সেই সঙ্গে নিউল্যান্ডসে ইতিহাস গড়ার হাতছানি টিম ইন্ডিয়ার কাছে। আফ্রিকার মাটিতে বাইশ গজের মহারণে টেস্ট সিরিজ জয়ের রেকর্ড রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কার দখলে,ভারতের দখলে সিরিজ জয় অধরা। তাই মারণ কামড় দিতে টিম ইন্ডিয়ার ‘তুরুপের তাস’ হয়ে উঠতে পারেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha)।
গত হোম সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে কানপুরে প্রথম টেস্টে ঋদ্ধির লড়াকু ইনিংস ফেলনা নয়।
ওই হোম সিরিজে কিউইদের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনে ভারতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহা ১২৬ বল খেলে ৬১ রানে নট আউট থাকে। এমন সময়ে ঋদ্ধিমান ক্রিজে নেমেছিল যখন ভারত ৬ উইকেট হারিয়ে বসেছে, মাত্র ১০৩ রানে।
টানা ছয় টেস্ট ম্যাচে ব্যাটিং’র ব্যাডপ্যাচ, সঙ্গে ঘাড়ের চোট নিয়ে কাতরাতে কাতরাতে ঋদ্ধির অর্ধশতরান এবং ৬১ রানে শেষ অবধি অপরাজিত থাকা, লড়াকু ঋদ্ধিমান সাহা ফুরিয়ে যায়নি চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো পারফরম্যান্স।চতুর্থ দিনের খেলার শেষে ঋদ্ধিমান সাহা নিজের প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, “সাফল্য আপনার যা আছে তাতে নয়, আপনি কে? দলের জন্য অবদান রাখতে পেরে আনন্দিত।”
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চলতি টেস্ট সিরিজে ঋষভ পন্থের পারফরম্যান্স আহামরি নয়। বিশেষত দ্বিতীয় টেস্টে প্রোটিয়দের বিরুদ্ধে ভুল শট নির্বাচন সঙ্গে কিপিং গ্লাভস হাতেও ছাপ ফেলতে না পারায় টুইটার জুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে চলেছে। ফলে তৃতীয় তথা নির্ণায়ক টেস্ট ম্যাচ নিউল্যান্ডসে ঋদ্ধিমান সাহার কিপিং গ্লাভস হাতে প্রথম একাদশে জায়গা পাওয়ার জোরাল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
৩৭ বছরের ডানহাতি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহার ব্যাটিং হাত নাক কোঁচকানোর নয়,বরংঞ্চ তা ঈর্ষণীয়। ৪০ টেস্টে ৫৬ ইনিংসে মোট ১৩৫৩ রান। ঋদ্ধির ব্যাট হাতে গড় ২৯.৪১ এবং স্ট্রাইক রেট ৪৫.৫১। ঋদ্ধিমান সাহার টেস্ট কেরিয়ারে রয়েছে তিনটে শতরান এবং ছয়টি অর্ধশতরান, সর্বোচ্চ ১১৭ রান।
কিপিং গ্লাভস পড়ে ভারতের হয়ে টেস্টে ঋদ্ধিমান সাহা ৯২ টি ক্যাচ ধরেছেন উইকেটের পিছনে এবং স্টাম্প আউট করেছেন ১২ টি। আর ফিটনেসে ২০০ শতাংশ ফিট তা নিয়ে সন্দেহের কোন জায়গা নেই। তাই ঋদ্ধিতেই সিদ্ধিলাভ করতে চাইছে টিম ইন্ডিয়া।
]]>এবার তাই ভাগ্যে শিকেয় ছিড়তে পারে বাঙালি উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহার (Wriddhiman Saha)। রবিবার টিম ইন্ডিয়ার থিঙ্ক ট্যাঙ্কের নজরে ছিলেন শিলিগুড়ি’র পাপালি, এই নামেই ঋদ্ধিমান সাহা স্কোয়াডে জনপ্রিয়।
বিসিসিআই রবিবার যে টুইট পোস্ট করে তাতে কিপিং গ্লাভস হাতে ঋদ্ধিমান সাহা দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন, বলের মুভমেন্টের ওপর ‘শকুনের দৃষ্টি’ রেখে থ্রো ডাউন অনুশীলন সেশনে বল কিপিং গ্লাভসে বন্দি করছেন এবং ফিটনেসে ২০০ শতাংশ ফিট তা নিয়ে সন্দেহের কোন জায়গা নেই।
৩৭ বছরের ডানহাতি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহার ব্যাটিং হাত ফেলনা করার মতো নয়,বরংঞ্চ তা তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো। ৪০ টেস্টে ৫৬ ইনিংসে মোট ১৩৫৩ রান। ঋদ্ধির ব্যাট হাতে গড় ২৯.৪১ এবং স্ট্রাইক রেট ৪৫.৫১। ঋদ্ধিমান সাহার টেস্ট কেরিয়ারে রয়েছে তিনটে শতরান এবং ছয়টি অর্ধশতরান, সর্বোচ্চ ১১৭ রান।
কিপিং গ্লাভস পড়ে ভারতের হয়ে টেস্টে ঋদ্ধিমান সাহা ৯২ টি ক্যাচ ধরেছেন উইকেটের পিছনে এবং স্টাম্প আউট করেছেন ১২ টি।
ভারতের হয়ে শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন ঋদ্ধিমান সাহা গত বছর মুম্বইতে হোম সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। এই টেস্টে ঋদ্ধি প্রথম ইনিংসে ২৭ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩ রান করে।
প্রসঙ্গত, ওই হোম সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনে ভারতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha) ১২৬ বল খেলে ৬১ রানে নট আউট থাকে। এমন সময়ে ঋদ্ধিমান ক্রিজে নেমেছিল যখন ভারত ৬ উইকেট হারিয়ে বসেছে, মাত্র ১০৩ রানে।
টানা ছয় টেস্ট ম্যাচে ব্যাটিং’র ব্যাডপ্যাচ, সঙ্গে ঘাড়ের চোট নিয়ে কাতরাতে কাতরাতে ঋদ্ধির অর্ধশতরান এবং ৬১ রানে শেষ অবধি অপরাজিত থাকা, লড়াকু ঋদ্ধিমান সাহা ফুরিয়ে যায়নি চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো পারফরম্যান্স।চতুর্থ দিনের খেলার শেষে ঋদ্ধিমান সাহা নিজের প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, “সাফল্য আপনার যা আছে তাতে নয়, আপনি কে? দলের জন্য অবদান রাখতে পেরে আনন্দিত।”
পাপালির এই পারফরম্যান্সের পর ভক্তদের মধ্যে খুশির সুনামি বয়ে চলেছে। পরিসংখ্যান আর তথ্যের ওপর ঋদ্ধিমানের ফর্ম নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণে ব্যস্ত পাপালির ভক্তকুল। মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারে ঋদ্ধিমান সাহার বাইশ গজের পারফরম্যান্স নিয়ে রীতিমতো বিশ্লেষকের ভূমিকায় মেতে উঠেছিল বাঙালি ক্রিকেট ভক্তরা।
চলতি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজে ঋষভ পন্থের পারফরম্যান্স আহামরি নয়। বিশেষত দ্বিতীয় টেস্টে প্রোটিয়দের বিরুদ্ধে ভুল শট নির্বাচন সঙ্গে কিপিং গ্লাভস হাতেও ছাপ ফেলতে না পারায় টুইটার জুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে চলেছে। ফলে তৃতীয় তথা নির্ণায়ক টেস্ট ম্যাচ নিউল্যান্ডসে ঋদ্ধিমান সাহার কিপিং গ্লাভস হাতে প্রথম একাদশে জায়গা পাওয়ার জোরাল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
]]>কিন্তু কথায় আছে না ওস্তাদের মার…হলও তাই। ৩৬.৫ ওভারে নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে ১২৯ রানের মাথায় টম ব্লান্ডেল রান আউট হয়। থ্রোয়িং বলকে
ঋদ্ধিমান সাহা গ্লাভসে তালুবন্দী করেই ক্ষিপ্রতায় রান আউট করে ব্লান্ডেলকে। ৫ উইকেটের ধাক্কা ব্ল্যাক ক্যাপসদের। ব্ল্যাক ক্যাপসরা তৃতীয় দিনে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটে ১৪০ রান। ৪০০ রানে পিছিয়ে নিউজিল্যান্ড।
৩৭ বছর শুধুই একটা সংখ্যা চূড়ান্ত ফিটনেস লেভেল, উইকেটের পিছনে সঠিক পজিশন বেছে নিয়ে থ্রোয়িং বল গ্রিপ করা, চরম নাটকীয় মুহুর্তে মারণ ঝাপ ব্লান্ডেলের উইকেট বাঁচানোর তাগিদে! এমনই মুহুর্তে নিজের প্লাস ধরে রেখে বাজ পাখির ক্ষিপ্রতার মতো উইকেটে হিট করে রান আউট টম ব্লান্ডেলের রানের খাতা খুলতে না দিয়ে এককথায় “নাজুক” সত্যজিৎ রায়ের জয় বাবা ফেলুনাথ চলচ্চিত্রে মগন লাল হেমরাজের সুবিশাল কাশীর বাড়িতে সার্কাস মাস্টারের জটায়ুকে লক্ষ্য করে নিশানা ক্ষেপণের প্রতিক্রিয়াতে মগন লাল চরিত্রে নাট্যকার তথা অভিনেতা উৎপল দত্তের বিখ্যাত সংলাপ “নাজুক”,”নাজুক” (নিখুঁত), যা এখন তৃতীয় দিনে কিউইদের দ্বিতীয় ইনিংসে ঋদ্ধিমান সাহার টম ব্লান্ডেলের রান আউট করার খণ্ডচিত্র এখানে “নাজুক” যর্থাথতা পেয়েছে।
ঘাড়ের চোটে কাবু ছিলেন নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে কানপুরে প্রথম টেস্টে, কিপিং করতে পারেননি বাঙালি উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহা। বিকল্প হিসেবে শ্রীকর ভরত কিপিং’র দায়িত্ব সামলাতে দেখা গিয়েছিল।
তবে রানের আউটের গোটা ঘটনায় ঋদ্ধিমান সাহার নাজুক (নিখুঁত) পারফরম্যান্সকে সম্মান জানিয়েও বলতেই হয় টম ব্লান্ডেল আর নন স্ট্রাইকার এন্ডে হেনরি নিকোলসের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাবের সুযোগকে পুরো মাত্রায় কাজে লাগিয়েছে ঋদ্ধিমান সাহা।
কেননা ব্লান্ডেলের হাফ ড্রাইভ সরাসরি মিড অফে দাঁড়িয়ে থাকা ফ্লিডারের দিকে এগিয়েছে, আর ব্লান্ডেল নন স্ট্রাইক এন্ডে থাকা হেনরি নিকোলসের উদ্দ্যেশ্যে ‘Yes’ কল না করেই রানের জন্য দৌড় শুরু করেছে। মিড অফে শট নিলে স্ট্রাইক নেওয়া ব্যাটসম্যানকেই ‘Yes’ কল করতে হয়,কেননা নন স্ট্রাইকারের পিছনে বল যাচ্ছে।
এক সেকেন্ডেরও কম সময়ে উপস্থিত সিদ্ধান্ত নিয়েই ‘Yes’ কলিং স্ট্রাইক নেওয়া ব্যাটসম্যানকে কল করতে হয় নন স্ট্রাইকার ব্যাটসম্যানকে, এরপরেই ‘রানিং বিটুইন দ্য উইকেট’ পিচের দুই সাইড দিয়ে খুচরো রানের জন্য দৌড়।
আর এক্ষেত্রে হয়েছে পুরো উল্টো। ‘Yes’ কল করেই টম ব্লান্ডেল দ্রুত গতিতে পিচের প্রায় মাঝখানে চলে আসে, আউটফিল্ড ছিল ফাস্ট, বলের গতি আরও বেড়ে গিয়ে সোজা ভারতীয় ফ্লিডারের হাতে জমা পড়তে দেখে নন স্ট্রাইকার এন্ডে থাকা হেনরি নিকোলস ‘No’ কল করে বসে।
হঠাৎ করে No’ কলিং শুনে টম ব্লান্ডেল দ্রুত গতিতে রাশ টেনে ফের স্ট্রাইক এন্ডে পোছতে পারেনি ভারতীয় ফ্লিডারের অশ্বিনের ডেলিভারির মুহুর্তে একটু মুভ করায় ফ্লিডার অনেক আগেই বল ধরে পাল্টা দ্রুত গতির থ্রো টার্গেট করে উইকেট কিপার ঋদ্ধিমানের পেটের মাঝখান লক্ষ্য।
টম ব্ল্যান্ডেনের ‘Yes’ কল না করে রান নেওয়ার তাগিদ,কিউই ব্যাটম্যানদের মধ্যে বোঝাপড়া অভাব, ভারতীয় ফ্লিডারের মিড অফে মুভমেন্টের সঙ্গে দুরন্ত থ্রোয়িং এবং সবশেষে ঋদ্ধিমান সাহা স্ফূর্তিতে অত্যন্ত ক্ষিপ্রতায় টম ব্ল্যান্ডেনকে রান আউট, এককথায়, “নাজুক”।
]]>নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের পঞ্চম দিনে, সাহার অনুপস্থিতিতে, শ্রীকর ভরত উইকেট কিপিং গ্লাভস পরেছিলেন।
দ্বিতীয় টেস্টের আগে ক্যাপ্টেন কোহলি বলেছেন, “ঋদ্ধিমান সাহা এখন ফিট এবং সে তার ঘাড়ের চোট থেকে সেরে উঠেছে। আমরা আবহাওয়া এবং পিচের অবস্থার ওপর ভিত্তি করে টিম কম্বিনেশন নিয়ে আলোচনা করব।”
ভারত ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে দ্বিতীয় টেস্ট শুক্রবার মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শুরু হবে এবং দুই টেস্ট ম্যাচের সিরিজটি 0-0 তে লক হয়েছে।
টানা ছয় টেস্ট ম্যাচে ব্যাটিং’র ব্যাডপ্যাচ সঙ্গে ঘাড়ের চোট নিয়ে কাতরাতে কাতরাতে ঋদ্ধির অর্ধশতরান এবং ৬১ রানে শেষ অবধি অপরাজিত থাকা, লড়াকু ঋদ্ধিমান সাহা( ডাকনাম পাপালি) ফুরিয়ে যায়নি চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো পারফরম্যান্স।চতুর্থ দিনের খেলার শেষে ঋদ্ধিমান সাহা নিজের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, “সাফল্য আপনার যা আছে তাতে নয়, আপনি কে? দলের জন্য অবদান রাখতে পেরে আনন্দিত।”
পাপালির এই পারফরম্যান্সের পর ভক্তদের মধ্যে খুশির সুনামি বয়ে চলেছে। পরিসংখ্যান আর তথ্যের ওপর ঋদ্ধিমানের ফর্ম নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণে ব্যস্ত পাপালির ভক্তকুল। মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারে ঋদ্ধিমান সাহার বাইশ গজের পারফরম্যান্স নিয়ে রীতিমতো বিশ্লেষকের ভূমিকায় বাঙালি ক্রিকেট ভক্তরা।
Lost তার টুইটার হ্যাণ্ডেলের পোস্টে, “স্যার আপনি কি আমাকে আপনার ফর্ম সম্পর্কে একটি প্রশ্ন বলতে পারেন যখন নির্বাচকরা দ্বিতীয় টেস্টের জন্য কেএস ভরতকে বেছে নেবে কেন এটি আসে?
2017 থেকে কেন এই ধরনের ইনিংস খেলছেন না।”
রি টুইটে Surangama Roy’র পোস্ট, “2017 সালের পর তিনি খেলার কত সুযোগ পেয়েছেন?”
Surangama Roy’র রি টুইটে Lost’র রিপ্লাই রিটুইট,
“8 ইনিংস
কিন্তু আপনি জানেন যে তিনি ফর্মে না থাকলে কেন তিনি কেএস ভরতের মতো ছোটদের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন।
ঠিক যেমন রাহানে অস্ট্রেলিয়ায় 100 করেছিলেন যা প্রায় দেড় বছর ধরে টেস্টে তার নাম নিশ্চিত করে
তাই আজ ঋদ্ধি করেছে।”
Surangama Roy’র রিটুইট “4 বছরে 8টি ইনিংস, এটি একজন খেলোয়াড়ের জন্য ভয়ঙ্কর… এবং তিনি তরুণ খেলোয়াড়দের সামনে দাঁড়িয়েছেন তার মানে আপনি কি? তিনি আজ মাঠে ব্যাট করার সময় কী করবেন? দলের সমস্যায় তার উইকেট তুলে দেন… তিনি কি জাতীয় নির্বাচক? তিনি কি পন্থের পথে দাঁড়িয়েছেন?”
Sir can you tell me one question about your form why it comes when selectors gonna be choose ks Bharat for second test.
Why are not playing these types of innings from 2017—
lander0007 (@rainyboy_24) November 28, 2021
২০১৭ সালে ৯ ফেব্রুয়ারি হায়দরাবাদে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ঋদ্ধিমান সাহা ১৫৫ বলে ১০৬ রানে নট আউট ছিলেন। ২০১৭ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পুনেতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে রানের খাতা না খুলেই প্যাভিলিয়ন ফিরে আসেন এবং দ্বিতীয় ইনিংসে অজিদের বিরুদ্ধে ৫ রান করে এলবিডব্লু শিকার হন।
৪ মার্চ ২০১৭ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের প্রথম ইনিংসে ঋদ্ধিমান সাহা ১ রান, দ্বিতীয় ইনিংসে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন। ১৫ মার্চ, ২০১৭ সিরিজের তৃতীয় টেস্ট অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে রাঁচিতে ঋদ্ধিমানের ব্যাট থেকে প্রথম ইনিংসে ২৩৩ বলে ১১৭ রান বেরিয়ে আসে। চতুর্থ টেস্ট হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় ২০১৭ সালের ২৫ মার্চ ১০২ বলে ৩১ রানে আউট হয় ঋদ্ধিমান।
শ্রীলঙ্কা সফরে ২৬ জুলাই ২০১৭ গেলে প্রথম টেস্টে ঋদ্ধিমান সাহা প্রথম ইনিংসে ১৬ রানে আউট হন। দ্বিতীয় টেস্ট কলম্বোতে প্রথম ইনিংসে ১৩৪ বলে ৬৭ রানে আউট হন ঋদ্ধিমান সাহা।সিরিজের তৃতীয় টেস্ট ক্যান্ডিতে প্রথম ইনিংসে ঋদ্ধি ১৬ রানে আউট হয়।
২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর শ্রীলঙ্কা দলের ভারত সফরে প্রথম টেস্ট ইডেন গার্ডেনে হয়। প্রথম ইনিংসে ২৯ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ রান কলকাতার ক্রিকেট ভক্তদের নিরাশ হতে হয় ঋদ্ধিমান সাহার পারফরম্যান্সে ঘরের মাঠে। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট নাগপুরে প্রথম ইনিংসে ১ রানে নট আউট।তৃতীয় টেস্ট দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ঋদ্ধিমান সাহা ৯ রানে আউট হয়। এইভাবেই পাপালি’র ভক্তরা পারফরম্যান্সের চুলচেরা বিশ্লেষণ নিয়ে টুইটারে টুইট-রিটুইটে মজে রয়েছেন।
]]>টানা ছয় টেস্ট ম্যাচে ব্যাটিং’র ব্যাডপ্যাচ সঙ্গে ঘাড়ের চোট নিয়ে কাতরাতে কাতরাতে ঋদ্ধির অর্ধশতরান এবং ৬১ রানে শেষ অবধি অপরাজিত থাকা, লড়াকু ঋদ্ধিমান সাহা ফুরিয়ে যায়নি চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো পারফরম্যান্স।চতুর্থ দিনের খেলার শেষে ঋদ্ধিমান সাহা নিজের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, “সাফল্য আপনার যা আছে তাতে নয়, আপনি কে? দলের জন্য অবদান রাখতে পেরে আনন্দিত।”
Success is not in what you have, but who you are. Glad to contribute to the Team’s cause. @BCCI #IndVsNZ #TeamIndia #India pic.twitter.com/J1XydEyFng
— Wriddhiman Saha (@Wriddhipops) November 28, 2021
ঋদ্ধিমান সাহার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে চতুর্থ দিনের পারফরম্যান্স নিয়ে টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর বলেছেন,দুর্ভাগ্যজনক কিন্তু ‘আদর্শ’ টিম ম্যান সাহার ভূমিকা হল ‘কঠিন কাজ’ করা যখন পহ্নকে পাওয়া যায় না।
ঋদ্ধিমান সাহার চোখ জুড়ানো ইনিংসের তারিফে টুইটার টইটুম্বুর।
@I am satinath ganguly টুইট পোস্ট,”আজ ঘাড়ে চোট নিয়ে ব্যাটিং করতে এসে আপনি দেখিয়ে দিলেন যে বাঙালি সব কিছুই পারে ۔ তোমার আজ ইনিংস দেখে বাঙালি হিসাবে গর্ববোধ করছি”।
Uddipta Narayan Hazra ঋদ্ধিমান সাহাকে অভিনন্দন জানিয়ে টুইটে লিখেছেন,”খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং ভারতের জন্য খুব প্রয়োজনীয় একটা ইনিংস ছিল এই ৬১ রানের ইনিংসটা
সেরে ওঠো খুব শিগগির 
পরের ম্যাচে একটা শতরানের অপেক্ষায় রইলাম
শুভকামনা
”।
Sushen Roy টুইট পোস্ট, “ঋদ্ধি দাদা খুব ভালো খেলেছো। তোমার এই ইংনিশটা আশা করি সবার হৃদয়ে অনেক জায়গা করে নিয়েছে।
ভবিষ্যতের জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইল।।”
মহেশ নিজের টুইটে ঋদ্ধিমান সাহার ছবি পোস্ট করে লিখেছে,”
কোন ট্যাটো নেই
সেক্সি চুল নেই
পেশী নেই
বডি বিল্ডিং নেই
মিষ্টি হাসি
প্রয়োজনে রান করে
টিম ম্যান
”
চতুর্থ দিনের শেষে ভারত ২৩৪ রানে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে, ৭ উইকেটের বিনিময়, ভারতের লিড নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৮০ রানের। নিউজিল্যান্ড উইল ইয়ং’র উইকেট হারিয়ে ৪ রানে চতুর্থ দিনের শেষে।
]]>লড়াকু ঋদ্ধি, কিউইদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৬তম ওভারে প্রথম বলটা টিম সাউদি একটু নীচু লেহ্নের বলকে ফাইন লেগে পুশ করে খুচরো রান নিয়ে যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে ঋদ্ধি চোখে মুখে স্পষ্ট ছাপ টিভি ক্যামেরায়। মাঝে মাঝেই নিজের কাঁধ ধরে ফেলছিলেন এবং ড্রিঙ্কস ব্রেকের সময় ফিজিও নীতিন প্যাটেল মাঠে এসেই প্রাথমিক শুশ্রূষা করে গেলেন।
প্রথম ইনিংসে নিজের ১২ বল খেলে টিম সাউদির বলে টম ব্লুন্ডেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়ন আসার পর থেকেই গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছিল জীবনের শেষ টেস্ট খেলে ফেললেন ঋদ্ধিমান সাহা। কিপার হিসেবে শ্রীকর ভরত উইকেটের পিছনে গ্লাভস হাতে দুরন্ত পারফর্ম করছিলেলন, বিশেষত নিউজিল্যান্ডের সেট ব্যাটসম্যান উইল ইয়ংকে ৮৯ রানে ফেরৎ পাঠানোর আসল কারিগর রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ডেলিভারিতে ইয়ং’র ব্যাটে এজড হয়ে শ্রীকর ভরতের গ্লাভসে ক্যাচ অনেকটা নীচের দিকে শরীরটাকে মুচড়ে দিয়ে তালুবন্দী করা,এককথায় অনবদ্য পারফরম্যান্স নবাগত সাহার বদলি উইকেটরক্ষক শ্রীকর ভরতের, যা ঋদ্ধিমানকে ড্রেসিংরুমে অস্বস্তির সঙ্গে চাপে ফেলেছিল বৈকি।
অস্বস্তি আর চাপের মিশেলে “ফাইট ফেলুদা, ফাইট” সত্যজিৎ রায়ের সৃষ্টি প্রদ্যোষ মিত্র “ফেলুদা” বাঙালির কানে যেভাবে মন্ত্রজপের মতো ঘাড়ে চেপে বসে আছে এখনও, তেমনি ঋদ্ধিমান সাহাও ঘাড়ের চোট নিয়েই “ব্যাট বলের ফাইটে” অসহ্য যন্ত্রণাকে ভুলে গিয়ে।
ঋদ্ধির”ব্যাট বলের ফাইট” এমন সময়ে স্কোরবোর্ডে ৬ উইকেট খুঁইয়ে ভারত মাত্র ১০৩ রানে। কিন্তু সুপার সানডেতে ঋদ্ধিমান সাহার নাম লেখা ছিল! সমস্ত সমালোচনা, অস্বস্তি, চাপকে “ঠেঙ্গা” (বুড়ো আঙুল) দেখিয়ে উইলিয়াম সমারভিলের ওভারে বিশাল এক ওভার বাউন্ডারি, শেষ এখানেই নয়; এরপরে কাইল জেমিসন, টিম সাউদি সবাইকে বাউন্ডারিতে ছুঁড়ে ফেলে, আজাজ প্যাটেলকে ধীরে সুস্থে ফেস করে বাইশ গজে ব্যাট হাতে ধৈহ্য কাকে বলে, এমন জাত ব্যাটিং’র নমুনা দেখিয়ে লুস ডেলিভারিতে একট রুম পেতেই ফুটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে নিখুঁত প্লেসমেন্টের জোরে খুচরো রানে আন্তজার্তিক টেস্ট ক্রিকেট সার্কিটে ৬ নম্বর অর্ধশতরান সমস্ত সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দেওয়ার জন্যে যথেষ্ট যে ঋদ্ধিমান সাহা ফুরিয়ে যায়নি। রানের খরা কাটিয়ে দলের কঠিন সময়ে হাল ধরা লড়াকু ঋদ্ধিমান সাহার গভীর আত্মপ্রত্যয়।
তাই কিংবদন্তী ভারতীয় ব্যাটসম্যান ভি ভি এস লক্ষণ ঋদ্ধিমান সাহার ব্যাটিং দেখে চুপ করে থাকতে পারেননি। টুইট করেন এবং প্রশংসার সুর টুইটে ঋদ্ধিমান সাহার পারফরম্যান্সে লেখেন “@Wriddhipops-এর কাছ থেকে কতটা উজ্জ্বল অর্ধশতক কঠিন ঘাড়ের সাথে লড়াই করা এবং সেই লড়াই এবং সংকল্প দেখানোর জন্য এই চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড়ের আসল চরিত্র প্রতিফলিত হয়। চালিয়ে যান ঋদ্ধি
“
What a brilliant half century from @Wriddhipops To battle stiff neck and to show that fight and determination reflects the true character of this champion player. Keep it up Wriddhi
#NZvIND pic.twitter.com/mXyVN25DXy
— VVS Laxman (@VVSLaxman281) November 28, 2021
সময়ের সরণিতে পিছনে ফিরে তাকালে পরিসংখ্যানে পরিষ্কার কতটা অস্বস্তি আর চাপের মধ্যে ছিলেন টি ইন্ডিয়ার উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহা।দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ঋদ্ধিমান সাহা কেপটাউন প্রথম টেস্টে ৫ জানুয়ারি ২০১৮ প্রথম ইনিংসে রানের খাতা না খুলেই আউট,দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ রান। ২ অক্টোবর ২০১৯ বিশাখাপত্তনমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২১ রান। রাঁচিতে তৃতীয় টেস্টে প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ঋদ্ধিমান সাহার ২৪ রান। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ইন্দোরে ১৪ নভেম্বর ২০১৯ প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১২ রান ঋদ্ধির, ২২ নভেম্বর ২০১৯ কলকাতার ইডেন গার্ডেনে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ১৭ রানে নট আউট।Adelaide ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৯ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ রান।
ঋদ্ধিমান সাহার এখন বয়স ৩৭। “বয়স শুধুই একটা সংখ্যা” লিয়েন্ডার পেজের ভাষায়। তাই ৩৭ বছর ৩৫ দিনের মাথায় ঋদ্ধিমান সাহা নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ত্রাতা হয়ে উঠলেন ৬১ রান ১২৬ টা ডেলিভারির মুখে দাঁড়িয়ে নট আউট থেকে। বেশি বয়সে ভারতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে অর্ধশতরান করার নজির আগেও হয়েছে,ভারতীয় উইকেটরক্ষকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী বয়সে টেস্ট হাফ সেঞ্চুরি
ফারুখ ইঞ্জিনিয়ার – ৩৬ বছর ৩০৫ দিন,সৈয়দ কিরমানি – ৩৫ বছর ২০ দিন, নানা যোশী- ৩৪ বছর ৪১ দিন, মহেন্দ্র সিং ধোনি – ৩৩ বছর ৩৯ দিন। কিন্তু সবার ওপরে বয়সের বিচারে এগিয়ে ঋদ্ধিমান সাহা ৩৭ বছর ৩৫ দিন প্রথম টেস্ট চতুর্থ দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬১ রানে নট আউট থাকা। তবে এখানে শ্রেয়স আইয়ারের সঙ্গে প্রথমে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের(৫০ রানের পার্টনারশিপ) এবং জুটি ঋদ্ধিমান সাহার সঙ্গে আইয়ারের জুটি(৫০ রানের পার্টনারশিপ) বেঁধে ইনিংস গোছানো “কাবিলে তারিফ”, প্রশংসাযোগ্য।
ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেটে ২৩৪ ডিক্লেয়ার ইনিংস। ভারত এখন ২৮০ রানের লিড ধরে রেখেছে। নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসের চতুর্থ দিনের শেষে ৪ রানে ১ উইকেট, উইল ইয়ং’র উইকেট হারিয়ে।
]]>