Vivekananda – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Tue, 12 Oct 2021 08:11:14 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Vivekananda – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 Durga Puja 2021: রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ-সারদা দেবীর পদধূলিতে ধন্য এই পরিবারের দুর্গাদালান https://ekolkata24.com/offbeat-news/durga-puja-2021-in-this-house-vivekananda-has-taken-his-diksha Tue, 12 Oct 2021 08:11:14 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=7415 বিশেষ প্রতিবেদন: এ বাড়ির দুর্গা দালানে পা পড়েছে শ্রী রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ, এবং সারদা দেবীর। আর সেই সূত্রেই বাড়ির সদস্য মজেন রামকৃষ্ণ প্রেমে। নরেন্দ্রনাথের সঙ্গে ধুনি জ্বেলে নেন দীক্ষা। এমনই ইতিহাস আঁটপুরের ঘোষ পরিবারের বড় তরফের বাবুরাম ঘোষের পুজোর।।

হুগলী জেলার বর্ধিষ্ণু গ্রাম আঁটপুরের ঘোষ পরিবারের ২৯০ বছরের প্রাচীন দুর্গাপূজা । আঁটপুরের ঘোষ পরিবারের বড় তরফের বাবুরাম ঘোষ সেই ১৮৮৬ খ্রীষ্টব্দের ২৪ শে ডিসেম্বর শীতের রাতে নিজের বাড়ির সামনে অশ্বত্থ গাছের তলায় ধুনি জ্বেলে সংকল্প করেছিলেন শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণদেবের শিষ্যত্ব নেবেন। তিনি একা নন। সঙ্গে ছিলেন আরও আট জন। তাঁরা হলেন — (দীক্ষার পরের নাম) — বিবেকানন্দ, অভেদানন্দ, শিবানন্দ, অখন্ডানন্দ, ত্রিগুণ্যাতীতানন্দ, সারদানন্দ, নিরঞ্জনানন্দ এবং শশি মহারাজ। বাবুরামের পরিচয় হ’ল …. স্বামী প্রেমানন্দ হিসেবে। …তবে সেই… অশ্বত্থ গাছ আজ আর নেই। নেই অবিকল সেই পরিবেশ। কিন্তু সেই পবিত্রস্থানে দাঁড়িয়ে আছি ভাবলে গৌরব বোধের শিহরণে গায়ে কাঁটা দেয়। প্রেমানন্দ তাঁদের অংশের বাড়ি জমিজমা পুকুর সবই দান করে যান রামকৃষ্ণ মিশনকে। তাঁর সেই বাড়িতেই এখন শ্রীরামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ। তৈরি হয়েছে ধুনিমন্ডপ, দুর্গাপূজার নাটমঞ্চ, সাধুদের আবাসন, প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্র ইত্যাদি।

এগুলি হবার বহু আগেই শ্রী রামকৃষ্ণ এখানে পদার্পণ করেছিলেন ১৮৫৪ – ৫৫ সালের দুর্গাপূজায়। মা সারদা ১৮৮৯ ও ১৮৯৪ এ। এবং স্বামী বিবেকানন্দ ১৮৮৬, ১৮৮৭ ও ১৮৮৯ তে। শ্রীরামকৃষ্ণ দেবের ভক্তজনের কাছে আঁটপুর তাই এক মহাস্মৃতিতীর্থ। ৫০০ বছরের ইতিহাসে যাঁদের সংস্কৃতি দ্যোতনার অজস্র সাক্ষ্য এখনও অসামান্য। বাবুরাম ঘোষ (স্বামী প্রেমানন্দ) এর পরিবার বড় ঘোষ বাড়ি… আজকের রামকৃষ্ণ মিশনের অন্তর্ভুক্ত।।

ছোট ঘোষ বাড়ির ঐতিহ্য পূর্ণ দুর্গাপূজো শুরু হয়েছিল ১১৪৯ বঙ্গাব্দের বা ১৭৩২ খ্রীষ্টাব্দে। রামধন ঘোষ এই পূজোর প্রচলন করেন।প্রথম দিকে কাঠ- বাশ- খড়ের আটচালা য় পূজা শুরু হয়েছিল। পরবর্তী কালে তাহা জীর্ণ হয়ে যাওয়ার ,১২২২ সালে এই পাকা দালান নির্মিত হয়। এই পরিবারের … স্বর্গীয় রাম সুধীর ঘোষের পুত্র স্বর্গীয় রাম সুনীল ঘোষ অত্যন্ত নিষ্ঠা পুর্বক দায়িত্ব নিয়ে ঐতিহ্য বহন করেছিলেন।স্ব্র্গীয় রামবহ্ম ঘোষের পরিবার ও এই পূজোর সাথে যুক্ত ছিলেন।

বর্তমানে রামতপন, রামশঙ্কর,রাম রতন, রাম অরুণ, রাম দেবব্রত, রাম কমল, রাম রাতুল,রাম রাহুল, রাম গৌরব, রাম অনিন্দ্য, রাম দেবদূত, রাম রুদ্রাদিত‍্যদের ঐকান্তিক প্রয়াসে পারিবারিক দুর্গোৎসব টিকে ২৯০ বছরের মান্যতায় এনেছেন। ১৯২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত শ্রীশ্রীরাজরাজেশ্বর ট্রাস্টী তৈরী করে দেবত্তর সম্পত্তির আয় থেকে মহামায়া ফান্ডের মাধ্যমে পুজোর আয়োজন করে আসছেন। প্রায় খন্ডহরে পরিণত ঘোষবাড়ির দরদালান, বাড়ি, ঠাকুরদালান ও কুলবিগ্রহ রাখার দোতলা ভবন ইত্যাদিকে ভবিষ্যতে হেরিটেজ স্পট এবং সুসংস্কৃত রূপ দেওয়া যায় কিনা, সে ব্যাপারে। রামকৃষ্ণ মিশনের সঙ্গেও এঁদের নিয়মিত যোগাযোগের ঘাটতি নেই।

কলকাতা, সন্নিহিত শহরাঞ্চল, নানান জেলা, এমনকি বিদেশী প্রবাসীরাও আসেন এবাড়ির শারদীয়া দুর্গোৎসবে। ক্রমবর্ধিষ্ণু থিম পূজোর বংশ যতই রক্তবীজ হচ্ছে, আসল পূজার আন্তরিকতা এবং নিষ্ঠাও আনুপাতিকভাবে কমছে। সম্প্রতি ঘোষ বাড়ির বিবাহিত মেয়েরা ও জড়িত আছে পূজোর সাথে। জৌলুস না থাকলেও আন্তরিকতার অভাব নেই এই পূজায়।

]]>
রবীন্দ্রনাথ-বিবেকানন্দ-নেতাজীর সঙ্গে তুলনা সৌরভের, দ্বিধাবিভক্ত সোশ্যাল মিডিয়া https://ekolkata24.com/offbeat-news/netizen-compares-sourav-with-swamiji-rabindranath-netaji Tue, 28 Sep 2021 08:23:27 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=5816 নিউজ ডেস্ক: শিক্ষায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সাহসিকতায় নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস। আর প্রশাসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক এই কায়দাতেই বিধানসভা ভোটের আগে বিরোধীদের বিঁধেছিলেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। অনেকে বাঙালিই রাজনীতির ছোঁয়াচ এড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলে বলেন শিক্ষায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সাহসিকতায় নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস। আর খেলায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু সত্যিই কি রবীন্দ্রনাথ-বিবেকানন্দ-সুভাষচন্দ্রের সঙ্গে একাসনে বসানো যায় বাঙালির স্পোর্টস আইকনকে? এই নিয়েই এবার জোর তরজা সোশ্যাল মিডিয়ায়।

এই পোস্টেই দ্বিধাবিভক্ত সোশ্যাল মিডিয়া।

ঘটনার সূত্রপাত একটি পরিচিত ফেসবুক গ্রুপে, যার মেম্বার সংখ্যা প্রায় ৫৩ হাজার। সুতনু দে নামের জনৈক নেটনাগরিক একটি পোস্ট করেন বাঙালির আইকনদের নিয়ে। চারটি ছবির ওই কোলাজে প্রথম ছবিটিই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। বাকি তিনজন হলেন স্বামী বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং সুভাষচন্দ্র বসু। তিনজনই শুধু বাঙালির নন, গোটা দেশের পূজিত। রক্তমাংসের মানুষ হলেও যারা মহাপুরুষ, প্রাতঃস্মরণীয়। অন্যদিকে খেলার দুনিয়ায় বাঙালিকে এক অন্য ছবি দেখিয়েছেন সৌরভ। ক্রিকেটার বা জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে অফুরন্ত কৃতিত্বই শুধু না, বেহালার ছেলের লর্ডসের ব্যালকনিতে খালি গায়ে জামা ঘোরানো বা দুবাইয়ের স্টেডিয়ামে পায়ের ওপর পা তুলে বিশ্বের ক্রিকেট শাসন করতে দেখেও রোমাঞ্চিত হয় বাঙালিরা। কিন্তু তারপরেও তাকে কোনওভাবেই কি ওপরের তিনজনের সঙ্গে বসানো যায়? এই নিয়েই দ্বিধাবিভক্ত নেটদুনিয়া।

অনেকেই জানিয়েছেন, সৌরভ নিজের জায়গায় সেরা। দেশকে বহু সাফল্য এনে দিয়েছেন। বেটিং করে অস্তাচলে চলে যাওয়া ভারতীয় ক্রিকেটের আকাশে নতুন সুর্যোদয় ঘটিয়েছেন। ফলে তাঁকে মহাপুরুষদের সঙ্গে তুলনা করাই যায়। যদিও বেশীরভাগ নেটিজেনই ভিন্নমত পোষন করেছেন। বিসিসিআই প্রেসিডেন্টকে বাঙালির তিন আদর্শের সঙ্গে তুলনা করাকে একেবারেই ভালো চোখে নেননি তাঁরা। রীতিমতো একহাত নিয়েছেন পোস্টদাতাকে। বিধানসভা ভোটের আগে গুঞ্জন উঠেছিল ভারতীয় জনতা পার্টিতে যাচ্ছেন সৌরভ, যা ভালোভাবে নেননি তাঁর বহু অনুগামীই। তা শেষে সত্যি না হলেও বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হওয়ায় সৌরভ যথেষ্ট ঘনিষ্ট অমিত শাহ’র পুত্র জয় শাহের (বিসিসিআই সচিব)। ফলে শুধু খেলার রেকর্ডে নয়, প্রতিনিয়ত সৌরভকে কাঁটাছেড়া করা হচ্ছে রাজনৈতিক আঙ্গিকেও। পোস্টের বিরোধীতা বাড়ার সেটাও অন্যতম কারণ।

]]>