Myanmar: মায়ানমারে ফের সেনার হত্যালীলা, মৃত অন্তত ৩৫

নিউজ ডেস্ক: শিশু, মহিলা, বৃদ্ধবৃদ্ধা সহ মোট ৩৫ জনকে গুলি করে মারল মায়ানমারের (Myanmar) সেনা জুন্টা। নির্বিচারে হত্যার পর জ্বালিয়ে দেওয়া হল তাঁদের দেহ। মায়ানমারের স্থানীয়…

নিউজ ডেস্ক: শিশু, মহিলা, বৃদ্ধবৃদ্ধা সহ মোট ৩৫ জনকে গুলি করে মারল মায়ানমারের (Myanmar) সেনা জুন্টা। নির্বিচারে হত্যার পর জ্বালিয়ে দেওয়া হল তাঁদের দেহ। মায়ানমারের স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন কারেননি (Karenni Human Rights Group) সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবিই তুলে ধরেছে। যদিও মৃতদের জঙ্গি বলে দাবি করেছে সেনাবাহিনী।

চলতি বছরে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই মায়ানমার অশান্ত। সর্বশক্তি প্রয়োগ করেও একদল প্রতিবাদীকে দমিয়ে রাখতে পারেনি জুন্টা (Junta)। স্থানীয় কারেননি সংগঠন সেনার বিরুদ্ধে ক্রমাগত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তাঁদের দমন করতে নির্বিচারে হত্যালীলা চালাচ্ছে সেনা। কায়াহ প্রদেশে তাঁরা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। সেই প্রতিরোধ ভাঙতেই শুক্রবার রাতে এলোপাথারি গুলি চালায় বাহিনী। প্রমাণ লোপাট করতে ৩৫ জনের দেহ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।

যদিও ঘটনা প্রসঙ্গে সরকারিভাবে কোনও বিবৃতি দেয়নি ‘জুন্টা’। তবে ঘনিষ্ঠ মহলে তাদের দাবি, কায়াহ প্রদেশের প্রুসো এলাকার মো সো গ্রামে সশস্ত্র জঙ্গি সেনাকে নিশানা করেছিল। ৭টি গাড়িতে ছিল তারা। সেনা থামতে বললেও তারা গাড়ি থামায়নি। তাই আত্মরক্ষার্থে বাহিনী গুলি চালায়। যদিও সে কথা মানতে নারাজ মায়ানমারের স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন। তাঁদের পালটা দাবি, গোটা দেশেই মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে জুন্টা।

 

প্রসঙ্গত, গণতন্ত্রের দাবিতে উত্তাল মায়ানমার। পালটা ফৌজের নিপীড়নে হাজারেরও বেশি গণতন্ত্রকামী প্রাণ হারিয়েছেন। সেনাশাসন শেষ করতে তীব্র যুদ্ধ চালাচ্ছে বিদ্রোহী বাহিনী। এমন সময়ে জুন্টার বিরুদ্ধে গণহত্যার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে এসেছে।

এক ব্রিটিশ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত জুলাই মাসে মধ্য মায়ানমারের সাগাইং প্রদেশের কানি শহর সংলগ্ন অন্তত ৪টি গ্রামে বার্মিজ সেনা গণহত্যা চালিয়েছিল। যার ফলে ওই ৪ এলাকায় ৪০ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ওয়াইন নামের একটি গ্রামে একসঙ্গে সবচেয়ে বেশি মানুষকে মারা হয়। সেখানে ১৪ জন গ্রামবাসীর উপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়ে তাঁদের হত্যা করেছে ফৌজ। এবার মো সো-র গণহত্যা-ও সেই তালিকায় জুড়ল।