নিউজ ডেস্ক: আগামী একমাস রাজ্য রাজনীতির নজর থাকবে কলকাতার ভবানীপুরে। কারণ, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর এখানেই ভাগ্য নির্ধারণ হবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা নয়, ভাগ্য নির্ধারণ হবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতার। নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ২ হাজারেরও কম ভোটে হেরে যান মমতা বন্দ্যপাধ্যায়। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকতে হলে, নিয়ম মতো ছ’মাসের মধ্যে কোনও একটি কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে হবে তাঁকে।
নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই, ভবানীপুরসহ তিন কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রত্যাশা মতোই এবার ভবানীপুরের তৃণমূল প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপির রুদ্রনীল ঘোষকে হারিয়ে দেওয়ার পরেও মুখ্যমন্ত্রীকে আসন ছেড়ে দিয়েছেন তৃণমূলের প্রবীন নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
এবার মমতার বিরুদ্ধে কে হবেন ভবানীপুরের পদ্মশিবিরের প্রার্থী? রাজ্য রাজনীতিতে জোর জল্পনা এর উত্তর নিয়েই। অনেকে রুদ্রনীল ঘোষের প্রার্থী হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছিল৷ তবে সেই বিতর্ক বাড়িয়েছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
রবিবার শিক্ষক দিবসের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অধিকারী বাড়ির মেজছেলে বলেন, ‘কে বলেছিল আপনাকে নন্দীগ্রামে আসতে ? এখন যদি আমাকে পার্টি বলে ভবানীপুরে আপনার বিপক্ষে দাঁড়াতে কী হবে তাহলে? আপনি নন্দীগ্রাম গিয়েছিলেন। এবার আমি এখানে আসি? মনে রাখবেন ওখানে কিন্তু ১৯৫৬ ভোটে হারিয়ে দিয়েছি, যেখানে ২৪ শতাংশ দুধেল গাই ছিল।’ ফলে শুভেন্দুর এই ইঙ্গিতবাসী বার্তা নিয়ে জোর বিতর্ক এবং জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে৷ অনেকেই মনে করছে, তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীকে চাপে রাখতে শুভেন্দু পদ্ম-প্রার্থী হতে পারেন৷