২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: একুশবার বেঁচেছেন হাসিনা, পাক মদতে হুজি-বি ষড়যন্ত্র ছিল ভয়াবহ

প্রসেনজিৎ চৌধুরী: একুশবার হামলা হয়ে গিয়েছ। একুশবার বেঁচেছেন। তবে ১৭ বছর আগের ২১ আগস্ট ছিল রীতিমতো মরণফাঁদ। গ্রেনেডের পর গ্রেনেড ছুঁড়েছিল জঙ্গিরা। বাংলাদেশের ততকালীন বিরোধী…

Sheikh Hasina

প্রসেনজিৎ চৌধুরী: একুশবার হামলা হয়ে গিয়েছ। একুশবার বেঁচেছেন। তবে ১৭ বছর আগের ২১ আগস্ট ছিল রীতিমতো মরণফাঁদ। গ্রেনেডের পর গ্রেনেড ছুঁড়েছিল জঙ্গিরা। বাংলাদেশের ততকালীন বিরোধী নেত্রী শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে নজিরবিহিন মানব বর্মের ঢাল দেখেছিল দুনিয়া। হাসিনা এখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে খুন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনির বিদ্রোহী অফিসাররা। ১৯৭৫ সালের সেই হামলায় বিদেশে থাকায় বেঁচে যান মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

২০০৪ সালের২১ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসের এক কলঙ্কময় দিন। ২০০৪ সালের এই দিনে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ সমাবেশ ছিল। সেই সমাবেশ ঘিরে টানটান উত্তেজনা। সরকারে তখন বিএনপি জামাত ইসলামি জোট। প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

Sheikh Hasina 2004 Dhaka grenade attack

সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ভাষণ দিয়ে সবেমাত্র নামছিলেন। সেই সময় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। একের পর এক গ্রেনেড ছুঁড়তে থাকে হামলাকারীরা। মুহূর্তে মৃতদেহের স্তূপে পরিনত হয় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর সেই মঞ্চ সংলগ্ন এলাকা।

হামলায় অল্পের জন্যে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে সেদিনের সেই গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত এবং কয়েকশ জন আহত হন।

প্রায় দেড় দশক আগে ২০০৪ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি সমাবেশে নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়, যা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা নামে পরিচিত।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বাংলাদেশের ততকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বিএনপির নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু সহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তথা খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান, দলটির নেতা হারিছ চৌধুরী, প্রাক্তন সংসদ সদস্য শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ সহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়ে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর রায় দে আদালত। এই রায়ের বিষয়ে হাইকোর্টে আপিল মামলা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। 

হামলার সময় ক্ষমতায় ছিল বিএনপি জামাত ইসলামি জোট। তদন্তে উঠে এসেছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই মদতে হুজি-বি জঙ্গি সংগঠন এই হামলা চালিয়েছিল।