ভবানীপুরকে পাখির চোখ করতে অর্জুনেই ভরসা বিজেপির

তৃণমূল মোট ২১৩ টি সিট পেয়ে ক্ষমতায় এসেছিল বিধানসভা নির্বাচনে। তারপরেও ভারতীয় জনতা পার্টি থেকে প্রায় ছ’জন বিধায়ক যোগ দিয়েছেন রাজ্যের শাসকদলে।

546

নিউজ ডেস্ক: আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ২ হাজারেরও কম ভোটে হেরে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকতে হলে, নিয়ম মতো ছ’মাসের মধ্যে কোনও একটি কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে হবে তাঁকে।

আরও পড়ুন কয়লাকাণ্ডে ইডির জেরা শেষে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন অভিষেক

নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই, ভবানীপুরসহ তিন কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রত্যাশা মতোই এবার ভবানীপুরের তৃণমূল প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপির রুদ্রনীল ঘোষকে হারিয়ে দেওয়ার পরেও মুখ্যমন্ত্রীকে আসন ছেড়ে দিয়েছেন তৃণমূলের প্রবীন নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। 

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোট গণনা হবে ৩ অক্টোবর। এবার মমতার বিরুদ্ধে কে হবেন ভবানীপুরের পদ্মশিবিরের প্রার্থী? রাজ্য রাজনীতিতে জোর জল্পনা এর উত্তর নিয়েই। ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কে লড়বেন, তা বাছতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে। তবে তারই মধ্যে পর্যবেক্ষক নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল বিজেপি।

পদ্মশিবিরের দুই সাংসদ অর্জুন সিং এবং জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো এবং রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সিংকে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভবানীপুর কেন্দ্রের আটটি ওয়ার্ড পর্যবেক্ষণে রাখবেন একজন করে বিজেপি বিধায়ক। তাঁদেই মাথায় থাকবেন দুই সাংসদ। 

একই সময়ে নির্বাচন ও ভোট গণনা হবে রাজ্যের আরো দুই আসন সমশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে। ভবানীপুর-সহ বাকি ৭টি বিধানসভা আসনে ভোট করানোর দাবিতে বার বার কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের দাবি ছিল, রাজ্যো করোনা সংক্রমণ অনেকটাই কম। তাই ভোট করানো যেতে পারে।

তৃণমূল মোট ২১৩ টি সিট পেয়ে ক্ষমতায় এসেছিল বিধানসভা নির্বাচনে। তারপরেও ভারতীয় জনতা পার্টি থেকে প্রায় ছ’জন বিধায়ক যোগ দিয়েছেন রাজ্যের শাসকদলে। সেই সংখ্যাটাও আরও বাড়তে পারে। এবার উপনির্বাচনে সেই আসন সংখ্যা আরও বাড়ানোর সুযোগ এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের কাছে।