈরি করার পরিকল্পনা চলছে। সেইমত যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ক্যাম্পাস শুরুর প্রথম পর্যায়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তর মিলিয়ে ৬৫০ পড়ুয়া ভর্তি করা হবে এবং তৈরি করা হবে পাঁচটি স্কুল। এই ক্যাম্পাসটির তত্ত্বাবধানে থাকবে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।

]]>
এই ফুল ফোটার দৃশ্য দেখলেই ঘুরে যায় ভাগ্যের চাকা https://ekolkata24.com/offbeat-news/you-are-a-lucky-tourist-if-you-see-brahma-kamal-flower-blooming-in-uttarakhand Mon, 13 Dec 2021 17:15:05 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=4683 বিশেষ প্রতিবেদন: প্রায় ৪৫০০মিটার বা তার উপরের উচ্চতায় ফোটে এই ফুল। বলা হয় হিমালয়ান ফুলের রাজা। ফুটে ওঠার দৃশ্য দেখতে পেলে জানবেন আপনিই এই বিশ্বের সবচেয়ে সৌভাগ্যবান মানুষ। নাম ব্রহ্মকমল।

ব্রহ্মকমলের পাপড়িগুলি সম্পূর্ন প্রস্ফুটিত হয় সূর্যাস্তের পর। ফুটতে সময় লাগে প্রায় ২ ঘন্টা। প্রস্ফুটিত অবস্থায় থাকে প্রায় ১ ঘন্টা। তারপরেই তা আবার বন্ধ করে পাপড়ি। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর এর মাঝে কোনও এক সময়ে হিমালয়ের কোলে যখন ধীরে ধীরে সূর্য ডোবে তখন ফোটে ব্রহ্মকমল। এই দৃশ্য নিজের চোখে দেখতে পাওয়াকেই সৌভাগ্যের বলে মনে করা হয়।

Brahma Kamal flower blooming in Uttarakhand

উত্তরাখন্ড রাজ্যের ”স্টেট ফ্লাওয়ার” হিসাবে গন্য করা হয় ব্রহ্মকমলকে। পুরাণ মতে, বিষ্ণুর নাভি থেকে এই ফুলের জন্ম এবং এই ফুলের মধ্যে স্বয়ং ব্রহ্মা বিরাজমান। ফোটার দৃশ্য দেখতে পাওয়া মানে দেব দর্শন। সন্ধ্যা ৭-৮ টা থেকে এর ফোটা শুরু হয়, রাত ১১-১২ টার মধ্যে ফোটা সম্পূর্ণ হয়ে যায়। পরদিন সকালে ফুল ফের মূর্ছা যায়। শাস্ত্রে এর ৬১টি প্রজাতির কথা পাওয়া যায়।

Brahma Kamal flower blooming in Uttarakhand

এটা প্রধানত হিমালয়ের ফুল। উত্তরাখণ্ড, সিকিম, হিমাচল- প্রদেশ, কাশ্মীরে এই ফুল পাওয়া যায়। এটি জগতের সৃষ্টি কর্তা ব্রহ্মাজীর ফুল, তাই ব্রহ্মকমল। শিব, মা নন্দা দেবীর ও এ ফুল খুব প্রিয়। এই ফুল ফোটা দেখলে নাকি মানুষের মনের ইচ্ছা পূরণ হয়। বহু পৌরাণিক গল্প আছে এই ফুলকে নিয়ে।ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স, হেমকুন্ট সাহিব, বাসুকি তাল, রুদ্রনাথ মন্দির পথে এই ফুলের দেখা মেলে।

Brahma Kamal flower blooming in Uttarakhand

<

p style=”text-align: justify;”>অনেকে সকালে শুকিয়ে যাওয়া ফুলটাকে নিয়ে ঘরে ঢোকার দরজায় টাঙিয়ে রাখে। এতে কোন নেগেটিভ এনার্জি ঘরে ঢুকতে পারে না বলে মানুষের বিশ্বাস। এছাড়াও এর অনেক ঔষধি গুণ ও আছে।
ব্রহ্মকমল এর এক এক জায়গায় এক এক রকম নাম। উত্তরাখণ্ডে একে বলে ব্রহ্মকমল, হিমাচলে দুলহাম্বুল। কাশ্মীরে গলগল, দুধফুল হিমাচলপ্রদেশে। শ্রীলঙ্কাতে কাদুফুল আর জাপানে গীকা ভীষণ।

]]>
INC: ‘উগ্র হিন্দুত্ব ও আইএস জঙ্গি সমার্থক’ বইতে লেখার পরে হামলা সলমন খুরশিদের বাড়িতে https://ekolkata24.com/uncategorized/ex-minister-and-congress-leader-salman-khurshid-house-vandalized Mon, 15 Nov 2021 13:20:11 +0000 https://ekolkata24.com/?p=11393 News Desk: প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা সলমনের খুরশিদের বাড়িতে ঢুকে আগুন ধরানোর ঘটনায় দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরি হলো। সোমবার নৈনিতালে খুরশিদের বাড়িতে আগুন ধরানো হয়। করা হয় ভাঙচুর। সেই ছবি সলমন খুরশিদ টুইটার ও ফেসবুকে দিতেই শুরু রাজনৈতিক বিতর্ক। অভিযোগ, উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। কী করে একজন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা হয় সেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে সরকার।

গত বুধবার সলমন খুরশিদের ‘সানরাইজ ওভার অযোধ্যা: নেশনহুড ইন আওয়ার টাইমস’ লেখা বইটি প্রকাশিত হয়৷ প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদ এই বইতে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের কড়া সমালোচনা করেছেন। ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট ও বোকো হারামের সঙ্গে তুলনা করেছেন৷

Read More: উগ্র হিন্দুত্ববাদ বোকো হারাম, আইএস জঙ্গিদের মতই ভয়ঙ্কর: সলমন খুরশিদ

বইটি প্রকাশের পরেই তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের তরফে প্রতিবাদ জানানো হয়। অভিযোগ, কিছু সংগঠন হামলার হুমকি দেয়।

সোমবার নৈনিতালে সলমন খুরশিদের বাড়ি আক্রান্ত, আগুন ধরানোর পর অভিযোগের আঙুল উঠেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দিকেই। তবে নির্দিষ্ট করে কোনও সংগঠনের নাম বলেননি খুরশিদ।

প্রকাশের পর থেকেই বিতর্কের মুখে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সলমন খুরশিদের লেখা বইটি৷ এই বই নিষিদ্ধের দাবিতে পিটিশন দায়ের হয়েছে দিল্লি হাইকোর্টে৷ মামলাকারী বিনীত জিন্দাল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশে একাধিক গুরুতর ধারায় অভিযোগ জানিয়েছেন৷

<

p style=”text-align: justify;”>বইতে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনৈতিক হিন্দুত্বের সঙ্গেও জিহাদির তুলনা করেছেন। এই অভিযোগে রাজনৈতিক মহল সরগরম। এরই মাঝে নৈনিতালে খুরশিদের বাড়িতে হামলার ঘটনায় বিতর্ক আরও বাড়ল।

]]>
পাহাড় কাড়ল সাংবাদিকের প্রাণ https://ekolkata24.com/uncategorized/death-of-journalist-in-uttarakhand Mon, 01 Nov 2021 04:35:13 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=9880 News Desk: সেই উত্তরাখন্ড, এবার পাহাড় কেড়ে নিল সাংবাদিকের প্রাণ। বৃষ্টির জেরে পাহাড়ে ধসের জেরে বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছিল উত্তরাখন্ড। মারা যান বেশ কিছু পর্যটক , ট্রেকার। অনেকেই বাংলার নাগরিক ছিলেন। তালিকায় নয়া সংযোজন হিল্টন ঘোষ।

উত্তরপ্রদেশে এক মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল উলুবেড়িয়ার সাংবাদিক হিল্টন ঘোষের। জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে নিজের গাড়িতে স্ত্রী, মেয়েকে সাথে নিয়ে উত্তরাখন্ডে বেড়াতে গিয়েছিলেন হিল্টন। সূত্রের খবর, বেড়ানো শেষে রবিবার সকালে যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে উলুবেড়িয়ার বাড়ির উদ্দেশ্যে ফিরছিলেন। হিল্টন ঘোষ নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন।

উত্তরপ্রদেশের বেরীলীর কাছাকাছি তাঁর গাড়ি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় হিল্টনকে উদ্ধার করে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি প্রাণ হারান। উল্লেখ্য, হিল্টন ঘোষ উলুবেড়িয়া তথা হাওড়া জেলার সংবাদমহলের পরিচিত নাম। আনন্দবাজার, এবেলা সংবাদপত্রে সুনামের সাথে চিত্রসাংবাদিক হিসাবে কাজ করেছেন। বর্তমানে টিভি নাইন বাংলার সাংবাদিক হিসাবে কাজ করছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে হাওড়া জেলার সাংবাদিক মহলে গভীর শোকের ছায়া নেমেছে। তাঁর স্ত্রী, মেয়ে সুস্থ আছেন বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন হিল্টন ঘোষের বাড়ির লোকজন।

]]>
উত্তরাখন্ডে ট্রেকিংয়ে গিয়ে মৃত তিন অভিযাত্রীকে চোখের জলে বিদায় জানাল বাগনান https://ekolkata24.com/uncategorized/the-last-rites-of-the-three-dead-expeditions-were-completed-while-trekking-in-uttarakhand Thu, 28 Oct 2021 11:52:47 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=9482 News Desk, Kolkata: “তোমাকে ভালবেসে তোমার পথেই হারিয়ে যাওয়া এক পথিক” — বছরখানেক আগেই নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে অভিমানী পাহাড়কে উদ্দেশ্য করে লাইনগুলি লিখেছিলেন তরুণ চিকিৎসক সাগর দে। বছর ঘুরে অদ্ভুত সমাপতন। সে-ই পথেই চিরতরে হারিয়ে গেলেন বাগনানের সাগর দে, চন্দ্রশেখর দাস ও সরিৎশেখর দাস।

বৃহস্পতিবার সকালে কোলকাতা বিমানবন্দরে তিনজনের কফিনবন্দী দেহ নামানো হয়। সেখান থেকে বাগনানে আনা হয় তিনজনের দেহ। সাগরের মুরালীবাড়ের বাড়িতে সাগরের দেহ, সরিৎ ও চন্দ্রশেখরের বাড়িতে তাদের দেহ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিন অভিযাত্রীর আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব সহ শুভাকাঙ্ক্ষীরা। চন্দ্রশেখর দাস খালোড় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য হওয়ায় তার দেহ গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানান পঞ্চায়েত প্রধান সহ অন্যান্যরা।

sagar day bagnan

অন্যদিকে, আমতার উদং পোদ্দারপাড়ায় সাগরের পৈতৃক বাড়িতে সাগরের কফিনবন্দী নিথর দেহ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর বাড়ির লোকজন। সাগর ছিলেন উদং কালীমাতা বালক সংঘের সদস্য। সাগরের মৃতদেহ সেই ক্লাবের মাঠে নিয়ে গিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। তারপর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার উদ্দেশ্যে তিনটি মরদেহ বাউড়িয়া বার্নিং চুল্লিতে নিয়ে আসা হয়। এদিন বাগনানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী পুলক রায়, হাওড়ার জেলাশাসক মুক্তা আর্য, হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার সৌম্য রায় সহ পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। এদিন সকাল থেকে বাগনান মুরালীবাড়ে ও আমতার উদংয়ে প্রচুর পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।

রাজ্যের মন্ত্রী পুলক রায় বলেন, “অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। কোনো সমবেদনা জানানোর ভাষা নেই।” তিনি আরও বলেন,”খবর পাওয়ার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ছিলেন। তাঁর সার্বিক প্রচেষ্টায় উত্তরাখন্ড সরকারের সাথে যোগাযোগ রেখে দেহগুলিকে উদ্ধার করে দ্রুত আনানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সমস্ত রকম সহযোগিতা করা হচ্ছে।” এদিন সকাল থেকেই তিন তরুণকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হয়েছিলেন বহু মানুষ। চোখের জলে তিন যুবককে বিদায় জানান অজস্র মানুষ।

]]>
“তোমাকে ভালবেসে তোমার পথেই হারিয়ে যাওয়া এক পথিক”- পাহাড়কে খোলা চিঠি বাগনানের সাগরের https://ekolkata24.com/offbeat-news/a-letter-to-the-mountains-by-dead-mountanier-of-howrah-who-lost-life-in-uttarakhand-calamity Wed, 27 Oct 2021 20:19:19 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=9419 Special Correspondent: পাহাড় ছিল তার প্রাণের সমান। পাহাড়েই খুঁজে পেয়েছিলেন বাঁচার রসদ। তাইতো সুযোগ পেলেই পাড়ি দিতেন পাহাড়ে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পুজোর ছুটি মিলতেই উত্তরাখন্ডের দুর্গম পাসে অভিযানে বেরিয়েছিলেন পেশায় চিকিৎসক বাগনানের সাগর দে। ভাগ্যিস নির্মম পরিহাসে পাহাড়ের কোলেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তরুণ অভিযাত্রী সাগর দে। গতবছর সাগর দে কিছুটা খোলা চিঠি লিখেছিলেন হিমালয়কে। চিঠির একদম অন্তিম লাইনে লিখেছিলেন,”তোমাকে ভালবেসে তোমার পথেই হারিয়ে যাওয়া এক পথিক।” সাগর নিখোঁজ হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর সেই খোলা চিঠি ইতিমধ্যেই বেশ কিছু মানুষ শেয়ার করেছেন। 

নস্টালজিয়া মানেই কিছু টুকরো টুকরো স্মৃতির এক সংক্ষিপ্ত সংযোজন বা রচনা, যেটা কি না আমাদের সাহায্য করে তার সুগন্ধের ঘ্রাণ নিতে। যেটা আমাদের ঘ্রাণস্নায়ু পথে দীর্ঘ সময় স্থায়ী হয় এবং আমাদের শুকিয়ে যাওয়া, অতৃপ্ত আত্মার প্রবল আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করে।

sagar day

আজ এই দীর্ঘ সময় ঘরে বন্দি থেকে অনেক ছোটো ছোটো স্মৃতি ভিড় করে আসছে মনের মণিকোঠায়। চোখের সামনে বার বার ভেসে আসছে নীলচে পাহাড়ের অবয়বটা। মনখারাপের ডালি নিয়ে আজ লিখতে বসলাম কিছু মনের কথা। আমার প্রাণের দোসরের উদ্দেশ্যে একখানি পত্র— এক পথিকের পক্ষ থেকে “পাহাড়”, তোমাকে একটা খোলা চিঠি আজ ডাক বাক্সের একটা কোণে একটা চিঠি রেখে এলাম। জানি না তুমি কবে পাবে এই চিঠি! জানি না আদৌ তোমার কাছে পত্রটি গিয়ে পৌঁছবে কি না! জানি না চিঠিটা পেয়ে তুমি আমায় তার প্রত্যুত্তর দেবে কি না! জানি না প্রত্যুত্তর আসার সময় অবধি আমার এই ভূমন্ডলে অস্তিত্ব থাকবে কি না! তবুও আজ আমি লিখলাম কিছু কথা তোমার উদ্দেশ্যে।

প্রিয়,
আমি জানি তুমি এখন খুবই ভাল আছো। তোমার সংসারে অনেক দিন হল কারও আনাগোনা নেই। তাই দীর্ঘ কোলাহলের পরে এখন একাকিত্বের আঙিনায় তুমি সময় পেয়েছ একটু বিশ্রাম নেওয়ার। সময় পেয়েছ নিজেকে সময় দেওয়ার। নাও বিশ্রাম, ঘুমোও একটু, সমস্ত ক্লান্তি, অবসাদ ঘুচিয়ে একটু শান্তির রাজ্যে পাড়ি দেওয়াও নিজেকে। এখন তো নেই কোনও ভিড়, নেই কোনও জমায়েত, নেই কোনও আড্ডা, নেই কোনও নিস্তব্ধতার পর্দা সরানো শব্দের সমাহার তোমার সংসারে। একলা পাহাড় তুমি এখন একলাই আছো বেশ মেজাজে। জানো, আমরাও এখন আটকে আছি প্রত্যেকে প্রত্যেকের অতি সতর্কতার ঘেরাটোপে। বেরোতে পারছি না কেউই কারও বন্দিদশা ছেড়ে। কারও সঙ্গে গল্প করা তো দূরের কথা, আমরা এখন একে অপরকে স্পর্শ করতে ভয় পাচ্ছি। ভাইরাস উড়ছে বাতাসে। আমরা ভয়ে অতিষ্ঠ। মৃত্যুভয় গ্রাস করছে প্রতি পদে। বেঁচে থাকাটাই যেন এখন একটা বড় চ্যালেঞ্জ আমাদের কাছে। আমরা এখন আমাদের মনুষ্যত্ব হারিয়েছি শুধুমাত্র নিজেকে ভালবেসে, শুধু একটু বেঁচে থাকার আশায়। আমরা আজ হয়ে উঠেছি বড় স্বার্থপর। কারও বিপদে আজ আমরা ছুটে যেতে পারছি না। গেটের বাইরে থেকে যে কোনও মানুষকে বিতাড়িত করছি। আতিথেয়তা? সে তো এখন অনেক বড় কথা!! মানুষের থেকে দূরে থাকা থেকে শুরু করে তার ছোঁয়া লাগলে নিজেকে শুদ্ধ করা, এ যেন সেই প্রাচীন পর্বে অসভ্য জাতির প্রতি সভ্যজাতির ব্যবহার। অশুচিদের প্রতি শূচিদের নিয়মানুবর্তিতা। আজ আমরা মনুষ্যত্ব হারিয়েছি ভাইরাসের ভয়ে।

এই বন্দি অবস্থায় থেকে তোমার কাছে অনেক কথা জানতে খুব মন চাইছে। শুনতে ইচ্ছে করছে মনুষ্যজাতি ভিন্ন তোমার কথা। দেখতে ইচ্ছে করছে তোমার প্রত্যুত্তরের মধ্যে দিয়ে বাস্তবের শূন্য পাহাড়টাকে। আচ্ছা বলো তো, সেই ঠান্ডা হাওয়াটা কি এখনও রোজ সমগ্র পর্বতপ্রদেশকে শীতলতার মধুর স্পর্শ দিয়ে যায়? সেই প্রেয়ার ফ্ল্যাগগুলো কি সব এখনও প্রতিদিন মেঘলা আবহাওয়ায়, হাওয়ার তালে পতপত করে উড়ছে? মনাষ্ট্রিগুলো থেকে ঢং-ঢং শব্দে ঘন্টার ধ্বনি শুনতে পাও কি তুমি? নাকি সেটাও আজ বন্ধ হয়েছে ভাইরাসের ভয়ে? আচ্ছা, এখনও রোজ দুপুরের পর মেঘেদের ওড়না তোমার গায়ে এসে জড়িয়ে ধরে? কুয়াশারা প্রতিদিন তোমার সঙ্গে এখনও লুকোচুরি খেলে? সেই নীলচে আকাশ, সেই প্রখর রৌদ্র, সেই শান্ত পাখিদের উড়ে চলা— এখনও কি তোমার সঙ্গে এক হয়ে শিল্পীর ক্যানভাস গড়ে তোলে? সেই পাইনের গন্ধ, সেই দেওদার, বার্চ, ফারের ছায়া, সেই ভূর্জপত্র এখনও প্রত্যহ তোমার আঙিনাকে সুগন্ধিতে মশগুল করে তোলে? ঝর্না, পাহাড়ি নদীটা কেমন আছে? তারা কি সেই শান্ত কুলুকুলু ধ্বনিতে এখনও প্রতি মুহূর্তে পাথুরে নুড়িগুলোর উপর দিয়ে শান্ত গতিতে বয়ে চলেছে?

sagar day

পাথরের গায়ে নাম-না-জানা পাহাড়ি ফুলগুলো, তারা এখনও সুন্দর করে নিজেদের বড় করে তুলছে? তারা এখন রোজ সেই শান্ত পাহাড়ি হাওয়াতে নিজেদের মাথাটা দোলায়? নিস্তব্ধ জঙ্গলে পাখিদের কলতান, নির্জনতার দুয়ার ভেঙে তাদের সুমিষ্ট কন্ঠ, এখন আরও বেশি সুন্দর লাগে? বৃষ্টির উল্লাস, ঝড়ের মাতলামি তোমায় এখনো রোজ সিক্ত করে কি? বৃষ্টির শব্দের ঝঙ্কার এখনও কি সেই প্রেমের পরিবেশের বুনন গেঁথে যায়? কালের নিয়মে এখনও আঁধার নামে তোমার শরীরে জানি। সেই জোনাকিগুলো তাদের আলো জ্বালিয়ে তোমায় রোজ পথ দেখায় তো? জানি তারা আজ খুব আনন্দে আছে। এখন যে তাদের বিরক্ত করার কেউ নেই। তারা হয়তো তাদের আলোর রোশনির বলয় তৈরি করে তোমায় আলোকিত করে।

তাই না? ঝিঁঝির ডাক হয়তো এখন অনেকটা বেড়েছে। তাই না? বন্যপ্রাণীরা এখন নিশ্চয়ই মনের আনন্দে, নির্ভয়ে নিজেদের মধ্যে ভাব বিনিময় করে। তাই না? কারণ, এখন তো তাদের ভয় পাওয়ার মতো অসভ্য মনুষ্যজাতিটার আনাগোনা শূন্য হয়েছে। পূর্ণিমার আকাশে চাঁদের রোশনাই তোমাকে এখনও নিয়ম করে জ্যোৎস্নায় স্নান করায় তো? প্রজ্জ্বলিত নক্ষত্রমণ্ডলী মিটমিট করে তোমার দিকে তাকিয়ে এখনও সেই পুরনো ছন্দে হাসে? ছায়াপথে উল্কাঝড়, উল্কাপতন, কালপুরুষ, সপ্তর্ষিমণ্ডলী— তুমি এখনও রোজ রাতে চুপচাপ দেখতে থাকো, না? তাদের সাথে গল্পে মত্ত থাকো, না? জানি এখন তুমি ভাল আছো। তুমি একলা করে নিজেকে আমাদের থেকে সরিয়ে ভালই আছো। আমি চাইও তুমি একাকী কয়েকদিন শান্ত হয়ে বিশ্রাম নাও। কিন্তু জান, এখন সকলে বলছে তুমি আমাদের উপর প্রতিশোধ নিচ্ছ।

তোমাকে জয়ের দুর্নিবার নেশা, তোমার শান্তিতে আমাদের কোলাহলের ব্যাঘাত, তোমার উপর আমাদের অত্যাচার, তোমাতে বাস করা বন্যপ্রাণগুলোকে ভয় দেখানো, তোমার গায়ে নোংরা ছড়িয়ে চলে আসা, শান্ত আঁধারে আগুনের লেলিহান শিখা— এসবই তো তোমাকে কষ্ট দিয়েছে। এসবই তো তোমাকে মুখ বুজে কাঁদিয়েছে। তারই কি প্রতিশোধ এটা? এর উত্তর আমার জানা নেই। জানি না তুমিও এর উত্তর আমায় দেবে কি না। তবে কিছু কথা খুব বলতে ইচ্ছে করছে আজ। হ্যাঁ, আমরা হয়তো অনেক অন্যায় করেছি তোমার উপর। অনেক কষ্টও দিয়েছি তোমায়। কিন্তু ভালবাসায় কোনও খামতি ছিল না। কোনও স্বার্থ ছিল না আমাদের। আমার প্রশ্ন, তুমি কি পারবে আমাদের ছেড়ে থাকতে? তুমি কি পারবে আমাদের ভুলে থাকতে? তুমি কি পারবে আমাদের রেখে একা একা সুন্দর করে সাজতে? একটা শাড়ি যেমন একটা ‘বাহ্ কী দারুণ’ কথাটা শুনতে ব্যাকুল থাকে, ঠিক তেমনই তুষারশিখরে যখন সূর্যের লাল আভায় তোমার মাথায় লাল সিঁদুর ওঠে, তখন তুমিও কি ব্যাকুল থাকো না এই মনুষ্যজাতির থেকে ‘অসাধারণ’ শব্দটা শোনার অপেক্ষায়??

এটা কি অস্বীকার করতে পার তুমি? মেঘে ঢাকা তুমি দূরে হারিয়ে যাও অস্পষ্টতার গভীরে। তবুও যেন তোমার আওয়াজ কানে এসে বেঁধে। ধীরে ধীরে আঁধার নামে তোমায় ঘিরে। আমি চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকি ট্রেকার্স হাটের কাঠের বারান্দায়। আমি দাঁড়িয়ে থাকি এক বাকরুদ্ধ পথিকের মতো। চুপচাপ পরিসর, একটা ঠান্ডা হাওয়া এসে জানান দেয় আঁধার নামছে পাহাড়ে। দূরের অস্পষ্ট কালো ছায়ার মতো তুমি যেন আরও আবছায়ায় হারিয়ে যেতে থাকো। নিকষ কালো অন্ধকারের মধ্যে দূরের হাটগুলো থেকে হাল্কা বাতির আলো বেরিয়ে আসে। দূর থেকে ভেসে আসে গাইড, পোর্টার, ইয়াকওয়ালাদের হালকা কন্ঠধ্বনি, হাটের ছাদের উপরেও ছাদ বেয়ে নেমে আসে বৃষ্টির শব্দ। আর সেই নিঝুম সাঁঝে ইয়াকগুলোর গলায় বাঁধা ঘন্টার ধ্বনি। আমি হারিয়ে যাই। চোখের কোণে জল আসে। মুখ থেকে উচ্চারিত হয়, ‘‘এ আমি কোথায়!’’ এই ভালবাসা, এই তারিফ, এই সুন্দরের প্রশংসা, এই আবেগতাড়িত মুহূর্তে আমাদের চোখের জল তোমারও কি দেখতে ইচ্ছে করে না? তুমি কি স্বীকার করতে পারবে, এসব ছাড়া তুমি সম্পূর্ণ? তোমার শরীরে মেঘেদের আনাগোনা, কুয়াশার জালে তোমার ঘুমভাঙা সকাল, শান্ত ও খরস্রোতা নদীর তোমার দেহের উপর দিয়ে বয়ে চলা, নাম-না-জানা পাখিগুলোর তোমার পানে ডানা মেলার প্রেক্ষাপট!

তোমারও কি ইচ্ছা করে না কোনও এক শিল্পীর শৈল্পিক ছোঁয়ায় তোমাতে বিচরিত এই সুন্দর ক্যানভাসটির অবয়ব গড়ে উঠুক? তুমিও কি পছন্দ করো না, যখন কোনও নবযুগল তোমার নীলচে রূপের পানে তাকিয়ে জ্যোৎস্না রাতে একে অপরকে ভালবাসার প্রতিশ্রুতি জানায়। তারাখচিত রাতকে সাক্ষী রেখে তোমার মতো সুন্দরের সন্নিকটে একে অপরকে আলিঙ্গন করে। এ সবই তো শুধুমাত্র তোমারই টানে, সবই তোমার আহ্বানে। এগুলো ছাড়া কি তুমিও একাকী আনন্দ পাবে? আজও তোমাতে পাইনের আতরে যখন মত্ত থাকে দিগ্বিদিক, তখন এই মনুষ্যজাতি ছাড়া কে সেই গন্ধ গায়ে মেখে বলবে ‘‘আহ্!’’ কে বলবে, মা গো এই নৈসর্গের কোলে যদি মৃত্যুবরণ করতে হয়, তা হলে তা হবে আমার শ্রেষ্ঠ মৃত্যু! তুমি কি অস্বীকার করতে পারবে এই ‘ত্যাগ’-কে? সত্যিকারের কত প্রেমের শুরু হয় তোমার রূপকে কল্পনা করে। কত সাহিত্যিক তার সাহিত্যের উপাদান খুঁজে পায় তোমার সৌন্দর্যের প্রতি মুখরিত হয়ে। কত মানুষ শান্ত হয় তোমার নির্জনতাকে উপলব্ধি করে। কত মানুষ নিজেকে খুঁজে পায় তোমার বিশালতার মাঝে। কত নিরাশাগ্রস্ত মানুষ নতুন ভাবে বাঁচতে শেখে শুধু তোমায় দেখে।

হ্যাঁ, আমি মানছি আমরা অনেক দোষী। মানছি তুমি এখন ভারাক্রান্ত হয়ে মুখ ফিরিয়েছ আমাদের থেকে। তুমি শান্তির কোলে মাথা রেখে ঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছ। কিন্তু মানুষজনের কথাগুলো যেন সত্যি না হয়! তা হলে মিথ্যা হয়ে যাবে সব কিছু। মিথ্যা হয়ে যাবে তোমার প্রতি আমাদের আমোঘ টান। মিথ্যা হয়ে যাবে তোমাতে আমাদের ভালবাসার শব্দচয়নগুলো। মিথ্যা হয়ে যাবে তোমার দেশে বাস-করা মানুষগুলোর সাথে আমাদের নিঃস্বার্থ সম্পর্কগুলো। মিথ্যা হয়ে যাবে আমাদের মধ্যে থাকা তোমার কাছে বার বার ছুটে যাওয়ার আবেগটা।

আমি জানি, তুমি একদিন আবার সমস্ত কিছু ভুলে, সমস্ত গ্লানি ভুলে আমাদের কাছে টেনে নেবে। আমাদের সমস্ত ভুল ক্ষমা করে আবার তোমার কোলে আমাদের আশ্রয় দেবে। কারণ, তুমি যে বিশালতার এক রূপ। তুমি যে সর্বোপরি। তুমি যে সকলের বেঁচে থাকার দিশা। তুমি যে আমাদেরই সৃষ্টির স্রষ্টা।
ভাল থেকো।

ইতি,
তোমাকে ভালবেসে তোমার পথেই হারিয়ে যাওয়া এক পথিক

]]>
Uttarakhand: খাদে গাড়ি পড়ে মৃত ৫ বাঙালি পর্যটক, আহতরা আশঙ্কাজনক https://ekolkata24.com/uncategorized/uttarakhand-5-bengali-tourists-killed-injured-in-car-accident Wed, 27 Oct 2021 17:34:27 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=9404 News desk: উত্তরাখণ্ড থেকে এসেছে ফের দুঃসংবাদ। এবার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলো পশ্চিমবঙ্গের ৫ পর্যটকের। মৃতরা সবাই পশ্চিম বর্ধমান জেলার বাসিন্দা। জখম হয়েছেন আরও ৭ জন। অনেকেই আশঙ্কাজনক। মৃতরা দুর্গাপুর, আসানসোল ও রানিগঞ্জের বাসিন্দা।

হিমালয়ে দুর্যোগের কারনে গত কয়েকদিন ধরে বারবার উত্তরাখণ্ড থেকে এসেছে পর্বতারোহীদের মৃত্যুর সংবাদ। কমপক্ষে ১১ জন বাঙালি পর্বতারোহী মারা গেছেন। আরও কয়েকজন নিখোঁজ। এর মাঝে এসেছে দুর্ঘটনায় মৃত সাধারণ বাঙালি পর্যটকদের খবর।

উত্তরাখণ্ড সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বুধবার পিথোরাগড় জেলার মুন্সিয়ারি থেকে পর্যটকদের নিয়ে একটি গাড়ি কৌশানি যাচ্ছিল। কাপকোটের শামা এলাকায় জাসরৌলিতে পর্যটক ভর্তি আরেকটি গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। একটি গাড়ি ছিটকে গভীর খাদে গড়িয়ে পড়ে। অন্য গাড়িটি রাস্তার উপরেই উল্টে যায়।

খাদে পড়ে ওই গাড়িতে ১২ জন যাত্রী ছিলেন। এদের মধ্যে ৫ জনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। ৭ জন চিকিৎসাধীন। যার মধ্যে দুজনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। মৃত পাঁচজনের মধ্যে তিনজন দুর্গাপুর ও দু’জন আসানসোল রানিগঞ্জের বাসিন্দা। তাঁদের নাম সুব্রত ভট্টাচার্য, কিশোর ঘটক চন্দনা খান, শ্রাবনী চক্রবর্তী ও রুনা ভটচার্য।

জানা গিয়েছে, আসানসোল ও রানিগঞ্জ এলাকা থেকে ৩০ জনের একটি দল উত্তরাখণ্ডের কৌশানি গিয়েছিলেন। চলতি মাসের ২১ তারিখে ওই পর্যটক দলটি রওনা হয়েছিল।

]]>
Uttarakhand: সুন্দরডুঙ্গা থেকে আরও ৫ পর্বতারোহীর দেহ আসছে রাজ্যে https://ekolkata24.com/uncategorized/uttarakhand-government-said-five-more-bengali-treakkers-body-recovered-from-sunderdhunga Tue, 26 Oct 2021 05:58:22 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=9159 News Desk, Kolkata: হিমালয়ের হাতাছানিতে দুর্গম এলাকায় চলে যাওয়া বাঙালি পর্বতারোহী-অভিযাত্রীদের দেহ মিলতে শুরু করেছে। আশঙ্কা মৃত অভিযাত্রীদের নামের তালিকা আরও দীর্ঘ হবে। সোমবার রাজ্যে এসেছে ৫ জনের দেহ। উত্তরাখণ্ড সরকার জানাচ্ছে, আরও ৫ জনের দেহ উদ্ধার করার কাজ চলছে। এদের দেহ কুমায়ুন হিমালয়ের সুন্দরডুঙ্গার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে আছে।

উত্তরাখণ্ড সরকার জানাচ্ছে, সুন্দরডুঙ্গা উপত্যকার দেবীকুন্ডের কাছে মিলেছে এই অভিযাত্রীদের মৃতদেহ। এরা সবাই দুর্গম কানাকানি পাস অতিক্রম করার সময় হিমালয়ের দুর্যোগের কবলে পড়ে মারা যান।

bengali-trekkers

সুন্দরডুঙ্গায় মৃত পাঁচ পর্বতারোহীর নাম সাধন দাস, প্রীতম রায়, সরিতশেখর দাস, চন্দ্রশেখর দাস, সাগর দে। সবার দেহ চিহ্নিত করা হয়েছে। দেহগুলি দেরাদুনে আনার চেষ্টা চলছে।

হিমালয় দুর্যোগের মাঝে সুন্দরডুঙ্গার কাছে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার চরিত্র নিয়ে বিশিষ্ট পর্বত অভিযাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে www.ekolkata24.com প্রতিবেদন বের করেছিল। 

পড়ুন সেই রিপোর্ট: Uttarakhand: দুর্গম সুন্দরডুঙ্গার খাঁজে পড়ে আছে ৪ বাঙালি পর্বতারোহীর দেহ

হিমালয়ের সুন্দরডুঙ্গা দুর্গমতর পর্বতাভিজানের একটি। অনেক অভিজ্ঞ অভিযাত্রী পর্বতারোহীরা এই পথে যান। জনপ্রিয় পিন্ডারি হিমবাহ অভিযানের পথ থেকে সুন্দরডুঙ্গা আলাদা হয়েছে।

এই সুন্দরডুঙ্গাতেই দুর্যোগের কবলে পড়ে মারা গিয়েছেন পর্বতারোহীরা। আশঙ্কা করা হচ্ছে, গাড়োয়াল ও কুমায়ুন হিমালয় পার্বত্যশৃঙ্খলার অনেক স্থানে এখনও কিছু পর্বতারোহীর মৃতদেহ মিলতে পারে।

]]>
Uttarakhand: মৃত্যু উপত্যকা লামখাগা পাস, উদ্ধার ১২ পর্বতারোহীর দেহ https://ekolkata24.com/uncategorized/11-deadbody-recovered-from-uttarakhand-most-of-them-treakkers Sat, 23 Oct 2021 08:39:14 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=8815 নিউজ ডেস্ক: হিমালয়ে প্রবল বৃষ্টি ও ভূমি ধসের কারণে উত্তরাখণ্ডের পরিস্থিতি ভয়াবহ। শনিবার সকালে লামখাগা পাস থেকে ১২ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এরা সবাই পর্বতারোহী। NDTV ও Indian Express এই তথ্য জানাচ্ছে। তবে সরকারিভাবে কিছু বলা হয়নি।

উত্তরাখণ্ড ও হিমাচলের বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারের কাজে বায়ুসেনা, দুই রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও আইটিবিপি জওয়ানরা।

উদ্ধারকারীদের আশঙ্কা, প্রবল তুষার ধসে বহু অভিযাত্রীর দেহ পাহাড়ের খাদে গড়িয়ে পড়েছে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে কাজ করছে বায়ুসেনার অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার।

uttarakhand-trekkers

শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের ট্রেকারের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। উত্তরাখণ্ডের দুর্গম এলাকাগুলির মধ্যে অন্যতম লামখাগা পাস। সেখানে ১৭ জনের একটি দল ট্রেকিং করতে গিয়েছিল। ১৬ অক্টোবর থেকে উত্তরাখণ্ডে প্রবল প্রাকৃতিক বিপর্যয় শুরু হয়। সেই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ধস নামে লামখাগা পাসে। ধসের কারণে ১৭ জনের দলটি নিখোঁজ হয়ে যায়।

সেই নিখোঁজ ট্রেকারদের উদ্ধার করতে বায়ুসেনার হেলিকপ্টার ১৯৫০০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত নেমে এসে তল্লাশি চালায়। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে বরফের মধ্যে ১১ জনের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এখনও বেশ কয়েকজন ট্রেকার, গাইড এবং পোর্টারের খোঁজ নেই।

জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের অনুমান, নিখোঁজ যাত্রীরা ১৭ হাজার ফুট উচ্চতায় আটকে আছে। তাদের উদ্ধারের জন্য বায়ুসেনার বিমান পাঠানো হয়েছে।

শনিবার সকাল পর্যন্ত ভূমি ধসে শতাধিক পর্যটক আটকে আছেন বলে খবর মিলেছে। যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ২০ জনের বেশি। অন্যরা বিভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দা।

গত কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টি ও ভূমি ধসের কারণে উপড়ে পড়েছে টেলিফোন ও বিদ্যুতের খুঁটি। ফলে বেশীরভাগ এলাকাতেই বিদ্যুৎ ও মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। রানিক্ষেত, আলমোড়া, পিথোরাগড়, নৈনিতাল, যোশিমঠের মত বহু এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ওই সমস্ত এলাকায় জরুরি পরিষেবাও মিলছে না।

একাধিক বাড়িঘর ভেঙে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। উদ্ধারকারীদের আশঙ্কা, ওই সমস্ত ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বেশকিছু মানুষ আটকে থাকতে পারেন। যাঁদের জীবিত অবস্থায় বের করে আনার সম্ভাবনা ক্রমশই কম

]]>
Uttarakhand: হিমালয়ের খাঁজে খাঁজে দুরন্ত পর্বতারোহীদের দেহ উদ্ধার, অনেকে নিখোঁজ https://ekolkata24.com/uncategorized/bodies-of-some-bengali-treakers-rescued Sat, 23 Oct 2021 04:10:17 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=8791 নিউজ ডেস্ক: বিপর্যয় কাটার পর আসছে দু:সংবাদ। উত্তরাখণ্ড ও হিমাচলে পর্বতাভিজান করতে গিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে মৃত পর্বতারোহীদের বেশিরভাগই পশ্চিমবঙ্গের।

পাহাড়ি এলাকা থেকে শুক্রবার পর্যন্ত অন্তত ৭ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেরাদুন থেকে কফিনে সেই দেহগুলি পাঠানো হবে কলকাতায়। তবে এখনও ৫ পর্বতারোহী নিখোঁজ। আশঙ্কা বাড়ছে খারাপ খবরের।

উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশ দুই রাজ্যের মধ্যে ছড়িয়ে থাকা হিমালয়ের দুর্গম গিরিখাত, হিমবাহ, পর্বত শীর্ষ ও পাহাড়ি পথ ধরে অভিযান চলে। করোনা সংক্রমণ কারণে দীর্ঘদিন সেসব বন্ধ ছিল। উৎসবের ঠিক আগে সংক্রমণ হার কমতেই পশ্চিমবঙ্গের পর্বতারোহীরা নেশার টানে পৌঁছে গিয়েছিলেন। এর পরেই শুরু হয় হিমালয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ।

পড়ুনUttarakhand: দুর্গম সুন্দরডুঙ্গার খাঁজে পড়ে আছে ৪ বাঙালি পর্বতারোহীর দেহ

প্রকৃতির রোষে হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পশ্চিমবঙ্গের পার্বত্যাঞ্চল ও সিকিমের বিস্তির্ণ অঞ্চল লন্ডভণ্ড। এই পরিস্থিতিতে উত্তরাখণ্ড ও হিমাচলের অংশে পর্বতারোহণ, অভিযানকারী দলগুলি সরাসরি পড়ে গিয়েছিল।

আরও পড়ুন:Uttarakhand: ৫ বাঙালি ট্রেকারের কফিনবন্দি দেহ আনার প্রস্তুতি, অভিযাত্রী মহল শোকাচ্ছন্ন

উত্তরাখণ্ডের হরশিল থেকে হিমাচল প্রদেশের ছিটকুলের পথে যাওয়া পর্বতারোহীদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক মৃত। তবে উত্তরাখণ্ডেরই আরও একটি দুর্গম পথ সুন্দরডুঙ্গাতে কয়েকজন বাঙালি পর্বতারোহী মারা গিয়েছেন। এই পথেই আরও কিছু পর্বতারোহী নিখোঁজ এখনও।

]]>
Uttarakhand: ৫ বাঙালি ট্রেকারের কফিনবন্দি দেহ আনার প্রস্তুতি, অভিযাত্রী মহল শোকাচ্ছন্ন https://ekolkata24.com/uncategorized/west-bengal-government-to-take-dedad-bodies-of-bengali-treakers Fri, 22 Oct 2021 13:35:08 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=8713 নিউজ ডেস্ক: ট্রেকিং করতে গিয়েছিলেন উত্তরাখণ্ডে। কিন্তু সেখানে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে প্রাণ হারালেন ৫ বাঙালি ট্রেকার। পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরাখণ্ডে গিয়ে আটকে রয়েছেন বহু বাঙালি পর্যটক। হাওড়া থেকে ট্রেকিংয়ের যাওয়া একটি প্রতিনিধিদলের এখনও কোনও খোঁজ নেই। তাঁদের উদ্ধারের জন্য সব ধরনের চেষ্টা চলছে।

যে ৫ বাঙালি ট্রেকারের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের সঙ্গে একজন গাইড ও চারজন পোর্টার ছিলেন। চারজন পোর্টার ফিরে এলেও গাইডের কোনও খোঁজ মেলেনি। মৃত ৫ বাঙালির মধ্যে তিনজন হাওড়া বাগনানের বাসিন্দা। একজন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঠাকুরপুকুরের এবং অন্যজন নদিয়া জেলার রানাঘাটের বাসিন্দা। মৃতদের মধ্যে চন্দ্রশেখর দাস, সরিৎশেখর দাস ও সাগর দে বাগানের বাসিন্দা। সাধনকুমার বসাকের বাড়ি ঠাকুরপুকুরে এবং প্রীতম রায়ের বাড়ি রানাঘাটে।

মৃতদের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১১ অক্টোবর শেষবার তাঁদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ হয়েছিল। তারপর বহুবার চেষ্টা করেও ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। একটি বেসরকারি সূত্রের খবর, ট্রেকারদের আরও দুটি দেহ পাওয়া গিয়েছে। তবে তাদের নাম জানা যায়নি। ওই ট্রেকিং দলে থাকা মিঠুন দাড়ি নামে এক যুবককে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে

আরও পড়ুনUttarakhand: দুর্গম সুন্দরডুঙ্গার খাঁজে পড়ে আছে ৪ বাঙালি পর্বতারোহীর দেহ

উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বর জেলা প্রশাসন থেকে ইতিমধ্যেই ওই পাঁচ পরিবারকে ফোনে দুঃসংবাদ জানানো হয়েছে। মৃতদের পরিবার উত্তরাখান্ড থেকে দেহ ফিরিয়ে আনার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে।

Five trekkers found dead in Himachal Pradesh

উত্তরাখণ্ড প্রশাসন জানিয়েছে, ১৪ অক্টোবর এক দল ট্রেকার উত্তরাখণ্ডের হর্ষিল থেকে হিমাচল প্রদেশের ছিটকুলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। কিন্তু ১৭ অক্টোবর থেকে ওই অভিযাত্রী দলের সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ১৮ অক্টোবর ওই দলটি ঝড়ের কবলে পড়ে। তারপর থেকেই তাদের কোনও খোঁজ নেই। ওই দলেরই ৫ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।

এরই মধ্যে হাওড়ার আমতার ১৪ জন একটি দল কাঠগোদামে আটকে আছেন। ওই ১৪ জনের পরিবারের অভিযোগ, হোটেলে খাবার বা পানীয় জল কিছুই মিলছে না। এমনকি বিদ্যুৎ সংযোগও নেই। তাই মোবাইলে চার্জ না থাকায় সেগুলিও অচল হয়ে রয়েছে।

প্রাকৃতিক বিপর্যয় বিধ্বস্ত উত্তরাখণ্ডে চরম কষ্টের মধ্যে রয়েছেন পর্যটকরা। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই বাঙালি। আটকে থাকা এই সমস্ত বাঙালি পর্যটকদের উদ্ধারের জন্য ইতিমধ্যেই সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। নবান্ন থেকে জানানো হয়েছে, উত্তরাখণ্ড সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। বাঙালি পর্যটকদের কিভাবে দ্রুত ফিরিয়ে আনা যায় তার পরিকল্পনাও শুরু হয়েছে। রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী উত্তরাখণ্ড সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

হাওড়া জেলা থেকে অনেকেই উত্তরাখণ্ডে গিয়ে আটকে আছেন। তাদের উদ্ধারের বিষয়ে জনসাস্থ্য ও কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায় বলেছেন, আটকে থাকা পর্যটকদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে। সরকার চেষ্টা করছে সকলকেই দ্রুত ফিরিয়ে আনার।

]]>
ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে উত্তরাখণ্ড ও কেরলে https://ekolkata24.com/uncategorized/death-toll-from-severe-floods-and-landslides-has-been-rising-in-uttarakhand-and-kerala Fri, 22 Oct 2021 11:55:42 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=8685 নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসের কারণে উত্তরাখণ্ড ও কেরল মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত উত্তরাখণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৯। এখনো ১৭ জনের বেশি মানুষের কোনও খোঁজ মিলছে না। আহতের সংখ্যাও প্রায় ৪০। দ্রুত উদ্ধার কাজ চলছে।

পাশাপাশি কেরলেও বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৮। এই এ রাজ্যেও বহু ঘরবাড়ি জলের স্রোতে সম্পূর্ণ ভেসে গিয়েছে। হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৯ জনের কোন খোঁজ নেই।

গত কয়েক দিনের তুলনায় উত্তরাখণ্ডে অবশ্য বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বৃষ্টির প্রকোপ কিছুটা কমেছে। বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আকাশপথে দেবভূমি পরিদর্শন করেন। এবারের বন্যায় উত্তরাখণ্ডে এখনও পর্যন্ত ৭ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যের বেশিরভাগ জায়গাতেই রাস্তাঘাট সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবাও বেশিরভাগ জায়গাতেই বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় বহু জায়গাতেই পানীয় জলের অভাব দেখা দিয়েছে।

এরই মধ্যে উত্তরাখণ্ডে নিখোঁজ ১৭ জন পর্যটকের মধ্যে ৯ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে বৃহস্পতিবার রাতে। মৃতদের মধ্যে পাঁচজন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা।

floods, landslides, Uttarakhand, Kerala

অন্যদিকে কেরলের ইদুক্কি, কোট্টায়াম পাত্থানমিট্টা, আলাপ্পুঝা, এর্নাকুলাম সহ ৭ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি এখনও ভয়াবহ। এই সব জেলায় নতুন করে হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে। সম্প্রতি এই রাজ্যে বন্যার জল কিছুটা নামতেই একাধিক স্লুইস গেট খুলে দেওয়া হয়। যে কারণে ওই সমস্ত জেলাগুলিতে নতুন করে বন্যা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে নিচু এলাকাগুলি ফের জলের তলায় চলে গিয়েছে। মৌসম ভবন শুক্রবারও কেরলের জন্য কোনও আশার খবর শোনাতে পারেননি। বরং মৌসম ভবন এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টা ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে কেরলে।

এবারের বন্যায় উত্তরাখণ্ডে পর্যটকরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। এই মুহূর্তে পর্যটনের ভরা মৌসুম চলছে উত্তরাখণ্ডে। উৎসবের মরসুমে বহু মানুষ সেখানে বেড়াতে গিয়েছেন। অনেকে গিয়েছিলেন ট্রেকিংয়ের জন্য। এই সমস্ত পর্যটকরা বন্যায় সবচেয়ে বেশি নাকাল হয়েছেন। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন ট্রেকার প্রাণ হারিয়েছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি ইতিমধ্যেই মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন স্থানীয় প্রশাসনকে দ্রুত উদ্ধার কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উত্তরাখণ্ড ও কেরল দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ফোনে কথা বলেছেন। বন্যা কবলিত দুই রাজ্যের পুনর্গঠনে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন মোদি। দুই রাজ্যের প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত তা এখনও জানা যায়নি। বন্যার জল সম্পূর্ণ নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত চিত্র সামনে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।

]]>
Uttarakhand: দুর্গম সুন্দরডুঙ্গার খাঁজে পড়ে আছে ৪ বাঙালি পর্বতারোহীর দেহ https://ekolkata24.com/uncategorized/treakers-from-west-bengal-may-dead-in-sunderdhunga-uttarakhand Thu, 21 Oct 2021 15:40:32 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=8599 নিউজ ডেস্ক: হিমালয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে উত্তরাখণ্ড(Uttarakhand), হিমাচল প্রদেশ, সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের পার্বত্য এলাকা তছনছ। দুর্যোগ কমে এলেও আসছে মৃত্যু সংবাদ। উত্তরাখণ্ডের দুর্গম সুন্দরডুঙ্গা অভিযানে গিয়ে দুর্যোগের কবলে পড়ে মারা গেছেন অন্তত চার বাঙালি পর্বতারোহী অভিযাত্রী।

সুন্দরডুঙ্গার পাহাড়ি খাঁজে পড়ে থাকা পশ্চিমবঙ্গের এই অভিযাত্রীদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি উত্তরাখণ্ড সরকার। জানানো হয়, ওই অভিযাত্রীদের সঙ্গে থাকা এক কুলি কোনরকমে বেঁচে ফিরেছেন। তিনিই ভয়াবহ অবস্থার কথা জানান।

সূত্রের খবর, সু্ন্দরডুঙ্গা অভিযানে যাওয়া এই দলটির ৬ -১০ জন সদস্য। এরা পশ্চিমবঙ্গ থেকে এসেছিলেন। স্থানীয় এক পোর্টার পোর্টার(কুলি) এই তথ্য দেন প্রশাসনকে।

সুন্দরডুঙ্গা কেমন ভয়ঙ্কর ?
হিমালয়ের অন্যতম দুই পর্বত শৃঙ্খলা গাড়োয়াল ও কুমায়ুন। এই দুটি শৃঙ্খলা পড়ে উত্তরাখণ্ড রাজ্যে। সুন্দরডুঙ্গা অভিযান দুর্গমতর। এটি কুমায়ুন পর্বত শৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে।

আগেই সুন্দরডুঙ্গার সফল অভিযান করেছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্যতম পর্বতারোহী ও অভিযাত্রী অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বর্ধমান শহরের ভ্রামনিক ক্লাবের সদস্য। www.ekolkata24.com কে তিনি জানান, সুন্দরডুঙ্গা দুর্গম। জনপ্রিয় পিন্ডারী হিমবাহ অভিযানের বিশেষ অংশ থেকে সুন্দরডুঙ্গা যাওয়ার পথ ভেঙে গিয়েছে। অনেকেই সুন্দরডুঙ্গা এড়িয়ে যান। কারণ, এই এলাকার দুর্গমতা বেশি। সুন্দরডুঙ্গার চড়াই পেরিয়ে যে উপত্যকায় নামতে হয়, সেখানেই ক্যাম্প খাটান অভিযাত্রীরা।

পর্বতারোহী অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় জানান, সুন্দরডুঙ্গার ভয়াবহতা কী হয়েছে আন্দাজ করতে পারছি। দুর্যোগের কবলে পড়া ওই পর্বতারোহীরা সুন্দরডু়ঙ্গায় ভয়াবহ ধসের কবলে পড়তে পারেন। সেক্ষেত্রে ওখান থেকে বের হওয়া মুশকিল।

অভিজিৎবাবু নিজেই উত্তরাখণ্ডে অভিযানে গিয়ে এখন হরিদ্বারে আটকে আছেন। তিনি জানান, পরিস্থিতি ভয়াবহ। তাঁর আশঙ্কা গাড়োয়াল বা কুমায়ুনের এমন বহু এলাকা আছে যেখানকার সঠিক পরিস্থিতি জানতে আরও সময় লাগবে।উত্তরাখন্ড সরকার জানিয়েছে, মৃত অভিযাত্রীদের উদ্ধারে বায়ু সেনার কপ্টার ব্যবহার করা হবে।

]]>
Uttarakhand: দুর্যোগে হিমালয়ে মৃত ১০ পর্বতারোহী, আরও মৃত্যু বাড়ছে https://ekolkata24.com/uncategorized/death-toll-rises-in-uttarakhand-himalayan-disaster Thu, 21 Oct 2021 13:36:05 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=8588 নিউজ ডেস্ক: দুর্যোগ কমে আসছে। কিন্তু বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। উত্তরাখন্ডে (Uttarakhand) পর্বতারোহনে গিয়ে নিখোঁজ ছিলেন বহু পর্বতারোহী। তাদের অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও তিন জন কুলি বা পোর্টার মৃত। এখনও কয়েকজন নিখোঁজ।

ইন্দো টিবেটান বর্ডার পুলিশের হয়ে কাজ করতেন এই কুলিরা। দুর্যোগের সময় তারা বিচ্ছিন্ন হন। কয়েকজন ফিরেছেন। তাদের কাছেই জানা গিয়েছে পরিস্থিতির ভয়াবহতা।

উত্তরকাশী জেলা প্রশাসনিক কর্তারা জানান, বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে মৃত পর্বতারোহীদের দেহ নামিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে বহু পার্বত্য গ্রাম বিচ্ছিন্ন ও ধংস হয়েছে বলেই আশঙ্কা।

পশ্চিমবঙ্গের পর্বতারোহীরা নিখোঁজ :
এদিকে হিমাচল প্রদেশে ট্রেকিং করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গেলেন ১১ জন পর্যটক। যার মধ্যে ৭ জন বাঙালি। তাঁদের পরিবার ও আত্মীয়রা উদ্বেগে।

নিখোঁজ হওয়া এই ১১ জন পর্যটক প্রত্যেকেই চলতি মাসের ১১ তারিখে উত্তরাখণ্ডের হর্ষিল থেকে রওনা দিয়েছিলেন। ১৯ অক্টোবর তাঁদের হিমাচল প্রদেশের ছিটকুলে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেখানে পৌছতে পারেননি।

এই মুহূর্তে কোথায় আছেন এই পর্বতারোহীরা তাও জানা যাচ্ছে না। আয়োজকরা ইতিমধ্যেই উত্তরকাশী জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে বিষয়টি জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ট্রেকিং টিমের সকল সদস্যকে খোঁজার কাজ শুরু করেছে আইটিবিপি জওয়ানরা।ো

]]>
Uttarakhand floods: বন্যা ও ভূমিধসে উত্তরাখণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭ https://ekolkata24.com/uncategorized/uttarakhand-floods-death-toll-rises-to-67-over-150-missing Thu, 21 Oct 2021 11:19:11 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=8567 নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিনের একটানা প্রবল বৃষ্টি ও ধসের কারণে উত্তরাখণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৭। ব হু মানুষের এখনও কোনও খোঁজ মিলছে না। উদ্ধারকারীদের আশঙ্কা, নিখোঁজদের জীবিত অবস্থায় ফিরে পাওয়া খুব কঠিন। তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

বৃহস্পতিবার সকালেই পিণ্ডারি হিমবাহ অভিযানে যাওয়ার পথে চার পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। প্রবল বৃষ্টির কারণে পিচ্ছিল রাস্তায় ওই পর্যটকরা পিছলে গভীর খাদে গিয়ে পড়েন। উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ২ পর্যটক নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করতে হেলিকপ্টারে তল্লাশি অভিযান চলছে। ওই পর্যটক দলের ৩৪ জন পর্যটক পিন্ডারি হিমবাহের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন।

রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর আধিকারিক পরিতোষ ভার্মা জানিয়েছেন, ৩৪ জন পর্যটকের মধ্যে ১০ জন বিদেশি নাগরিক। এই পর্যটকদের মধ্যে বাগেশ্বর এলাকায় ৪ পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। দুজনের কোনও খোঁজ মিলছে না। একজন পর্যটক গুরুতর আহত হয়েছেন। তবে পর্যটক দলের বাকি সদস্যরা সকলেই খাতি গ্রামে ফিরে এসেছেন।

বৃহস্পতিবার বিকালেও রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় চলছে উদ্ধার কাজ। এদিন বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমেছে। কিন্তু আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা এখনও কাটেনি। তাই অনেকেই মনে করছেন এখনও বৃষ্টি হবে। শুধুমাত্র নৈনিতাল থেকেই ২৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।

উত্তরাখণ্ডের চামোলি, পিথোরাগড়, শ্যামলাতাল, উত্তরকাশী, যোশীমঠ, মুসৌরির মতো একাধিক এলাকা এখনও জল বন্দি হয়ে আছে। রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বুধবার রাতে দেরাদুনে পৌঁছেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার আকাশপথে বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। একই সঙ্গে উদ্ধারকাজ ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ নিয়ে রাজ্য সরকারের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।

মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি এদিন জানিয়েছেন, প্রবল বৃষ্টি, বন্যা ও ধসের কারণে উত্তরাখণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শতাধিক বাড়ি জলের স্রোতে ভেসে গিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে নৈনিতালে। রাজ্যের একাধিক জেলায় রাস্তাঘাটের বড় মাপের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, নৈনিতালে নৈনি লেকের জল গোটা শহরকে ভাসিয়ে দিয়েছে। সড়ক যোগাযোগ বন্ধ। প্রবল বর্ষণে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ায় বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। তবে সেগুলি দ্রুত চালু করার চেষ্টা চলছে। বেশ কয়েকটি জেলার প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে এখনও বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু করা যায়নি।

পশ্চিমবঙ্গ-সহ কয়েকটি রাজ্য থেকে আসা পর্যটকরা নৈনিতালে আটকে আছেন। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দুর্গত মানুষদের দ্রুত উদ্ধার করার জন্য জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর ও সেনাবাহিনী একযোগে কাজ করছে। পাশাপাশি রাস্তাঘাট পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে। রাস্তাঘাট সম্পূর্ণ ভেসে যাওয়ায় বহু জায়গায় এখনও পৌঁছতে পারছে না উদ্ধারকারীরা। তাই জলবন্দি মানুষকে উদ্ধারের জন্য হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে।

রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতি জনিত পরিস্থিতি সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহকে অবহিত করেন। উত্তরাখণ্ডের পুনর্গঠনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী শাহর কাছে আর্থিক সাহায্যের দাবিও জানিয়েছেন ধামি। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিতে চার ধাম যাওয়ার রাস্তাগুলি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এর ফলে আগামিদিনে পর্যটনে ভালরকম নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

বৃষ্টির জেরে রানিক্ষেত আলমোড়া, চামোলির মতো পর্যটকদের প্রিয় এলাকাগুলি দেরাদুন শহর থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন জেলা থেকে উদ্ধারকারীরা দেড় হাজারেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করেছে। রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় গঙ্গার জল এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। রাস্তাঘাট জলমগ্ন থাকায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদী তীরবর্তী গ্রামের বাসিন্দাদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

]]>
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড https://ekolkata24.com/uncategorized/flood-situation-in-uttarakhand Tue, 19 Oct 2021 18:17:12 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=8372 প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড। উদ্ধারে নামল ভারতীয় বায়ুসেনা বাহিনী। কী অবস্থা এই রাজ্যে দেখুন। প্রাকৃতিক দুর্যোগে নৈনিতাল শহরের পরিস্থিতি প্রতি আধঘন্টায় খারাপ হচ্ছে পূর্বের অবস্থা থেকে। সকাল থেকে যেভাবে নৈনিতাল হ্রদের জল ঢুকতে শুরু করেছে তাতে এই শৈলশহর বিচ্ছিন্ন। পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে দুপুরের পর থেকে। এই অবস্থায় হ্রদ সংলগ্ন এলাকায় সেনা জওয়ানরা নামলেন জলবন্দিদের উদ্ধারে। 

]]>
Uttarakhand: হ্রদের জলে যেন সমুদ্র স্রোত! নৈনিতাল শহরে সেনার মানব প্রাচীর https://ekolkata24.com/uncategorized/flood-situation-in-nainital-city Tue, 19 Oct 2021 13:42:35 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=8329 নিউজ ডেস্ক: প্রাকৃতিক দুর্যোগে নৈনিতাল শহরের পরিস্থিতি প্রতি আধঘন্টায় খারাপ হচ্ছে পূর্বের অবস্থা থেকে। সকাল থেকে যেভাবে নৈনিতাল হ্রদের জল ঢুকতে শুরু করেছে তাতে এই শৈলশহর বিচ্ছিন্ন। পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে দুপুরের পর থেকে। এই অবস্থায় হ্রদ সংলগ্ন এলাকায় সেনা জওয়ানরা নামলেন জলবন্দিদের উদ্ধারে।

Uttarakhand flood situation

নৈনিতাল হ্রদের জল যেন সমুদ্র উপকূলের বাঁধভাঙা ঢেউয়ের মতো। প্রচন্ড গতিতে সেই জল ঢুকতে শুরু করেছে। স্রোতের মুখে মানব প্রাচীর গড়ে উদ্ধার শুরু করলেন জওয়ানরা। নৈনিতাল শহরে এতবড় বিপর্যয় সাম্প্রতিক সময়ে আর হয়নি।

Uttarakhand flood situation

প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস মিলিয়ে হিমালয়ের গাড়োয়াল ও কুমায়ুন দুই পার্বত্য শৃঙ্খলায় অতিভারি বর্ষণ শুরু হয়েছে। বিচ্ছিন্ন পার্বত্য এলাকার জনপদগুলি।

গাড়োয়াল হিমালয়ের দেরাদুন, মুসৌরি, গঙ্গোত্রী, হরশিল, বদ্রীনাথ, চামোলি, পিপলকোঠি,শ্রীনগরের সঙ্গে হরিদ্বারের যাতায়াত বন্ধ। জানা যাচ্ছে কেদারনাথের উপরে শুরু হয়েছে তুষারপাত। বদ্রীনাথের উপরেও তুষারপাত শুরু।

অন্যদিকে কুমায়ুন পার্বত্য শৃঙ্খলার হলদোয়ানি, রানিক্ষেত, কাঠগোদাম ও নৈনিতালের মধ্যে যাতায়াত পুরো স্তব্ধ। কিছু এলাকায় ভেঙেছে রেল লাইন।

Uttarakhand flood situation

কুমায়ুন হিমালয়ের বিখ্যাত নৈনি হ্রদের জল পাড় উপচে নৈনিতাল শহরের ভিতর রাত থেকেই ঢুকছে রাত থেকেই। জলবন্দি এই শৈলশহর। বহু পর্যটক আটকে পড়েছেন। নৈনিতালের জল পুরো শহরের নিম্নাংশ জুড়ে ছড়িয়েছে। ফলে হ্রদের উপরের দিকে থাকা শহরের অংশ আর নিচের অংশ পুরো বিচ্ছিন্ন। প্রবল বৃষ্টির বিরাম নেই যেন। চারিদিক বৃষ্টিতে সাদা।

নৈনিতাল শহরের এমন জলবন্দি পরিস্থিতি যে খাবার ও জ্বালানিতে টান ধরতে পারে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মোবাইল পরিষেবায় বিঘ্ন হতে শুরু করেছে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গঙ্গা, অলকানন্দা সহ বিভিন্ন নদীতে প্রবল জলস্রোত। বেশকিছু এলাকায় সেতু ভাঙার খবর এসেছে। দুর্যোগের মধ্যে পড়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় উত্তরাখণ্ড সরকার তৈরি বলে জানানো হয়। তবে দুর্যোগ যে আকার নিয়েছে তাতে উদ্ধার চালানো অসম্ভব।

]]>
Uttarakhand: প্রবল বর্ষণে হ্রদ উপচে জলবন্দি- বিচ্ছিন্ন শৈলশহর নৈনিতাল https://ekolkata24.com/uncategorized/famous_nainital_lake_overflows Tue, 19 Oct 2021 07:01:12 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=8244 নিউজ ডেস্ক: রাত থাকতেই পূর্বাভাস মিলিয়ে হিমালয়ের গাড়োয়াল ও কুমায়ুন দুই পার্বত্য শৃঙ্খলায় অতিভারি বর্ষণ শুরু হয়েছে। বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করেছে পার্বত্য এলাকার জনপদগুলি।

nainital_lake_overflows

গাড়োয়ালের দেরাদুন, মুসৌরি, গঙ্গোত্রী, হরশিল, বদ্রীনাথ, চামোলি, পিপলকোঠি, শ্রীনগরের সঙ্গে হরিদ্বারের যাতায়াত বন্ধ। জানা যাচ্ছে কেদারনাথের উপরে শুরু হয়েছে তুষারপাত। বদ্রীনাথের উপরেও তুষারপাত শুরু।

অন্যদিকে কুমায়ুন পার্বত্য শৃঙ্খলার হলদোয়ানি, রানিক্ষেত, কাঠগোদাম ও নৈনিতালের মধ্যে যাতায়াত পুরো স্তব্ধ। কিছু এলাকায় ভেঙেছে রেল লাইন। সবথেকে ভয়াবহ পরিস্থিতি নৈনিতালের। বিখ্যাত নৈনি হ্রদের জল পাড় উপচে নৈনিতাল শহরের ভিতর রাত থেকেই ঢুকতে শুরু করেছে।

nainital_lake_overflows

জলবন্দি নৈনিতাল  শৈলশহর। বহু পর্যটক আটকে পড়েছেন। নৈনিতালের জল পুরো শহরের নিম্নাংশ জুড়ে ছড়িয়েছে। ফলে হ্রদের উপরের দিকে থাকা শহরের অংশ আর নিচের অংশ পুরো বিচ্ছিন্ন। প্রবল বৃষ্টির বিরাম নেই যেন। চারিদিক বৃষ্টিতে সাদা।

nainital_lake_overflows

প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গঙ্গা, অলকানন্দা সহ বিভিন্ন নদীতে প্রবল জলস্রোত। বেশকিছু এলাকায় সেতু ভাঙার খবর এসেছে। দুর্যোগের মধ্যে পড়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় উত্তরাখণ্ড সরকার তৈরি বলে জানানো হয়। তবে দুর্যোগ যে আকার নিয়েছে তাতে উদ্ধার চালানো অসম্ভব। 

নৈনিতাল শহরের এমন জলবন্দি পরিস্থিতি যে খাবার ও জ্বালানিতে টান ধরতে পারে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মোবাইল পরিষেবায় বিঘ্ন হতে শুরু করেছে।

]]>