News Desk: ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটের আগে নানা কসরত করে প্রার্থী টিকিট পেতে চেয়েছিলেন। অভিযোগ, তৎকালীন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রবল বাধায় সেই মহার্ঘ প্রার্থীপদ পাননি তথাগতবাবু।
নির্বাচনে বিজেপি সরকার গড়তে না পারায় দলকে ও নেতাদের টুইটে মেয়ে দেখলে ‘লালা ঝরে’ বলে কটাক্ষ করেছেন। কখনও বলেছেন দলটাই রাজ্য থেকে উঠে যাবে।
এহেন তখাগত বাবুর ‘আপাতত বিদায় পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি’ টুইটে বঙ্গ গেরুয়া শিবির সরগরম। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, উনি একটা সময় পার্টি করতেন। তখন আমি দলের দায়িত্বে ছিলাম না। যখন আমি দায়িত্বে আসি, তখন উনি রাজ্যপাল ছিলেন। তাই একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়নি। আর এখন উনি দলে থেকে কী করছেন, তা সবাই দেখতে পাচ্ছেন। উনি দলে থাকতেই বা পার্টির কী লাভ হয়েছে? আমার তো জানা নেই। তাই উনি কী করবেন, না করবেন তা ওনার সিদ্ধান্ত। ওঁকে নিয়ে আমার ভাবার সময় নেই। আমি শুধু ভাবছি আমার দল এবং দলের কর্মীদের নিয়ে।’
তাৎপর্যপূর্ণ, তথাগতবাবুকে একপ্রকার অলাভজনক বলে কটাক্ষ করলেন দিলীপবাবু। তবে বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের প্রতিক্রিয়া আসেনি।
তথাগত রায় বনাম দিলীপ ঘোষের বাকযুদ্ধ যেন রাজ্য বিজেপির ধসের ছবিটা আরও স্পষ্ট করে তুলছে। এমনই অভিমত বিশেষজ্ঞ মহলে। বিজেপি যে পশ্চিমবঙ্গে ভেঙে যাবে সেটাও টুইটে আগে লিখেছেন তথাগত রায়।
এদিকে তথাগত রায় টুইটে ফের লিখেছেন ‘দলের কিছু নেতৃস্থানীয় লোক যেভাবে কামিনী-কাঞ্চনে গা ভাসিয়েছিলেন সেটা সম্বন্ধে দলকে সজাগ করার জন্য করছিলাম। এবার ফলেন পরিচয়তে।’
নারী ও অর্থ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি চলার যে মারাত্মক অভিযোগ তথাগতবাবু করেছেন তার জন্য রাজ্য বিজেপি এখনও তাঁকে শো কজ করেননি। বিরোধী দলনেতা ও নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীও নীরব।