Bihar: কানহাইয়াকে নিয়ে ‘ক্রাইসিস’, তীব্র শোরগোল কংগ্রেস ভবনে

নিউজ ডেস্ক: পাটনায় সিপিআই (CPI) বিহার রাজ্য দফতর থেকে যে ছেলে এসি মেশিন খুলে আনতে পারে, সে ‘ডেঞ্জারাস’। তাকে কংগ্রেসের (INC) দায়িত্ব দেওয়া হলে বিদ্রোহ…

kanhiya kumar

নিউজ ডেস্ক: পাটনায় সিপিআই (CPI) বিহার রাজ্য দফতর থেকে যে ছেলে এসি মেশিন খুলে আনতে পারে, সে ‘ডেঞ্জারাস’। তাকে কংগ্রেসের (INC) দায়িত্ব দেওয়া হলে বিদ্রোহ তুঙ্গে উঠবে এমনই বার্তা আসছে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) কাছে। সবের মূলে সদ্য সিপিআই (CPI) ত্যাগ করে কংগ্রেসে (INC) যোগ দেওয়া কানহাইয়া কুমার (Kanhiya Kumar)। সূত্রের খবর, তাঁকেই বিহার প্রদেশ কংগ্রেসের বড় দায়িত্ব দিতে চলেছেন রাহুল গান্ধী।

কানহাইয়া কুমার বিহার প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হতে পারেন এমনই গুঞ্জন রটেছে পাটনার রাজনৈতিক মহলে। এর পর থেকেই বিদ্রোহের আগুন ধিকি ধিকি করে জ্বলতে শুরু করেছে। যদিও বিহার ও কেন্দ্রীয় সিপিআই নেতারা মনে করছেন, কংগ্রেসে যোগ দিয়ে রাজ্যসভায় যেতে চান কানহাইয়া। তাঁর পক্ষে কমিউনিস্ট পার্টির হয়ে দীর্ঘ সময় রাজনীতি চালানোর ধৈর্য্য নেই।

লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া অভিনেতা ও প্রাক্তন সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা দলকে আক্রমণ করতে শুরু করেছেন। তাঁর দাবি, কী করে কানহাইয়াকে কংগ্রেসে স্থান দিলেন রাহুল গান্ধী। অভিযোগ, কানহাইয়াকে বিহার প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদ দেওয়া হলে অনেকেই মানতে পারবেন না।

 kanhiya kumar with Rahul gandhi

এমনিতেই কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ জট বিহারে প্রবল। বিধানসভা ভোটে আরজেডি (RJD) ও বামেদের সঙ্গে মহাজোট করেও তেমন কিছু সুবিধা হয়নি। বরং মহাজোটের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে সিপিআই (এম-এল) লিবারেশন (CPIML) বিরাট সফল হয়েছে। লিবারেশেনের অভিযোগ, কংগ্রেসকে বেশি আসন দেওয়ার থেকে বামেদের আসন দিলে মহাজোট সরকার গড়তে পারত। নির্বাচনে বিহারে বাম দলগুলি বিশেষ করে সিপিআই (এম-এল) একশ শতাংশের বেশি স্ট্রাইক রেট নিয়ে দেশে নজির গড়ে। বাকি দুই বাম দল সিপিআই (CPI) সিপিআইএম (CPIM) কিছু আসন পায়। মহাজোটের স্টার প্রচারক ছিলেন ততকালীন সিপিআই নেতা কানহাইয়া কুমার।

নির্বাচন পরবর্তী বিহারে মহাজোটের কংগ্রেস ম্রিয়মান। কোনঠাসা কংগ্রেসকে চাঙ্গা করতে সদ্য দলে আসা কানহাইয়া কুমারের মতো জনপ্রিয় মুখ ও বক্তাকে হাতিয়ার করতে চাইছেন রাহুল গান্ধী। মনে করা হচ্ছে তাঁর মূল লক্ষ্য আসন্ন উত্তর প্রদেশ বিধানসভা ভোটে কানহাইয়াকে দিয়ে প্রচার। সূত্রের খবর, এআইসিসি ঠিক করেছে, পাটনার প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে বড় পোর্টফোলিও দেওয়া হবে কানহাইয়া কুমারকে।

কানহাইয়া কংগ্রেসে সামিল হতেই কংগ্রেসের হয়ে জবরদস্ত ভাষণ দেওয়া শত্রুঘ্ন সিনহার হুঙ্কার শুরু হয়েছে। এর জেরে বিহার প্রদেশ কংগ্রেসে এখন পাঞ্জাবের মতো বিদ্রোহ পরিস্থিতি। পাটনা কংগ্রেস কার্যালয়ে বিদ্রোহী নেতাদের দাবি ‘নেহি চলেগা কানহাইয়া’। যাঁকে নিয়ে বিতর্ক সেই তুখোর বক্তা নীরব। তেমনই নীরব রাহুল গান্ধী।