Bihar: ‘আব কেয়া বানসুরি বাজয়াগা কানহাইয়া?’ বেগুসরাই উত্তাপহীন

নিউজ ডেস্ক: সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের ব্রেকিং দেখেও চমকে যাচ্ছেনা বিহার (Bihar) তথা দেশের অন্যতম আলোচিত রাজনৈতিক এলাকা বেগুসরাই (Begusarai)। সিপিআই (CIP) জেলা কার্যালয়ে তেমন হেলদোল…

kanhaiya kumar

নিউজ ডেস্ক: সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের ব্রেকিং দেখেও চমকে যাচ্ছেনা বিহার (Bihar) তথা দেশের অন্যতম আলোচিত রাজনৈতিক এলাকা বেগুসরাই (Begusarai)। সিপিআই (CIP) জেলা কার্যালয়ে তেমন হেলদোল নেই। যে টেবিলে বসে রাজনৈতিক ঝড় তুলতেন কানহাইয়া কুমার (Kanhaiya Kumar ) সেখানে গুটিকয়েক পুরনো পোড়খাওয়া নেতা বসে, আছে কিছু নতুন যুব কর্মী।

শুধু সিপিআই দলীয় দফতরের বাইরে একের পর এক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা বাইক রেখে এক্সক্লুসিভ বাইট নিতে মরিয়া। এই সবের কেন্দ্রে কানহাইয়া কুমার, যিনি সদ্য কমিউনিস্ট পার্টি (CPI) ত্যাগ করে কংগ্রেসে (INC) যোগ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: Politics: নেহরু থেকে কানহাইয়া, কংগ্রেসের ‘বাম’ নেতারা বরাবর সুপারহিট

‘জিসকা যানা থা ওহ চলা গেয়া, কোই ফরক নেহি পড়তা। কানহাইয়া সে পহলে সিপিআই থা, উসকে বাদ ভি রহেগা।’ (যার যাওয়ার সে চলে গেছে। কানহাইয়ার আগেও সিপিআই ছিল, ওর পরেও থাকবে)। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন সিপিআই বিহার রাজ্য পরিষদের নেতা তথা বেগুসরাই জেলা সম্পাদক অবধেশ রায়।

কানহাইয়ার সিপিআই ছেড়ে যাওয়া কেমন দেখছেন? অবধেশ রায় জানান, দু:খজনক ঘটনা। কানহাইয়া মার্কসবাদ থেকে সামন্ততান্ত্রিক পুঁজিবাদের পক্ষে গেলেন। তবে সিপিআই যে সমাজ পরিবর্তনের নীতি নিয়ে চলছে তেমনই চলবে।

বেগুসরাই এমন এক জায়গা, যেটি দীর্ঘ সময় ধরে বাম রাজনীতির কেল্লা বলে পরিচিত। বারবার এই কেন্দ্রে সিপিআই জয়ী হয়েছে। বারবার এখানে সিপিআই পরাজিত হয়েছে। বিহারের জমি ভিত্তিক আন্দোলন, জাতপাত ভিত্তিক রাজনীতির মধ্যে বেগুসরাই বিশেষ চিহ্নিত।

আরও পড়ুন: Explained: পঞ্জাব কংগ্রেস থেকে নভজ্যোৎ সিং সিধুর পদত্যাগের কারণ

সিপিআই জেলা সম্পাদক অবধেশ রায় জানান, কানহাইয়ার মতো নেতার কংগ্রেসে যোগদান সাময়িক ধাক্কা তো লাগছেই। তবে কানহাইয়া প্রথম নন, সিপিআইয়ের তাবড় নেতা চন্দ্রশেখর ছিলেন এই বেগুসরাইয়ের। তাঁর মৃত্যুর পর মনে করা হয়েছিল বেগুসরাই থেকে সিপিআই শেষ। তা আদৌ হয়নি। জবরদস্ত বিধায়ক ভোলা সিং সিপিআই ত্যাগ করেন। তাতেও দলের ক্ষতি হয়নি। কানহাইয়া কুমার আধুনিক সময়ের জ্বলন্ত নেতা হিসেবে উঠে এসেছিলেন সিপিআই থেকেই।
কানহাইয়ার সিপিআই ত্যাগ নিয়ে বেগুসরাই উত্তাপহীন। পথ চলতি অনেকেই সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, কানহাইয়া ঠিকই করেছে। কারণ, সিপিআই বেগুসরাইতে শক্তিশালী, কিন্তু সর্বভারতীয় স্তরে লড়াই করতে কংগ্রেসের মতো দল জরুরি।

কারোর কটাক্ষ, আব কেয়া বানসুরি বাজায়েগা কানহাইয়া ? (এবার কি বাঁশি বাজাবেন কানহাইয়া)। কেউ বলছেন, কমিউনিস্ট পার্টি থেকে কংগ্রেসে গেলেন, এর পর তিনি কোথায় যাবেন?

বেগুসরাই নিরুত্তাপ। তবে কেন্দ্রীয় রাজনীতি সরগরম। কানহাইয়া কুমার দলত্যাগের কথা জানিয়ে ব্যক্তিগতভাবে সিপিআই সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ডি রাজার কাছে চিঠি দেন। ডি রাজা জানিয়েছেন, সে চলে গেছে। দল লড়াইয়ে থাকবে।

বেগুসরাই কেন্দ্রে বামেরা বরাবর সাংগঠনিক শক্তিশালী। বেশ কয়েকবার এই বিধানসভা থেকে সিপিআই(CPI) ও সিপিআইএম (CPIM) জয়ী হয়েছে। এই লোকসভা কেন্দ্রেও দুবার জয়ী সিপিআই।

তবে বেগুসরাই সর্বাধিক আলোচিত হয়েছে জেএনইউ (JNU) বাম ছাত্র নেতা কানহাইয়া কুমারের দুরন্ত ভাষণ, ছাত্র সংসদের সভাপতি হিসেবে তার বিতর্কিত ‘দেশবিরোধী’ মামলায় জড়িয়ে যাওয়া ও জামিন ঘিরে। কানহাইয়া এক ঝটকায় সর্বভারতীয় সিপিআই নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন। গত লোকসভা ভোটে বেগুসরাই কেন্দ্রে বিজেপির (BJP) গিরিরাজ সিংয়ের বিরুদ্ধে লড়েন। বিপুল প্রচার হলেও কানহাইয়া পরাজিত হন। এখন তিনি রাহুল গান্ধীর যুব ব্রিগেডের অন্যতম নেতা।