নিউজ ডেস্ক: সরকারে নেই দু রাজ্যেই। তবে সরকার হারানোর বামেদের পর তেজ কিন্তু ত্রিপুরাতেই। আগামী বিধানসভা ভোটের আগে ফের সাংগঠনিক শক্তির দেখনাদারিতে সফল হলেন মানিক সরকার। ত্রিপুরায় বনধের বিরাট প্রভাব। এমনকি বিজেপির দখল করা বিধানসভাগুলিতেও জনজীবন স্তব্ধ হয়ে গেছে।
দেশজোড়া বনধের জেরে উত্তর পশ্চিম ভারতের সঙ্গে রাজধানী নয়াদিল্লির সড়ক ও রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। বিভিন্ন রাজ্যে বনধের প্রভাব পড়লেও পশ্চিমবঙ্গে বনধ পালনে ফের ব্যর্থ বামেরা। বিক্ষিপ্ত কিছু ট্রেন রোকো ও বাজার বন্ধ করাতে পারলেও মোটের উপর রাজ্যে বনধ ব্যর্থ করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনি বনধের সবকটি ইস্যুকে সমর্থন করছেন বলে জানান।
বনধ যে বাংলায় তেমন হবে না তা বুঝেই গিয়েছিল সিপিআইএম সহ বাম দলগুলি। কিন্তু বঙ্গ বামেদের লজ্জায় ফেলে দিয়ে ফের শক্তি পরীক্ষায় পাশ মার্ক পেল ত্রিপুরা সিপিআইএম। এ রাজ্যে বিরোধী দলের ডাকা যতগুলি বনধ হয়েছে সবকটিকেই ছাপিয়ে গেছে সোমবারের ভারত বনধের ছবি।
কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কৃষি আইনের বিরোধিতায় সর্বভারতীয় কৃষক সংগঠনগুলির ডাকা ভারত বনধের সমর্থনে মানিক সরকার আগেই জানিয়েছিলেন, ত্রিপুরা স্তব্ধ করে দেওয়া হবে। খোদ বিজেপি শাসিত রাজ্য সকাল থেকেই স্তব্ধ।
রাজধানী আগরতলা শুনশান। কৈলাসহর, ধর্মনগর, সাব্রুম, পানিসাগর, গোমতী, বিশালগড়, উদয়পুর সহ রাজ্যের সর্বত্র বনধে বিরাট প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একেবারে শুনশান চারিদিক। আগরতলায় বনধের প্রভাব সবথেকে বেশি বলেই মনে করা হচ্ছে। বনধে বিক্ষিপ্ত অশান্তি রুখতে রাজ্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
সবথেকে উল্লেখযোগ্য, যে পার্বত্য উপজাতি অঞ্চলে সিপিআইএম এবারের বোর্ড হারিয়ে শূন্য হয়েছে এডিসি নির্বাচনে সেখানেও বনধের বড় প্রভাব পড়েছে।
গত নির্বাচনে টানা ২৫ বছরের বাম সরকারের পতন হয় ত্রিপুরায়। বিরোধী দল সিপিআইএমের দখলে থাকা বিধানসভাগুলির পাশাপাশি সরকারপক্ষ বিজেপি ও আইপিএফটি জোটের দখলে যাওয়া বিধানসভাতেও বনধের ‘সর্বাত্মক প্রভাব’ পড়েছে।