Covid19: শেষ সাত দিনে ৭১ শতাংশ সংক্রমণ, করোনা যেন মরণহীন রক্তবীজ

২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ২ জানুয়ারি পর্যন্ত গোটা বিশ্বে করোনার (Covid) সংক্রমণ বেড়েছে ৭১ শতাংশ। চলতি বছরে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে করোনার সংক্রমণ…

২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ২ জানুয়ারি পর্যন্ত গোটা বিশ্বে করোনার (Covid) সংক্রমণ বেড়েছে ৭১ শতাংশ। চলতি বছরে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে করোনার সংক্রমণ ঝড়ের গতিতে বেড়ে চলেছে। এর মূল কারণ করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রন।মরণহী

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান শুক্রবার আরো একবার বলেছেন, ওমিক্রন প্রাণঘাতী নয় এটা ঠিক। কিন্তু এই ভাইরাসকে অবহেলা করলে তার জন্য অনেক বড় মাশুল গুনতে হবে। ইতিমধ্যেই তার প্রমাণও সকলেই পেয়েছে। প্রায় গোটা দুনিয়াকে ঘরবন্দি করে ফেলেছে ওমিক্রন। 

বিশ্বের উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম প্রতিটি প্রান্তে করোনার সংক্রমণ ঝড়ের গতিতে ছড়াচ্ছে। তবে করোনার ডেল্টা ভেরিয়েন্টের তুলনায় ওমিক্রনের সংক্রমণে মৃত্যুহার অনেকটাই কম।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, করোনায় নতুন করে মৃত্যুর সংখ্যা আগের তুলনায় ১০ শতাংশ কমেছে। তবে ২৭ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি পর্যন্ত গোটা বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় এক কোটি ছুঁই ছুঁই। মৃতের সংখ্যা প্রায় ৪২ হাজারের কোঠায়।

এদিনই জানা গিয়েছে, শেষ ২৪ ঘন্টায় আমেরিকায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭.২৮ লাখ। মৃতের সংখ্যা ১৮৪৩। ব্রাজিল, উরুগুয়ে, বলিভিয়ার মত দেশেও সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে।

একই পরিস্থিতি ইউরোপের ফ্রান্স, ব্রিটেন, জার্মানি, আয়ারল্যান্ডের মত একাধিক দেশে। সব দেশেই সংক্রমণ রাতারাতি বেড়ে চলেছে। শেষ ২৪ ঘন্টায় ফ্রান্সে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২.৫৯ লাখ মানুষ। মৃতের সংখ্যা ২০৪। ব্রিটেনে আক্রান্তের সংখ্যা ২.২৯ লাখ। মৃতের সংখ্যা ২০৩। জার্মানিতে ৫৯ হাজার ১১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এদেশের মৃতের সংখ্যা কিছুটা বেশি। জার্মানিতে ২৪ ঘন্টায় ২৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দক্ষিণ গোলার্ধের দেশ অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, তাসমানিয়াতেও রীতিমতো করোনার সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ায় ২৪ ঘন্টায় বেশ কয়েক হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এদেশে মৃতের সংখ্যা অনেকটাই কম।

করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েও পূর্ব পশ্চিমের দেশগুলির মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। পশ্চিমের একাধিক দেশ মনে করছে, আগামী দিনে করোনাকে নিয়ে সকলকেই পথ চলতে হবে। তাই এখন থেকেই মানসিকতার বদল প্রয়োজন। দীর্ঘদিন তো আর ঘরবন্দি থাকা যায় না।

অন্যদিকে পূর্বের দেশগুলি বলেছে, যেভাবেই হোক না কেন সবার আগে করোনাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। এর জন্য প্রয়োজনে আরও অনেক কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ইতিমধ্যেই থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, চিন, জাপান-সহ একাধিক দেশ কড়া বিধিনিষেধ জারি করেছে। বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এই সব দেশে।