winning – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Sun, 12 Dec 2021 12:31:47 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png winning – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 বর্ণবিদ্বেষের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে প্রথম ডার্বি ম্যাচ জয়ের “সোনালি কুড়ির দশক” মোহনবাগানের https://ekolkata24.com/offbeat-news/mohun-bagans-golden-twenties-of-winning-the-first-derby-match-against-east-bengal Sun, 12 Dec 2021 12:31:47 +0000 https://ekolkata24.com/?p=14582 Sports desk: ব্রিটিশ শাসিত ভারতে মোহনবাগান ক্লাব ১৯১১ সালে ব্রিটিশ সেনাদল ইস্ট ইয়র্কশায়ার রেজিমেন্টকে হারিয়ে আইএফএ শিল্ড জিতেছিল,এই রেকর্ড সকলেরই জানা। কিন্তু পালতোলা নৌকোর বিজয় রথ কিন্তু এরপরেও থেমে থাকে নি, পালেতে হাওয়া লেগে তরতর করে বয়ে গিয়েছে,যা এখনও অব্যাহত।

সেরকমই ১৯২০ দশক মোহনবাগান ক্লাবের গৌরবময় ইতিহাসের আর এক মাইলস্টোন। কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় কলকাতা এফসি ১৯২০ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এই ফুটবল দল আইএফএ শিল্ড টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালেও উঠেছিল, কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে কুমারটুলি ক্লাবের কাছে ১-২গোলে হেরে গিয়েছিল।

সালটা ১৯২১ ব্রিটিশ ভারতে মুক্তির দাবিতে ধোঁয়া উঠেছে। উত্তাল এই সময়ে মোহনবাগান ক্লাব ডালহৌসি ক্লাব থেকে মাত্র দুই পয়েন্ট পিছিয়ে কলকাতা লিগে রানার্স আপ হয়। এরপরেই চলে আসে মাহেন্দ্রক্ষণ, যখন কলকাতার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে প্রথম ডার্বি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল, ১৯২১’র ৮ আগস্ট কোচবিহার কাপের সেমিফাইনালে। ওই ম্যাচ গোলশূন্যতে ড্র হয়। ১০ আগস্ট রিপ্লে ম্যাচে মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গলকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ভারতীয় ফুটবলে এক নতুন অধ্যায় অভিযানের সূচনা করে।

১৯২২ সালে মোহনবাগান দক্ষিণ আফ্রিকার ভারতীয় ফুটবলারদের একটি দলকে কয়েকটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে আমন্ত্রণ জানায়। আমন্ত্রণী ওই প্রীতি ম্যাচের একটি জিতেছিল এবং অন্যটি হেরেছিল সবুজ মেরুন শিবির। ওই বছর ইস্টবেঙ্গলকে ২-০ গোলে হারিয়ে কোচবিহার কাপ চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান ক্লাব।

১৯২৩ সালে, মোহনবাগান আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে পৌঁছেছিল, কিন্তু বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া কাদা মাঠে কলকাতা ফুটবল ক্লাবের কাছে ০-৩ গোলের হারের জন্য মোহনবাগান ক্লাব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ হাতাছাড়া করে বসে। ওই বছরেই অর্থাৎ ১৯২৩ সালে মোহনবাগান রোভার্স কাপে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছিল। রোভার্সে মোহনবাগান দুরন্ত ফুটবল খেলে ফাইনালে ওঠে। অথচ দুর্ভাগ্যবশত রোভার্স কাপের ফাইনালে ডারহামের লাইট ইনফ্যান্ট্রির কাছে ৪-১ গোলে হেরে গিয়েছিল, কিন্তু এই টুর্নামেন্টে মোহনবাগান ক্লাবের পারফরম্যান্স ব্যাপক সমর্থন আর প্রশংসার ঝুলিতে ভরে উঠেছিল।

১৯২৪ সাল মোহনবাগান ক্লাবের ইতিহাসে প্রশাসনিক স্তরে এক বড় দুঃসময় নেমে আসে। ক্লাব তার একজন বড় শুভাকাঙ্ক্ষী প্রথম ক্লাব সভাপতি ভূপেন্দ্র নাথ বসুকে হারায়। প্রথম ক্লাব সভাপতির প্রয়াণের পর স্যার রাজেন্দ্র নাথ মুখোপাধ্যায় মোহনবাগান ক্লাবের নতুন সভাপতি হন। দ্বিজেন্দ্র নাথ বসু এবং ডিএন গুইনকে ক্লাবের অনারারি জয়েন্ট সেক্রেটারি নির্বাচিত করা হয়।

১৯২৫ ডুরান্ড কাপে খেলার জন্য প্রথম ভারতীয় ফুটবল ক্লাব দল হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়ে মোহনবাগান ক্লাব আরও একটি ইতিহাস তৈরি করেছিল। ব্রিটিশ শাসিত ভারতে, শুধুমাত্র ব্রিটিশ সামরিক দলগুলোরই ডুরান্ড কাপে অংশগ্রহণের একমাত্র অধিকার ছিল। মোহনবাগান ক্লাব প্রথম রাউন্ডে রয়্যাল বার্কশায়ার রেজিমেন্টকে, দ্বিতীয় রাউন্ডে ইয়র্ক ল্যাঙ্কাস্টার রেজিমেন্টকে এবং তৃতীয় রাউন্ডে এসেক্স রেজিমেন্টকে পরাজিত করে সেমিফাইনালে পৌঁছেছিল। ডুরান্ডের সেমি-ফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইতে

সেরউড ফরেস্টের কাছে হেরে যায়, মোহনবাগান। ওই বছরেই ক্লাব কলকাতা লিগে কলকাতা এফসি থেকে মাত্র এক পয়েন্ট পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। দ্বিজেন্দ্র নাথ বোস ক্লাবের সাম্মানিক সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ১৯২৫’এ।

১৯২৬ সালে আইএফএ শিল্ডের তৃতীয় রাউন্ডে পৌঁছেছিল মোহনবাগান ক্লাব। কিন্তু শিল্ডে ফের শক্ত গাট সেরউড ফরেস্টের কাছে হেরে যায় এবং ডারহামের লাইট ইনফ্যান্ট্রির কাছে ডুরান্ড কাপও হেরে যায়।

শুধুমাত্র ক্রীড়াক্ষেত্রেই নয়, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় বিপর্যয় সময়েও মোহনবাগান ক্লাব প্রতিষ্ঠান নিজেদের প্রাতিষ্ঠানিক দায়বদ্ধতাকে এড়িয়ে যায় নি, উল্টে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল দুর্গত মানুষদের পাশে এসে দাঁড়িয়ে প্রতিকূল রাষ্ট্রীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থার সঙ্গে ঝুঁঝে।

১৯২৭ সালে গুজরাত এক ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিল এবং গুজরাটের জনগণকে সহায়তা করার জন্য একটি বন্যা ত্রাণ তহবিল তৈরি করেছিল ওই সময়ে মোহনবাগান ক্লাব পরাধীন ভারতে। এই বিপর্যয়ে তহবিল সংগ্রহের জন্য মোহনবাগান ক্লাব তৎকালীন বোম্বেতে বর্তমানে মুম্বই’তে কয়েকটি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলে। ওই বছরে ক্লাব হাজারীবাগের গভর্নর কাপ জিতেছিল। কিন্তু সিমলায় আয়োজিত হওয়া ডুরান্ড কাপে

সামাদ, বলাইদাস চ্যাটার্জির মতো কিছু দুর্দান্ত খেলোয়াড়ের উপস্থিতিতেও আশানুরূপ পারফরম্যান্সের ছাপ ফেলতে পারেনি গঙ্গা পাড়ের ক্লাব। ওই বছর, মোহনবাগান আইএফএ শিল্ড টুর্নামেন্টে উইল্টশায়ার রেজিমেন্টের কাছে ২-১ গোলে হেরে গিয়েছিল।

১৯২৮ সালে, মোহনবাগান প্রথমবারের মতো পাওয়ার লীগ, চতুর্থবার কোচবিহার কাপ এবং তৃতীয়বারের মতো লক্ষ্মীবিলাস কাপ জিতেছিল। সবুজ মেরুন শিবির কলকাতা ফুটবল লিগে তৃতীয় স্থান অধিকার করে। লিগের প্রথম দিকে সবকটি ম্যাচ জিতে শুধুমাত্র ডালহৌসি এসি’র কাছে হেরে যায়, ১৯২৮ লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ডালহৌসি এসি। ওই একই বছরে আইএফএ শিল্ডেও ডালহৌসি এসি’র বাধা টপকাতে পারেনি মোহনবাগান।শিল্ডেও একই ক্লাবের কাছে হেরে গিয়েছিল মোহনবাগান ক্লাব।

ব্রিটিশ ভারতে, ১৯২৯ সালে ডালহৌসি ক্লাব এবং মোহনবাগান ক্লাবের মধ্যে কলকাতা লীগের ম্যাচে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, বর্ণ বিদ্বেষের বিরুদ্ধে প্রায় সমস্ত ভারতীয় ক্লাব দল আইএফএ এবং কলকাতা লীগ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেয়৷

কিন্তু ওই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি থেকে তৈরি হওয়া বিবাদের জল বেশি দূর গড়ায়নি। একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সমঝোতার মধ্যে দিয়ে সমস্ত ক্লাব দল সম্মতিতে হ্যাপি এন্ডেডিং ঘটেছিল ঘুমোট আবহাওয়ার। ভারতীয় ক্লাব দলগুলো আইএফএ কাউন্সিলে ইউরোপীয় ক্লাবগুলির সাথে সমান প্রতিনিধিত্ব অর্জন করেছিল। কেননা ব্রিটিশ ভারতে আইএফএ’র গর্ভনিং বডির সদস্যদের সংখ্যাগোরিষ্ঠতা ছিল গোরাদের (ব্রিটিশদের)।

ভারতীয় ক্লাবগুলি তাদের নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিয়ে পরবর্তী আইএফএ শিল্ড এবং কলকাতা লীগে অংশগ্রহণ করে।

লীগ প্রতিযোগিতায় মোহনবাগান দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে, ডালহৌসি এসি চ্যাম্পিয়ন হয়। মোহনবাগান ক্লাব আইএফএ শিল্ডের চতুর্থ রাউন্ডে ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী দল রয়্যাল আইরিশ ফুসিলিয়ার্সের কাছে হেরে গিয়েছিল। মোহনবাগান ডুরান্ড কাপে অংশ নিলেও স্যান্ডেমানিয়ানদের কাছে হেরে যায়।

]]>
Ali Akbar: ইসলাম ধর্ম ছাড়লেন জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী পরিচালক আলি আকবর https://ekolkata24.com/entertainment/national-award-winning-film-director-ali-akbar-has-left-islam Sat, 11 Dec 2021 11:16:51 +0000 https://ekolkata24.com/?p=14433 নিউজ ডেস্ক: তামিলনাড়ুর কন্নুরে কপ্টার দুর্ঘটনায় সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াতের (Bipin Rawat) মৃত্যুর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একাধিক পোস্ট হয়েছে। আবার মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ রাওয়াতের প্রতি বিদ্রুপ ও কটাক্ষ করেও অনেক পোস্ট করেছেন। একজন মৃত ব্যক্তির প্রতি এ ধরনের অসম্মান প্রদর্শনের প্রতিবাদে ইসলাম ধর্ম ছেড়ে হিন্দু ধর্ম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিলেন জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক আলি আকবর (Ali Akbar)।

জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী কেরলের এই চিত্র পরিচালক (flim director) বলেছেন, “আমার নিজের ধর্মের (relegion) প্রতি শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস হারিয়ে গিয়েছে। সদ্য প্রয়াত একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে যে এ ধরনের অশালীন মন্তব্য করা যায় তা আমি ভাবতেই পারছি না। সে কারণে আমি এবং আমার স্ত্রী মুসলিম ধর্ম ছেড়ে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” কিন্তু রাওয়াতের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক মন্তব্যের কারণে তিনি কেন নিজের ধর্ম ত্যাগ করছেন?

এই প্রশ্নের উত্তরে আলি আকবর জানিয়েছেন, সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াতের মৃত্যুর পর শোক প্রকাশ করে তিনি ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন। সেই পোষ্টের নিচে অনেকেই মজার স্মাইলি দেন। কেউ কেউ অসম্মানজনক মন্তব্যও করেন। আকবরের দাবি, একটি বিশেষ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষের এই অশালীন কাজটি করেছে। সে কারণেই তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন।

প্রতিবাদস্বরূপ আকবর একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেন। সেখানেই তিনি জানিয়ে দেন, নিজের ধর্মের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস চলে গিয়েছে। সে কারণেই তিনি এবং তাঁর স্ত্রী লাকিআম্মা মুসলিম ধর্ম ছেড়ে হিন্দু ধর্ম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখন থেকে তিনি আর কোনও মুসলিম নন, তিনি একজন ভারতীয় নাগরিক। যারা দেশের ক্ষতিতে মজা পায়, আনন্দ করে তাদের জন্য আমার এটাই জবাব। একইসঙ্গে আকবর জানিয়েছেন, যারা এধরনের মন্তব্য করে মজা পাওয়ার চেষ্টা করেছেন তারা আসলে দেশদ্রোহী।

এই তরুণ চলচ্চিত্র পরিচালক আরও জানিয়েছেন, তাঁর নতুন নাম হবে রামাসিমা। রামাসিমা এমন একজন মানুষ যিনি নিজের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বাঁচাতে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। সে কারণেই তিনি এই নামটি বেছে নিয়েছেন। একই সঙ্গে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টও নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছেন এই চলচ্চিত্র পরিচালক। এই চলচ্চিত্র পরিচালক জানিয়েছেন, কোন ধর্মগুরু তাঁকে ধর্ম পরিবর্তন করার পরামর্শ দেননি। এটা নিতান্তই তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তিনি এবং তাঁর স্ত্রী হিন্দু হলেও তার দুই মেয়েকে ধর্ম পরিবর্তনের কোনও পরামর্শ দেবেন না বলেও জানিয়েছেন আকবর ওরফে রামাসিমা। মেয়েরা নিজেদের ইচ্ছামত ধর্ম বেছে নিতে পারে বলে পরিচালক জানান।

]]>
সমালোচকদের ফুঁৎকারে উড়িয়ে জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ক্যাপ্টেন কোহলি https://ekolkata24.com/sports-news/captain-kohli-is-confident-of-winning-by-beating-the-critics Sat, 30 Oct 2021 15:16:30 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=9753 স্পোর্টস ডেস্ক: আগামী রবিবার, টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার ১২ নক আউটে ভারত নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামছে,নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। ম্যাচের আগের দিন শনিবার ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি প্রি ম্যাচ প্রেস কনফারেন্সে এসে পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, “ভারতের ক্রিকেট ভক্তের দল নিউজিল্যান্ড ম্যাচ নিয়ে আতঙ্কিত হলেও, টিম ইন্ডিয়া মোটেও আতঙ্কিত নয়।”

প্রি ম্যাচ প্রেস কনফারেন্সে ক্যাপ্টেন কোহলি বলেছেন,”আমার মতে যদি বিশ্বকাপ জিততে চাইলে, প্রতিটি ম্যাচে ফোকাসড ধরে রাখতে হবে। আপনি বেছে নিতে পারবেন না এই স্তরে এসে যে কার বিরুদ্ধে আপনাকে জিততে হবে এবং কোন দলকে হাল্কা ভাবে খেলতে হবে, এমন খেলা যায়না এবং খেলিনি, এমনকি আগামী দিনেও আমরা এভাবে খেলবো না।”

ভারত, নিউজিল্যান্ড দুই দলই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হারের মুখ দেখেছে। ভারতের কাছে নিউজিল্যান্ড ম্যাচ চলতি বিশ্বকাপে ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচ। টিম ইন্ডিয়া মুখিয়ে রয়েছে কিউইদের বিরুদ্ধে বাইশ গজে উইনিং ট্র‍্যাকে ফিরে আসতে। এই প্রসঙ্গে আত্মবিশ্বাসী ক্যাপ্টেন কোহলি বলেন,”বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্ট জিততে গেলে, ভালো পারফরম্যান্স করতে গেলে ওইদিনে সেরা করতে হবে, ওই সময়ে উপস্থিত থাকতে হয়।”

ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান ১০ উইকেটের ঐতিহাসিক জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। বিশ্বকাপের পরিসংখ্যান এখন ১২-১। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে হিটম্যান রোহিত শর্মার রানের খাতা না খুলে এলবিডব্লু আউট হওয়া কিংবা বোলার মহম্মদ সামির ৩.৫ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে ফেলা, আর সামির পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বল হাতে পারফরম্যান্সের পরে মহম্মদ সামিকে টার্গেট করে ‘গদ্দার,’ ‘ধোকেবাজ’, ‘বেইমান ‘ কদর্য শব্দে ব্যক্তিগত আক্রমণ করাই হোক রবিবারে কিউইদের বিরুদ্ধে ম্যাচে টিম ইন্ডিয়া এসব নিয়ে যে একেবারই ভাবলেশহীন তা বোঝাই গেল ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলির মুখে।

প্রি ম্যাচ প্রেস কনফারেন্সে ভারত অধিনায়ক কোহলি বলেন,”বাইরে লোকে কি বলছে তা নিয়ে আমাদের কোনও যায় আসেনা।আমি জানি আমাদের অনেক সার্পোটিং ফ্যান আছে। আমি তাদের প্রশংসা করতে চাই যারা আমাদের সিচুয়েশন (বিশ্বকাপ চলাকালীন দলের গোটা পরিবেশ এবং পরিস্থিতি) বুঝতে পারছে।”

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হারের পর দেশের ভিতরে সমালোচনার তীরে বিদ্ধ টিম ইন্ডিয়া। এই প্রসঙ্গে বিরাট মুচকি হেসে ভারতে চলতে থাকা সমালোচকদের খোঁচা মেরে বলেন,”আমাদের এখন ক্রিকেট খেলতে হবে। আর যাদের মধ্যে ধৈহ্য থাকে না, তারাই তাড়াতাড়ি সবথেকে বেশি প্যানিক অর্থাৎ আতঙ্ক তৈরি করে থাকে,সব কিছু খতম (শেষ) হয়ে গেল বলতে থাকে।”

বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হেরে গিয়ে ভারতের ক্রিকেট ভক্তের একদল বলছে সবকিছু খতম (শেষ) হয়ে গেল৷ এই প্রসঙ্গে সমালোচকদের আশ্বস্ত করে ক্যাপ্টেন কোহলি বলেছেন, “আমরা এভাবে চিন্তা করিনা। বাইরের লোকেদের মতো চিন্তা করতে থাকলে, আমরা দুনিয়ার সেরা টিম হয়ে থাকবো না। এই কারণে আমরা দলগত ভাবে সকল সময়ে নিজেদের এই বিষয় থেকে বিচ্ছিন্ন রাখি, তা সে, যে পরিস্থিতি হোক না কেন- আমরা হারি আর জিতি।”

ভারতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টিম ইন্ডিয়া কিংবা রোহিত শর্মার ব্যাটিং এবং মহম্মদ সামির বোলিং পারফরম্যান্স ঘিরে সমালোচকেরা লাগাতার কাঁটাছেড়া করে চলেছে। এই নিয়েও বিরাট কোহলি বলেছেন, “আমরা বারে বারে ক্যামব্যাক করেছি দলগত প্রচেষ্টায়। আমাদের কাউকে প্রমাণ দেওয়ার প্রয়োজন নেই, কাউকে ব্যক্তিগত ভাবেই হোক কিংবা দলগত ভাবে।”

নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয় নিয়ে প্রত্যয়ী টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক বিরাট কোহলি সমালোচকদের টার্গেট করে তাচ্ছিল্যের সুরে এদিন দাবি করেছেন,”বাইরের লোকেরা কি বলছে,আমাদের টিম নিয়ে দেশের ভিতরে কি মাহল অর্থাৎ হাওয়া চলছে… ক্যাপ্টেন কোহলি বাইশ গজে ব্যাটিং করার সময়ে যেভাবে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ফ্রন্টফুটে বোলারদের শাসন করে থাকেন একই ভঙ্গিতে মুখ বেঁকিয়ে বিরাট ওই প্রসঙ্গে বলেদেন,”আমাদের জন্য কোনও কিছুই ম্যাটার করে না। আমি এর আগেও অনেক বার বলেছি এই নিয়ে,আগামী দিনেও আমি এই একই কথা বলবো,লোকে যা খুশি তাই বলুক তাতে আমাদের কিছু ফারাক পড়ে না, অর্থাৎ যায় আসে না।”

চলতি টি-২০ বিশ্বকাপ এবং ভারতের বিশ্বকাপ পরবর্তী ভবিষ্যৎ নিয়ে ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলির চিন্তাভাবনা রবিবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রি ম্যাচ কনফারেন্সে বেরিয়ে এসেছে। বিরাট বলেছেন, “আমরা সঠিক ভাবে জানি আমাদের কি করতে হবে এই টুর্নামেন্টে এবং আগামী কয়েক বছরে ভারতীয় টিমকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।”

]]>
মমতা জিতছেন, হেরে যাওয়া কেন্দ্র নন্দীগ্রামে তৃণমূলের উল্লাস https://ekolkata24.com/uncategorized/mamata-is-winning-trinamool-congress-rejoices-in-nandigram Sun, 03 Oct 2021 08:34:48 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=6435 নিউজ ডেস্ক: জিতছেন টিএমসি দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বিধায়ক হচ্ছেন ফের। ভবানীপুর থেকে এই বার্তা ছড়াল দেশ জুড়ে। আর রাজ্যের সর্বত্র শুরু হয়েছে বিজয় উল্লাস। দার্জিলিং থেকে ডায়মন্ডহারবার তৃণমূল কর্মীরা মেতেছেন সবুজ আবিরে। উপনির্বাচনে তিন কেন্দ্র ভবানীপুর, সানসেরগঞ্জ, জঙ্গিপুরে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস।

তাৎপর্যপূর্ণ গত বিধানসভা ভোটে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে বিজেপির কাছে পরাজিত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নন্দীগ্রামেও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে উল্লাস। দলনেত্রীর নন্দীগ্রামে পরাজয় হলেও বিধানসভা ভোটে বিপুলভাবে জয়ী হয় টিএমসি। তিনবার সরকার গড়ে। বিধায়ক না হয়েও মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকেন মমতা। উপনির্বাচনে ভবানীপুর থেকে তিনি ফের জয়ী হয়ে প্রাক্তন বিধায়ক থেকে ফের বিধায়ক হতে চলেছেন।

TMC-Nandigram

নন্দীগ্রাম বিধানসভার টিএমসি কর্মী সমর্থকরা হাঁফ ছেড়েছেন। তাঁদের কেন্দ্রেই মুখ্যমন্ত্রীর পরাজয় ছিল গলায় কাঁটার মতো। বাম জমানায় যে নন্দীগ্রামে গুলি চলেছিল তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক আন্দোলনেই মমতার অগ্রগতি। সাথে ছিল হুগলি সিঙ্গুরে টাটা মোটরসের জন্য তৈরি হতে চলা কারখানার জমি নিয়ে বিতর্ক ও কৃষক বিক্ষোভ। সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রাম দুই আন্দোলন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে পৌঁছে দিয়েছে।

TMC-Nandigram

পরপর দুবার ক্ষমতা ধরে রেখে গত নির্বাচনে ভোট পরীক্ষা দিতে নামেন মমতা। দলেদলে টিএমসি ত্যাগ ও বিজেপির উত্থান থমকে যায় ভোটের ফলে। তিনবার টানা সরকার গড়ে তৃণমূল। তবে বিজেপি হয় প্রধান বিরোধী দল। আর রাজ্য থেকে মুছে যায় বামেরা।

নন্দীগ্রামে মমতা হেরে যান। তবে মুখ্যমন্ত্রী থাকেন। স্বাধীনতার আগে যুক্তবঙ্গ থেকে স্বাধীনতা পরবর্তী পশ্চিমবঙ্গের আইনসভায় তিনিই এমন ব্যতিক্রমী মুখ্যমন্ত্রী। তবে ভবানীপুর কেন্দ্র তাঁকে ফের বিধানসভায় পাঠাচ্ছে।

]]>
বিশ্ব শুটিং চ্যাম্পিয়নশিপ জুনিয়রে সোনা জিতে সমালোচকদের জবাব দিলেন মনু ভাকর https://ekolkata24.com/sports-news/manu-bhakar-responded-to-the-critics-by-winning-gold-in-the-world-shooting-championship-junior Fri, 01 Oct 2021 10:55:11 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=6215 স্পোর্টস ডেস্ক: ১৯ বছর বয়সী মনু ভাকর (Manu Bhaker) চলতি বছর দিল্লিতে বিশ্বকাপে ১০ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্টে সোনার পদক জিতে ছিলেন। কিন্তু টোকিও অলিম্পিকে পোডিয়াম শেষ না করায় তাঁকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল।

আর বিশ্ব শুটিং চ্যাম্পিয়নশিপের জুনিয়র বিভাগে সোনা জিতে এই তরুণ খেলোয়াড় তার সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দিলেন। ISSF (International Shooting Sport Federation) বিশ্ব জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপের পদক তালিকায় ভারত দ্বিতীয় স্থানে,আমেরিকা রয়েছে শীর্ষে।

পেরুর রাজধানীতে চলা এই চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের ইশা সিং রুপোর পদক জিতেছেন, অন্যদিকে ভারতের রিদম সাঙ্গোবান ব্রোঞ্জ পদক থেকে বঞ্চিত হয়ে চতুর্থ স্থান অর্জন করেন। ভারতের পুরুষ বিভাগে রুদ্রাক্ষ পাতিল ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টে রুপোর পদক জিতেছেন।

Manu Bhakar

১০ মিটার এয়ার পিস্তল বিভাগে মনু শুরু থেকেই দুরন্ত ছন্দে ছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত ২৪১.৩ স্কোর নিয়ে সোনার পদক গলায় ঝুলিয়ে ফেলেন। ১৬ বছর বয়সী তরুণ শ্যুটার ইশা সিং ২৪০ স্কোর নিয়ে রুপোর পদক ঝুলিতে। এই বিভাগে তুরস্কের ইয়াসমিন বেজা ব্রোঞ্জ পদক পেয়ে তৃতীয় স্থানে।

ভারতের রমিতা ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন। শুধু রমিতা’ই নয় আরও দুই ভারতীয় শুটার মেহুলি ঘোষ এবং নিশা কানওয়ারও ফাইনালে উঠেছিলেন, যদিও পদক তাদের হাতছাড়া হয়। মহিলাদের স্কেট ইভেন্টে ভারতের গনিমত সেখন রুপোর পদক জেতেন।

১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টে রুদ্রাক্ষ পাতিলের রুপোর পদক জেতার সঙ্গে এই বিভাগে ভারতের পার্থ মাখিজা সপ্তম এবং শ্রীকান্ত ধনুশ আট নম্বরে চ্যাম্পিয়নশিপ শেষ করে। ১০ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্টে ভারতীয় শুটার নবীন পদক হাতছাড়া করে চতুর্থ স্থান পান।
ভারত এখন পর্যন্ত গোটা চ্যাম্পিয়নশিপে ১ টি সোনা, ৩ টি রুপো এবং ১ টি ব্রোঞ্জ সহ মোট ৫ টি পদক নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, আর আমেরিকা ৩ টি সোন সহ ৬ টি পদক নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। এই চ্যাম্পিয়নশিপ ৮ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এবং ১০ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হবে।

]]>