West Bengal Assembly Election – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Tue, 31 Aug 2021 19:45:45 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png West Bengal Assembly Election – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 একে একে কমিছে বিধায়ক, বঙ্গে ক্রমশ ব্যাকফুটে বিজেপি https://ekolkata24.com/uncategorized/bjp-mlas-are-returning-to-tmc-again Tue, 31 Aug 2021 19:45:45 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=3550 অনুভব খাসনবীশ: ‘আবকি বার, ২০০ পার (अबकी बार, २०० पार)’, রাজ্যে চলতি বছরের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই কথাটিই শোনা গিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বর মুখে। কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে রাজ্য নেতৃত্ব, পদ্মঝড়ে বিজেপির আসন সংখ্যা ডবল সেঞ্চুরি করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন প্রত্যেকে। যার শুরুটা করেছিলেন বিজেপির সেকেন্ড ইন কমান্ড, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বাংলায় করা প্রত্যেকটি শাহী সফরেই ‘২০০ আসন নিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় আসছে বিজেপি’ শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। অন্যদিকে এর শেষ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয়বার ক্ষমতায় জিতে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, দলের আসনসংখ্যা বাড়িয়েছেন শুধু নয়, আমিত শাহের দলের আসন সংখ্যাকে তিন অঙ্কেও পৌঁছতে দেননি।

আরও পড়ুন উত্তরে বিজেপির ধস নামছে, চিন্তা বাড়ছে দিলীপ-শুভেন্দুর

লক্ষ্যমাত্রার থেকে মাত্র ১২৩ টি আসন কম পেয়ে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হলেও বঙ্গে ভালো উত্থান হয়েছে গেরুয়া শিবিরেরও। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় ৭৪ জন বিধায়ক, প্রায় ২৮% ভোট বেড়েছে তাদেরও। তারপরেই যেন ছন্দপতন বঙ্গ বিজেপিতে। ৭৭.. ৭৬.. ৭৫.. ৭৪.. ৭৩.. ৭২..গত কয়েকদিনে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা এভাবেই বদলেছে। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষের দল ছাড়ার চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বাদগার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। পরপর দু’দিনে দুই বিধায়ক শাসক শিবিরে চলে যাওয়ায় তা দলের কাছে একটা ধাক্কা বলেই মনে করছে বঙ্গ বিজেপির একাংশ। দু’জনেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে গিয়েছিলেন।

ভোটের আগে নিয়মিত বঙ্গসফরে এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ।

ধাক্কাই শুধু নয়, ভোটের আগে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা প্রত্যেক দলবদলুদের দলবদলের একটিই কারণ ছিল, ‘পার্টিতে দমবন্ধ লাগছে কিংবা কাজের পরিবেশ নেই।’ বিজেপি থেকে ফের তৃণমূলে ফিরেই একই কারণ দেখিয়েছেন প্রত্যেকেই। বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিত জানিয়েছেন, ‘‘ভুল বোঝাবুঝির কারণেই তৃণমূল ছেড়েছিলাম। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টিতে কাজের পরিবেশ নেই, দমবন্ধ হয়ে আসছিল। বিজেপি নেতৃত্ব বাংলার আবেগ ধরতে পারেনি।’’ বিশ্বজিতের মতোই বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই একই কারণ দেখিয়ে শিবির বদলেছেন একাধিক নেতা-কর্মী। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী দিনে সংখ্যাটা আরও বাড়বে। গোটা ঘটনায় অস্বস্তিতে পরা বিজেপি নেতৃত্ব যতই ‘ক্ষমতার লোভ’ এর প্রসঙ্গকে সামনে আনুক, বিধানসভা নির্বাচনে দেশের সবচেয়ে ‘আধুনিক’ রাজনৈতিক দলের গেমপ্ল্যান নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।

আরও পড়ুন মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে রাক্ষসী বলে কটাক্ষ বিজেপি বিধায়কের

বিধায়কদের দলত্যাগের পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। শাসক শিবির ভাঙিয়ে এনে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী করে কী লাভ হল? আদি বিজেপি কর্মীদের এই প্রশ্নের মুখেই এখন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, দল ছেড়ে যারা চলে যাচ্ছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই দুই দলত্যাগীকে শুভেন্দু অধিকারী আইনি নোটিস পাঠিয়েও দিয়েছেন। কিন্তু তাতে আদৌ কোনো লাভ হবে ? দেওয়াল লিখন কিন্তু বলছে অন্য কথা, ‘বঙ্গে ক্রমশ ব্যাকফুটে বিজেপি।’

]]>