Yogi government – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Fri, 24 Dec 2021 12:29:52 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Yogi government – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 Uttar Pradesh: ওমিক্রন উদ্বেগ, ভোট পিছানোর অনুরোধ এলাহাবাদ হাইকোর্টের https://ekolkata24.com/uncategorized/uttar-pradesh-omicron-concern-allahabad-high-court-requests-to-withdraw-vote Fri, 24 Dec 2021 12:25:53 +0000 https://ekolkata24.com/?p=16115 প্রতিবেদন, ২০২০ সালের এপ্রিল-মে মাসে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল। ওই নির্বাচনের পরেই সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে আছড়ে পড়েছিল করোনার দ্বিতীয় ঢেউ (second wave)। বহু মানুষ অকালেই প্রাণ হারিয়েছিলেন। কেউই আর সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনওভাবে চাইছে না। সে কারণে এলাহাবাদ হাইকোর্ট (allahabad high court) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (narendra modi) কাছে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন (assembly election) পিছিয়ে দেওয়ার আরজি জানাল। প্রধানমন্ত্রী এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে এলাহাবাদ হাইকোর্টের অনুরোধ, দয়া করে দেশের বৃহত্তম রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন অন্তত এক-দু’মাস পিছিয়ে দেওয়া হোক।

বৃহস্পতিবার একটি মামলার শুনানি চলছিল এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি শেখর যাদবের এজলাসে। সেখানেই বিচারপতি যাদব বলেন, করোনার সংক্রমণ এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এরইমধ্যে করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন ক্রমশই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। তাই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল উত্তরপ্রদেশে জনসভা করতে শুরু করেছে। কিন্তু এই জনসভাগুলি অবিলম্বে বন্ধ না করলে দ্বিতীয় ঢেউয়ের থেকেও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে আমাদের।

বিচারপতি যাদব আরও বলেন, ওই জনসভাগুলিতে কাউকেই সামাজিক দূরত্ব বিধি মানতে দেখা যাচ্ছে না। বেশিরভাগ মানুষের মুখে মাস্ক থাকছে না। এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, অবিলম্বে সমস্ত নির্বাচনী জনসভাগুলি বাতিল করে দেওয়া হোক। মানুষ প্রাণে বাঁচলো তো সব হবে। দু-এক মাস পর ভোট হলে কিছু এসে যাবে না। প্রয়োজনে উত্তরপ্রদেশের ভোট দু-এক মাস পিছিয়ে দেওয়া হোক। যেভাবে ওমিক্রনের সংক্রমণ দ্রুত ছড়াচ্ছে তাতে যদি ভোট পিছিয়ে দেওয়া না হয়, যদি এভাবেই জনসভা চলতে থাকে তবে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।

এই অনুরোধ জানাতে গিয়ে বিচারপতি যাদব পশ্চিমবঙ্গ সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের কথাও টেনে এনেছেন। তিনি বলেছেন, আমরা দেখেছি পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, তামিলনাড়ু-সহ কয়েকটি রাজ্যে নির্বাচনে পর কিভাবে করোনা ছড়িয়ে পড়েছিল। কিভাবে মৃত্যু হয়েছিল হাজার হাজার মানুষের। ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে দিয়েছেন, ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে করোনার প্রকোপ শীর্ষে পৌঁছতে পারে। ঠিক ওই সময়েই উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। তাই প্রধানমন্ত্রী এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ, ভোট কিছু দিন পিছিয়ে দিন। মানুষ যদি সুস্থ থাকে তাহলে কয়েক মাস পরে ভোট হতে কোন সমস্যা হবে না। কিন্তু নির্বাচনী ঢেউয়ে গা ভাসালে আগামী দিনে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে ভেসে যাবে রাজ্য।

উল্লেখ্য, নির্বাচনের দিন তারিখ ঠিক করার ব্যাপারে আদালত কখনও কমিশনকে সরাসরি কোনও নির্দেশ দিতে পারে না। সে কারণেই বিচারপতি শেখর যাদব কমিশনকে ভোট কিছুদিন পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

]]>
Uttar Pradesh: যোগী সরকার নয় উত্তরপ্রদেশে চাই যোগ্য সরকার, দাবি অখিলেশের https://ekolkata24.com/uncategorized/uttar-pradesh-needs-yogya-sarkar-not-yogi-sarkar-says-akhilesh-yadav Tue, 30 Nov 2021 09:11:28 +0000 https://ekolkata24.com/?p=12862 নিউজ ডেস্ক, লখনউ: আগামী বছরের শুরুতেই উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election)। ইতিমধ্যেই নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিয়েছে শাসক-বিরোধী সব রাজনৈতিক দল। রাজ্যের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav) মঙ্গলবার এক জনসভায় বলেন, উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার (Yogi Goverment) নয়, চাই যোগ্য সরকার (Eligible Goverment)। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের মানুষ যোগ্য সরকারকেই নির্বাচন করবে।

শুধু যোগ্য সরকার গঠনের প্রতিশ্রুতিই নয়, একই সঙ্গে অখিলেশ কৃষক আন্দোলন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। অখিলেশ এদিন বলেন, উত্তরপ্রদেশের মানুষ যদি তাঁর দলকে ক্ষমতায় নিয়ে আসে তবে গত একবছরে আন্দোলন করতে গিয়ে যে সমস্ত কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁদের পরিবারকে সব ধরনের সাহায্য করবে সমাজবাদী পার্টির সরকার।

অখিলেশ এদিন প্রশ্ন তোলেন, গত এক বছরে তিন কালা কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে ৭০০-রও বেশি কৃষক শহিদ হয়েছেন। এই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সাহায্য করার বিষয়ে মোদি সরকার একটি কথাও বলছে না। কিন্তু আমি এটা গর্বের সঙ্গে বলছি যে, উত্তরপ্রদেশে যদি সমাজবাদী পার্টি সরকার গঠন করে তবে ওই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবারগুলিকে আমরা সব ধরনের সাহায্য করব।

উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে এবার শাসক দল বিজেপির সঙ্গে মূল লড়াইটা হচ্ছে সমাজবাদী পার্টির। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ দখল করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে প্রায় সব বিজেপি নেতা-নেত্রী ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।

সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের বাগপত জেলায় স্থানীয় সাংসদের আয়োজন করা এক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। ওই অনুষ্ঠানে সরাসরি অখিলেশকে আক্রমণ করেছিলেন অনুরাগ। মন্ত্রী বলেন, অখিলেশ ভাই আমরা তো ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করি, আর তোমরা কর দাঙ্গার আয়োজন।

অন্যদিকে সমাজবাদী পার্টিও যোগী সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করতে শুরু করেছে। বিশেষ করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কর্মসংস্থানের বিষয়গুলিতে সরকারের ব্যর্থতাকেই সামনে এনেছে সপা। গো বলেয়ের এই বৃহত্তম রাজ্যে বিজেপিকে হারাতে প্রয়োজনে অখিলেশকে সব ধরনের সহযোগিতা করার কথা বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এমনকী অখিলেশ ডাকলে তিনি উত্তর প্রদেশে প্রচারে যাবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এখন দেখা যাক, আগামী বছরের শুরুতেই উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে কী সিদ্ধান্ত নেয় আমজনতা!

]]>
লখিমপুর খেরি কাণ্ডে তদন্ত কমিশনের প্রধানকেই সরিয়ে দিল যোগী সরকার https://ekolkata24.com/uncategorized/yogi-government-removed-the-head-of-the-commission-of-inquiry-into-the-lakhimpur-kheri-case Fri, 22 Oct 2021 17:20:56 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=8740 নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি (Lakhimpur Kheri) কাণ্ডে তদন্ত করছে বিশেষ ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট। যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডিআইজি উপেন্দ্র কুমার আগারওয়াল।

শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার এক নির্দেশে সিট প্রধান উপেন্দ্র কুমারকে বদলি করে দিয়েছে। লখিমপুর জায়গাটি লখনউ রেঞ্জের মধ্যে পড়ে। কিন্তু সিট প্রধান উপেন্দ্র কুমারকে বদলি করা হয়েছে গোন্ডা রেঞ্জে।

তবে সরকারের দাবি, উপেন্দ্র কুমার সিটপ্রধান হিসেবেই লখিমপুর খেরির তদন্ত করবেন। ইতিমধ্যেই এই মামলায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে-সহ ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, লখিমপুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে আশিসের গাড়ির ধাক্কায় ৪ কৃষক-সহ ৮ জনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার তদন্ত করছে সিট। সিটের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল উপেন্দ্র কুমার। ২০০৫ ব্যাচের আইপিএস আধিকারি উপেন্দ্র কুমারকে এবার সরিয়ে দিল যোগী প্রশাসন। এদিন রাজ্য পুলিশের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন, বদলি করা হলেও সিটের প্রধান হিসেবেই এই মামলার তদন্ত করবেন উপেন্দ্র কুমার আগারওয়াল।

লখিমপুরের মত এত বড় একটি ঘটনার যিনি তদন্ত করছেন হঠাৎ করে কেন তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল ইতিমধ্যেই তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিরোধীদের অভিযোগ এই মামলায় মন্ত্রীর ছেলেকে গ্রেফতার করে যোগী সরকারের বিষ নজরে পড়েন উপেন্দ্র। তাই এই মামলার তদন্তভার উপেন্দ্রর হাতে থাকলে আগামী দিনে আরও বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সে কারণেই তাঁকে তড়িঘড়ি বদলি করা হল। এখনও তিনি সিট প্রধান থাকলেও আগামী দিনে তাঁকে সেই পদ থেকে সরানো হবে বলে রাজনৈতিক মহলের আশঙ্কা।

৩ অক্টোবর লখিমপুরে মন্ত্রীর ছেলের গাড়ির ধাক্কায় ৪ কৃষক-সহ ৮ জনের মৃত্যুর প্রায় এক সপ্তাহ পর অভিযুক্ত আশিস মিশ্রকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ওই ঘটনায় মন্ত্রীর ছেলের নাম জড়ানোর পর থেকেই লখিমপুরের ঘটনা বিশেষ মাত্রা পায়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র অবশ্য লখিমপুরের ঘটনায় তাঁর ছেলের জড়িত থাকার অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেছেন।

২৬ অক্টোবর লখিমপুর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। ওই দিন যোগী সরকারকে সর্বোচ্চ আদালতের কাছে লখিমপুর নিয়ে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে। ওই রিপোর্টে এখনও পর্যন্ত কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে কি কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে এই ঘটনায় সমস্ত সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করে তা পেশ করার নির্দেশও দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।

]]>
লখিমপুরের ঘটনার তদন্তকে কি আপনারা ছেলেখেলা মনে করছেন, যোগী সরকারকে প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির https://ekolkata24.com/uncategorized/do-you-think-the-investigation-into-the-lakhimpur-incident-is-childish-the-question-to-the-yogi-government-is-the-chief-justice Wed, 20 Oct 2021 11:56:13 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=8468 নিউজ ডেস্ক: লখিমপুর খেরির ঘটনায় উত্তর প্রদেশ সরকারকে ফের তীব্র ভৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট। ৩ অক্টোবর লখিমপুরে ৪ কৃষক সহ ৮ জনের মৃত্যু নিয়ে উত্তর প্রদেশ সরকারের তদন্তে শীর্ষ আদালত যে খুশি নয় সে কথা আগেই জানিয়েছে। এবার লখিমপুরের ঘটনায় রিপোর্ট জমা দিতে দেরি করায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করল সর্বোচ্চ আদালত। বুধবারের শুনানিতে শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ উত্তরপ্রদেশ সরকারকে লক্ষ্য করে বলে, “দয়া করে এবার আপনারা পা ঘষে চলার অনুভূতিটা বাদ দিন।”

৩ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরে আন্দোলনরত কৃষকদের উপর বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলে আশিস মিশ্র গাড়ি চালিয়ে দেওয়ায় ৪ কৃষক সহ ৮ জনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় জনস্বার্থ মামলার দ্বিতীয় দিনের শুনানি ছিল বুধবার।

এদিন শুনানি শুরু হলে লখিমপুরের ঘটনার রিপোর্ট দেরিতে জমা দেওয়ার জন্য শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ উত্তরপ্রদেশ সরকারকে তীব্র ভৎসনা করে। প্রধান বিচারপতি এনভি রামান্না বলেন, “আমরা রিপোর্টের জন্য মঙ্গলবার রাত ১টা অবধি অপেক্ষা করেছি। কিন্তু কোনও রিপোর্টই জমা পড়েনি। আপনারা কি বিষয়টাকে ছেলেখেলা মনে করছেন। ” বিচারপতি হিমা কোহলি বলেন, “আমাদের মনে হচ্ছে আপনারা পা ঘষে চলছেন। দয়া করে এই মনোভাব ছাড়ুন।”

প্রধান বিচারপতির প্রশ্নের জবাবে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের আইনজীবী হরিশ সালভে বলেন, বুধবার এই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। সালভের ওই বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গেই প্রধান বিচারপতি ফের প্রশ্ন করেন, “যদি শুনানি শুরু হওয়ার কয়েক মিনিট আগে আপনারা রিপোর্ট জমা দেন, তবে আমরা ওই রিপোর্ট কীভাবে পড়ব? শুনানির অন্তত একদিন আগে রিপোর্ট জমা দেবেন, এটা তো আশা করা যায়। আমরা তো মুখ বন্ধ খামে রিপোর্ট চাইনি।” রিপোর্ট জমা দিয়ে আইনজীবী সালভে শুক্রবার শুনানির জন্য আবেদন জানান। প্রধান বিচারপতি অবশ্য সাফ জানিয়ে দেন, তাঁরা আজই রিপোর্ট পড়বেন। ২৬ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

ওই দিন রাজ্য সরকারকে ফের একটি রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি রামান্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। শীর্ষ আদালত তার নির্দেশে জানিয়েছে, লখিমপুরের ঘটনায় কাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, এবং কী কারণে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ওই রিপোর্টে জানাতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সমস্ত সাক্ষীদের বয়ান রেকর্ড করার নির্দেশও দিয়েছে শীর্ষ আদালত। একই সঙ্গে বেঞ্চ বলেছে, “এটা যেন কোনও অসমাপ্ত গল্পে পরিণত না হয় সে দিকে খেয়াল রাখবেন।”

এদিন শুনানি চলাকালীন শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে জানতে চায়, “লখিমপুরের ঘটনায় আপনারা বলেছিলেন ১৬৪ জন সাক্ষী রয়েছে। তাদের মধ্যে মাত্র ৪৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তা হলে বাকিদের সাক্ষ্য কোথায় গেল?” জবাবে আইনজীবী সালভে বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া এখনও চলছে। দুটি অপরাধের কারণে সমস্ত প্রধান অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রথম অপরাধ হল গাড়ির ধাক্কা দিয়ে সাধারণ মানুষকে মারা। দ্বিতীয় অপরাধ হল, গাড়িতে থাকা দুইজনকে মারধর করে হত্যা করা। ঘটনাস্থলে বিপুল ভিড় থাকায় তদন্তে কিছুটা সমস্যা হচ্ছিল।” সালভের জবাবে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ পাল্টা বলে, “পুলিশ সাক্ষীদের সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ না করলে আমরা সমস্ত তথ্য জানতে পারব না। তাই এটা যেন কোনওভাবেই অসমাপ্ত গল্পে পরিণত না হয় সে দিকে সতর্ক থাকবেন।” ২৬ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন সরকারের তরফে পরবর্তী রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।

]]>