নিউজ ডেস্ক: আমেরিকা সেনা প্রত্যাহার করতেই আফগানিস্তানের পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে৷ সুযোগ বুঝে তালিবান জঙ্গিরা নতুন নতুন এলাকা ক্রমাগত দখল নিতে শুরু করেছে৷ অন্যদিকে, তালিবানরাজ কায়েম হতেই আফগান মহিলাদের নিরাপত্তা অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে৷ নতুন নতুন এলাকার দখল নেওয়ার পাশাপাশি দখলকৃত এলাকার ১২ বছরের বেশি মেয়েদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে তালিবান জঙ্গিরা৷ দ্য সান সংবাদপত্রের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, তালিবান জঙ্গিরা জোর করে ঘরে ঘরে ঢুকে মেয়েদের তুলে নিয়ে তাদের যোদ্ধাদের ‘যৌনদাসী’ বানাচ্ছে৷
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের স্থানীয় নেতাদের গত মাসে ১২ থেকে 4৫ বছর বয়সী মেয়ে ও মহিলাদের একটি তালিকা দিতে বলা হয়েছিল। তারপর থেকেই সেই তালিকা ধরে তালিবানরা মহিলাদের অপহরণ করে এবং জোরপূর্বক তাদের বিয়ে করছেন।
সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গের মতে, এই ঘটনার পর আফগানিস্তানে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে৷ মহিলারা পুরুষদের সঙ্গে ছাডা় ঘর থেকে বের হতে পারছে না। পাশাপাশি তাদের বাধ্যতামূলকভাবে হিজাব পরতে বলা হয়েছে।
বেশিরভাগ স্কুল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়েছে৷ একজন মহিলা শিক্ষক থাকলেই মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে৷ তালিবানরা হুমকি দিয়েছে, যদি কেউ এই নিয়ম লঙ্ঘন করে, তাদের সঙ্গে খুব বিপজ্জনক আচরণ করা হবে। ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে ভীত নারীরা এখন পালানোর চেষ্টা করছে। সেখানে পরিস্থিতি এমন হয়ে গেছে যে, মেয়েদের অভিভাবকরা রীতিমতো আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে৷ তাদের শঙ্কা, তার মেয়েকে জোর করে তালিবান তুলে দিয়ে যৌনদাসী বানাবে৷
প্রসঙ্গত, ২০ বছরের যুদ্ধ শেষে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করছে আমেরিকার বাইডেন সরকার৷ তারপর থেকেই তালিবান সেখানে ক্রমাগত নতুন নতুন এলাকা দখল করছে। আফগানিস্তান থেকে আমেরিকান সৈন্য প্রত্যাহারের মধ্যেই তালিবানরা ৭০ শতাংশেরও বেশি এলাকা দখল নিয়ে ফেলেছে৷ একই সঙ্গে অনেক প্রদেশের রাজধানীও তার নিয়ন্ত্রণে৷ এখন তালিবানরা পশ্চিমে প্রাদেশিক রাজধানী হেরাত এবং দক্ষিণে লস্করসহ সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহরকে লক্ষ্যবস্তু করছে।