Covid19: ওমিক্রন, ইহু…আশঙ্কিত হু

করোনার (Covid19) নতুন ভেরিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’কে ঘিরে আতঙ্কের শেষ নেই মানুষের। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে মাসখানেক আগে আসা এই ভেরিয়েন্টটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) থেকে শুরু করে…

করোনার (Covid19) নতুন ভেরিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’কে ঘিরে আতঙ্কের শেষ নেই মানুষের। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে মাসখানেক আগে আসা এই ভেরিয়েন্টটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) থেকে শুরু করে তাবড় তাবড় দেশের রাজনেতাদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।

করোনার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হু হু করে বাড়ছে ওমিক্রনে সংক্রমিতের সংখ্যা। এদিকে ইউরোপের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে দিয়েছে, বিশ্বজুড়ে ওমিক্রনের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার ফলে করোনার একটি নতুন রূপ বিপজ্জনক চেহারা ধারণ করতে পারে। ওমিক্রন বিশ্বজুড়ে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ছে, এটি প্রাথমিকভাবে আশঙ্কার চেয়ে অনেক কম গুরুতর বলে মনে হচ্ছে এবং আশা জাগিয়ে তুলেছে যে মহামারিটি থেকে দ্রুত সকলে কাটিয়ে উঠতে পারবেন এবং জীবন আরও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসতে পারে।

করোনাভাইরাসের পরপর ধরণ ডেল্টা, ডেল্টা প্লাস, ওমিক্রন, ডেলমিক্রন এবং নবতম সংযোজন ইহু যেমন এসেছে, তেমনই এসেছে ভিন্ন জীবাণু ফ্লোরনা। কর্পোরেট প্রচার সমালোচক বিশেষজ্ঞরা বলছেন জীবাণু আগেও ছিল ভবিষ্যতেও থাকবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সিনিয়র ইমার্জেন্সি অফিসার ক্যাথরিন স্মলউড সতর্কবার্তা দেন।

এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, উর্ধ্বমুখী সংক্রমণের হার বিপরীত প্রভাব ফেলতে পারে। যত বেশি ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়বে, তত বেশি সংক্রামিত হবেন মানুষ। এছাড়া সংক্রমণের হাড় উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেলে আরও একটি নতুন ভেরিয়েন্টের জন্ম হতে পারে। তিনি জানান, ওমিক্রন মারাত্মক, এটি মৃত্যুর কারণ হতে পারে। ওমিক্রনের প্রভাব হয়তো ডেল্টার চেয়ে কিছুটা কম, কিন্তু পরবর্তী ভেরিয়েন্টটি কী করতে পারে তা কে বলতে পারে।

প্রসঙ্গত, মহামারির শুরু থেকে ইউরোপে ১০০ মিলিয়নেরও বেশি কোভিড মামলা রেকর্ড করা হয়েছে এবং ২০২১ সালের শেষ সপ্তাহে ৫ মিলিয়নেরও বেশি ঘটনা সামনে এসেছে। এ বিষয়ে স্মলউড বলেন, “অতীতে আমরা যা দেখেছি তা এখনকার তুলনায় কম ছিল।” তাহলে প্রশ্ন উঠছে, আরও কোনও ভয়ঙ্কর মহামারী বা অতিমারীর সাক্ষী থাকতে চলেছে বিশ্ব?