পাকিস্তানের পর এবার চিন, তালিবানদের ভূয়সী প্রশংসায় ভরাল বেজিং

নিউজ ডেস্ক: গোটা আফগানিস্তান তালিবানদের দখলে। শুধু রাজত্বই নয়, আফগানিস্তান জুড়ে রীতিমতো রাজ করছে বন্দুকধারীরা। রোজই নৃশংসতার নতুন নতুন নজির সৃষ্টি করছে তারা। যা নিয়ে…

নিউজ ডেস্ক: গোটা আফগানিস্তান তালিবানদের দখলে। শুধু রাজত্বই নয়, আফগানিস্তান জুড়ে রীতিমতো রাজ করছে বন্দুকধারীরা। রোজই নৃশংসতার নতুন নতুন নজির সৃষ্টি করছে তারা। যা নিয়ে প্রতিবাদে নেমেছে প্রায় গোটা বিশ্ব। যদিও তাতেও ব্যতিক্রম দুটি দেশ। পাকিস্তান এবং চিন। ইসলামাবাদের তরফ থেকে আগেই সমর্থন করা হয়েছিল তালিবানদের।

আরও পড়ুন শিল্পেই বিপ্লব: তালিবানদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে কাবুলের গ্রাফিতি শিল্পী শামসিয়া হাসানি

পাকিস্তানের পর এবার তালিবানদের ভূয়সী প্রশংসা করল চিন। বেজিংয়ের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ‘তালিবান আর আগের মতো নেই। কট্টরপন্থা কমার পাশাপাশি কূটনৈতিক বুদ্ধি বেড়েছে তালিবান যোদ্ধাদের। যুক্তি দিয়ে বিচার করার প্রবণতাও বেড়েছে’। পাকিস্তান এবং চিন, দুই দেশেরই এই কাজ ভারতকে ব্যাকফুটে ফেলার জন্য বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু সমর্থনই নয়, দুই দেশের সঙ্গেই আফগানিস্তানের তালিবান গোষ্ঠীর যোগাযোগ রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন বাংলা বলায় পাকিস্তানি তকমা, বাজার করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার বৃদ্ধা সহ মহিলারা

আফগানিস্তানে ক্রমশ পিছিয়ে পড়েছিল তালিবানরা। সেখান থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্টের সেনা প্রত্যাহার এবং গত কয়েক বছরে তালিবানের উত্থান প্রসঙ্গে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মন্তব্য, ‘কোনও কিছুই তো চিরকালের জন্য নির্দিষ্ট নয়। সবসময় শুধুমাত্র অতীত নিয়ে ভাবলে তো চলবে না। বর্তমানে কী ঘটছে সেটাও দেখতে হবে।’

আরও পড়ুন Jinping Plan: পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্রের কাছে নতুন টানেল খুঁড়ছে চিন

বেজিংয়ের আরও সংযোজন, ‘আফগানরা কী চাইছে সেটা এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। তবে গতবার ক্ষমতায় থাকাকালীন তালিবান যা ছিল। আজ নেই। নারীদের উন্নয়ন এবং অধিকার পাইয়ে দেওয়ার বিষয়টিও প্রশংসনীয়। রাশিয়ার কয়েকজন রাজনীতিক এবং আন্তর্জাতিক কিছু সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টে কাবুলে তালিবানের প্রবেশ সম্পর্কে প্রশংসা করা হয়েছে। সত্যিই তালিবানরা যুক্তিসঙ্গত আচরণ করেছে। আমরা বিশ্বাস করি সমস্ত সমস্যা মিটিয়ে প্রগতিশীল ইসলামিক সরকার তৈরি করা হবে আফগানিস্তানে।’