Viral Hepatitis – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Sun, 14 Nov 2021 05:51:51 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Viral Hepatitis – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 ভাইরাল হেপাটাইটিস: নিজের লিভারকে সুরক্ষিত রাখুন এই ভাবে https://ekolkata24.com/lifestyle/viral-hepatitis-protect-your-liver-this-way Sun, 14 Nov 2021 05:51:51 +0000 https://ekolkata24.com/?p=11244 নিউজ ডেস্ক, কলকাতা: লিভার একটি গুরুত্বপূর্ণ দেহযন্ত্র, যা পুষ্টি উপাদানের প্রক্রিয়াকরণ ঘটায়, রক্ত পরিশোধন করে এবং সংক্রমণের মোকাবিলা করে। “হেপাটাইটিস” হল লিভারের প্রদাহ। লিভারের প্রদাহ দেখা দিলে, এক সময় ক্ষতর সৃষ্টি হয় এবং কার্যকারিতা ব্যহত হয়।

বেশী অ্যালকোহল পান, টক্সিন, ওষুধ, প্রাকৃতিক উপায় এবং বিরলক্ষেত্রে জিনগত কারণেও হেপাটাইটিস হতে পারে। তবে, হেপাটাইটিস সাধারণত ভাইরাসের কারণে ঘটে। ভারতে, সবথেকে বেশী দেখা ভাইরাল হেপাটাইটিস হল হেপাটাইটিস এ, হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি ও হেপাটাইটিস ই।

সংক্রমণ প্রণালী
ভাইরাল হেপাটাইটিস হয় দূষিত খাবার বা জল (এ, ই) অথবা রক্ত ও দেহজ তরলের (বি, সি) মাধ্যমে ছড়ায়। জল ও খাবারের মাধ্যমে ছড়ানো ভাইরাস বেশীরভাগ সময় সীমিত সক্রিয়তাযুক্ত হয়, ফলে সম্পূর্ণ সমাধান সহ তীব্র অসুস্থতা সৃষ্টি করে। রক্তে থাকা ভাইরাস (বি, সি) ভয়ঙ্কর হয় এবং দেহে দীর্ঘ সময় থেকে ক্ষত, লিভার ক্যানসার ও লিভার সিরোসিস তৈরি করে।

জলের ভাইরাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাহীন পরিস্থিতিতে মানুষের বর্জ্য (মল বা থুতু) থেকে সংক্রামিত হয়ে জল ও খাবারে ছড়ায়। হেপাটাইটিস এ সাধারণত পরিবারের মধ্যে এবং নিকট যোগাযোগ থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে থুতু অথবা মলের মাধ্যমে (হাত ভালোভাবে না ধুলে) ছড়ায়। হাত ধোয়া ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার অভাব ঘটলে, রেস্টুরেন্ট গ্রাহকদের মধ্যে এবং ডেকেয়ার সেন্টারের কর্মী ও শিশুদের মধ্যে জলের হেপাটাইটিস ছড়ানো খুব সাধারণ ব্যাপার।

রক্তের হেপাটাইটিস ভাইরাস (বি, সি) ছড়ায় যখন একজন আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত অথবা দেহজ তরল অন্য ব্যক্তির দেহে পৌঁছায়। এইচবিভি ছড়াতে পারে যৌন মিলনের জন্য, ড্রাগের নেশায় ব্যবহৃত সূচ একাধিক ব্যক্তি ব্যবহার করলে, আকস্মিকভাবে সূচ ফুটে গেলে, রক্ত নিলে, হিমোডায়ালিসিস হলে এবং মায়ের থেকে সদ্যজাত বাচ্চার দেহেও ছড়াতে পারে। ট্যাটু, বডি পিয়ার্সিং, একই ক্ষুর ও টুথব্রাশ ব্যবহার করলেও সংক্রমণ হতে পারে।

ভাইরাল হেপাটাইটিসের উপসর্গ ও লক্ষণগুলি কি কি?
হেপাটাইটিসের সংস্পর্শে আসা ও অসুস্থতা সৃষ্টি হওয়ার মধ্যবর্তী সময়কে “ইনকিউবেশন পিরিয়ড” বলা হয়। ভাইরাস অনুযায়ী এই সময়কাল বদলে যায়। হেপাটাইটিস এ এবং হেপাটাইটিস ই ভাইরাসের ইনকিউবেশন পিরিয়ড হল ২ থেকে ৬ সপ্তাহ আবার হেপাটাইটিস বি ও সির ক্ষেত্রে এই সময়কাল হল ২ থেকে ৬ মাস।

উপসর্গ – জটিল হেপাটাইটিস
জটিল ভাইরাল হেপাটাইটিসের উপসর্গ হল ফ্লুয়ের লক্ষণ, ক্লান্তি, গাঢ় প্রস্রাব, হালকা রঙের প্রস্রাব, জ্বর, বমি ও জণ্ডিস (ত্বক ও চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যায় )। তবে, এই ভাইরাসগুলির সংক্রমণের ক্ষেত্রে সমস্ত উপসর্গ দেখা যায় না এবং অনেক সময় বুঝতেও পারা যায় নাল। বিরল ক্ষেত্রে, তীব্র ভাইরাস হেপাটাইটিসের ফলে লিভারের কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায় (কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিনের মধ্যে লিভারের কার্যকারিতার চরম অবনতি ঘটে)। এই ধরণের তীব্র হেপাটাইটিসের চিকিৎসার ক্ষেত্রে হাসপাতালে লিভার প্রতিস্থাপন করতে হয় কারণ এই তীব্র, আকস্মিক হেপাটাইটিসের মৃত্যু হার অত্যন্ত বেশী, লিভার প্রতিস্থাপন না হলে প্রায় 80%।

ভাইরাস হেপাটাইটিসের কারণে লিভারের ক্ষতি রোধ করতে জীবনযাত্রার নিয়ন্ত্রণ এবং সতর্কতা
পানীয় জল যেন পরিষ্কার হয়। সবথেকে ভালো হয় যদি ক্যান্ডেল টাইপ ফিল্টার সহ (হায়দ্রাবাদের বেশীরভাগ বাণিজ্যিকভাবে উপলব্ধ ওয়াটার পিউরিফায়ারে ক্যান্ডেল ফিল্টার থাকে, বিশেষ করে যে সব অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে বোরওয়েলের জল ব্যবহার করা হয়, সেখানে অতিরিক্ত ক্যান্ডেল ফিল্টার ইনস্টল করা উচিৎ), ইউভি এবং/অথবা আরও মেথডযুক্ত ওয়াটার পিউরিফায়ার ইনস্টল করা যায়। বাড়ির বাইরে গেলে ভালো ব্র্যান্ডের ও

বিশ্বাসযোগ্য রিটেলারের কাছ থেকে মিনারেল ওয়াটার কিনে নিতে হবে।
রাস্তার ধারের খাবার খাওয়া এড়িয়ে যেতে হবে, বিশেষ করে ফলের রস, মিস্কশেক। নাপিতের দোকান, বিউটি স্যালনে যেন ভালোভাবে স্টেরিলাইজ না করে একই ক্ষুর, মেটাল স্ক্র্যাপার দিয়ে একাধিক ব্যক্তির ত্বক থেকে ব্ল্যাকহেড, হোয়াইটহেড তোলা না হয়, কারণ ের ফলে সংক্রমণের উচ্চ সম্ভাবনা থাকে। এইচসিভির তুলনায় হেপাটাইটিস বি-এর ক্ষেত্রে যৌন সংক্রমণ বেশী হয়। সুরক্ষিতভাবে যৌন অভ্যাস বজায় রাখতে হবে। ইনট্রাভেনাস ড্রাগ ইউজ (আইভিডিইউ) ভারতীয় ক্যাম্পাসগুলিতে মহামারীর আকার ধারণ করেছে। সূচ ভাগ করে নেওয়া বিশেষ করে ব্যবহারকারী যখন পূর্ণ জ্ঞানে থাকবে না। এর ঝুঁকি সম্পর্কে নিজের বাচ্চাদের সচেতন করুন। হেপাটাইটিস এ ও বি টিকার দ্বারা প্রতিরোধ করা সম্ভব। টিকার দ্বারা প্রতিরোধক্ষম একমাত্র ক্যানসার হল হেপাটাইটিস বির ফলে হওয়া লিভার ক্যানসার। এইচবিভি ও এইচসিভির নিষ্ক্রিয় দীর্ঘস্থায়ীত্ব প্রাথমিক পর্যায়েই শনাক্ত করতে হবে। উভয় ভাইরাসের জন্যই কার্যকরী চিকিৎসা উপলব্ধ আছে যা থেকে লিভার ক্যানসার ও লিভার সিরোসিস ঘটতে পারে।

তীব্র লিভার ব্যর্থতার ক্ষেত্রে গভীর কোমায় চলে যাওয়া (গ্রেড 4 হেপাটিক এন্সেফালোপ্যাথী) রোগীর মৃত্যুহার প্রায় ৬০- ৮০ শতাংশ। এই রোগীদের বিশেষ লিভার আইসিইউতে চিকিৎসা করত হবে, যেখানে লিভার প্রতিস্থাপনের সুবিধা পাওয়া যাবে।

ক্রনিক হেপাটাইটিস বি-এর ক্ষেত্রে, যাদের সক্রিয় অসুস্থতা আছে (লিভারের প্রদাহ, লিভারে উচ্চমাত্রার উৎসেচক, লিভারের ক্ষত ইত্যাদি) শুধুমাত্র তাদেরই চিকিৎসা হয়। যাদের এই অসুস্থতাগুলি থাকে না তাদের ফলো আপ করা হয় ও লিভার ক্যানসারের (এইচসিসি) জন্য তত্বাবধানে রাখা হয়।

ক্রনিক হেপাটাইটিস সি-এর ক্ষেত্রে, অত্যন্ত কার্যকরী ওষুধ উপলব্ধ আছে যাদের ডাইরেক্টলি অ্যাক্টিং অ্যান্টিভাইরাল (ডিএএএস) বলা হয়। লিভারের অসুখের শেষ পর্যায়ে (লিভার ক্ষয়) চলে যাওয়া রোগীদের সাবধানতার সঙ্গে চিকিৎসা করতে হবে, কারণ এই ওষুধগুলি এই ক্ষেত্রে লিভারের কার্যকারিতা নষ্ট হওয়া বাড়িয়ে দিতে পারে।

]]>