wages – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Mon, 17 Mar 2025 14:51:23 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png wages – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 বিজেপি শাসিত রাজ্যে নির্মাণ শ্রমিকদের মজুরি সবচেয়ে কম https://ekolkata24.com/business/%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%9c%e0%a7%87%e0%a6%aa%e0%a6%bf-%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%a4-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a7%8d Mon, 17 Mar 2025 14:51:23 +0000 https://ekolkata24.com/?p=50733 ভারতের গ্রামীণ এলাকায় নির্মাণ শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি (Construction Workers Wages) নিয়ে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (RBI)-এর সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান এক উদ্বেগজনক চিত্র তুলে ধরেছে। তথ্য অনুযায়ী, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে নির্মাণ শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। বিশেষ করে মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, ওড়িশা, বিহার ও উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলিতে শ্রমিকদের আয় জাতীয় গড়ের (₹৪১৭.৩) নিচে রয়েছে।

বিজেপি শাসিত রাজ্যে নিম্নতম মজুরি
পরিসংখ্যান অনুসারে, মধ্যপ্রদেশে নির্মাণ শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি মাত্র ₹২৯২.৪, যা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। বিজেপি শাসিত গুজরাটে মজুরি ₹৩৪৪.৪, ওড়িশায় ₹৩৫৫.২, বিহারে ₹৩৬৫.৭ এবং উত্তরপ্রদেশে ₹৩৭৬.৬। এই রাজ্যগুলিতে নির্মাণ শ্রমিকরা প্রতিদিন গড়ে মাত্র ₹৩০০-₹৩৭০ আয় করেন, যা জীবিকা নির্বাহের জন্য অপ্রতুল। অন্যদিকে, বিজেপি শাসিত রাজ্য রাজস্থানে এই মজুরি ₹৪৩২.৭ টাকা। আর কংগ্রেস শাসিত কর্ণাটকে ₹৪৫৭.৬, যা কিছুটা ভালো হলেও জাতীয় গড়ের তুলনায় কম।

অন্য রাজ্যের তুলনায় বিশাল পার্থক্য
অন্যদিকে, কেরালা, তামিলনাড়ু, হিমাচল প্রদেশ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের মতো অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে শ্রমিকদের মজুরি তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। কেরালায় দৈনিক মজুরি ₹৮৯৩.৬, যা মধ্যপ্রদেশের তুলনায় তিনগুণেরও বেশি। তামিলনাড়ুতে এটি ₹৫৩৯.৭, হিমাচল প্রদেশে ₹৫২৬.৯ এবং অন্ধ্রপ্রদেশে ₹৫২৪.৫। এসব রাজ্যে নির্মাণ শ্রমিকদের আয় অনেকটাই বেশি, যা তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সাহায্য করে।

বিজেপি শাসিত রাজ্যে মজুরি কম থাকার কারণ
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে নির্মাণ শ্রমিকদের মজুরি কম থাকার পেছনে কয়েকটি মূল কারণ রয়েছে—
১. শ্রম নীতির অভাব: বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির অধিকাংশে শ্রম আইনের কঠোর প্রয়োগ নেই এবং শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষার দিকে খুব একটা নজর দেওয়া হয় না।
2. শিল্পায়নের অভাব: মধ্যপ্রদেশ, বিহার, ওড়িশা ও উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলিতে পর্যাপ্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান ও নির্মাণ প্রকল্পের অভাব রয়েছে, যা শ্রমিকদের জন্য ভালো মজুরি নিশ্চিত করতে পারত।
৩. অসংগঠিত শ্রম বাজার: এসব রাজ্যে নির্মাণ শ্রমিকদের বেশিরভাগই অসংগঠিত শ্রম বাজারের অন্তর্ভুক্ত, যেখানে তারা নিয়মিত কাজ পান না এবং ন্যূনতম মজুরির অধিকারও প্রায়শই লঙ্ঘিত হয়।
৪. কেন্দ্রের ভূমিকা: কেন্দ্রীয় সরকারের নীতিও মজুরির হ্রাসের একটি কারণ বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির অধীনে শ্রমিকদের যথাযথ মজুরি দেওয়া হচ্ছে না এবং সরকারি নিয়ন্ত্রণও অনেক ক্ষেত্রে শিথিল রাখা হয়েছে।

শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদি এই নিম্ন মজুরির প্রবণতা চলতে থাকে, তবে ভবিষ্যতে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির শ্রমিকরা ব্যাপক আর্থিক সংকটে পড়তে পারেন। অনেক শ্রমিক ইতোমধ্যে উচ্চ মজুরির আশায় দক্ষিণ বা পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলিতে পাড়ি জমাচ্ছেন, যার ফলে স্থানীয় অর্থনীতির উপরও বিরূপ প্রভাব পড়ছে।

এছাড়া, বর্তমান মুদ্রাস্ফীতির হার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধির ফলে এই কম মজুরি শ্রমিকদের জীবনযাত্রাকে আরও কঠিন করে তুলছে। সরকারের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে শ্রমিকদের জন্য উপযুক্ত মজুরি নিশ্চিত করা, যাতে তারা ন্যূনতম জীবনযাত্রার মান বজায় রাখতে পারেন।

রিজার্ভ ব্যাংকের এই পরিসংখ্যান স্পষ্টভাবে দেখাচ্ছে যে, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে নির্মাণ শ্রমিকদের মজুরি অত্যন্ত কম, যা তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথে বড় বাধা। শ্রমিকদের সুরক্ষা ও ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করতে রাজ্য সরকারগুলির উচিত নীতিগত পরিবর্তন আনা এবং কেন্দ্রীয় সরকারেরও উচিত এই সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। নাহলে ভবিষ্যতে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি আরও বেশি শ্রমিক সংকটের মুখোমুখি হতে পারে।

]]>
অর্থ সঙ্কটে জেরবার মোদি সরকার দিতে পারছে না ১০০ দিনের কাজের মজুরির টাকা https://ekolkata24.com/uncategorized/modi-government-is-unable-to-pay-100-days-wages-due-to-the-financial-crisis Sun, 31 Oct 2021 10:14:59 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=9817 News Desk, New Delhi: করোনাজনিত কারণে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। বিশেষ করে শ্রমিক শ্রেণির মানুষ কাজ হারিয়েছে সবচেয়ে বেশি। কাজ হারানো এই সমস্ত শ্রমিকদের মধ্যে তাই ১০০ দিনের কাজের চাহিদা বিপুল বেড়েছে। ১০০ দিনের কাজের চাহিদা এতটাই বেড়েছে যে, তার জন্য শ্রমিকদের মজুরি দিতে গিয়ে জেরবার হচ্ছে অর্থ সঙ্কটে ভোগা নরেন্দ্র মোদি সরকার।

পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১০০ দিনের কাজের একরকম চাহিদা ছিল। কিন্তু ২০২০ সালে করোনাজনিত কারণে সেই চাহিদা অনেকটাই বেড়েছে।

সাধারণত গ্রামের বহু মানুষ বিভিন্ন কলকারখানায় বা নির্মাণ ক্ষেত্রে শ্রমিকের কাজ করতেন। কিন্তু লকডাউনের ফলে লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক কাজ হারিয়ে নিজেদের গ্রামে ফিরে এসেছেন। স্বাভাবিকভাবেই গ্রামে ফিরে তাঁরা চাইছেন ১০০ দিনের কাজ।

মোদি সরকার মনে করেছিল, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ১০০ দিনের কাজের চাহিদা বেশি থাকলেও ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তা কমে আসবে। সেই মতই বাজেটে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে মোদি সরকার বরাদ্দ করেছিল এক লাখ ১১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। কিন্তু ২০২১-২২ অর্থবর্ষে বরাদ্দ কমিয়ে করা হয় ৭৩ হাজার কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অর্থ সঙ্কটে ভোগার কারণেই মোদি সরকার ১০০ দিনের কাজে বরাদ্দ কমিয়েছিল।

কিন্তু বাস্তব ছবিটা একেবারেই ভিন্ন। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ১০০ দিনের কাজের চাহিদা সামান্য কমলেও প্রত্যাশামতো কমেনি। কিন্তু সরকারের হাতে অর্থ নেই। ফলে এইসব শ্রমিকদের মজুরি মেটাতে গিয়ে প্রবল সঙ্কটে পড়েছে মোদি সরকার। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রকে বাজেট বরাদ্দের তুলনায় আরও বেশি অর্থ দেওয়ার আশ্বাস দিতে হয়েছে।

আর্থিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে। সে কারণেই মোদি সরকার বাধ্য হয়ে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে। এই মুহূর্তে করোনাজনিত পরিস্থিতিতে শ্রমিকরা যে চরম সঙ্কটে পড়েছেন তা থেকে বেরিয়ে আসার অন্যতম হাতিয়ার ১০০ দিনের কাজ।

]]>