নিউজ ডেস্ক: লড়াই হবে জমানত বাঁচানোর। আপাতত এই লক্ষ্যেই আসন্ন উপনির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে টানা ৩৪ বছর রাজ্যের শাসকপক্ষ বামফ্রন্ট! এই পর্বের উপনির্বাচনে বামেদের অন্যতম প্রার্থী শান্তিপুর (Shantipur) বিধানসভার কেন্দ্রের সৌমেন মাহাতো।
কে তিনি? সিপিআইএমের যুব সংগঠনের নেতা। তার থেকেও বড় কথা, সৌমেন রেড ভলান্টিয়ার্স এই নামে একটি মোবাইল নম্বর নদিয়ার শান্তিপুর বা সংলগ্ন এলাকায় বহুজনের মোবাইলে সেভ করা আছে।
করোনাভাইরাস হামলা ও তীব্র অক্সিজেন সংকটের সময় যখন ঘরে ঘরে মৃতদেহ পড়ে থাকছিল বা অক্সিজেন চেয়েও না পাওয়া মানুষ অসহায় হয়েছিলেন তখন এগিয়ে আসে রেড ভলান্টিয়ার্স।
তীব্র অক্সিজেন সংকটের সেই সময়ে বারবার ভাইরাল হয় রেড ভলান্টিয়ার্স কর্মকান্ড। শান্তিপুরের বাম যুব কর্মীদের নেতা সৌমেন মাহাতো অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে করোনা আক্রান্তদের ঘরে ঘরে চলে যান। পরিস্থিতি এমন হয় যে রেড ভলান্টিয়ার্সে-ই ভরসা করেন তৃ়ণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের মোবাইলেও নম্বরগুলো সেভ করা আছে।
সিপিআইএম ও বিভিন্ন বাম দলগুলির ছাত্র যুব সংগঠনের কর্মীদের নিয়ে গঠিত রেড ভলান্টিয়ার্সের ভূমিকায় রাজ্যবাসী চমকে যান। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকস্তরে প্রবল আলোচিত হয় সংগঠনটির ভূমিকা। প্রশাসনিক স্বাস্থ্য পরিষেবা কাঠামো ভেঙে পড়ছিল। তখন বিপদের বন্ধু ছিল রেড ভলান্টিয়ার্স।
শান্তিপুরের করোনা রোগীদের জন্য ‘অক্সিজেন দাতা’ সৌমেন মাহাতো আর অন্যান্য রেড ভলান্টিয়ার্সদের বিভিন্ন মুহূর্ত ভাইরাল হতে শুরু করে।
আসন্ন উপনির্বাচনে সেই ভূমিকা থেকে ভোটের লড়াইতে শান্তিপুরের ‘অক্সিজেন দাতা’।সিপিআইএম এই কেন্দ্রে সৌমেন মাহাতো কে প্রার্থী করার পরেই পুরো বিধানসভা জুড়ে শোরগোল। মূলত তৃ়ণমূল ও বিজেপিতে বিভক্ত ভোটারদের কাছেও দ্বিধা তৈরি হচ্ছে।
চমক ছিল সৌমেন মাহাতোর মনোনয়ন জমার মিছিল। সদ্য সমাপ্ত তিনটি কেন্দ্রের উপনির্বাচনে যা দেখা যায়নি। সর্বত্রই জামানত খোয়ান বাম প্রার্থীরা।
বিধানসভা ভোটে জিতেও শান্তিপুরের বিধায়ক পদ ছেড়েছেন বিজেপির জগন্নাথ সরকার। ফলে আগামী ৩০ অক্টোবর উপনির্বাচন।
শান্তিপুরে বামফ্রন্টের সিপিআইএম প্রার্থী সৌমেন কি ‘জামানত কাঁটা’ দূর করতে পারবেন? সেটাই মূল প্রশ্ন বাম শিবিরে। বহু ভোটের পোড় খাওয়া বাম নেতারা জানেন জনসেবা এক বিষয় আর ভোটের লড়াই ভিন্ন।