নিউজ ডেস্ক: প্রতি মুহূর্তে ভবানীপুরের ফল গণনার আপডেট পৌঁছে যাচ্ছে দুই রাজ্য মেঘালয় ও ত্রিপুরায়। উত্তর পূর্ব ভারতের এই দুই রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস বড়সড় শক্তি নিয়ে জলদি আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে। পিছিয়ে নেই পশ্চিম ভারতের গোয়া। সেখানেও তৃণমূল শিবিরে ভিড় বাড়বে বলেই মনে করছে শাসক দলের ভোট কুশলী সংস্থা আই প্যাক। টিম পি কে কর্মীরা একাধিক রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের বিস্তারে মরিয়া। তবে ‘সুখবর’ বেশি আসছে শিলং ও আগরতলা থেকেই।
রাজ্যে তিন কেন্দ্র ভবানীপুর, সামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে উপনির্বাচনের গণনার প্রথম থেকে আত্মবিশ্বাসী ব্যবধানে তৃ়ণমূল কংগ্রেস এগিয়ে। বিরোধী দল বিজেপি দ্বিতীয় স্থানেই থাকছে এমনই ইঙ্গিত। বামেরা তিন নম্বরেই। ফলাফল বের হওয়ার শুরুতেই ভবানীপুর কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এগিয়ে।
মেঘালয়ে কংগ্রেসের ‘শেষের কবিতা’
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের উপনির্বাচনের দিকে তীক্ষ্ণ নজর মেঘালয়ের বিরোধী দল কংগ্রেসের। জানা গিয়েছে বিরোধী দলনেতা মুকুল সাংমা কংগ্রেস ত্যাগ করে তৃণমূল শিবিরে আসছেন। মেঘালয়ে কংগ্রেস বিধায়ক শূন্য হয়ে যাবে বলেই আশঙ্কা এআইসিসির। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা দলত্যাগ করলেই টিএমসি হতে চলেছে এই রাজ্যে বিরোধী দল।
অরুণাচলে কী হবে ? সূত্রের খবর, অরুণাচল প্রদেশের দিকেও নজর তৃণমূলের। এই রাজ্যে একসময় একাধিক টিএমসি বিধায়ক ছিলেন। পরে তারা দলত্যাগ করেন।
ত্রিপুরায় টিএমসির শক্তি
ত্রিপুরায় বিজেপি শিবিরেও ভাঙন স্পষ্ট।সূত্রের খবর, উপনির্বাচনে মমতার জয় ঘোষণা হতেই ত্রিপুরায় শাসক বিজেপির বিদ্রোহী বিধায়করা দলত্যাগ শুরু করবেন। এদের নেতৃত্বে রয়েছেন আগরতলার বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ। তিনি ত্রিপুরার গত বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেস ছেড়ে অনুগামীদের নিয়ে তৃণমূলে যান। সে রাজ্যে বিরোধী দল হয় টিএমসি। পরে তিনিই আবার অনুগামীদের নিয়ে বিজেপিতে যান। ভোটে সরকার পরিবর্তন হয়। বাম সরকারকে হারিয়ে বিজেপি জোট সরকার গড়ে।
পশ্চিমবঙ্গে তিনবার সরকার গড়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসকে পুনরায় শক্তিশালী করতে মরিয়া। ইতিমধ্যেই বিজেপিতে ভাঙন ধরছে। শনিবার বিজেপি বিধায়ক আশিস দাস কলকাতায় টিএমসি ভবনে এসে কথাবার্তা পাকা করেছেন বলেই সূত্রের খবর।