Indonesia: সেমেরু আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯

নিউজ ডেস্ক: শনিবার দুপুরে ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) জাভা প্রদেশের লুমাজাং এলাকায় হঠাৎই মাউন্ট সেমেরু আগ্নেয়গিরি (semaru volcanoe) থেকে অগ্নুৎপাত শুরু হয়। আকস্মিক এই অগ্ন্যুৎপাতের (volcanic eruption…

Semeru volcano

নিউজ ডেস্ক: শনিবার দুপুরে ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) জাভা প্রদেশের লুমাজাং এলাকায় হঠাৎই মাউন্ট সেমেরু আগ্নেয়গিরি (semaru volcanoe) থেকে অগ্নুৎপাত শুরু হয়। আকস্মিক এই অগ্ন্যুৎপাতের (volcanic eruption ) ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যু (dead) হয়েছে। জখম হয়েছেন বহু মানুষ। এখনও পর্যন্ত বহু মানুষ ওই এলাকায় আটকে রয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেরই জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনা ক্রমশই কমে আসছে বলে উদ্ধারকারীদের আশঙ্কা।

রবিবার সকাল থেকেই চলছে উদ্ধার কাজ। এদিন শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রায় এক হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও বহু মানুষ নিজেদের বাড়িতেই আটকে আছেন। ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার আধিকারিক আবদুল মুহারি জানিয়েছেন, রবিবার দুপুর পর্যন্ত ১৯ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদের মধ্যে তিন জনকে শনাক্ত করা গিয়েছে।

রবিবার দুপুর পর্যন্ত এক হাজারেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে স্থানীয় মানুষের দাবি, এই ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি। সেমেরুর অগ্ন্যুৎপাতের ফলে এখনও পর্যন্ত শতাধিক মানুষ জখম হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলা আছেন। আহতদের মধ্যে ৩৫ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ওই এলাকার বাসিন্দাদের যত শীঘ্র সম্ভব সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।

অন্যদিকে লুমাজাং এলাকার স্থানীয় শাসক ইন্দাহ আম্পেরওয়াতি জানিয়েছেন, অগ্ন্যুৎপাতের এই ঘটনায় দমবন্ধ হয়ে কমপক্ষে ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। কয়েক হাজার মানুষ আটকে আছেন। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আহতদের দ্রুত চিকিৎসা এবং এলাকার মানুষকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ইন্দোনেশীয় সরকারের পক্ষ থেকে জাভা প্রদেশের হাসপাতালগুলিকে আহতদের চিকিৎসার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারের নির্দেশে বলা হয়েছে, সব ধরনের জরুরি পরিষেবা যেন তৈরি থাকে। ইতিমধ্যেই হাসপাতালগুলির তরফ থেকে একাধিক অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে আসার কাজ শুরু করেছে। কতদিন এই অগ্নুৎপাত চলবে সেটাই এখন সে দেশের সরকারের মূল ভাবনা। কারণ দীর্ঘদিন ধরে অগ্নুৎপাত চলতে থাকলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই বাড়বে।