উত্তর প্রদেশ নির্বাচনে অন্যতম ইস্যু হতে পারে কৃষক আন্দোলন। যোগী রাজ্যের চাষিদের অনেকেই সমর্থন জানিয়েছিলেন আন্দোলনে। এবং তার উত্তরে রাজ্য সরকারের মনোভাবও উঠে এসেছিল সংবাদ শিরোনামে। চাষিরাও দেশের নাগরিক। ভোটার। তাই আদিত্যনাথের সরকার তাঁদেরকে যে ক্ষুণ্ণ করেছিল তা বলাই বাহুল্য। লখিমপুরের ঘটনা আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল দেশে। মন্ত্রীর ছেলে নাকি পিষে মেরেছিলেন কৃষকদের! আসন্ন নির্বাচনে প্রভাব পড়বে কি ভোট ব্যাঙ্কে?
অতিমারি-কালও কাল হতে পারে যোগী সরকারের। রাজনৈতিক বোদ্ধাদের কেউ কেউ এমনটাও মনে করছেন। দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় উত্তর প্রদেশের গ্রামের দিকে শোনা গিয়েছিল হাহাকার৷ নদীর জলে ভেসে গিয়েছিল একের পর এক মৃতদেহ৷ স্বজনের প্রাণ রক্ষা করতে অন্য রাজ্যে ছুটে গিয়েছিল পরিবার। এসবই এখনও মনে রয়েছে আম-জনতার। প্রদেশের চিকিৎসা পরিষেবা সম্বন্ধে নেতাবাচক বার্তা পৌঁছেছিল জাতীয় স্তরে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তা কি আগের মতো রয়েছে এখনও? এ প্রশ্ন আগে উঠেছে বহুবার। কিছু বেসরকারি সংস্থা সমীক্ষা চালিয়েছিল। যার ফলাফল বিজেপি সমর্থকদের অনেকেই হয়তো পছন্দ করবেন না। হিন্দুত্ববাদী ইমেজ খাড়া করা সত্বেও বারাণসীতেও চিড় ধরেছে মোদীর জনপ্রিয়তায়। সংবাদমাধ্যমের পর্দাদেও উঠে এসেছে সেই ছবি। অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের দুধ কা দুধ পানি কা পানি করে দিয়ে গিয়েছে অনেক কিছুই।
উত্তর প্রদেশে নিরাপত্তা এখনও চিন্তার বিষয়। যোগী আদিত্যনাথ দুষ্টের দমন করতে নিয়েছিলেন একাধিক পদক্ষেপ৷ অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড থেকে এনকাউন্টার, বিগত কয়েক বছরে হয়েছে অনেক কিছুই। কিন্তু সুফল মিলেছে কতোটা। উন্নাও-এর ঘটনা এখনও ভোলেননি ইউপি নিবাসীরা। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯-এ রাজ্যে অপরাধের সংখ্যা বেশি। ২০১৮ সালে নথিভুক্ত হওয়া ক্রাইমের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৮৫ হাজার ১৫৭। ২০১৯ সালে ৬ লক্ষ ২৮ হাজার ৫৭৮।
রাজ্যের ক্ষমতায় বিজেপি থাকবে কি না তা অনেকাংশে নির্ভর করবে বিরোধীদের ওপর। উত্তর প্রদেশে বিজেপির বিরুদ্ধে সর্বাগ্রে সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেস। সম্প্রতি বিরোধী হিসেবে বিজেপিকে বেশ বেগ দিচ্ছে হাত শিবির। প্রচারে অখিলেশও ছড়িয়েছেন সুগন্ধী। গেরুয়া শিবিরকে পরাস্ত করার ইচ্ছা নিয়ে কাছাকাছি এসেছে সপা ও কং। আর মায়াবতী? মায়াতীর দল নিয়ে একলা চলো নীতি। কিছু ভোট নিশ্চয় পাবেন নেত্রী। তাতে বরং লাভ হতে পারে বিজেপির। মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। ‘ভোট কাটুয়া’ শব্দ দু’টির চল বেড়েছে সম্প্রতি।
উত্তর প্রদেশে শিক্ষার হার এখনও অনেকটা কম। বিশেষ করে নারী শিক্ষার হার ৬০ শতাংশেরও নীচে। উত্তর প্রদেশ সরকারের তথ্য অনুযায়ী রাজ্যে পুরুষ শিক্ষার হার ৭৯.২৪ শতাংশ। নারী শিক্ষার হার ৫৯.২৬ শতাংশ। গড়ে শিক্ষার হার ৬৯.৭২ শতাংশ। যোগী রাজ্যে মহিলাদের বর্তমান অবস্থা এক আলোচ্য বিষয়৷
অযোধ্যা। উত্তর প্রদেশ নির্বাচনে বিজেপির অন্যতম হাতিয়ার৷ রাম মন্দিরের ভিত-পুজো করে মাইলেজ আদায় করে নিয়েছিলেন মোদী। উত্তর প্রদেশ সহ অন্যান্য রাজ্যেও সেদিন উড়েছিল গেরুয়া ধ্বজা। অভাব অনটনের মাঝেও ভারতবাসীদের একাংশ ধর্মপ্রাণ। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা এ কথা জানেন খুব ভালো করে।
অর্থাৎ ইস্যু রয়েছে। হয়েছে আন্দোলন। বিরোধীরা উঠে পড়ে লেগেছেন যোগীকে আসন চ্যুত করতে। কিন্তু এমনই কিছু পয়েন্ট রয়েছে যা হাসি ফোটাতে পারে গেরুয়া শিবিরে। তাই লড়াই হবে সেয়ানে সেয়ানে।
]]>
যোগী আদিত্যনাথ
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৫ সালে এসেছিলেন টুইটারে। এই ক’বছরে তিনি করেছে ১৪ হাজার ৬০০ টুইট৷ ১.৬৬ কোটি মানুষ টুইটারে তাঁকে ফলো করেছেন। যোগী নিজে ফলো করেন ৫০ জনকে। নিজের দলের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীদেরই বেশি ফলো করেন তিনি।
অখিলেশ যাদব
উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ২০০৯ সাল থেকে টুইটারে রয়েছেন। সেই নিরিখে যোগীর তুলনায় করেছেন অনেক কম পোস্ট। প্রায় ১২ বছরে ৪ হাজার ৮৮১ টি টুইট করেছেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান। ১.৫৩ কোটি মানুষ ফলো করেন তাঁকে। নিজে ফলো করেন ২৪ জনকে। ভারতীয় সেনা, নেভির পাশাপাশি বিদেশি রাষ্ট্রনেতারাও অখিলেশের পছন্দের তালিকায়।
মায়াবতী
ইনিও উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। সাবেকি ঘরানার রাজনীতিবিদ হিসেবেই তিনি পরিচিত। সামাজিক মাধ্যমে এসেছেন অনেক পরে। ২০১২ এবং ২০১৭ সালের নির্বাচনের পরাস্ত হওয়ার পর টুইটারে পদার্পণ। ২০১৮ সালে প্রোফাইল তৈরি করেছেন। ফলো করেন মাত্র একটি অ্যাকাউন্ট। তাও টুইটার সাপোর্টের। তিন বছরে করেছেন ১ হাজার ২৪৯ টি টুইট। নেত্রীকে ফলো করেন ২৩ লক্ষ ব্যক্তি।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা
<
p style=”text-align: justify;”>দু’বছর আগেই টুইটারে অ্যাকাউন্ট করেছেন প্রিয়াঙ্কা। যদিও পরিসংখ্যানের নিরিখে ইতিমধ্যে পিছনে ফেলে দিয়েছেন মায়াবতীকে। বর্তমানে তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা ৪৩ লক্ষ। নিজে ফলো করেন ১৯১ জনকে। নিজের দলের নামকরা নেতা-নেত্রীর সঙ্গে তিনি ফলো করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকেও। ১ হাজার ৮২০ টি টুইট করেছেন প্রিয়াঙ্কা।
]]>রাজ্যের বিজেপি সরকারকে (bjp goverment) কড়া ভাষায় আক্রমণ করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ (aravind kejriwal) বললেন, উত্তরপ্রদেশে ৫ বছর ক্ষমতায় থেকে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (yogi adityanath) এখানে শুধু শ্মশান বানিয়েছেন। শ্মশান যাতে নিয়মিত প্রচুর মানুষ যায় তার ব্যবস্থাও করেছেন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে উত্তরপ্রদেশের বিপুলসংখ্যক মানুষের মৃত্যুর জন্য সরাসরি যোগীকেই দায়ী করেন কেজরিওয়াল।
লখনউয়ে এক জনসভায় কেজরি বলেন, গোটা বিশ্বের মধ্যেই উত্তরপ্রদেশ সরকারই করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে সবচেয়ে ব্যর্থ হয়েছে। যোগী সরকারের ব্যর্থতার কারণেই রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে হাজার হাজার মানুষের। এই সরকার পাঁচ বছরে রাজ্যের উন্নয়নের কোনও কাজই করতে পারেনি। এই সরকার রাজ্যকে শ্মশান বানিয়ে ছেড়েছে। শ্মশানে কিভাবে আরও বেশি লোক পাঠানো যায় তার ব্যবস্থা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী নিজে। উত্তরপ্রদেশের ৪০৩ টি বিধানসভা আসনের প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে আপ।
দলের প্রচারে এসে বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে কেজরিওয়াল বলেন, যোগী সরকার শুধু বিজ্ঞাপনের পিছনে পয়সা খরচা করে। আসলে কাজের কাজ কিছুই করে না। যোগী সরকার আমেরিকার পত্রিকাতেও পাতাজুড়ে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। এভাবেই সরকারি টাকা নয়ছয় করছে। দিল্লিতে যোগী সরকার ৮৫০টি হোর্ডিং দিয়েছে। অথচ রাজধানীতে দিল্লি সরকারের হোর্ডিংয়ের সংখ্যা মাত্র ১০৮। এ থেকেই বোঝা যায় যোগী সরকার কীভাবে অর্থ অপব্যয় করছে।
একইসঙ্গে কেজরি প্রতিশ্রুতি দেন, মানুষ যদি আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন তবে আমরা এরাজ্যে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল করব। কীভাবে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের উন্নতি করা যায় আমরা তা করে দেখাবো। যেমনটা আমরা দিল্লিতে করেছি। একইসঙ্গে পূর্ববর্তী সমাজবাদী পার্টি সরকারকে আক্রমণ করে কেজরি বলেন, সপা সরকার উত্তরপ্রদেশে শুধুই কবরস্থান তৈরি করেছিল। উন্নয়নের কোনও কাজই করতে পারেনি।
]]>ওমিক্রণ রুখতে ইতিমধ্যে বেশ কিছু নিয়ম-নীতির পথে হেঁটেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ফের বন্ধ করে দেয়া হয়েছে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়। কাটছাঁট করা হয়েছে লোকাল ট্রেনে যাত্রী সংখ্যার উপরে। স্বভাবতই সাধারণ মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে এক আতঙ্কের বাতাবরণ। কিন্তু রাজনৈতিক নেতাদের একাংশ করোনার এই নয়া উপ-প্রজাতি সম্পর্কে দুশ্চিন্তা করতে নারাজ।
আদিত্যনাথ বলেছেন, “এই ওমিক্রন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ঠিকই। তবে খুব হালকা রোগের সৃষ্টি করে। ভাইরাসটি দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়েছে। এটি ভাইরাল জ্বরের মতো, তবে সতর্কতা প্রয়োজন। আতঙ্কিত হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।”
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ে উত্তর প্রদেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বিস্তর। নদীর জলে ভাসমান মৃতদেহের ছবি এখনো জ্বলজ্বল করছে অনেকের চোখের সামনে। যোগী রাজ্যের চিকিৎসা পরিকাঠামো, অক্সিজেনের যোগান ইত্যাদি সম্পর্কে উঠেছিল প্রশ্ন। প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, উত্তর প্রদেশে মোট করোনা কেসের সংখ্যা ১৭.১ লক্ষ। মৃত্যু হয়েছে ২২ হাজার ৯১৫ জনের।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন অতিমারির তৃতীয় ঢেউয়ের সামনে দাঁড়িয়ে দেশ। সভাপতি রাজনৈতিক মহলের একাংশের চোখ এখন উত্তর প্রদেশের দিকে। কোভিদ পরিস্থিতির ছাড়াও আরো একটি কারণে সে রাজ্যের দিকে চোখ রয়েছে অনেকের। উত্তরপ্রদেশের দুয়ারে নির্বাচন। নিঃসন্দেহে ভারতীয় জনতা পার্টি রাজ্যে নিজেদের ইমেজ সুশ্রী রাখতে চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখতে চাইবে না।
]]>অযোধ্যায় এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগের সরকার এখানে সরকারি টাকা শুধু কবরস্থানের পিছনে খরচ করত। কিন্তু এখন সরকারি টাকা খরচ হয় মন্দির তৈরি এবং মন্দিরের উন্নয়নের কাজে। আগের সরকারের সঙ্গে বর্তমান সরকারের এটাই চিন্তাভাবনার ফারাক।
যোগী এদিন সরাসরি হিন্দু-মুসলিম শব্দ উচ্চারণ না করলেও তাঁর বক্তব্যে এটা পরিষ্কার যে, সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় কাজে কোনও রকম অর্থ ব্যয় করা হবে না। যাবতীয় অর্থ খরচ করা হবে সংখ্যাগুরু হিন্দুদের জন্য। যোগী বলেন, আগের সরকার শুধুমাত্র সামান্য কিছু মানুষের কথাই ভাবত। তাই তারা টাকা খরচ করত কবরস্থানের জন্য। কিন্তু বর্তমান সরকার মন্দিরের কথা চিন্তা করে। দেশের সংস্কৃতি, সুপ্রাচীন ঐতিহ্য, ধর্মের কথা চিন্তা করে। সেজন্যই তারা মানুষের টাকা মন্দির তৈরিতে এবং উন্নয়নের কাজে খরচ করে।
চড়া হিন্দুত্বের তাস খেলতে গিয়ে যোগী আরও বলেন, আজ থেকে ৩০ বছর আগে এদেশে করসেবা করলে গুলি চালানো হত। কিন্তু আগামী দিনে করসেবা করা হলে গুলি চলবে না। বরং পুষ্পবৃষ্টি করা হবে। আগের সরকারের সঙ্গে বর্তমান সরকারের তো এটাই তফাৎ। মুখ্যমন্ত্রী এদিন তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট বুঝিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশে বিজেপি তথা যোগী আদিত্যনাথ ক্ষমতায় থাকলে সংখ্যাগুরু হিন্দুদের সব ধরনের ধর্মীয় রীতিনীতি আচার পালনের জন্য সরকারি অর্থ ব্যয় করা হবে। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, এভাবে সরকারি টাকা কি কোনও একটি নির্দিষ্ট ধর্মের জন্য ব্যবহার করা যায়? সরকারি টাকা কবরস্থানের পিছনে ব্যয় করা যদি অনৈতিক হয় তাহলে মন্দির ক্ষেত্রে ব্যবহার করাও তো একই দোষে দুষ্ট। তাহলে কিভাবে যোগী এ ধরনের কথা বললেন?
রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, উত্তরপ্রদেশকে উত্তমপ্রদেশ তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিলেন যোগী। কিন্তু উত্তমপ্রদেশ নয়, উত্তরপ্রদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি তাকে অধমপ্রদেশে পরিণত করেছে। যোগী স্পষ্ট বুঝতে পারছেন, কাজের নিরিখে ভোট চাইলে তাঁর মুখ পুড়বে। ক্ষমতায় ফেরা তো দূরের কথা, মুখ লুকনোর জায়গাও পাবেন না তিনি। সে কারণে ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে গোবলয়ের এই বৃহত্তম রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে ধর্মকেই হাতিয়ার করেছেন যোগী। মেরুকরণকেই ভোটে জেতার অস্ত্র বলে মনে করছেন তিনি। তবে এরপরেও যোগী শেষ হাসি হাসতে পারবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
]]>রবিবার একটি জাতীয় স্তরের সংবাদমাধ্যম আয়োজিত আলোচনা চক্রে বক্তব্য রাখছিলেন যোগী। সেখানেই যোগী বলেন, লখিমপুরের ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এই ঘটনা আমাদের মাথা হেঁট করে দিয়েছে। তবে চিন্তার কিছু নেই, সিট এই ঘটনার তদন্ত করছে। আমরা সিটের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছি। এই রিপোর্ট পেলেই ঘটনায় জড়িতদের নাম জানা যাবে। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরাধীরা কেউ পার পাবে না।
এর পাশাপাশি সকলকে চমকে দিয়ে যোগী এদিন সংবাদমাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমের কাজ হল প্রকৃত সত্যকে তুলে ধরা। লখিমপুরের ঘটনায় সংবাদমাধ্যম সেই ভূমিকাই পালন করেছে। আমার সরকারের কাজ হল, এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া। আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন, আমি এই ঘটনায় জড়িতদের কাউকেই ছেড়ে কথা বলবো না।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কথা ভেবেই ডিগবাজি খেয়েছেন যোগী। কারণ তিনি বেশ বুঝতে পেরেছেন, এমনিতেই তিন কৃষি বিল নিয়ে তাঁরা যথেষ্ট ব্যাকফুটে। পাশাপাশি লখিমপুরে গাড়ি চাপা দিয়ে চার কৃষককে খুনের ঘটনায় বিজেপি সরকারের উপর প্রবল ক্ষুব্ধ রাজ্যের মানুষ। ভোট বাক্সে যার প্রতিফলন ঘটলে যোগী নিশ্চিতভাবেই তাঁর চেয়ার হারাবেন। বিজেপি যদি কোনভাবে উত্তরপ্রদেশের ক্ষমতার থেকে সরে যায় তাহলে ২০২৪- এর লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতায় ফেরা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। সে কারণেই তড়িঘড়ি লখিমপুর নিয়ে সাফাই দিলেন যোগী।
যোগীর বক্তব্যে রাম মন্দির নির্মাণের প্রসঙ্গ আসবে না এটা ভাবা যায় না। এদিনও যোগী রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন কিছু মানুষ আছে যারা রাম মন্দির নির্মাণের বিরোধিতা করছে। নিশ্চিতভাবেই এই সব মানুষের জন্য দুর্ভাগ্য অপেক্ষা করে আছে। তাদের বোঝা উচিত, এই মন্দির একদিন উত্তরপ্রদেশের গর্ব হয়ে দাঁড়াবে। কোনও মানুষই চিরকাল থাকবে না। কিন্তু কিছু মানুষের তৈরি এই মন্দির থেকে যাবে। এই মন্দিরে হবে উত্তর প্রদেশের এক অন্যতম পরিচয়।
]]>জমায়েত উপলক্ষে লখিমপুর খেরির দিকে পরপর কৃষক মিছিল ঘিরে পরিস্থিতি রীতিমতো উত্তপ্ত। উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসছে মিছিল। এছাড়াও পাঞ্জাব, হরিয়ানা থেকেও কৃষকদের মিছিল আসতে শুরু করেছে।

সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা জানিয়েছে, মঙ্গলবার লক্ষাধিক কৃষক জমায়েত হবে।গনসমাবেশ থেকে কৃষকদের গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে ফেলায় ধৃত আশিস মিশ্রর জেলের সাজা ও তার পিতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রকে বরখাস্ত করার দাবি তোলা হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্রকে পদ থেকে সরানোর দাবি জানান সারা ভারত কৃষকসভার সাধারন সম্পাদক হান্নান মোল্লা। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন সিপিআইএম সাংসদের দাবির পরেই উত্তর প্রদেশের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কৃষক সংগঠনগুলি একযোগে আক্রমণ শুরু করেছে।
গত ৩ অক্টোবর মোদী সরকারের আনা নতুন কৃষি আইনের প্রতিবাদে লখিমপুর খেরিতে কৃষক সমাবেশ ছিল। অভিযোগ, সেই সমাবেশ থেকে কৃষকরা যখন ফিরছিলেন তখন তাদের উপর গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পুত্র আশিস। এই ঘটনায় মোট মৃত ৯ জন। এদের মধ্যে চার জন কৃষক।
]]>সূত্রের খবর, এই নোটিশ পেয়েই স্বরাষ্ট্র রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্র ভেঙে পড়েছেন। তাঁর পরিবার তীব্র আতঙ্কিত। মন্ত্রী ও তাঁর পুত্র আশিসের আশঙ্কা জেরা করার পরেই গ্রেফতার করবে পুলিশ।
বিশেষ সূত্রের খবর, লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের গাড়ি চাপা দেওয়ার মামলা ‘নরম’ করতে নয়াদিল্লিতে জরুরি ভিত্তিতে যান মন্ত্রী অজয় মিশ্র। যদিও তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ডেকেছিলেন।
তবে কৃষক সংগঠনগুলি অবস্থানে অনড়।সারাভারত কৃষক সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লার দাবি, উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের গাড়ি চাপা দিয়ে মারার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক। মূল অভিযুক্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রীর পুত্র আশিস মিশ্রকে গ্রেফতার করা হোক। অন্যান্য কৃষক সংগঠনগুলির অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সবকিছু আড়াল করছেন।
কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধিতায় লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের জমায়েতে প্রবল গতিতে গাড়ি ঢুকে পড়ে। গাড়ির ধাক্কায় মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের চার জন কৃষক। মৃত কৃষকদের পরিবার পিছু আর্থিক সাহায্য ও সরকারি চাকরি দেওয়া হবে জানায় উত্তর প্রদেশ সরকার।
কৃষক সংগঠনগুলির অভিযোগ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পুত্র ইচ্ছে করে কৃষকদের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেয়। একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তার জেরে আরও উত্তপ্ত পরিস্থিতি। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ঘটনার সময় তাঁর পুত্র ছিলেন না।
]]>সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের সামনে কার্যত অসহায় উত্তর প্রদেশ সরকার। শীর্ষ আদালত জানতে চায়, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে তদন্তের স্বার্থে তাদের আটক বা গ্রেফতার করা হয়েছে কি? এই প্রশ্নে আদালতকে কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি যোগী সরকার।
ফলে বিতর্ক আরও জড়িয়ে ধরল উত্তর প্রদেশে বিজেপি সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসনকে। আগেই সারা ভারত কৃষকসভা, ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন কৃষক সংগঠন অভিযোগ করেছে, কৃষকদের গাড়ি চাপা দিয়ে মেরেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পুত্র আশিস মিশ্র। সে এখনও অধরা।
লখিমপুর খেরির ঘটনায় এক সদস্যের কমিটি গঠন করেছে উত্তর প্রদেশ সরকার। এলাহাবাদ হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি প্রদীপকুমার শ্রীবাস্তব সবদিক খতিয়ে দেখবেন। তিনি রিপোর্ট দেবেন দু মাস পরে।
এদিক মৃত কৃষকদের আত্মীয়দের অভিযোগ, হামলাকারী আশিস মিশ্রকে গ্রেফতার করছে না রাজ্য সরকার। সারাভারত কৃষকসভা, ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের আরও অভিযোগ, যোগী আদিত্যনাথ সবকিছু চাপা দিতে চাইছেন। যদিও তিনি জানান, লখিমপুর খেরির ঘটনায় কড়া তদন্ত হবে।
অভিযুক্ত হামলাকারী আশিস মিশ্রের পিতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্র। তিনি লখিমপুর খেরির বিজেপি সাংসদ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সহকারী মন্ত্রীর পদে রয়েছেন। তাঁর দাবি, ঘটনাস্থলে ছিল না আশিস। তবে যে গাড়ির ধাক্কায় মারা গিয়েছেন কৃষকরা সেটি তাঁর পুত্রের। চাপে পড়ে স্বীকার করেছেন মন্ত্রী।
গত ৩ অক্টোবর নেপাল সীমান্ত লাগোয়া লখিমপুর খেরিতে কেন্দ্রের মোদী সরকার যে কৃষি আইন এনেছে তার প্রতিবাদ চলছিল। জমায়েতের মধ্যে একটি গাড়ি প্রবল গতিতে ঢুকে পড়ে। ভাইরাল ভিডিওতে স্পষ্ট, ওই গাড়ির ধাক্কায় কয়েকজন ছিটকে পড়ছেন। এই ঘটনায় মৃত মোট ৯ জন। জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে ৪ জন কৃষক। এক সাংবাদিক। হামলাকারী গাড়ির তিনজন। আর একজন সাধারণ ব্যক্তি।
লখিমপুর খেরির ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নীরব। কংগ্রেস নেতা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর অভিযোগ, আইনের শাসন নেই উত্তর প্রদেশে। রাহুল গান্ধীকে সাথে নিয়ে তিনি দেখা করেন মৃত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে।
]]>এদিক মৃত কৃষকদের আত্মীয়দের অভিযোগ, হামলাকারী আশিস মিশ্রকে কেন গ্রেফতার করছে না রাজ্য সরকার। সারাভারত কৃষকসভা, ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের আরও অভিযোগ, যোগী আদিত্যনাথ সবকিছু চাপা দিতে চাইছেন। যদিও তিনি জানান, লখিমপুর খেরির ঘটনায় কড়া তদন্ত হবে।
অভিযুক্ত হামলাকারী আশিস মিশ্রের পিতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্র। তিনি লখিমপুর খেরির বিজেপি সাংসদ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সহকারী মন্ত্রীর পদে রয়েছেন। তাঁর দাবি, ঘটনাস্থলে ছিল না আশিস। তবে যে গাড়ির ধাক্কায় মারা গিয়েছেন কৃষকরা সেটি তাঁর পুত্রের। চাপে পড়ে স্বীকার করেছেন মন্ত্রী।
গত ৩ অক্টোবর নেপাল সীমান্ত লাগোয়া লখিমপুর খেরিতে কেন্দ্রের মোদী সরকার যে কৃষি আইন এনেছে তার প্রতিবাদ চলছিল। জমায়েতের মধ্যে একটি গাড়ি প্রবল গতিতে ঢুকে পড়ে। ভাইরাল ভিডিওতে স্পষ্ট, ওই গাড়ির ধাক্কায় কয়েকজন ছিটকে পড়ছেন। এই ঘটনায় মৃত মোট ৯ জন। জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে ৪ জন কৃষক। এক সাংবাদিক। হামলাকারী গাড়ির তিনজন। আর একজন সাধারণ ব্যক্তি।
লখিমপুর খেরির ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নীরব। কংগ্রেস নেতা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর অভিযোগ, আইনের শাসন নেই উত্তর প্রদেশে। রাহুল গান্ধীকে সাথে নিয়ে তিনি দেখা করেন মৃত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে।
]]>রাহুল গান্ধী লখনউ থেকে লখিমপুর খেরি যাওয়ার আগেই বিজেপিকে রাজনৈতিক চাপে ফেলে দেয় কংগ্রেস। ছত্তিসগড় ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীরা মৃত কৃষকদের পরিবার পিছু ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে। দুটি রাজ্যই কংগ্রেসের দখলে। মৃত কৃষকদের পরিবার পিছু ৪৫ লক্ষ টাকা দিচ্ছে যোগীর সরকার। করা হয়েছে সরকারি চাকরির ব্যবস্থা।
ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল লখনউতে এসে বিমানবন্দরে ধরনা শুরু করেন। এতে আরও বিব্রত হয় উত্তর প্রদেশ সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বাঘেলের নিরাপত্তা নিয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ চিন্তিত হয়ে পড়ে। অন্যদিকে পাঞ্জাবে সদ্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়া চরণজিত সিং চান্নি একইসঙ্গে কেন্দ্র ও যোগী প্রশাসনকে তীব্র আক্রমণ করেন। পরে রাহুল গান্ধীর অনুরোধে দুই রাজ্য সরকার আর্থিক ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করে।
লখিমপুর খেরিতে মৃত কৃষকদের পরিবার পিছু উত্তর প্রদেশের বিজেপি সরকার ৪৫ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করছে। যদিও কংগ্রেস সহ বাকি বিরোধী দলগুলির প্রশ্ল গাড়ি চাপা দিয়ে কৃষদের মেরে ফেলায় অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পুত্র আশিস এখনও কেন অধরা।
অভিযুক্ত আশিস মিশ্রর পিতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্রর দাবি, ঘটনার সময় আশিস ছিল না। তবে আশিস-ই দোষী, তাকে গ্রেফতার করতে হবে। এমনই অভিযোগ করেছেল সারা ভারত কৃষকসভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা। কৃষক সংঠনগুলির পক্ষ থেকে প্রশ্ন, মন্ত্রীর পুত্রকে কেন গ্রেফতার করছেনা মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকার।
]]>উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের উপর গাড়ি চালিয়ে দেওয়া ও মোট ৯ জনের মৃত্যুর জেরে গোটা দেশ উত্তাল। কানহাইয়া কুমার তাঁর বর্তমান দলনেতা রাহুল গান্ধী, দলনেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সমর্থনে প্রশ্লবাণে মোদী, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, কেন্দ্র ও সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিজেপি সরকারকে যুক্তি জালে ঘিরতে শুরু করলেন।
ढोंगी जी जितनी ताक़त विपक्ष के नेताओं को पीडित परिवारों से मिलने से रोकने में लगा रहे, काश अंहकारी मंत्री के बिगड़ैल लाडले की कार रोकने में लगाते तो निर्दोष किसानों की जान नहीं जाती।
इनकी मनमानी देखिए, क्या अब अपने ही देश में जाने के लिए पासपोर्ट लगेगा??#Lakhimpur
— Kanhaiya Kumar (@kanhaiyakumar) October 4, 2021
কংগ্রেস নেতা কানহাইয়ার যুক্তি, সব বিষয়ে ‘বকওয়াস’ (অযৌক্তিক কথা) করা প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের মৃত্যুর পর নীরব। তাঁর নীরব থাকার রহস্য হয় তিনি কৃষকদের অন্ন খান না। বা তিনি বেইমানির কমিশন খান।
উত্তর প্রদেশের (UP) মু়খ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে কটাক্ষ করে কানহাইয়ার টুইট, ‘ঠোঙ্গি জী’ যতটা শক্তি দেখিয়ে বিরোধীদের আটকাচ্ছেন, ততটা শক্তি দিয়ে বিজেপির অহঙ্কারি মন্ত্রী ও তার গোল্লায় যাওয়া পুত্রের গাড়ি আটকাতেন তাহলে নির্দোষ কৃষকদের জীবন যেত না। নিজের দেশের কোথাও যেতে পাসপোর্ট লাগবে নাকি ? কানহাইয়া কুমারের টুইট রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কার টুইটের চেয়েও ঝড়ের গতিতে দেশ জুড়ে ছড়াতে শুরু করেছে। পরপর টুইটে আক্রমণ শুরু করেছেন কানহাইয়া।
हर बात पर बकवास करने वाले प्रचारमंत्री जी किसानों की मौत पर चुप हैं। उनकी चुप्पी का राज शायद ये तो नहीं कि वो किसानों का अन्न नहीं, बल्कि बेईमानों का कमीशन खाते हैं।
— Kanhaiya Kumar (@kanhaiyakumar) October 4, 2021
কৃষক একতা মঞ্চ, সারা ভারত কৃষক সভা (AIKS) ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন (BKU) সহ বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের দাবি, নিহতদের পকিবার পিছু আর্থিক ক্ষতিপূরণ বা সরকারি চাকরি দিয়ে এই ক্ষত মেটানো যাবে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রীর পুত্র আশিস মিশ্রকে গ্রেফতার করতে হবে।
লখিমপুর খেরির ঘটনায় কেন আশিস মিশ্রকে তাকে গ্রেফতার করা হয়নি প্রশ্ন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্র জানান, তাঁর পুত্র ঘটনাস্থলে ছিল না। এদিকে ভাইরাল ভিডিওতে উঠে এসেছে আশিস মিশ্রর গাড়ি কৃষকদের পিছন থেকে পিষে মারছে।
]]>আরও পড়ুন নাম পরিবর্তনের পথে যোগী রাজ্যের তৃতীয় জেলা, সুলতানপুর হচ্ছে কুশভবনপুর
যদিও বিভিন্ন মহল থেকেই বলা হচ্ছিল যে সংবাদপত্র গুলির ক্ষেত্রে এই ধরনের বিজ্ঞাপন বেসরকারি সংস্থা বা তাদের নিজস্ব বিভাগই বানিয়ে থাকে। ফলে তাদের ভুলেই ঘটেছে এই কান্ড। যোগী সরকারের তরফে পশ্চিমবঙ্গের কোনও ছবি দেওয়া হয়নি বলেও মনে করা হচ্ছে। ভারতীয় জনতা পার্টির পশ্চিমবঙ্গের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যও বলেন, ‘‘ওই সংবাদপত্র বা বিজ্ঞাপন সংস্থা ভুল করে এটা করেছে।’’ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের পক্ষ থেকেও টুইট করে জানানো হয়েছে, ‘উত্তরপ্রদেশ নিয়ে বিজ্ঞাপনের কভারে আমাদের সংবাদপত্রের মার্কেটিং বিভাগ একটি ভুল ছবি ব্যবহার করেছে। সংবাদপত্রের সব ডিজিটাল মাধ্যম থেকে ওই ছবি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
Filed an RTI with UP Govt asking:
(a) if the fake ad y'day was made by UP govt or Indian Express
(b) who approved the ad from Ajay Bisht's team
(c) copy of contract with Indian Express specifying who's in charge of what.
We need to stand up if media is being bullied by Bisht pic.twitter.com/sIQI7tL2yU
— Saket Gokhale MP (@SaketGokhale) September 13, 2021
কিন্তু তাতেও বিতর্ক থামছে কই? ছবি ভাইরাল হওয়ার পরেই উত্তরপ্রদেশ সরকারকে একে একে তোপ দাগতে শুরু করেছিলেন তৃণমূল নেতারা। টুইট করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও লেখেন, ‘যোগীর কাছে উত্তরপ্রদেশের পরিবর্তন মানে বাংলার পরিকাঠামোর ছবি চুরি করা।’ এবার যোগীর বিজ্ঞাপন বিতর্কে RTI দায়ের করলেন তৃণমূলের নেতা সাকেত গোখলে। উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে তিনি জানতে চেয়েছেন, ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত ওই বিজ্ঞাপনের অনুমোদন কে দিয়েছিল? চুক্তির প্রতিলিপি এবং বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত সমস্ত ছবি চাওয়া হয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছ থেকে।’
বিজ্ঞাপনের ওই ছবি যে কলকাতার, তা উড়ালপুলের পাশের একটি হোটেলের ছবি থেকেও স্পষ্ট। শুধু তাই নয়, উড়ালপুলের উপর চলছে কলকাতার অন্যতম পরিচয় হলুদ ট্যাক্সিও। যা উত্তরপ্রদেশে দেখা যায় না। দেশের জনপ্রিয় সংবাদ প্রতিষ্ঠান ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ এর ডিজিটাল এবং প্রিন্ট, দুই মাধ্যমেই ওই ছবি প্রকাশ্যে আসার পর সমালোচনার ঝড় উঠেছিল নেট মাধ্যমে। অনেকেই দাবি করেছেন, বেসরকারি সংস্থা কিংবা সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন এবং মার্কেটিং বিভাগ বিজ্ঞাপন তৈরি করলেও ক্লায়েন্টের গ্রীণ সিগনাল ছাড়া তা প্রকাশিত হয় না। ফলে এই ঘটনায় খানিকটা হলেও যোগী সরকারের দায় থেকেই যায়। এর আগেও বাংলার বিভিন্ন ছবি ব্যবহার করে অন্য রাজ্যের ভোটের প্রচারে কাজে লাগিয়েছে বিজেপি, সেকথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন অনেকে।
]]>আরও পড়ুন মমতার বিরুদ্ধে লড়বেন, চিনে নিন পদ্মপ্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল
আরও পড়ুন মমতাও হেরেছেন বলেই আবার ভোটে লড়ছেন, এন্টালিতে প্রিয়ঙ্কার হার প্রসঙ্গে তৃণমূলকে কটাক্ষ তথাগতর
বিজ্ঞাপনের ওই ছবি যে কলকাতার, তা উড়ালপুলের পাশের একটি হোটেলের ছবি থেকেও স্পষ্ট। শুধু তাই নয়, উড়ালপুলের উপর চলছে কলকাতার অন্যতম পরিচয় হলুদ ট্যাক্সিও। যা উত্তরপ্রদেশে দেখা যায় না। দেশের জনপ্রিয় সংবাদ প্রতিষ্ঠান ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ এর ডিজিটাল এবং প্রিন্ট, দুই মাধ্যমেই ওই ছবি প্রকাশ্যে আসার পর সমালোচনার ঝড় উঠেছিল নেট মাধ্যমে। টুইট করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও লেখেন, ‘যোগীর কাছে উত্তরপ্রদেশের পরিবর্তন মানে বাংলার পরিকাঠামোর ছবি চুরি করা।’
Transforming UP for @myogiadityanath means stealing images from infrastructure seen in Bengal under @MamataOfficial's leadership and using them as his own!
Looks like the 'DOUBLE ENGINE MODEL' has MISERABLY FAILED in BJP’s strongest state and now stands EXPOSED for all! https://t.co/h9OlnhmGPw
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) September 12, 2021
যদিও বিভিন্ন মহল থেকেই বলা হচ্ছিল যে সংবাদপত্র গুলির ক্ষেত্রে এই ধরনের বিজ্ঞাপন বেসরকারি সংস্থা বা তাদের নিজস্ব বিভাগই বানিয়ে থাকে। ফলে তাদের ভুলেই ঘটেছে এই কান্ড। যোগী সরকারের তরফে পশ্চিমবঙ্গের কোনও ছবি দেওয়া হয়নি বলেও মনে করা হচ্ছে। ভারতীয় জনতা পার্টির পশ্চিমবঙ্গের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যও বলেন, ‘‘ওই সংবাদপত্র বা বিজ্ঞাপন সংস্থা ভুল করে এটা করেছে।’’ এবার এই ঘটনার জন্য দায় স্বীকার করল জনপ্রিয় সংবাদপত্র ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’। তারা জানিয়েছে, তাদের মার্কেটিং বিভাগের ভুলেই এই বিজ্ঞাপন প্রচারিত হয়েছে। এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে টুইট করেছে তারা।
A wrong image was inadvertently included in the cover collage of the advertorial on Uttar Pradesh produced by the marketing department of the newspaper. The error is deeply regretted and the image has been removed in all digital editions of the paper.
— The Indian Express (@IndianExpress) September 12, 2021
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের পক্ষ থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে, ‘উত্তরপ্রদেশ নিয়ে বিজ্ঞাপনের কভারে আমাদের সংবাদপত্রের মার্কেটিং বিভাগ একটি ভুল ছবি ব্যবহার করেছে। সংবাদপত্রের সব ডিজিটাল মাধ্যম থেকে ওই ছবি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
]]>আরও পড়ুন যোগী-রাজ্যের ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রে ভয়ে কাঁপবে পাকিস্তান-চিন
এবার দাবি উঠেছে, সুলতানপুরের নাম বদলে করা হোক কুশভবনপুর। রামের পুত্র কুশের নামেই ওই স্থানের নামকরণের পরিকল্পনা নিয়েছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। ২০১৮ সালে উত্তরপ্রদেশের বিধায়ক দেবমণি দ্বিবেদী এই প্রস্তাব রেখেছিলেন। পরে সুলতানপুরের জেলাশাসক ও অযোধ্যার ডিভিশনাল কমিশনারও রাজ্য সরকারের কাছে এই প্রস্তাব রেখেছিলেন। পরের বছর, ২০১৯ সালে উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল রাম নায়েক মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে চিঠি লিখে ওই পরিবর্তনের আরজি জানান।
এর আগে উত্তরপ্রদেশের দুটি জেলার নাম পরিবর্তন হয়েছে। ফৈজাবাদের নাম বদলে অযোধ্যা ও এলাহাবাদের নাম বদলে প্রয়াগরাজ করা হয়েছিল। এবার সুলতানপুরের নাম বদলে কুশভবনপুর করা হলে সেটি রাজ্যের তৃতীয় নাম পরিবর্তিত জেলা হবে। এই মুহূর্তে সেই প্রস্তাব নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।
মিঞাগঞ্জের নাম বদলে নতুন নাম হোক মায়াগঞ্জ। উন্নাওয়ের জেলাশাসক রবীন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে তাঁর কাছে নাম বদলের সুপারিশ এসেছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ‘মিঞাগঞ্জ’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘মায়াগঞ্জ’ রাখার দাবি তোলা হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য তিনি তা রাজ্য সরকারের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এছাড়াও মির্জাপুরের নাম বদলে ‘বিন্ধ্য ধাম’ করার দাবিও উঠেছে। রাজ্যের মন্ত্রী রামশংকর সিং প্যাটেল এমনই দাবি তুলেছেন। ফলে নাম পরিবর্তনের ‘রাজনীতি’ নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে উত্তরপ্রদেশ জুড়ে।
]]>আরও পড়ুন HAL-এর সঙ্গে ৭১৬ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করল GE Aviation
ডিফেন্স করিডর প্রকল্পের জন্য ২০০ একর জমি চেয়ে ইউপিইআইডিএ-র (U.P. Expressways Industrial Development Authority) সিইও ও অতিরিক্ত মুখ্যসচিবকে (স্বরাষ্ট্র) অবনীশ অবস্তিকে চিঠি দিয়েছিলেন ব্রহ্মস এরোস্পেসের ডিরেকটর জেনারেল সুধীরকুমার মিশ্র। ব্রহ্মস এরোস্পেস সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার মিটিং করার পর ইতিমধ্যেই ব্রহ্মস এরোস্পেসকে জমি দেওয়ার বিষয়ে শীলমোহর দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। গোটা প্রকল্পে ইতিমধ্যেই সবুজ সংকেত দিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
আরও পড়ুন NASA Report: কলকাতার বিস্তীর্ণ অঞ্চলসহ দেশের ১২টি শহর নিশ্চিহ্ন হবে
কারখানা তৈরি হলে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে উত্তরপ্রদেশ। গোটা প্রকল্পে ৩০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ হতে চলেছে। উৎপাদন কেন্দ্রে কর্মসংস্থান হবে প্রায় ৫০০ ইঞ্জিনিয়ার ও প্রযুক্তিবিদের। কাজ করবেন অন্তত ১০ হাজার শ্রমিক। অন্যান্যভাবে কারখানার সঙ্গে যুক্ত হবেন আরও কয়েক হাজার লোক। শুধু আর্থ-সামাজিক ভাবে উত্তরপ্রদেশকেই এগিয়ে নিয়ে যাবে না, এই প্রকল্পে সামরিক ক্ষেত্রেও অনেক শক্তিশালী হবে ভারত। এমনটাই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন শিল্পেই বিপ্লব: তালিবানদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে কাবুলের গ্রাফিতি শিল্পী শামসিয়া হাসানি
উত্তরপ্রদেশ সরকার বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, ‘আগামী তিন বছরে ১০০-র বেশি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি প্রকল্প এবং ক্ষেপনাস্ত্র উৎপাদনের কাজ শুরু হবে। শুধু ক্ষেপনাস্ত্র উৎপাদনই নয়, একইসঙ্গে ক্ষেপনাস্ত্র বিষয়ক গবেষণাগার তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে সরকারের।’
]]>আরও পড়ুন বিজেপির বিরুদ্ধে একাই লড়াই করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: ব্রাত্য বসু
কয়েকমাস আগেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিপুল ভোটে জিতে তৃতীয়বারের মতো মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তারপরেই দেশের একাধিক রাজ্যে নিজেদের সংগঠন মজবুত করতে উঠেপড়ে লেগেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সদ্য ত্রিপুরা থেকে ফিরেছে তাদের যুব নেতৃত্ব। সেখানে তাদের ওপর হামলা হওয়ায় প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পড়শি রাজ্যে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে দিল্লি গিয়ে বিরোধী শিবিরের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে বৈঠক সেড়ে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এবার আসন্ন উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপিকে টক্কর দিতে তৈরি হচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
আগামী বছর উত্তরপ্রদেশ ভোটের দিকে তাকিয়ে বিরোধী শিবির। তারমধ্যেই যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন পদ্মশিবিরকে চাপে ফেলতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম তুলে আনলেন রাজ্যের বিরোধী শিবিরের অন্যতম মুখ এবং রাষ্ট্রীয় লোকদলের নেতা জয়ন্ত চৌধরি। তিনি জানিয়েছেন, “বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিরোধী শিবিরকে এককাট্টা হতে হবে। একইসঙ্গে বিজেপির উপর চাপ বাড়াতে সকলে মিলে আমন্ত্রণ জানাক বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে।” কিন্তু সেই রাজ্যের অখিলেশ-মায়াবতীকে বাদ দিয়ে কেন মমতা?
আগ্রায় এক সমাবেশে আরএলডি কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তাঁর ব্যাখ্যা, “নরেন্দ্র মোদীর বিরোধিতায় চোখে চোখ রেখে লড়ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় যে ভাবে তিনি ক্ষমতাশালী হয়ে উঠেছেন, তা বিজেপির রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। আর সে কারণেই ২০২২-এর বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে বিরোধী-জোটের উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো।”
বেশ কয়েক বছর আগে উত্তরপ্রদেশে তৃণমূলকে শক্তিশালী করতে সক্রিয় হয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। পরবর্তীকালে অবশ্য তার বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। কিন্তু বাংলায় বিধানসভা ভোটের আগে থেকে তাঁর সক্রিয় বিজেপি-বিরোধিতা এবং নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের বাংলা দখলের সব চেষ্টায় জল ঢেলে রাজ্যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফিরে আসা অন্য বিরোধী দলগুলির নজর কেড়েছে।
আরও পড়ুন মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে রাক্ষসী বলে কটাক্ষ বিজেপি বিধায়কের
বাংলায় বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে মমতা অন্য বিরোধী দলগুলিকে পাশে নিয়ে নিরন্তর বিজেপি-বিরোধী লড়াইয়ের ডাক দিচ্ছেন। এই অবস্থায় রাজনৈতিক শিবিরের অনেকে বলছেন, বাস্তব পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই উত্তরপ্রদেশে ভোটের আগে সব বিরোধী দলকে একজোট করা প্রয়োজন। সেই লড়াইয়ে মমতার বিজেপি-বিরোধী ভাবমূর্তিকে কাজে লাগালে বিজেপির উপরে চাপ অনেকটাই বাড়বে বলে মত তাঁদের।
]]>