village – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Thu, 16 Dec 2021 15:42:47 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png village – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 Madhya Pradesh: নিলামে পঞ্চায়েত প্রধান পদের দর উঠল ৪৪ লক্ষ টাকা https://ekolkata24.com/uncategorized/madhya-pradesh-village-appoints-sarpanch-through-auction-rs-44-lakh-was-the-winning-bid Thu, 16 Dec 2021 15:42:47 +0000 https://ekolkata24.com/?p=15152 নিউজ ডেস্ক, ভোপাল: মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) ভাতাউলি (Bhatauli gram panchayat) গ্রাম। গ্রামের মাঝখানে একটি মন্দিরের সামনে বেশ কিছু মানুষের ভিড়। কয়েকজন বসে আছেন, কেউবা দাঁড়িয়ে। হঠাৎই ওই ভিড়ের মধ্য থেকে শুরু হল দর হাঁকা।

কেউ বলছেন ২০ লাখ, তো অন্যজন বলছেন ২২ লাখ, কেউবা ২৫ লাখ। শেষ পর্যন্ত এভাবেই দর উঠল ৪৪ লাখ টাকা। কোনও মূল্যবান প্রাচীন সম্পদ নয়, কোনও মহান ব্যক্তির ব্যক্তিগত সংগ্রহের জিনিস নয়। মধ্যপ্রদেশের ভাতাউলি গ্রামে এভাবেই নিলাম হল ভাতাউলি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের পদ।

গ্রামের পঞ্চায়েত (panchyat pradhan) প্রধান কে হবেন তা নিয়ে শুরু হয়েছিল তীব্র বিতর্ক। তখনই গ্রামবাসীরা (villagers) ঠিক করেন, যিনি বেশি টাকা দেবেন তিনি হবেন পঞ্চায়েত প্রধান। এরপরই শুরু হয় নিলাম প্রক্রিয়া। নিলামে ৪৪ লাখ টাকা দর হেঁকে কার্যত পঞ্চায়েত প্রধান পদটি কিনে নিয়েছেন সৌভাগ সিং যাদব নামে এক ব্যক্তি।

বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই অবশ্য বেকায়দায় পড়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এভাবে নিলাম ডেকে পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচনের ঘটনার কথা উড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। প্রশাসনের পাল্টা দাবি, গণতান্ত্রিক রীতিনীতি এবং প্রশাসনিক পদ্ধতি মেনেই গ্রামের নতুন পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচন করা হবে। যদিও স্থানীয় বাসিন্দারা গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনের এই কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।

তাঁরা বলেছেন, পঞ্চায়েত প্রধান পদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। ওই চারজনই প্রধান হতে চাই ছিলেন। সে কারণেই তাঁরা এই নিলাম ডাকার ব্যবস্থা করেন। নিলাম শুরু হয়েছিল ২১ লাখ টাকা থেকে। এক সময় দর ওঠে ৪৩ লাখ টাকা। এত টাকা দর ওঠায় অনেকেই চমকে ওঠেন। তবে চমকের আরও বাকি ছিল। শেষ পর্যন্ত নিলামে ৪৪ লাখ টাকা দর দিয়ে সৌভাগ সিং যাদব পঞ্চায়েত প্রধান পদে নির্বাচিত হন। সৌভাগ্য পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচিত হতে এই গ্রামবাসীরা তাঁকে মালা পরিয়ে বরণ করে নেন।

একইসঙ্গে গ্রাম কমিটি থেকে জানানো হয়, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে সৌভাগের বিরুদ্ধে কেউ মনোনয়ন দাখিল করতে পারবেন না। পাশাপাশি কমিটি আরও জানিয়েছে, সৌভাগ যদি এক সপ্তাহের মধ্যে ৪৪ লাখ টাকা দিতে ব্যর্থ হন তাহলে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে প্রধান হিসেবে মেনে নেওয়া হবে। অর্থাৎ যে ব্যক্তি ৪৩ লাখ টাকা দর দিয়েছেন তিনি পঞ্চায়েত প্রধান হবেন।

কেন এভাবে কেন পঞ্চায়েত প্রধান বেছে নেওয়া হল? এই প্রশ্নের উত্তরে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, প্রার্থীরা যাতে ভোটে জেতার জন্য গ্রামবাসীদের মধ্যে টাকা ও মদ বিলি করতে না পারেন সে কারণেই এভাবে প্রধান নির্বাচন করা হল। যদিও জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, গ্রামবাসীদের এই নির্বাচন পদ্ধতিকে তারা কোনওভাবেই স্বীকৃতি দেবে না। প্রধান পদে যারা নির্বাচনে লড়বেন তাঁদের রীতিমতো আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে।

]]>
Vaccination: মোদী-শাহ, সোনিয়া-প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, অক্ষয় কুমার টিকা নিয়েছেন বিহারের প্রত্যন্ত গ্রামের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে https://ekolkata24.com/uncategorized/modi-shah-sonia-priyanka-chopra-akshay-kumar-get-vaccinated-at-a-remote-village-health-center-in-bihar Mon, 06 Dec 2021 17:48:24 +0000 https://ekolkata24.com/?p=13859 News Desk:  গোটা দেশজুড়ে দ্রুত গতিতে চলছে করোনার টিকাকরণ (vaccination)। এরইমধ্যে বিহারের আরওয়াল জেলার (Arwal district) প্রত্যন্ত একটি গ্রামের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভ্যাকসিন প্রাপকদের তালিকা টাঙানো হয়েছে। ওই তালিকা নিয়ে তীব্র হৈচৈ শুরু হয়েছে। কারণ ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা প্রাপকদের নামের তালিকায় বেশ কয়েকজন ভিভিআইপি ব্যক্তির (VVIP person)নাম রয়েছে।

এই তালিকায় নাম রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (narendra modi) এবং অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার(Priyanka chopra) । এই দুইজন যে বিহারের ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা নিয়েছেন তাই নয়, তাঁদের একই দিনেই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। শুধু সময়ের ব্যবধান কয়েক মিনিট। দেখা যাচ্ছে আগে টিকা নিয়েছেন মোদী তার কিছু পরেই টিকা নিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। অর্থাৎ মোদী ও প্রিয়াঙ্কা বিহারের আরওয়াল জেলার ওই গ্রামে গিয়ে ভ্যাকসিন নিয়েছেন।

তবে চাঞ্চল্যের এখানেই শেষ নয়। মোদী প্রিয়াঙ্কার নামেই যদি ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেমে যেত তাহলে হয়তো এতটা হৈচৈ হত না। কারণ তাঁদের টিকা নেওয়ার দিন কয়েক পরেই ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে টিকা নিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। তাঁদের সঙ্গে একই দিনে টিকা নিয়েছেন বলিউড তারকা অক্ষয় কুমার।

আরওয়াল জেলার ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেভাবে ভিভিআইপি ব্যক্তিরা টিকা নিয়েছেন সেটা দেশের আর কোনও টিকাকরণ শিবিরে হয়নি।

বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই জেলা প্রশাসনে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, এই ঘটনার জন্য ওই শিবিরের দুই কম্পিউটার অপারেটরকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কিভাবে এতজন ভিভিআইপি ব্যক্তির নাম যোগ হল তা জানতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে কম্পিউটার অপারেটরদের দাবি, তাঁরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে যা করার করেছেন। কারণ তাঁদেরকে বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে এটা দেখানোর জন্য রীতিমতো চাপ দেওয়া হত। কম্পিউটার অপারেটরদের ওই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র সমালোচনা করেছেন এলাকার আরজেডি বিধায়ক আনন্দ সিং।

তিনি বলেছেন, আসলে মোদী সরকার লোক ঠকাচ্ছে। ভ্যাকসিন না দিয়েই এভাবে ১০০ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার মিথ্যা কথা বলে বেড়াচ্ছে এই সরকার। টিকাকরণ নিয়েও ষড়যন্ত্র করছে। কিভাবে এ ধরনের মারাত্মক ভুল হল তা জানতে সরকার তদন্ত করুক। দু’জন নিরীহ কম্পিউটার অপারেটরকে বরখাস্ত করে জেলা প্রশাসন নিজেদের দোষ ঢাকতে চাইছে, এটা মেনে নেওয়া যায় না।

]]>
রহস্যময় গ্রাম: বয়স ১২ হলেই এখানকার মেয়েরা হয়ে যায় ছেলে https://ekolkata24.com/offbeat-news/mysterious-village-where-girls-turn-into-boys Tue, 09 Nov 2021 08:40:41 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10789 Special Correspondent, Kolkata: মেয়ে হয়ে জন্মালেও কৈশোর ছোঁয়ার ঠিক মুখে, ১২ বছর বয়সে তারা পুরুষ হয়ে যায়! এমন লিঙ্গ রূপান্তরের কথা কখনও শুনেছেন কি? শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও, লাতিন আমেরিকার ডমিনিক্যান রিপাব্লিকের সালিনাস নামের গ্রামে এমনটাই হয়ে আসছে বহু যুগ ধরে। সে গ্রামের শিশুকন্যারা সকলেই বড় হয়ে ১২-১৩ বছরে পৌঁছলেই পুরুষে রূপান্তরিত হয়ে যায়। কোনও রূপক বা প্রতীকী অর্থে নয়, একেবারে শারীরিক ভাবে অর্থাত্‍ বায়োলজিক্যালি তারা পাল্টে যায় পুরুষে।

কী ভাবে ঘটে এমনটা? অবাস্তব মনে হলেও ঘটনা সত্যিই ঘটে ডমিনিকের দক্ষিণ-পশ্চিমে বারাভোনা প্রভিন্সের প্রত্যন্ত গ্রাম সালিনাসে। দীর্ঘ দিন ধরে চলা গবেষণার পরে জানা গিয়েছে, এটা আসলে এক ধরনের শারীরিক ত্রুটির ফলাফল। বাচ্চারা যখন মায়ের গর্ভে থাকে, তখনই এই ত্রুটির প্রভাব পড়তে শুরু করে তাদের শরীরে। গর্ভাবস্থায় একটি বিশেষ এনজাইমের অভাবেই এই সমস্যার সৃষ্টি হয়।

গবেষক ও চিকিৎসকেরা বলছেন, সাধারণত গর্ভাবস্থার অষ্টম সপ্তাহ নাগাদ শিশুর শরীরের যৌনাঙ্গ পরিস্ফুট হতে শুরু করে। ডিহাইড্রো টেস্টোস্টেরন নামের একটি হরমোনের প্রভাবে গর্ভস্থ শিশুদের পুং জননাঙ্গ পরিস্ফুট হয়ে ওঠে। এই হরমোনকে আবার সক্রিয় করে তোলে একটি বিশেষ ধরনের এনজাইম। কিন্তু সালিনাস গ্রামের মায়েদের গর্ভকালীন পুষ্টির অভাবের কারণেই এই এনজাইম তাঁদের পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্ষরণ হতে পারে না। ফলে যারা আদতে পুরুষ শিশু, জন্মের সময়ে তাদের পুরুষাঙ্গ ঠিকমতো গঠিতই হয়।

সেই শিশুর জন্মকালে তার যৌনাঙ্গ এতই অস্পষ্ট থাকে, যে বাবা-মায়েরা বুঝতেই পারেন না তাঁদের বাচ্চাটি আসলে ছেলে। মেয়ের মতো করেই বাবা-মা মানুষ করতে থাকেন তাকে। কিন্তু ১২ বছর বয়সে যখন পুরুষ শরীরে দ্বিতীয় বারের জন্য টেস্টোস্টেরনের জোয়ার আসে প্রকৃতির নিয়ম মেনেই, তখন তাদের শরীরে ফুটে উঠতে থাকে পুরুষালি লক্ষণ। এবং তখন বোঝা যায়, বাচ্চাটি আসলে পুরুষ।

mysterious village where girls turn into boys

জানুন সেই গ্রামের বাসিন্দা জনির কথা
সালিনাস গ্রামের বাসিন্দা, ২৫ বছর বয়সি এক পুরুষ জনি, এই রকমই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন শৈশবে। অবশ্য তখন তিনি সমস্যা হিসেবে বোঝেননি এমনটা। জনি বলেন, “আমি ছোটবেলায় স্কুলে যেতাম স্কার্ট পরে। মাথায় থাকত বিনুনি। কোনও দিনই অবশ্য একটা মেয়ের মতো মনে হয়নি নিজেকে। কিন্তু ১২ বছর বয়স থেকে আমার পুরুষাঙ্গ আকারে বাড়তে থাকে। আমি নিশ্চিত হয়ে যাই যে, আমি এক জন পুরুষ।” এখন সমাজের চোখেও জনি এক জন পূর্ণবয়স্ক পুরুষ।

জনির মতো মানুষ আরও অনেকেই রয়েছেন সালিনাসে। জনির মত আরও অনেক ছোট ছোট ছেলেদের ঠিক একই অবস্থা। ১২ বছরের আগে তারা সবাই মেয়ে থাকে। আবার ১২-তে পা দিলেই তাদের পুরুষাঙ্গ গঠিত হয়ে তারা ছেলেতে পরিণত হয়। ১৯৭০ সালে এই গ্রামের এই অদ্ভুত পরিস্থিতির বিষয়টি প্রথম আবিষ্কার করেন ডঃ মাইকেল মোসলে নামের এক চিকিৎসক। তার পরেই সারা দুনিয়ার সামনে আসে এই বিচিত্র বিকৃতির কথা।

কিন্তু এই বিকৃতির পিছনে রয়েছে নির্মম সত্য। বিষয়টি আপাতদৃষ্টিতে যতই মজাদার বা অদ্ভুত লাগুক, আসলে কিন্তু বিষয়টির নেপথ্যে রয়েছে খুবই খারাপ এবং নিষ্ঠুর বাস্তব। মূল ভূখণ্ড থেকে অনেকটা দূরের সালিনাস গ্রামের গভীর অসুখ দারিদ্র্য। এই কারণেই পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে ভুগতে হয় সকলকে। গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে এই অভাব আরও প্রকট। আর তারই প্রভাব পড়ে গর্ভস্থ শিশুদের শরীরেও। জেনেটিক ডিসঅর্ডারে ভোগে তারা। স্থানীয় বাসিন্দারা এই অসুখের নাম দিয়েছেন ‘১২ বছরে পুরুষাঙ্গ রোগ’ বা ‘গুয়ভেন্ডোকেস’ (Guevedoces)।

জনিকে যেমন সবাই ১২ বছরের আগে বলত মেয়ে। পুরুষাঙ্গ গঠিত হওয়ার পরে জনিকে এখন সবাই ছেলে বলে মানতে শুরু করেছে। এই গ্রামের এটাই নিয়ম। ১২ বছর না হলে বোঝা মুশকিল, সে মেয়ে না ছেলে। স্থানীয়রা জানালেন, এই গ্রামের ছ’জনকে সবাই মেয়ে বলেই চিনত। তারা ফ্রক বা মহিলাদের অন্য কোনও পোশাক পরেই গ্রামে ঘুরত। চলতি বছর ১২-তে পা দিতেই তাদের পুরুষাঙ্গ গঠিত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। এখন সকলেই পুরুষ।

বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা
নিউইয়র্কের জিনগত রোগের গবেষক গ্যারি ফ্রু জানান, বংশগতির একটি দুর্লভ জিনের কারণে মানুষ ‘গুয়ভেন্ডোকেস’ নামের এই জিনগত অসুখে আক্রান্ত হয়। এই অসুখে আক্রান্তরা পুরুষের অন্তর্গত সব বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মায়। কিন্তু জননাঙ্গের আকৃতিগত কারণে তা প্রকাশ পায় না। তাই শিশুটি ছেলে নাকি মেয়ে তা জানতে অপেক্ষা করতে হয় বয়ঃসন্ধিকাল পর্যন্ত।

<

p style=”text-align: justify;”>এই এলাকার মানুষের মধ্যেই এই জিনের মিউটেশন ঘটার কারণে, প্রজন্মের পর প্রজন্ম এমনটাই হয়ে আসছে সালিনাসে। তবে এখন সালিনাস গ্রামের মানুষেরা সালিনাসের বাইরের মানুষকে বিয়ে করছেন প্রায়ই। ফলে মিশ্র রক্ত নিয়ে তৈরি হওয়া সন্তানেরা স্বাভাবিক যৌনাঙ্গ নিয়ে জন্মাতে শুরু করেছে। গবেষকদের আশা, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গোটা গ্রামটিই এক দিন ত্রুটিমুক্ত হবে।

]]>
মেয়ে-বউদের নামে বাড়ির নামকরণ করে ব্যতিক্রমী হল এই গ্রাম https://ekolkata24.com/offbeat-news/haryana-village-names-houses-after-daughters-bahus Tue, 02 Nov 2021 19:06:04 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10097 Special Correspondent: আমাদের দেশে কন্যা সন্তানকে আজও অনেকটা নেকনজরে দেখা হয়। প্রথম সন্তান মেয়ে হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অধিকাংশ পরিবারেই মাকে শুনতে হয় অনেক গঞ্জনা। যে কারণে কন্যাভ্রূণ হত্যা এখনও আমাদের দেশে এক অভিশাপ হিসেবে রয়ে গিয়েছে।

সম্প্রতি এনসিআরবি বা ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর একটি সমীক্ষা বলছে, দেশের কয়েকটি রাজ্যে উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে কন্যাভ্রূণ হত্যা। যার ফলে ওই সমস্ত রাজ্যগুলিতে পুরুষের তুলনায় নারীর অনুপাত অনেকটাই কম। ওই রাজ্যগুলির মধ্যে হরিয়ানা অন্যতম। কিন্তু সেই হরিয়ানাতেই এক ব্যতিক্রমী গ্রামের সন্ধান মিলল।

পুরুষতান্ত্রিক সমাজের মাঝেই এই এক উদাহরণ তৈরি করল হরিয়ানার হিসার জেলার মায়ার গ্রাম। এই গ্রামে প্রায় হাজার দেড়েক পরিবারের বাস। এই গ্রামের প্রতিটি বাড়ির একটি করে আলাদা নাম বা পরিচয় রয়েছে। বাড়ির নাম ঠিক করা হয় মেয়ে বা বউদের নামে। মেয়ে বা বউদের নামের এক ডাকে চেনা যায় একটি পরিবারকে।

এই গ্রামে এক সময়ে সরপঞ্চ বা পঞ্চায়েত প্রধান ছিলেন সুনীল জগলান। মেয়েদের প্রতি সম্মান জানাতে ২০১৫ সালে তিনি চালু করেছিলেন ‘লাডো স্বাভিমান’ উৎসব। ভোজপুরি ভাষায় ‘লাডো’ কথার অর্থ মেয়ে। মেয়েরা যে সমাজের গর্ব সেই কথা তুলে ধরতেই এই উৎসবের সূচনা করেছিলেন জগলান। মায়ার গ্রামে প্রতিটি বাড়ির নামকরণ করা হয়ে থাকে সেই বাড়ির মেয়ে বা বউয়ের নামে। এই গ্রামের গ্রামবাসীরা এ ব্যাপারে যথেষ্ট খুশি এবং গর্বিত বলে জানিয়েছেন।

জগলান জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত তিনি মায়ার-সহ আরও বেশ কয়েকটি গ্রামের ১৭ হাজার বাড়িতে মেয়েদের নামে নেমপ্লেট তৈরি করতে পেরেছেন। আগামী দিনে আরও অনেক গ্রামে তিনি এই কাজ করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

গগনদীপ সিং নামের মায়ার গ্রামের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, মেয়েরাই বাড়ির প্রকৃত লক্ষ্মী। বাড়ির উন্নয়নের পিছনে মেয়েদের অবদান সবচেয়ে বেশি। মেয়েদের অবদানকে স্বীকৃতি দিতেই তাঁরা বাড়ির নাম মেয়েদের নামে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাঁদের এই সিদ্ধান্ত প্রথম দিকে হয়তো অনেকেরই পছন্দ হয়নি। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত সকলের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

]]>
Kali Puja: মাছ পোড়া আর ভেড়ার মাংসে তুষ্ট হন জোড়া কালী https://ekolkata24.com/offbeat-news/special-kalipujo-of-purash-village-in-amta-block Mon, 01 Nov 2021 15:27:27 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=9967 Special Correspondent, Kolkata: ওঁরা কানপুরের বাসিন্দা। না, এটা বাংলার কানপুর। আমতা ১ ব্লকের পুরাশের। ওঁরা দুই বোন। একজন মা ভদ্রকালী ও অন্যজন মা বিমলা। প্রিয় খাবার মাছ পোড়া আর ভেড়ার মাংস। আর এটাই ভক্তদের জন্য তাঁদের দেওয়া প্রসাদ।

শেঠ পরিবারের মন্দিরে অধিষ্ঠাত্রী দুই দেবী। এনাদের গাত্র রক্ত বর্ণ। দুই দেবী দুই বোন রূপে এই মন্দিরে পূজিত হন।কথিত আছে প্রায় তিনশ বছর আগে এক ভয়স্ক ভদ্রমহিলা পাশ্ববর্তী নদীতে স্নান করতে গিয়েছিলেন।সেই বয়স্কার দুই হাত ধরে নাকি দুই মা নদী থেকে উঠেছিলেন।ছবিতে সামনের দিকে থেকে ডানদিকের বড়ো মা হলেন বড়ো বোন মা ভদ্রকালী আর তাঁর পাশে ছোট বোন হলো মা বিমলা।মা এর মন্দিরে মূল অনুষ্ঠান হয় প্রতিবৎসরের ফাল্গুনের প্রথম শনিবার।

Special Kalipujo of Purash village in Amta block

সেই সময় মা এর অন্নকূট হয়।মা এর ভোগের বৈশিষ্ট্য হলো মা এর ভোগে ভেড়ার মাংস ও মাছ পোড়া মা কে দিতেই হবে।এই উৎসব ছাড়াও পৌষ সংক্রান্তির দিনে মা এর মন্দিরের সামনে বিশাল মেলা বসে।মা খুবই জাগ্ৰত।মা এর কাছে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসেন পূজা দিতে ।অনেকেই মা এর কাছে মনঃকামনা নিয়ে আসেন।কত মানুষের মানসিক যে পূরণ হয় তা পূজার দিনগুলোতে না এলে বিশ্বাস হবে না।প্রতি অমাবস্যা ও পূর্ণিমার দিন গুলো তে মা এর ভোগ দেওয়া হয়।

<

p style=”text-align: justify;”>অনেকেই বিশ্বাস করেন মা এর নাটমন্দিরের সামনে যে পুকুর আছে তাতে স্নান করে মা কে প্রণাম করলে গঙ্গাস্নান এর সমান পূণ্য লাভ হবে।

]]>
Special Story: ৪৭-এর আগেই স্বাধীন হয়েছিল ‘বাগী বালিয়া’ https://ekolkata24.com/offbeat-news/this-village-gets-freedom-in-1942 Thu, 28 Oct 2021 13:42:07 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=9503 Special Correspondent, Kolkata: ১৯৪২ সালে মহাত্মা গান্ধী বোম্বাই অধিবেশন থেকে ডাক দিলেন “করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে”! দেশব্যাপী শুরু হলো অসহযোগ আন্দোলন। আন্দোলন সব জায়গায় একেবারে নিরামিষ ছিল না।

উত্তরপ্রদেশে বালিয়া, গঙ্গার ধারে সম্বৃদ্ধ এই জনপদটির লোকজন প্রথম থেকেই একটু স্বাধীনচেতা। ইংরেজ আমল থেকে আজও ‘বাগী বালিয়া’ কথাটার চল আছে। বাগী মানে এখানে বিদ্রোহী। ৪২ এর আন্দোলন শুরু হতেই এখানকার বহু থানা এবং মহকুমাতে বাসিন্দারা সরকারি খাজনা দেয়া বন্ধ করে দেয়। বাধ্য হয়ে প্রশাসন স্থানীয় কংগ্রেস নেতাদের গ্রেপ্তার করা শুরু করে। এদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা ছিলেন চিত্তু পানডে নামে বালিয়ার এক ব্রাহ্মণ।

১৯ আগষ্ট ১৯৪২, বালিয়া জেলের বাইরে জড়ো হলো প্রায় হাজার পঞ্চাশেক মানুষ। তাদের হাতে দা কুড়ুল থেকে লাঙলের হাল। দাবী একটাই চিত্তু সহ সব নেতাদের মুক্তি চাই। আন্দোলনকারীদের জঙ্গী মেজাজ দেখে জেলাশাসক তাঁদের মুক্তি দিতে বাধ্য হন। সেই রাতেই বালিয়ার মানুষ স্বাধীন বালিয়া প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করে। ইউনিয়ন জ্যাক নামিয়ে বালিয়ার বেশ কিছু এলাকার সরকারি দপ্তরে ওড়ে তিরঙ্গা পতাকা। সরকারের প্রধান রূপে ঘোষিত হয় চিত্তু পানডের নাম। চিত্রটি বদলে যায় ২২শে আগষ্ট রাত থেকেই। পাঁচ কোম্পানি বালুচ সেনা নিয়ে শহরে প্রবেশ করেন বারাণসীর কমিশনার নেদার সোল। সঙ্গী ছিলেন এলাহাবাদ ছাউনির সেনাধ্যক্ষ মার্শ স্মিথ।

ভোর থেকেই শুরু হয় সেনা অভিযান। আধুনিক অস্ত্রের সামনে পেছু হঠে আন্দোলনকারীরা। সাতদিনের সেনা অভিযানে শহীদ হয় ৮৪ জন। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই আবার সেখানে কায়েম হয় বৃটিশ রাজ। অর্থাৎ এই স্বাধীন সরকারের আয়ু ছিলো মোটামুটি দশদিন। যদিও পোস্ট দেখে ধারনা হয় ‘৪২ এর আগষ্ট থেকেই বালিয়া স্বাধীন! আশ্চর্যের কথা ঘরের কাছে পরাধীন আমলের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী সরকার নিয়ে নীরব হোয়া ইউনিভার্সিটির স্নাতক বৃন্দ!

১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় সবচেয়ে বেশি দিন স্থায়ী ও সফল হয়েছিল তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার। তাম্রলিপ্ত সরকার বাদে বাকি সরকারগুলি বিশেষ সাফল্য পায়নি। ইংরেজরা বহু চেষ্টা করেও তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারকে উচ্ছেদ করতে পারছিল না। এই সরকারের একজন সর্বাধিনায়ক ছিলেন। প্রতিটি বিভাগের দায়িত্বে একজন সচিব। সেগুলি হল, আইনশৃঙ্খলা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিচার, কৃষি, প্রতিরক্ষা ও অর্থ। মেদিনীপুরের বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা সতীশ সামন্ত তাম্রলিপ্ত সরকারের সর্বাধিনায়ক হন। অর্থ সচিব নিয়োগ করা হয় পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অজয় মুখোপাধ্যায়কে। প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্র সচিবর দায়িত্বে ছিলেন সুশীল ধাড়া।

আইনশঙ্খলার বিষয়ে যথেষ্ট কড়া ছিল তাম্রলিপ্ত সরকার। ইংরেজরা একে ফেলে দেওয়ার জন্য নানা দুষ্কৃতীকে প্ররোচনা দিত। কিন্তু কঠোর আইনশৃঙ্খলার জেরে তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের প্রশাসন এই দুষ্কৃতীদের ধরে কঠোর সাজা দিত।

শিক্ষার দিকেও তাম্রলিপ্ত সরকার বিশেষ জোর দিত। জাতীয় বিদ্যালয়গুলিকে অনুদান দিত। স্কুল কর্তৃপক্ষ ও ছাত্রদের অভাব অভিযোগ শুনে তা সমাধানের ব্যবস্থা করা হত।

তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের স্থায়ীত্ব ছিল ১৯৪২ সালের ১৭ই ডিসেম্বর থেকে ১৯৪৪ সালের ৩০শ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ১৯৪৩ সালের জুন মাসে ব্রিটিশদের হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগে পর্যন্ত সতীশ সামন্ত এই সরকার পরিচালনা করেছিলেন। ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত সফলভাবে কাজ করেছিল তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার। ঘূর্ণিঝড়-বিধ্বস্ত এলাকায় ত্রাণকার্যও চালায় এই জাতীয় সরকার। এসবই আজ হারিয়ে গেছে বিস্মৃতির অন্তরালে। সেই সাথে হারিয়ে গেছে স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙালির এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় ‌

]]>
হাওড়ার গ্রাম রাজ করছেন ‘পুতুল’ রূপে রানি ভিক্টোরিয়া https://ekolkata24.com/offbeat-news/queen-victoria-lives-in-this-village-of-howrah-as-a-doll Tue, 28 Sep 2021 16:23:29 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=5886 বিশেষ প্রতিবেদন: রাণী ভিক্টোরিয়ার (Queen victoria) এক কাছের বন্ধু ছিল। নাম ছিল আবদুল। তাঁর রানীর সঙ্গে দহরম- মহরম দেখে রাজকর্মীদের ব্যাপক বিরক্ত হত। আবদুলকে সরানোর নানা চেষ্টা করেও তারা ব্যর্থ হন। রানীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। 

কলকাতা শহরে তাঁর পা’ও পড়েছিল বেশ কয়েকবার। কিন্তু হাওড়া? না সেখানে কোনও কারনে কি গিয়েছিলেন ব্রিটিশ রাজেশ্বরী? তাহলে কি করে গ্রামীন হাওড়ার পুতুল শিল্পে আজও দেখা মেলে রানী ভিক্টোরিয়ার অবয়বের। আছে আছে। যোগ আছে।

queen victoria

পোড়ামাটির এই বিশেষ পুতুলটিকে গোলাপি রঙ করে তাতে অভ্র মেশানো হয়। মাথাজুড়ে কোঁকড়ানো চুল। তবে থাকে না কোনও পা। কোমর থেকে দেহের বাকি অংশ ঘাঘরা ঢাকা। কখনও কখনও দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে মুকুটও পরানো হয়। গুটিকয়েক মানুষের হাত ধরে বেঁচে আছে হাওড়া জেলার এই লোকশিল্প। নাম , রানী পুতুল।

গ্রামীণ হাওড়ার জগৎবল্লভপুর,পাতিহাল,নরেন্দ্রপুর সহ বিভিন্ন গ্রামে এককালে প্রচুর তৈরি হতো এই বিশেষ পুতুল। ম্লান হয়েছে শিল্প। তবুও শিল্পকে ভালোবেসে,পুতুল সংস্কৃতিকে ভালোবেসে দিবাকর পালের মতো শিল্পীরা বানিয়ে চলেছেন হাওড়া জেলার নিজস্ব ‘রানি পুতুল’। বিষ্ণুপুরের পোড়ামাটি বা টেরাকোটার মতো মনে হলেও আদতে এটি একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ঘরানার পুতুল।

queen victoria

কিন্তু রানীর সঙ্গে ‘নাড়ির’ যোগ কোথায়? ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যাচ্ছে, শিল্পী থেকে পুতুল-গবেষক প্রায় সকলেই একবাক্যে স্বীকার করেন যে,মূলত কোনো রক্তমাংসের রানীই এই পুতুলের আদর্শ। আর সেই পথ ধরেই ইতিহাসের পাতা ঘাঁটলে এই পুতুলের নামকরণ বা প্রচলন সম্পর্কিত বিশেষ তথ্য উঠে আসে। ইংল্যান্ডের রানী ভিক্টোরিয়ার ভারতপ্রীতি তৎকালীন সমাজের বহু মানুষকেই মুগ্ধ করেছিল। রদ করেছিলেন ‘ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি’র শাসন।

রানির এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছিলেন ভারতবর্ষের বহু মানুষ। যার প্রভাব ভারতের শিল্প-সংস্কৃতি-সাহিত্যেও।লোকসংস্কৃতি গবেষকদের মতে,দক্ষিণ পাতিহাল ও জগৎবল্লভপুরের নরেন্দ্রপুর গ্রামের পুতুল শিল্পীরা যে পুতুল বানালেন তার মধ্যে নিয়ে এলেন রানী ভিক্টোরিয়ার দেহ-চুলের গঠন।আর এভাবেই হাওড়া জেলার সংস্কৃতিতে স্থান করে নিলেন কয়েক হাজার মাইল দূরে থাকা রানী ভিক্টোরিয়া।

বঙ্গ সমাজ,সভ্যতা ও সংস্কৃতির অন্যতম উপাদান পুতুল।বহু প্রাচীনকাল থেকেই পুতুলের প্রচলন। বাংলার বিভিন্ন স্থানে খনন কার্য চালিয়ে পোড়া মাটির পুতুল পাওয়া গিয়েছে। তার মাধ্যমেই প্রমাণিত হয় বাংলার জনসমাজকে পুতুলের মাধ্যমে চিত্রিত করার এক প্রবণতা সুপ্রাচীন কাল থেকেই চলে আসছে।

বাংলার বুকে বিভিন্ন রকমের পুতুলের প্রচলন আছে। যদিও কালের নিয়মে আজ বেশিরভাগেরই ঠাঁই হয়েছে ইতিহাসের পাতায়, মিউজিয়ামের টেবিলে। ফেসবুক,হোয়াটসঅ্যাপের যুগে গ্রাম বাংলার বুক থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে পুতুলখেলা শৈশবও। অন্যতম রানী পুতুল। শিল্পপাগল মানুষের হাতে ধরে হাওড়া জেলার শিল্প,সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ধারাকে যা বহন করে নিয়ে চলেছে।

]]>