নিউজ ডেস্ক: কী হবে পঞ্জশিরে? তালিবান কব্জা নাকি জঙ্গি বিরোধী আফগানি শক্তির নেতা মাসুদের জয় প্রায় পুরো আফগানিস্তানের দখল নিলেও তালিবান এখনও কব্জা করতে পারেনি। শনিবার ভোর থেকে প্রবল সংঘর্ষ চলছে এই এলাকায়। পঞ্জশির ঘিরে মূল সংঘর্ষ তালিবান ও আফগান রেজিস্টেন্সের। আল জাজিরা জানাচ্ছে, পঞ্জশিরের কিছু এলাকায় তালিবান জঙ্গি বাহিনি ঢুকেছে। পঞ্জশির চেক পোস্ট সংলগ্ন একটি জেলার বাসিন্দারা দূরবর্তী এলাকায় চলে যাচ্ছেন। এলাকাটি দখলের দাবি করেছে তালিবান।
শুক্রবার তালিবান সরকার গঠনের বার্তা ছিল। কিন্তু সরকার ঘোষণা হয়নি। আফগানিস্তানের সংবাদ মাধ্যমের খবর, আপাতত সরকার ঘোষণা পিছিয়ে দিয়েছে তালিবান। তবে সরকারের প্রধান হিসেবে তালিবান জঙ্গি সংগঠনের সহ প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আবদুল বারাদারের নাম চূডান্ত হয়েছে। আর সরকারের সর্বশীর্ষে থাকছে বর্তমান তালিবান প্রধান হিবাতুল্লাহ আখুন্দাজাদা। মনে করা হচ্ছে, পঞ্জশির দখল করেই তালিবান সরকার গঠন সম্পূর্ণ করবে।
পঞ্জশির ঘিরে লড়াই কেমন? আলজাজিরা জানাচ্ছে পরিস্থিতি প্রবল সংঘর্ষপূর্ণ। তালিবান বেগ পাচ্ছে। আফগান সংবাদ মাধ্যম টোলো নিউজের খবর, পঞ্জশিরে উভয়পক্ষের ক্ষয়ক্ষতি বাড়ছে। রুশ সংবাদ সংস্থা তাস জানাচ্ছে, তালিবানের বিরাট ক্ষতি হচ্ছে। তবে পঞ্জশিরের কিছু অংশে তালিবান প্রথম দিকে ঢুকে পড়েছিল। তাদের হটিয়েছে আহমেদ মাসুদের বাহিনি।
তবে পঞ্জশিরে থাকা অপসারিত আফগান সরকারের স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট আমারুল্লাহ সালেহ বিবিসি কে জানান লড়াই জোরদার চলছে। কঠিন পরিস্থিতি। গত ১৫ আগস্ট তালিবান দ্বিতীয়বারের জন্য কাবুল দখল করার পরেই তিনি পঞ্জশিরে আশ্রয় নেন। তখন তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট। তবে প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি দেশত্যাগ করতেই সামারুল্লাহ নিজেকে সংবিধান মাফিক প্রেসিডেন্ট বলে ঘোষণা করেন।
কাবুল থেকে দলের পর দল তালিবান যাচ্ছে মার্কিন সেনার ফেলে যাওয়া অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে। পঞ্জশির উপত্যকার শাসক আহমেদ মাসুদ তাঁর বাহিনি নিয়ে প্রবল প্রতিরোধ গড়েছেন। দু পক্ষের ক্ষয়ক্ষতি বিস্তর। পঞ্জশির উপত্যকা একমাত্র আফগান এলাকা যেখানে তালিবান বিরোধী নিয়ম চলে। পঞ্জশিরের শাসক আহমেদ মাসুদের পিতা আহমেদ শাহ মাসুদ ছিলেন তালিবান বিরোধী নেতা ও আফগানিস্তানের জাতীয় বীর। তিনি প্রথম তালিবান সরকার (১৯৯৬-২০০১) সময়ে পঞ্জশিরকে বিচ্ছিন্ন রাখতে সমর্থ হন। পরে নাশকতায় তাঁর মৃত্যু হয়।