নিউজ ডেস্ক: উত্তর থেকে দক্ষিণ কোথাও যেন স্বস্তি নেই বিরোধী দলের। শুক্রবার রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যানী দল ছাড়লেন। তিনি বিজেপি ত্যাগ করতেই এবার গুঞ্জন পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর ঘিরে। বিধায়ক হিরন চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chatterjee) দলত্যাগ করতে চলেছেন।
হিরন তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে ঘনিষ্ঠ মহলে বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ক্রমাগত ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন তিনি। তৃ়নমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসে বিধায়ক হন হিরন। তবে দলে তেমন কাজের সুযোগ নেই বলে জানাচ্ছেন তিনি। এর আগে তৃণমূল ছাড়ার পর বলেছিলেন দলে কাজ করতে পারছিলাম না।
সূত্রের খবর, হিরনকে তৃণমূলে ফিরে আসার বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল নিজেও বিজেপি ছেড়ে টিএমসি হয়েছেন।
এদিকে জানা যাচ্ছে, শিলিগুড়ির বিধায়ককেও হারাতে চলেছে বিজেপি। বিধায়ক শংকর ঘোষ তৃণমূলে যাচ্ছেন বলেই তুমুল আলোচনা। ভোটের আগে শংকর ঘোষ সিপিআইএম ছেড়ে বিজেপিতে যান। গুরু তথা প্রাক্তন পুর ও নগরোন্নয় মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্যকে পরাজিত করেন। তবে শিষ্যের সঙ্গে অশোকবাবুর সুসম্পর্ক রয়েছে।
দুর্গাপূজার পর রাজ্য বিজেপিতে ধ্বস নামতে চলেছে। এমনই আশঙ্কা খোদ বিজেপির অন্দরে। দু ডজন বিধায়ক দলত্যাগ করবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। শুক্রবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানান, কে দলত্যাগ করল তাতে বিজেপির কিছু ক্ষতি হবে না। সাংগঠনিকভাবে দল থাকবেই। শুভেন্দুবাবু নিজে ভোটের আগে তৃ়নমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করেন।