मंगलवार सुबह दिन के व्यस्त समय में रूबी जंक्शन के पास चलती बस में एक युवती से कथित तौर पर छेड़छाड़ की गई। यह भी आरोप है कि आरोपी को रंगे हाथ पकड़ा गया था। इसके बाद लड़की ने इसकी शिकायत कसबा थाने में ड्यूटी पर मौजूद ट्रैफिक पुलिस से की।
प्रताड़ना की शिकार पीड़िता के परिजनों के मुताबिक वह मंगलवार सुबह करीब साढ़े नौ बजे रूबी से बस में चढ़ी थी। चलती बस में उसे अचानक एहसास हुआ कि कोई उसके साथ गलत हरकत कर रहा है। मामला ठीक से समझ में आने से पहले ही व्यक्ति का व्यवहार उत्पीड़न के स्तर तक चला गया था। तभी वह महिला चिल्लाने लगी। आरोपी ने भागने की कोशिश की। पर यात्रियों ने उसे पकड़ लिया और जमकर पिटाई कर दी।
मामले की जानकारी रुबी मोड़ के पास ड्यूटी पर तैनात ट्रैफिक पुलिस को दी गई। वह युवती और आरोपी युवक को लेकर कसबा थाने गये. घटना की जानकारी मिलने पर लड़की का भाई थाने पहुंचा. इसके बाद युवक के खिलाफ छेड़छाड़ के आरोप में एफआईआर दर्ज की गई है. खबर है कि आरोपी को फिलहाल थाने में ही रखा गया है. इस घटना के बाद युवती स्वाभाविक रूप से डरी हुई है. उसके भाई का कहना है कि वह सड़क पर निकलने से डर रही है. आरजी कर अस्पताल में चल रहे आंदोलन के बीच चलती बस में छेड़छाड़ की घटना ने सुरक्षा पर नए सवाल खड़े कर दिए हैं.
]]>সর্বোপরি এটাই বোঝানোর চেষ্টা চলত যে মেয়েরা পুরুষদের সমকক্ষ কখনোই হতে পারে না। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে তাই মেয়েদের অবদমিত করেই রাখা হতো। যুগ যত এগিয়েছে তত মানসিকতার পরিবর্তন ধীরে ধীরে ঘটেছে। মেয়েরা বাইরে বেরিয়ে এসেছে। বর্তমানে একুশ শতকে মেয়েরা নিজেদের সবক্ষেত্রেই প্রমাণিত করেছে। এমনই একজন সাহসী মেয়ের সাথে আজ পরিচয় করাবো যিনি তাঁর কাজের দ্বারা করে দেখিয়েছেন মেয়েরাও কোনো অংশে পিছিয়ে নেই।

একটা সময় মোটর সাইকেল চালানোর ক্ষেত্রে মনেই করা হতো কেবলমাত্র পুরুষরাই অংশগ্রহণ করতে পারে। কিন্তু এই নির্ভীক মেয়ে প্রমাণ করেছেন যে মেয়েরা এগিয়ে আসলে তারাও পারে। ২৭ বছরের কল্যানী পটেকর ভারতের সকল মেয়েদের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে সেই কাজ করে দেখিয়ে। মধ্যপ্রদেশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন কল্যানী। তিনি বর্তমানে ভারতের দ্রুততম মহিলা মোটর বাইক রেসারের খ্যাতি অর্জন করেছেন।
সম্প্রতি তিনি বুধ ইন্টারন্যাশানাল সার্কিট এর সম্পূর্ণ একটি ল্যাপ পূরণ করেছেন মাত্র ২.০৮ মিনিটে, যা সত্যিই অবিশ্বাস্য। এত অল্প সময়ের মধ্যে এটি সম্পূর্ণ করে তিনি পূর্বের ২.১৬ মিনিটের রেকর্ড ভেঙে ফেলেছেন সেইসঙ্গে সমাজের মেয়েদের নিয়ে যে প্রচলিত ধারণা তা ভেঙে দিয়েছেন।
আমাদের ভারতের মত দেশে একজন মেয়ে হয়ে বাইক রেসিংকে পেশা হিসেবে নেওয়াটা ভাবাই যায়না। মূলত মনে করা হয় বাইক রেসিং পুরুষদের কাজ। কিন্তু ছোট থেকেই কল্যাণীর মূল অনুপ্রেরণা দাতা ছিলেন তাঁর বাবা। মাত্র ১০ বছর বয়স থেকে কল্যানীকে তাঁর বাবাই প্রথম বাইকে কিভাবে চড়তে হয় তার সাথে সাক্ষাৎ করিয়েছিলেন।
২০১৩ সালে যখন কল্যাণীর স্নাতকের শেষ বর্ষ চলছিল তখন প্রথম সে বিশ্বের সবথেকে কঠিনতম বাইকিং সমাবেশ ‘রেড দি হিমালয়া’ তে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আর তারপরেই তাঁর সার্কিট রেসিংয়ে প্রবেশ ঘটে।
২০১৭ সালে সে প্রথম ক্যালিফোর্নিয়া থেকে তাঁর বাইক রেসিং এর সম্পূর্ণ প্রশিক্ষণ শেষ করে ভারতকে নানা প্রতিযোগিতায় প্রতিনিধিত্ব করতে শুরু করে। স্বপ্নের যাত্রা শুরু হয় তাঁর।
<
p style=”text-align: justify;”>ছোট থেকে পরিবারের সম্পূর্ণ সমর্থনে এতদূর রাস্তা আসতে পেরেছিল কল্যানী পটেকর। যেখানে সমাজে লিঙ্গ বৈষ্যম্যতা দেখিয়ে মেয়েদের দমিয়ে দেওয়া হয় বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেখানে কল্যানী করে দেখিয়ে নজির গড়েছে মেয়েদের জন্য। পরবর্তী প্রজন্ম তাকে দেখে এগিয়ে আসার অনুপ্রেরণা পাবে।
]]>মধ্যপ্রদেশের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব ড. রাজেশ রাজৌরা জানিয়েছেন, রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে লিঙ্গ বদলের আবেদনে এ ধরনের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন এই প্রথম। জানা গিয়েছে এক মহিলা কনস্টেবল ছোট থেকেই নিজের লিঙ্গ পরিচয় নিয়ে সমস্যায় ভুগতেন। মহিলা হলেও তিনি চাইতেন পুরুষ হিসেবে বাঁচতে। তাই ওই মহিলা দীর্ঘ দিন ধরেই নিজের লিঙ্গ বদলের জন্য চেষ্টা করে আসছিলেন। কিছু দিন আগে তিনি রাজ্য পুলিশের সদর দফতরে লিঙ্গ বদলের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন।
মুখ্য সচিব জানিয়েছেন, একজন ভারতীয় নাগরিক তিনি যে ধর্ম বা জাতির হোন না কেন নিজের লিঙ্গ বেছে নেওয়ার পূর্ণ অধিকার আছে। সেই বিষয়টি বিবেচনা করেই স্বরাষ্ট্র দফতর ওই মহিলা কনস্টেবলের আবেদনটি অনুমোদন করেছে। রাজ্য পুলিশের সদর দফতরকেও ওই মহিলা কনস্টেবলের লিঙ্গ পরিবর্তনের আবেদন অনুমোদন করার বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের অনুমোদন মেলায় ওই মহিলা কনস্টেবলের লিঙ্গ পরিবর্তন করতে আর কোনও সমস্যা রইল না।
উল্লেখ্য, দু’বছর আগে ওই মহিলা কনস্টেবল লিঙ্গ পরিবর্তনের জন্য আবেদন করেছিলেন। সরকারি নিয়ম মেনেই তিনি ওই আবেদন করেছিলেন। পুলিশের সদর দফতর থেকে ওই মহিলা কনস্টেবলের আবেদনটি পাঠানো হয়েছিল স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছে। শেষ পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র দফতর ওই আবেদনটি অনুমোদন করে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এখন ওই মহিলা কনস্টেবলের লিঙ্গ পরিবর্তনের বিষয়টি শুধু সময়ের অপেক্ষা।
মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র জানিয়েছেন, দিল্লি, ভোপাল ও গোয়ালিয়রের বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট চিকিৎসক ওই মহিলা কনস্টেবলের শারীরিক ও মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা করার পর লিঙ্গ পরিবর্তন করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। চিকিৎসকরা প্রায় সকলেই ওই মহিলা কনস্টেবলকে লিঙ্গ পরিবর্তনের বিষয়ে সায় দিয়েছিলেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ খতিয়ে দেখে রাজ্য সরকার তাঁকে লিঙ্গ বদলের অনুমতি দিল। মধ্যপ্রদেশে এ ধরনের সিদ্ধান্ত এই প্রথম। একইসঙ্গে মন্ত্রী জানান, দেশের প্রতিটি মানুষেরই নিজের লিঙ্গ পরিবর্তন করার অধিকার আছে। সেই অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়ে ওই মহিলা কনস্টেবলকে লিঙ্গ পরিবর্তনের আবেদনে সায় দেওয়া হল।
]]>তার এই ছবি শতাধিক ম্যাগাজিন ও বিজ্ঞানের টেক্সট বুক ও ওয়েবসাইট দখল করে আছে। তাকে সাধারণত হেলেন লেন ডাকা হয় কিন্তু আসলে তার কোনো নাম নেই। সায়েন্টিফিক কমিউনিটি তাকে HeLa বলেই জানে, এটি হলো বিশ্বের প্রথম অমর কোষের সাংকেতিক নাম, এ কোষটি শাশ্বত কাল একই স্থানে জীবিত হয়ে থাকবে। তার জরায়ুর কিছু কোষ শরীর থেকে আলাদা করে নেওয়া হয় মৃত্যুর আগে কিন্তু সে বা তার পরিবারের কেউ জানতোনা এ কোষটি এক সময় পৃথিবী অতিক্রম করে মহাকাশ ভ্রমণ করবে!
১৯৫১ সালে হেনরিয়েটা মারাত্মক জরায়ু ক্যান্সার আক্রান্ত হয়। মৃত্যুর পূর্বে একজন সার্জন তার টিউমারের একটি স্যাম্পল সংগ্রহ করেছিলেন, যেটিকে তিনি পেট্রি ডিশের মধ্যে রাখেন। বিজ্ঞানীরা বহুদিন ধরেই মানুষের দেহের কোষকে জীবিত রাখার চেষ্টা করছেন , সেগুলো মরে যায় কিন্তু হেনরিয়েটার সেলগুলো ছিলো সম্পূর্ণ বিপরীত। এরা প্রতি চব্বিশ ঘন্টায় তাদের সম্পূর্ণ জেনারেশনকে রিপ্রডিউস করতে পারে এবং এ প্রক্রিয়া নিরবচ্ছিন্নভাবে চলতেই থাকে। এগুলোই ল্যাবরেটরিতে জীবিত প্রথম অমর মানব কোষ।

তার এ কোষগুলো আজ জিন গবেষণার একটি অংশ যা ক্যান্সারের কারণ এবং সেগুলোর সাথে যা এটিকে অবদমন করতে পারে। এ সেলগুলো হার্পিস, লিউকেমিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা, হোমোফিলিয়া এবং পারকিনসন রোগের কারণ এবং লেকটোজ ডাইজেশনের জন্যও ব্যবহার করা হয়। এছাড়া সেক্সচুয়ালি ট্রান্সমিটেট ডিজিজ, এপেন্ডিসাইটিস এবং মস্কুইটো মেটিং নিয়ে স্টাডি করার সময় এ কোষগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে সমস্ত বিশ্বজুড়ে।
হেলেন তার ভাইপোকে বলেছিলেন, তার শরীরে কোনও গিঁট পড়েছে। আসলে একজন সন্তান জন্ম দেওয়ার পর হেনরিয়েটা এবনরমাল ব্লিডিং-এর শিকার হয়েছিলেন। তার ডাক্তার তার জরায়ুতে একটি পিণ্ড খুঁজে পেলেন এবং তার একটি স্যাম্পল ল্যাবে প্রেরণ করলেন। যার ফলাফল ছিল জরায়ু ক্যান্সার। তখন সেই এরিয়ায় আফ্রিকান ও আমেরিকান পেশেন্টদের জন্য একমাত্র মানসম্মত হসপিটাল ছিল জন হপকিন্স, আর সেখানেই ল্যাকসের ট্রিটমেন্ট করা হয়। যখন তার স্বামী ও তার সন্তানরা তার জন্য বাহিরে গাড়িতে অপেক্ষা করতো, তাকে রেডিয়েশন( জরায়ুর চারপাশে একটি রেডিয়াম টিউব ইনসার্ট করে সেই জায়গায় সেলাই করে দেয়া হত) ও এক্স-রে ট্রিটমেন্ট দেয়া হতো। এসব ট্রিটমেন্টের পরও ক্যান্সার বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে ল্যাকসের শরীরে, যা তার মধ্যে অমানবিক যন্ত্রণার জন্ম দেয়। তিনি ১৯৫১ সালের ৪ অক্টোবর ৩১ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। তার এ রোগ শনাক্ত হওয়ার নয় মাস পর।
রেডিয়েশন ট্রিটমেন্টের সময়, ডাক্তার ল্যাকসের জরায়ু থেকে কিছু টিস্যুর স্যাম্পল সরিয়ে নেন। তাকে ক্যান্সারের ট্রিটমেন্টের জন্য সম্মতিসূচক একটি ফর্মে সাইন করতে হয় কিন্তু টিস্যু সেম্পল সংগ্রহের ব্যাপারে তার সম্মতি নেয়া হয়নি এবং তাকে এটাও জানানো হয়নি যে তার শরীর থেকে কিছু টিস্যু নেয়া হয়েছে এবং তখন এটা অস্বাভাবিক কিছু ছিলো না। জন হপকিন্স-এর টিস্যু কালচার ল্যাবরেটরির ড. গের কাছে এ টিস্যুগুলো প্রেরণ করা হয়।।
ড. গে কয়েক দশক ল্যাবরেটরিতে হিউম্যান সেল জন্মানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু কয়েকদিন পরই সেলগুলো মারা যায়। কিন্তু ল্যাকসের সেলগুলো ছিল ইউনিক। সে এ সেলগুলোর একটিকে আলাদা করেন আর তারপর ভাগ হতে দেন আর এ প্রক্রিয়া চলতেই থাকে। তিনি এই লাইনের নাম প্রেরণ করেন HeLa! তৈরি হয় অমর কোষ। রেবেকা স্কলুটের লেখা “The Immortal Life of Henrietta Lacks ” নামে একটি বই লিখেছিলেন।
সেই বই থেকেই হেলেনের কথা প্রথম জানতে পারে বিশ্ব। রেবেকা স্কলুট এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “আমি বহু বছর হেনরিয়েটার ছবিটির দিকে তাকিয়ে ছিলাম, আমি বিস্মিত হয়েছিলাম তিনি কিভাবে জীবন যাপন করতেন, তার সন্তানদের সাথে কি ঘটেছিল? তিনি তার জরায়ুর কোষটি সম্পর্কে কি কখনো ভাবতে পেরেছিলেন যে এটি চিরকাল জীবিত থাকবে? একবার ভেবে দেখুন, আত্মায় বিশ্বাসীরা এখানে কি বলবেন? মৃত্যুর পরও একজন মানুষের কোষ আজ ৭০ বছর টিকে আছে, ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন কপি নিয়ে, বিশ্বের বড় বড় রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে হেনরিয়েটার কোষ হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে’
হেলেন জানতেন না, তারই অজান্তে তার শরীরের কিছু সেল পোলিও ভ্যাক্সিন আবিষ্কার করবে, কোমোথেরাপিতে বিপ্লব ঘটাবে, তিনি জানতেন না তার মৃত্যুর শত বছর পর তার দেহের সেলগুলো ক্লোনিং, জিন ম্যাপিং, ভিট্রো ফার্টিলাইজেশনে একের পর এক অবদান রেখে যাবে এবং এটাও জানতেননা যে তার শরীর থেকে বেরিয়ে আসা কিছু সেল শত শত বছর পর মানব সভ্যতাকে হয়তোবা অমরত্বের দুয়ার খুলে দেবে। শাশ্বত কোষ থেকে বেরিয়ে আসবে শাশ্বত আর এক মানব সভ্যতা।
বিজ্ঞানীরা এখনও নিশ্চিতভাবে জানেন না বর্তমান পৃথিবীতে হেনরিয়েটার শরীরের ঠিক কতগুলো কোষ জীবিত। একজন বিজ্ঞানী বলেছেন, এ পর্যন্ত যে পরিমাণ হেলা কোষ তৈরি হয়েছে সেগুলোর ওজন যদি পরিমাপ করা হয় তবে তার ওজন হবে ৫০ মিলিয়ন মেট্রিক টন, যা ছিলো একটি দুর্বোধ্য সংখ্যা। একটি স্বতন্ত্র সেল যার ওজন একেবারে নাথিং, তার ভেতর থেকে বেরিয়ে এসেছে আনকাউন্টেবল ট্রিলিয়ন কোষ, যেনো একদম শূন্য থেকে মহাকাশের লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি গ্রহ তারকা! এ পর্যন্ত যতগুলো হেলা কোষ নিজেদের ক্লোন তৈরি করেছে তাদেরকে যদি একের পর এক বসানো হয় তবে তারা তিনবার আমাদের পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে আসতে পারবে যাদের স্প্যানিং হবে ৩৫০ মিলিয়ন ফুট থেকেও বেশি। ভাবুন, মাত্র ৫ ফুট লম্বা একজন নারীর শরীর থেকে বেরিয়ে আসা অত্যন্ত ক্ষুদ্র কিছু ক্যান্সার কোষ সমস্ত পৃথিবীকে তিনবার ঘিরে নিতে পারে।
]]>বছর পঁচিশের এক তরুণী হায়দরাবাদ থেকে পুণে যাচ্ছিলেন। ওই মহিলা যে বগিতে ছিলেন সেই বগিতেই ছিলেন এনসিবির অফিসার দীনেশ চৌহান। দীনেশ হায়দরাবাদ থেকে মুম্বই ফিরছিলেন। তরুণীর অভিযোগ, তিনি যখন ঘুমিয়ে পড়েছিলেন সে সময় তাঁর সঙ্গে দীনেশ অশালীন আচরণ করেন। তরুণীর ব্যাগ থেকে তাঁর অন্তর্বাস বের করে নিয়ে অশালীন অঙ্গভঙ্গিও করেন। এমনকী, তরুণীকে জোর করে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করেন। তরুণী চিৎকারে বগির অন্য যাত্রীরা ছুটে এসে ওই অফিসারকে ধরে ফেলেন। ঔরঙ্গাবাদ রেল পুলিশ এনসিবির ওই আধিকারিককে গ্রেফতার করে। বর্তমানে ওই অফিসার পার্লি থানার হেফাজতে রয়েছেন।
অন্যদিকে শনিবার রাতে মুম্বইয়ে চলন্ত ট্রেনের মধ্যে এক মহিলা গণধর্ষণের শিকার হন। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৪ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি চারজন পলাতক।
পুলিশ জানিয়েছে, লখনউ থেকে মুম্বাইগামী পুষ্পক এক্সপ্রেসে এই ঘটনা ঘটে। ইগতাপুরি হল্ট নামে একটি স্টেশনে ওই ট্রেনটি কিছুক্ষণ দাঁড়ায়। সে সময় দুষ্কৃতীরা ট্রেনের একটি বগিতে উঠে পড়ে। এরপরই তারা শুরু করে লুটতরাজ। লুটতরাজ পর্ব মেটার পর এক মহিলাকে পরপর আটজন ধর্ষণ করে। তবে ট্রেনটি কাসারা স্টেশনে পৌঁছাতেই যাত্রীরা পুলিশকে বিষয়টি জানায়। ধরা পড়ে ৪ দুষ্কৃতী, বাকি চারজন অবশ্য পালিয়ে গিয়েছে।
]]>
৩৫ বছর বয়সী জুলিয়েট হেরেরা ভারতে আধ্যাত্বিক জীবনযাপন করার সময় যৌনতা ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন। তার আগে জুলিয়েট ছিলেন ‘হিপ্পি গার্ল’। তিনি সেক্স, ড্রাগ, অ্যালকোহল এবং সব ধরনের নেশায় আসক্ত ছিলেন৷ কিন্তু যখন তিনি ভারত ভ্রমণ থেকে ফিরে আসার পর তার জীবনে একটি বড় পরিবর্তন ঘটে৷ জুলিয়েট বলেন, এটা ছিল প্রার্থনা এবং ইশ্বরের সঙ্গে একটি সুন্দর সুন্দর অভিজ্ঞতা। বিশ্বাসের সঙ্গে একটি যাত্রা শুরু হয়৷ মাদক, সেক্স, অ্যালকোহল সব জীবন থেকে বিদায় নেয়৷ পাশাপাশি জীবনের চরিত্র পুরো বদলে গিয়েছে৷

<
p style=”text-align: justify;”>কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জুলিয়েট বুঝতে পারলেন, সহবাস থেকে দূরে থাকা কঠিন। ডেইলি স্টারের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে জুলিয়েট পডকাস্ট কিন্ডাকে বলেছিলেন, তিনি ডেটিং করেছিলেন৷ তিনি এখন একটি প্রেমিক খুঁজে পেয়েছেন৷ যার কাছে তিনি ১২ বছর ‘সতীত্ব’ থাকার পর সম্পর্ক করতে প্রস্তুত। কিন্তু জুলিয়েট এখন সহবাস করার আগে খুব অস্বস্তি বোধ করছেন। তিনি দাবি করেন,১২ বছরের দীর্ঘ ব্যবধানে তিনি যৌনতা সম্পর্কে সবকিছু ভুলে গিয়েছেন।
]]>
তালিবান এবং আফগানিস্তানের নারীশিক্ষা
তালিবানরা কোনও এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর সেখানে শিক্ষার পরিবেশ কেমন হয়, তার একটি সরেজমিন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল দ্য ডিপ্লোম্যাট। ওই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০১৬ সালে কুন্দুজ প্রদেশের কিছু এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয় তালিবানেরা। এরপর সেসব এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে খেলাধুলা, সমাজবিজ্ঞান ও ইংরেজি ছেঁটে ফেলে তারা। সেই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ১৯৯০–এর দশকে ক্ষমতায় আসার পর ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষা কারিকুলাম বাতিল করে তালিবানেরা। সেই সময় মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল তারা। আর এখন যেসব এলাকা তালিবানদের নিয়ন্ত্রণে, সেখানে মেয়েদের এখনও স্কুলে যেতে দেওয়া হয় না। অর্থাৎ নারীশিক্ষার বিষয়ে তালিবানদের মনোভাবের পরিবর্তন হয়নি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, অ্যালিসন রেন্যু কাতার চলে যান। সেখানকার মার্কিন দূতাবাসের এক বন্ধু তাকে সাহায্য করেছিল। দুজন মিলে আফগান রোবোটিক্স টিমকে উদ্ধার করেন। ১৯ আগস্ট, অ্যালিসন তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন যে আফগান মেয়েদের মধ্যে ১০ জনকে সরিয়ে আফগানিস্তানের বাইরে একটি নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কে এই অ্যালিসন রেন্যু কে?
তাঁর ইনস্টাগ্রাম বায়ো অনুসারে, রেন্যু একজন হার্ভার্ড স্নাতক। তাছাড়াও তিনি একজন আন্তর্জাতিক বক্তা, পাইলট, জিমন্যাস্টিকস কোচ, রানার, অশ্বারোহী এবং হিউম্যান অ্যাক্টিভিস্ট।
আরও পড়ুন এবারে শীতে বড় পর্দায় আসতে চলেছে দেব-রুক্মিণীর ‘কিশমিশ’, প্রকাশ্যে ছবির অ্যানিমেটেড টিজার
তালিবানদের কাবুল দখল নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক তারকাই এর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বিশেষ করে আফগানিস্তানে মহিলাদের অবস্থা নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেছেন অনেকে। অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী (Rhea Chakraborty) আফনিস্তানের সংখ্যা লঘু মহিলাদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কারণ দেশ দখলের পর থেকে মহিলাদের ছবি দেওয়া পোস্টার ঢেকে দিতে শুরু করেছে তালিবানরা। ফলে দেশে মহিলাদের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন অনেকেই।
এবার তা নিয়ে প্রতিবাদে সামিল হলেন বলিউড অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীও। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে রিয়া লিখছেন, “সারা বিশ্বের মহিলারা যখন সমান অধিকারের জন্য লড়াই করছেন, তখন আফগানিস্তানের মহিলাদের বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। আফগানিস্তানের অবস্থা দেখে সত্যিই যন্ত্রণা হচ্ছে। বিশ্বের নেতাদের অনুরোধ করছি এর জন্য পদক্ষেপ করার।”

আরও পড়ুন হাতিয়ার আফগান সমস্যা, ‘ব্যর্থ’ বাইডেনের পদত্যাগ চাইলেন ট্রাম্প
অভিনেত্রী টিসকা চোপড়া তাঁর শৈশবের এক ছবি শেয়ার করেছেন। যেখানে মহিলাদের পশ্চিমী পোশাকে দেখা যাচ্ছে। ক্যাপশনে তিনি লিখছেন, শৈশবে এই কাবুলকে তিনি চিনতেন। পরিচালক শেখর কাপুর একাধিক টুইট করেছেন আফগানিস্তান নিয়ে। একটি টুইটে তিনি লিখছেন, “আফগানিস্তানের মানুষের জন্য বিশেষ ভাবে প্রার্থনা করছি। বিদেশি শক্তিদের ঔপনিবেশিক উদ্দেশ্যের জন্য একটা দেশ ধ্বংস হয়ে গেল।”
Special prayer
for the people of Afghanistan. A nation wrecked and destroyed by colonial ambitions of foreign powers. #Afganistan
— Shekhar Kapur (@shekharkapur) August 16, 2021
আরও পড়ুন আর মাত্র ১৫ দিন, জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করছেন Rhea Chakraborty
ইতিমধ্যেই আফগানিস্তানের রাশ নিজের হাতে নিয়েছে তালিবানরা। দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আসরাফ ঘানি। দেশ ছাড়তে শুরু করেছেন অন্যান্য দেশের নাগরিকরাও। তালিবানদের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আফগানিস্তানের আকাশে কোনও অসমারকি বিমান চলাচল করতে পারবে না।
]]>আরও পড়ুন মানসিক অবসাদ কাটাতে অবাধ সহবাসের দাওয়াই দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা
গত এক দশক ধরে শাড়ি এবং ডিপ কাট ব্লাউজ বা সালোয়ারে খোলা পিঠের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পেতে শুরু করেছে ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে। ফলে যৌন আবেদন জানাতে বা পুরুষকে আকৃষ্ট করতে খোলা পিঠের জুরি নেই। অন্যদিকে প্রায় সকল পুজো বা অনুষ্ঠানে এখন শাড়ি পড়তে শুরু করেছেন মহিলারা। অনেক কম বয়সীদের মধ্যেও শাড়ির চল বেড়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়েছে বেড়েছে ডিপ কাট ব্লাউজের ব্যবহারও।
গত দেড় দশকের কিছুটা বেশি সময় ধরে মহিলাদের মধ্যে বেড়েছে শাড়ির ব্যবহার। এবং এই সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই বদলে গিয়েছে শাড়ি পড়ার ধরণ। তার সঙ্গেই নিজের আঙ্গিক বদল করেছে ব্লাউজ। ব্লাউজ এমন ভাবে তৈরি করা হচ্ছে যেখানে অনেকটা উন্মুক্ত রাখা যায় পিঠ। সিনেমা থেকে শুরু করে বাস্তবের দুনিয়া। কম বয়সী মহিলাদের পাশাপাশি মধ্যবয়স্কারাও একই ধারা অনুসরণ করতে শুরু করে দিয়েছেন।

এই ফ্যাশন লক্ষ করা যাচ্ছে বাঙালিদের ক্ষেত্রেও। বছর খানেক আগে থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছিল কিছু যৌন আবেদনময়ী মেয়ের ছবি। নেটিজেনরা যাদের বলছিলেন ‘বং ক্রাশ’। যৌন আবেদনময়ী সেই ছবিগুলিতেও খোলা পিঠই গুরুত্ব পেয়েছিল, ক্লিভেজ নয়।
]]>