ভারতের প্রথম ইনিংসে কেএল রাহুল দুরন্ত শতরান করে সকলের নজর কেড়ে নেয়, ‘মিস্টার সেঞ্চুরিয়ন’ নামে গোটা ক্রিকেট বিশ্ব রাহুলকে এই নামে ডাকতে শুরু করে ১২৩ রানের নান্দনিক ইনিংসের সুবাদে। মায়াঙ্ক অগ্রবালের ৬০ রান এবং অধিনায়ক কোহলি ৯৪ বল ফেস করে ৩৫ রানে আউট হওয়া ঘিরে চর্চ্চা কম হয়নি। প্রথম ইনিংসে অজিঙ্কা রাহানে মাত্র দুই রানের জন্য নিজের অর্ধশতরান মিস করে ৪৮ রানে আউট হয়ে। ভারতের প্রথম ইনিংসে লুঙ্গি এনগিদি বল হাতে ঝলসে ওঠে এবং ৭১ রানে ৬ উইকেট তুলে নেয়।রাবাদা তিন এবং জ্যানসন এক উইকেট পায়। ভারত ৩২৭ রানে অল আউট হয়ে যায়।
জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় পেস বোলার মহম্মদ সামির অভিঞ্জতার মুখে পড়ে বেসামাল হয়ে পড়ে। সামি বল হাতে ৫ উইকেট তুলে নেয় প্রোটিয়াদের ৪৪ রান দিয়ে।

অনভিজ্ঞ দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটিং লাইন আপ নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই ‘অশনিসংকেত’ দিয়ে রেখেছিলেন প্রাক্তন জোরে বোলার মাখায়া এনতিনি এবং কিংবদন্তী প্রাক্তন পেস বোলার অ্যালান ডোনাল্ড। দুই প্রাক্তনী দক্ষিণ আফ্রিকান পেস বোলারের মোট কথা ছিল, ভারতীয় বোলিং লাইন আপ অভিঞ্জতায় ঠাসা এবং ফলে ব্যাট বলের লড়াই দেখতে মুখিয়ে রয়েছেন তারা। হলও তাইই। সামি তুললেন ৫ উইকেট এবং বুমরাহ এবং শার্দূল ঠাকুর ২, সিরাজ এক উইকেট। প্রোটিয়ারা ১৯৭ রানে অল আউট প্রথম ইনিংসে।
প্রথম ইনিংসে বাভুমা ৫২,ডি কক ৩৪, রাবাদা ২৫ বলার মতো রান করে।দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম সাড়ির ব্যাটসম্যানরা সামি,বুমরাহ,সিরাজদের বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে এটে উঠতে পারেনি।
দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত ১৭৪ রানে অল আউট হয়। দ্রাবিড়ীয় ‘মন্ত্র’ মুখ থুবড়ে পড়ে শার্দূল ঠাকুরকে ফাস্ট ডাউনে ‘সারপ্রাইজ অ্যাটাকা’র হিসেবে প্রোটিয়া বোলিং লাইন আপের বিরুদ্ধে। কেননা ভারতের প্রথম ইনিংসে চেতেশ্বর পূজারা লুঙ্গি এনগিদির বলে রানের খাতা না খুলেই প্যাভিলিয়ন ফিরে আসেন।তাই অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে হেডকোচ রাহুল দ্রাবিড় এবং অধিনায়ক বিরাট কোহলি শার্দূলকে ব্যাটিং অর্ডারে ওপরে তুলে আনতে স্ট্র্যাটেজি নিলেও তা কাজে আসেনি।
অধিনায়ক কোহলির ব্যাট করতে নেমে মার্কো জ্যানসনের আউট সুইং বলকে শরীর থেকে দূরে থেকে, কোনও ফুটওয়ার্ক ছাড়া আউট অফ স্টাম্প থেকে খোঁচা মারা জ্যাকসনের ‘নিরীহ’ আউট সুইংকে উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি ককের গ্লাভসে বন্দী বোলার জ্যাকসনের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ‘ফিচকি হাসি’ আর গোটা প্রোটিয়া শিবিরের উল্লাস ব্যক্তিগত ১৮ রানে বিরাট আউটে সামাজিক মাধ্যমে একের পর এক ট্রোলিং’র শিকার ক্যাপ্টেন কোহলি।
ড্রেসিংরুমে চুপসে যাওয়া মুখে টিম ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেন কোহলি ‘বিরাট মুখ’ যন্ত্রণায় কাতরানো এবং অসহায়তার শরিরী ভাষা (বডি ল্যাঙ্গুয়েজ) ভারতের ক্রিকেট ভক্তদের আবেগকে ঘৃণা আর রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে টুইটারে ট্রোলিং’র পথে ‘বিরাট আউট কান্ডে’।
দ্বিতীয় ইনিংসে রাহানে ২০ আর ঋষভ পহ্নের ঝড়ো ৩৪ বলে ৩৪ রান এবং অশ্বিনের ব্যাট হাতে কামাল করে দেওয়া টাইমিং মহার্ঘ্য ১৪ রান ভারতকে লড়াইতে ফিরিয়ে আনে, বিরাট ‘বিভ্রাটে’র পরে। বল হাতে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে রাবাদা ও জ্যানসনের ৪ উইকেট এবং এনগিদির দুই উইকেট চতুর্থ দিনের টেস্টকে জমিয়ে তোলে, সেঞ্চুরিয়নে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রোটিয়ারা দ্বিতীয় ইনিংসে বুমরাহ,সামি, সিরাজ এবং অশ্বিনের ঘূর্ণির বাঁকে পড়ে ল্যাজেগোবরে হয়ে ১৯১ রানে অল আউট হতেই ভারত প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়নে ১১৩ রানের বড় ব্যবধানে জয়লাভ করে।
প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে মহম্মদ সামির তিন উইকেট আর প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট মোট ৮ উইকেট দুরন্ত পারফরম্যান্স। ৫ উইকেট নিয়ে সামি ২০০ টেস্ট উইকেট শিকার লাল বলের ফর্ম্যাটে এমন কৃতিত্ব গড়ার নজিরে পরিবারের অবদানকে কুর্নিস জানাতে ভোলে নি ‘বাংলার সুলতান’ মহম্মদ সামি।
দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে চতুর্থ দিনের শেষ বলে জসপ্রীত বুমরাহের ইয়র্কার ডেলিভারিতে কেসব মহারাজের স্টাম্প ছিটকে পড়া আর পঞ্চম দিনে ভারতের জয়ের ‘পথের কাটা’ প্রোটিয়া অধিনায়ক ডিন এলগার ৭৭ রানে এলবিডব্লু’র শিকার বুমরাহের ডেলিভারিতে টিম বিরাটকে স্বস্তি শুধু এনেই দেয়নি, সঙ্গে সুপারস্পোর্টস পার্কে চলতি সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচ জয়ের দোড়গোড়ায় প্রায় পৌছে দেয়।
দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক এলগার ‘কাটা’ উপড়ে ফেলে(আউট করে) চতুর্থ দিনে চোট পাওয়া বুমরাহ বল হাতে ক্যারিশমা গোটা ভারতীয় দলের পারফরম্যান্সকে চরম শিখরে নিয়ে যায়, যেখানে টিম ইন্ডিয়া শুধুই ক্ষুধার্ত আফ্রিকা রাজা সিংহের হুঙ্কার ছুঁড়ে দেয় প্রোটিয়া টেল এন্ডারদের বিরুদ্ধে।
টেম্বা বাভুমা শেষ পর্যন্ত মাটি কামড়ে পড়ে থাকে অপরাজিত ৩৫ রান করে, ৮০ বল ফেস করে।ডি ককের ২১ এবং শেষ মুহুর্তে মার্কো জ্যানসন,কাগিসো রাবাদা এবং লুঙ্গি এনিগিদির যাওয়া আর আসা ভারতের জয়কে নিশ্চিত করে তোলে।
<
p style=”text-align: justify;”>পঞ্চম দিনে খেলার শেষ শেষ মুহুর্তে ৬৬.৫ ওভারে সামির বলে মার্কো জ্যানসনের ক্যাচ পহ্নের গ্লাভসে ধরা পড়ে, পরের ওভারে পঞ্চম ডেলিভারিতে রাবাদা অশ্বিনের বলে ক্যাচ তুলে সামির হাতে বন্দি আর ৬৭.৬ ওভারে অর্থাৎ পরের বলেই এনগিদি অশ্বিনের বলে পূজারার হাতে ক্যাচ দিতেই, সেঞ্চুরিয়নে প্রথম টেস্ট ভারত পকেটে পুড়ে ফেলে।
]]>Sports authority of India(SAI) ভারতীয় প্যারা সাঁতারু নিরঞ্জন মুকুন্দনের এই সাফল্যের প্রেক্ষিতে টুইট পোস্ট করে অভিনন্দন বার্তায় লিখেছে,”#Tokyo2020 প্যারালিম্পিয়ান @SwimmerNiranjan
কে ক্রোয়েশিয়ান আন্তর্জাতিক চ্যাম্পিয়নশিপ 2021-এ 6⃣
1⃣
জয়ের জন্য অনেক অভিনন্দন 
গতি বজায় রাখুন!
#Praise4Para #সাঁতার
: নিরঞ্জন।”
SAI’র করা টুইটের রিপ্লাইতে এম শিব শঙ্করের রিটুইট পোস্ট,”আমরা গর্বিত নিরঞ্জন!!!”
একইভাবে শিবম শর্মার রিটুইট পোস্ট,”অভিনন্দন! 
”
ভারতীয় প্যারালিম্পিয়ান সাঁতারু নিরঞ্জন মুকুন্দন নিজের টুইটার হ্যাণ্ডেলে টুইট পোস্টে লিখেছে,”ক্রোয়েশিয়ান আন্তর্জাতিক চ্যাম্পিয়নশিপে 6 স্বর্ণ এবং 1 ব্রোঞ্জ সহ 2021 সালের আমার শেষ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা শেষ করছি।
ব্যস্ত বছর এগিয়ে কিন্তু এখন বিশ্রাম এবং রিচার্জ করার সময়।
#টিমইন্ডিয়া।”
এই টুর্নামেন্টের আগে নিরঞ্জন মুকুন্দন শীতকালীন পোলিস ওপেন চ্যাম্পিয়নশিপের ৪০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে নিজের রেকর্ড ভেঙে ৩ ব্রোঞ্জ পদক ভারতের ঝুলিতে তুলে দিয়েছিলেন। এই টুর্নামেন্টের সাফল্যের পর প্যারালিম্পিয়ান ভারতীয় সাঁতারু নিরঞ্জন টুইট পোস্টে জানিয়েছিলেন,”শীতকালীন পোলিস চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২১ ৩টি ব্রোঞ্জ মেডেল (১টি জাতীয় রেকর্ড, ২টি মরসুমের সেরা সময়) শেষ করেছি৷ দুর্দান্ত রেস এবং আশ্চর্যজনক সময়!
।” একই সঙ্গে এই টুর্নামেন্টের ৫০ মিটার ব্লাটার ফ্লাই ইভেন্টে নিরঞ্জন মুকুন্দন ব্রোঞ্জ পদক লাভ করেছিলেন।
স্পাইনা বিফিডা রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করা, একটি অনুন্নত মেরুদণ্ড নিরঞ্জন মুকুন্দনের নড়াচড়ায় বাধা সৃষ্টি করে। কারণ ৫ বছর বয়স পর্যন্ত তাঁর নীচের শরীর অবশ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু একবার জলে গেলে নিরঞ্জন অজেয়। ধীর-অবিচলিত প্রশিক্ষণ এবং অটল সংকল্পের মাধ্যমে নিরঞ্জন খেলায় উন্নতি করেন এবং একজন প্যারা-অ্যাথলিট হতে শুরু করেন। শারিরীক প্রতিবদ্ধকতাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে মাত্র ৯ বছর বয়সে নিরঞ্জন মুম্বইতে জাতীয় পর্যায়ের মিটে রুপোর পদক জিতেছিলেন। একবার জয়ের স্বাদ পেতেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন প্যারা সাঁতারু নিরঞ্জন মুকুন্দন।
]]>বাহারিনে আয়োজিত এই প্যারা গেমসে কার্তিক মুরলীকৃষ্ণা ডিসকাস থ্রোতে ব্রোঞ্জ মেডেল পেয়েছে F-37ক্যাটাগরিতে।
মেধা জয়ন্ত শট পুটে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন, F33/34।লক্ষিত শট পুটে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন, F54 ক্যাটাগরিতে।রাহুল হাই জাম্পে রুপোর পদক জিতেছেন, 1.65M-T42 ক্যাটাগরিতে।
প্রবীণ কুমার হাই জাম্পে গোল্ড মেডেল জিতেছেন, 2.0M -T44 ক্যাটাগরিতে।বিকাশ ভাটিওয়াল ডিসকাস থ্রোতে গোল্ড মেডেল জিতেছেন F46 ক্যাটাগরিতে।ম্যাফি এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমসে 400M, T46 দৌড়ে রৌপ্য পদক জিতেছেন। দেবাশী সতীজা 100 মিটার সাঁতারে রুপোর পদক জিতেছেন এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমসে ব্রেস্ট স্ট্রোকে।
]]>Asian Youth Para Games 2021 #Update
100m (M) Meet Tadhani (T13) wins GOLD
100m (M) Darsh Soni (T46/47) wins BRONZE
*Meet is a trainee at @SAI_Gandhinagar
's medal tally as on Dec 4 stands at 8⃣ Medals with 2
2
4
at ongoing #bahrain2021aypg
Congratulations
pic.twitter.com/xa9KlG1Rqa
— SAI Media (@Media_SAI) December 4, 2021
34 বছর বয়সী লিওনেল মেসি বার্সেলোনার হয়ে গত মরসুমে 48 ম্যাচে 38 গোল করেছিলেন এবং জুলাইয়ে আর্জেন্টিনাকে কোপা আমেরিকার গৌরব অর্জনের আগে কোপা দেল রে জিতেছিলেন। এটা ছিল মেসির উজ্জ্বল কেরিয়ারের প্রথম বড় আন্তর্জাতিক শিরোপা। আগস্টে ক্যাম্প ন্যু থেকে চোখের জলে ভেসে প্যারিস সেন্ট-জার্মেইতে যাওয়ার আগে বার্সেলোনার সাথে সম্পূর্ণভাবে কাটিয়েছিল।
লিওনেল মেসি এখন পর্যন্ত পিএসজির হয়ে মাত্র 11 ম্যাচে চারটে গোল করেছেন। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে তার অব্যাহত উজ্জ্বলতার জন্য তিনি পুরস্কৃত হয়েছেন।
মেসি এখন পুরানো প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর চেয়ে দুবার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন — তাদের মধ্যে তারা গত 13 টি সংস্করণের মধ্যে 12 টি জিতেছে এবং 2018 সালে লুকা মডরিচ পুরস্কার প্রাপ্তি ব্যতিক্রমী।
বায়ার্ন মিউনিখের স্ট্রাইকার রবার্ট লেভান্ডোস্কি দ্বিতীয় এবং চেলসি ও ইতালির মিডফিল্ডার জরগিনহো বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকদের জুরির ভোটে তৃতীয় হয়েছেন। এদিকে রোনালদো এসেছেন ষষ্ঠ স্থানে।
সোমবার প্যারিসে 2021 ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠানের বিজয়ীদের তালিকা:
পুরুষদের ব্যালন ডি’অর সেরা 10 জন
1.লিওনেল মেসি (ARG/বার্সেলোনা)
2. রবার্ট লেভান্ডোস্কি (পিওএল/বায়ার্ন মিউনিখ)
3. জর্গিনহো (ITA/চেলসি)
4. করিম বেনজেমা (এফআরএ/রিয়াল মাদ্রিদ)
5. এন’গোলো কান্তে (এফআরএ/চেলসি)
6. ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (POR/জুভেন্টাস – ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড)
7. মহ ম্মদ সালাহ (EGY/লিভারপুল)
8. কেভিন ডি ব্রুইন (বিইএল/ম্যানচেস্টার সিটি)
9. কাইলিয়ান এমবাপ্পে (এফআরএ/প্যারিস এসজি)
10. জিয়ানলুইগি ডোনারুম্মা (ITA/AC মিলান – প্যারিস SG)
মহিলাদের ব্যালন ডি’অর সেরা 10 জন
1. আলেক্সিয়া পুটেলাস (ইএসপি/বার্সেলোনা)
2. জেনিফার হারমোসো (ESP/বার্সেলোনা)
3. স্যাম কের (AUS/চেলসি)
4. ভিভিয়ান মিডেমা (NED/আর্সেনাল)
5. লিকে মার্টেনস (NED/বার্সেলোনা)
6. ক্রিস্টিন সিনক্লেয়ার (CAN/পোর্টল্যান্ড স্টর্মস)
7. পার্নিল হার্ডার (DAN/চেলসি)
8. অ্যাশলে লরেন্স (CAN/Paris SG)
9. জেসি ফ্লেমিং (CAN/চেলসি)
10. ফ্রান কিরবি (ইএনজি/চেলসি)
কোপা ট্রফির শীর্ষ ৩ (তরুণ খেলোয়াড়)
1. পেদ্রি (ESP/বার্সেলোনা)
2. জুড বেলিংহাম (ENG/বরুশিয়া ডর্টমুন্ড)
3. জামাল মুসিয়ালা (GER/বায়ার্ন মিউনিখ)
ইয়াশিন ট্রফির শীর্ষ ৩ (গোলরক্ষক)
1. জিয়ানলুইগি ডোনারুম্মা (ITA/AC মিলান – প্যারিস SG)
2. এডুয়ার্ড মেন্ডি (সেন/চেলসি)
3. জান ওব্লাক (এসএলও/অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ)
দর্শক প্রবেশের অনুমতি নেই। মারণ ভাইরাস কোভিডের জেরে আয়োজক এফএসডিএল কোভিড প্রটোকল মেনে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে খবর।
ম্যাচের ১২ মিনিট রয় কৃষ্ণা, ১৪ মিনিটে মনভীর সিং,২৩ মিনিটে লিস্টন কোলাসোর গোলে ৩-০ এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান, চির প্রতিদ্বন্দ্বী এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে। ভিনরাজ্যে আইএসএলের প্রথম ডার্বিতে সবুজ মেরুন শিবিরে তিরির অনুপস্থিত চোটের কারণে।
মেরিনার্সের হয়ে খাতা খুললেন রয় কৃষ্ণা। ডানদিক থেকে মনভীর সিং বল পায়ে এগিয়ে আসে এবং অধিনায়ক প্রীতম কোটালকে লক্ষ্য করে মাপা পাস বাড়িয়ে দেয়। অধিনায়ক কোটাল বক্সের কাছে থাকা গোলমেশিন রয় কৃষ্ণাকে দেখে বল এগিয়ে দেয়, দুরন্ত ভলি এসসি ইস্টবেঙ্গলের জালে জড়াতেই এটিকে মোহনবাগান ১-০ গোলে এগিয়ে যায়।
১৪ মিনিটে মনভীর সিং’র গোলে সবুজ মেরুন শিবির ২-০ গোলের লিড নেয়।মাঝমাঠে দুরন্ত ফুটবল হাবাসের ছেলেদের।জনি কাউকো একটি ম্যাজিক্যাল থ্রু পাস বাড়িয়ে দেয় মনভীরকে টার্গেট করে,ওই বাড়ানো বল ধরে মনভীর লাল হলুদের বক্সে চলে আসে। গোলপোস্ট লক্ষ্য করে মনভীর সিং শট নেয় গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্য ওই শট আটকানোর চেষ্টায় ব্যর্থ হয়, মনভীর সিং’র শট জালে জড়িয়ে যায় এসসির ইস্টবেঙ্গলের। ২-০ লিড এটিকে মোহনবাগানের।
১৮ মিনিটে এটিকেএমবি পেনাল্টি আবেদন করলেও রেফারি তা নাকচ করে দেয়।২৩ মিনিটে লিস্টন কোলাসোর গোল। দুই গোলে এগিয়ে গিয়ে হাবাসের ছেলেরা ম্যাচে আরও আক্রমণাত্মক ফুটবলে মেতে ওঠে। লাল হলুদ গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্য তিন কাঠির নীচে ভুল করে বসে। বাঁ দিকে বক্সের প্রান্তে বল সংগ্রহ করতে অরিন্দম লাইন থেকে ছুটে আসলেও সিদ্ধান্ত পরিষ্কার ছিল না এবং লিস্টন কোলাসো এগিয়ে যাওয়ার জন্য একটি ফ্রি রান পায় এবং বল হোম স্লট করে। এসসি ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্যের বিরাট ভুল সিদ্ধান্তের সুযোগ বুঝে লিস্টন কোলাসোর গোলে ৩-০ গোলের লিড নিয়ে ফেলে এটিকে মোহনবাগান।
হাফ টাইমে ডার্বির স্কোরলাইন এসসি ইস্টবেঙ্গল ০-৩ এটিকে মোহনবাগান। এসসি ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক তথা গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্য আহত হয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হলেন।। অরিন্দম মাঠ ছাড়ার সময়ে তার প্রতি প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের সম্মান প্রদর্শন দেখা যায়। অরিন্দম ভট্টাচার্য’র বদলে লাল হলুদের তিনকাঠির নীচে দাঁড়ানোর জন্য শুভম সেন মাঠে নামেন,৩২ মিনিটে। দুটো হলুদ কার্ড দেখায় লালরিনলিয়ানা হানামতেকে চলে যেতে হয় মাঠ ছেড়ে।
বিরতির পর খেলা শুরু হলে বিকাশ জাইরু শট নিলেও সবুজ মেরুন গোলকিপার অমরিন্দর সিং তা ধরে ফেলে উড়ন্ত অবস্থায় গিয়ে।
৫৬ মিনিটে এটিকে মোহনবাগানের জনি কাউকো হ্যান্ডবলের দাবি তোলে। রেফারি রাহুল কুমার গুপ্তা ওই আবেদন ফের খারিজ করে দেয়।
৬৬ মিনিটে লাল হলুদ ফ্রিকিক পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি। ৬৮ মিনিটে মহম্মদ রফিকের শট অফ দ্য টার্গেট হয়। লাল হলুদ গোলকিপার শুভম সেন ৭৮ মিনিটে কর্ণার থেকে বা দিকের আসা বল পাঞ্চ করে বল বক্সের বাইরে ফেলে দেয়।
এরই মধ্যে রেফারি শেষ বাশি বাজাতেই এটিকে মোহনবাগান ৩-০ গোলে চির প্রতিদ্বন্দ্বী এসসি ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে তিন পয়েন্ট ঘরে তুলে ফেলে।
]]>টিম ইন্ডিয়ার কুইকফায়ার ৫০ রান স্ট্যান্ড স্কোরবোর্ডে। কিন্তু ঘটে গেল অঘটন, কেএল রাহুল আউট ১৫ রানে।১৩.২ ওভারে ভারত রোহিত শর্মার উইকেট হারিয়ে ফেললো। রোহিত ৪৮ রানে প্যাভিলিয়নে। ভারত দুই উইকেটে ১০৯ রান।

ভারতের জয়ের জন্য ২৪ বলে ২৩ রান দরকার। ক্রিজে সূর্যকুমার যাদব এবং ঋষভ পহ্ন জুটি। একটি ক্র্যাকিং নক অর্ধশতরান সূর্যকুমার যাদবের। দুটি দুরন্ত শটে সূর্যকুমার টি টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে কিউইদের বিরুদ্ধে নিজের তৃতীয় অর্ধশতরান করে নিল। সূর্যকুমার ৬২, পহ্ন ১১ রানে ক্রিজে। ২০ বলে ২১ রান জয়ের জন্য ভারতের দরকার।
১৬.৪ ওভার ভারত সূর্যকুমার যাদবের উইকেট হারিয়ে বসলো। ৩ উইকেটে ১৪৪ রান ভারতের। সূর্যকুমার (SKY) ৬২ রানে ট্রেন্ট বোল্টের ডেলিভারিতে আউট।
১৭ বলে ২১ রান ভারতের জয়ের জন্য। ক্রিজে পহ্ন ও শ্রেয়স আইয়ার। পহ্ন ১২ রানে ক্রিজে। ১০ বলে ১৪ রান জয়ের জন্য ভারতের। পহ্ন ১৩, আইয়ার ৫ রানে ক্রিজে। ৫ রানে শ্রেয়স আইয়ার আউট। ৬ বলে ১০ রান জয়ের জন্য ভারতকে তুলতে হবে।
ক্রিজে এলেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার, সাথে ঋষভ পহ্ন ১৩ রানে ক্রিজে। ভারতকে ৬ বলে ৯ রান তুলতে হবে জয়ের জন্য।১৯ ওভার শেষ ১৫৬ রান ভারতের, ৪ উইকেটে। ভেঙ্কটেশ আইয়ার আউট ৪ রানে। ক্রিজে পহ্ন ১৩, অক্ষর প্যাটেল ক্রিজে। ৪ বলে ৫ রান জয়ের জন্য ভারতকে তুলতে হবে।
<
p style=”text-align: justify;”>ভারত জিতল ৫ উইকেটে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হোম সিরিজের প্রথম টি টোয়েন্টি ম্যাচ জয়পুরে। ঋষভ পহ্ন ১৭ নট আউট এবং অক্ষর প্যাটেল ১ রানে অপরাজিত থাকে। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ট্রেন্ট বোল্ট ২,সাউদি, স্যান্টনার এবং মিচেল একটি করে উইকেট নিয়েছে। তিন ম্যাচের টি টোয়েন্টি সিরিজে ভারত ১-০ এগিয়ে গেল। দ্বিতীয় টি টোয়েন্টি ম্যাচ রাঁচিতে ১৯ নভেম্বর।
]]>আবুধাবি স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ড টসে জিতে বোলিং’র সিদ্ধান্ত নেয়। ইংল্যান্ডের হয়ে দাউদ মালান ৪১ রান করেন। মঈন আলি ৫১ এবং ইংল্যান্ড অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান ৪ রান, দুজনেই নট আউট থাকে। জোস বাটলার ২৯,জনি ব্যারিস্টো ১৩,লিঁওম লিভিংস্টোন ১৭ রানে আউট হয়। ইংল্যান্ড ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান তোলে। কিউইদের হয়ে সাউদি, অ্যাডাম মিলনে,সোধি এবং নিসহ্যাম একটি করে উইকেট শিকার করেছে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড মার্টিন গুপ্টিল এবং অধিনায়ক কেন উইলিয়মসনের উইকেট দ্রুত হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। ইংল্যান্ডের পেসার ক্রিস ওয়ক্স ম্যাচের শুরুতেই ব্ল্যাক ক্যাপসদের জোড়া ধাক্কা দিয়ে বসে।২.৪ ওভারে ১৩ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বেসামাল হয়ে পড়ে কিউই শিবির।
ড্যারিল মিচেল এবং ডিভন কনওয়ে ক্রিজে নেমে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস মেরামত করতে শুরু করে। দুজনের জুটি থ্রি লায়ন্সদের বিব্রত করছিল। ক্রমে এই দুই জুটি কিউই শিবিরে খোলা বাতাস বয়ে আনছিল। ম্যাচে কোণঠাসা অবস্থা থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে এসেছিল নিউজিল্যান্ড।
কিন্তু হঠাৎ করেই নিউজিল্যান্ডের ছন্দপতন, ডিভন কনওয়ে যিনি ৩৮ বলে ৪৬ রানে ব্যাটিং করছিলেন আউট হয়ে যান লিভিংস্টোনের বলে।নিউজিল্যান্ড ১৩.৪ ওভারে ৩ উইকেটে ৯৫ রান তোলে স্কোরশিটে।
থ্রি লায়ন্সদের গর্জনে আবুধাবি স্টেডিয়াম কেঁপে উঠছে, ঠিক সেই সময়ে ড্যারিল মিচেল নিউজিল্যান্ডের একদিকের উইকেটের হাল ধরে মাটি কামড়ে পড়ে আছেন। ক্রিজে নেমে গ্লেন ফিল্পিস বিশেষ কিছু সুবিধা করে উঠতে পারেনি, ২ রান করে আউট হয় লিভিংস্টোনের বলে বিলিংসের হাতে ক্যাচ দিয়ে।
এরপর ড্যারিল মিচেল জুটি বাধেন জেমস নিসহ্যামের সঙ্গে। নিসহ্যাম ঝড়ো ইনিংস খেলে ১১ বলে ২৭ রান করে আদিল রশিদের বলে ইংল্যান্ড অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে আসেন। ওই সময় ১৭.৬ ওভারে নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেটে ১৪৭ রান তুলেছে। এরই মধ্যে ড্যারিল মিচেল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথিম সেমিফাইনালে নিজের অর্ধশতরান করে ফেলে।
শেষ পর্যন্ত ড্যারিল মিচেল ৭২ রানে অপরাজিত থাকে সঙ্গে মিচেল স্যান্টনার ১ রানে নট আউট। নিউজিল্যান্ড ১৯ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়, প্রথম সেমিফাইনালে।
ইংল্যান্ডের হয়ে ক্রিস ওয়ক্স এবং লিভিংস্টোন ২, আদিল রশিদ একটি উইকেট নিয়েছে। চলতি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল আগামী বৃ্হস্পতিবার পাকিস্তান বনাম অস্ট্রেলিয়ার। ১৪ নভেম্বর টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ আয়োজিত হবে।
]]>দ্বিতীয়ার্ধে ব্র্যান্ডন ৪৯,নিকোলা ৬৯ এবং জসকরণ ৯০ মিনিটে গোল করে কোচ শঙ্করলাল ভট্টাচার্যের ভবানীপুরের বিরুদ্ধে। আগামী ৯ নভেম্বর সেমিফাইনাল, মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব খেলবে ইউনাইটেড স্পোর্টস এর বিরুদ্ধে। এদিনের ম্যাচে রেফারির ম্যাচ পরিচালনার সহায়তার জন্য ভিডিও রেফারেন্স সিস্টেম প্রয়োগ করা হয়, যা কলকাতা লীগের ইতিহাসে প্রথম। আইএফএ সূত্রে খবর, কলকাতা লীগ ফাইনাল ম্যাচ ১২ নভেম্বর নির্ধারিত হয়েছে। কলকাতা লীগের সেমিফাইনালে উঠতে পেরে স্বভাবতই খুশি মহামেডান সমর্থকেরাও।
]]>