তালিবানরা দখল নেওয়ার পরেই জোরালো ভুমিকম্পে কেঁপে উঠল কাবুল

নিউজ ডেস্ক: খানিকক্ষণ আগেই আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের দখল নিয়েছে তালিবানরা। তারপরেই জোরালো ভুমিকম্পে কেঁপে উঠলো শহর। ৫.৫ মাত্রার ভুমিকম্প অনুভূত হয়েছে কাবুল এবং তার আসেপাশের…

Afgan তালিবানরা দখল নেওয়ার পরেই জোরালো ভুমিকম্পে কেঁপে উঠল কাবুল

নিউজ ডেস্ক: খানিকক্ষণ আগেই আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের দখল নিয়েছে তালিবানরা। তারপরেই জোরালো ভুমিকম্পে কেঁপে উঠলো শহর। ৫.৫ মাত্রার ভুমিকম্প অনুভূত হয়েছে কাবুল এবং তার আসেপাশের এলাকায়। যদিও ভুমিকম্পের উৎস তাজিকিস্তান। গতকালই ৭.২ মাত্রার শক্তিশালী ভুমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল ক্যারিবিয়ান রাষ্ট্র হাইতির পশ্চিমাঞ্চল। প্রায় গোটা ক্যারিবীয় দ্বীপপূঞ্জজুড়েই অনুভূত হয়েছিল ভুমিকম্প।

United States Geological Survey (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, তাজ্জিকিস্তানের চুবেক থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে এই ভূমিকম্পটি তৈরি হয়েছে। ভূপৃষ্ঠে এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। প্রায় গোটা তাজিকিস্তান এবং আফগানিস্তানের কিছু অংশ জুড়ে কম্পন অনুভূত হয়েছে।

ইতিমধ্যেই গোটা আফগানিস্তান জুড়ে ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে তালিবানদের আক্রমণ এবং তার সঙ্গে আতঙ্ক। আক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে তাদের আগ্রাসন দেশজুড়ে ঊর্ধ্বমুখী। আমেরিকার সামরিক কার্যালয় পেন্টাগনের তরফ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, তিনমাসের মধ্যেই কাবুল দখল করে ফেলবে তালিবানরা। তারপরেই পিছু হঠতে শুরু করেছে আসরাফ ঘানির সরকার। আফগান সরকারের তরফে তালিবানকে ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব দেওয়া হয়। তারমধ্যেই আজ দুপুর থেকে কাবুলে ঢুকে রাজধানী শহর দখল করতে শুরু করে তালিবানরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, আর কয়েকদিনের মধ্যেই গোটা আফগানিস্তানের দখল নেবে তালিবানরা।

Taliban

ভুমিকম্পের ফলে কতজন মারা গেছেন এবং কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি। এর আগে ২০১৫ সালে হিন্দু কুশে সৃষ্ট ভুমিকম্পে কেঁপেছিল আফগানিস্তান। মারা গিয়েছিলেন প্রচুর মানুষ। যদিও ইতিমধ্যেই অনেক বিশেষজ্ঞ দাবি করেছেন ভুমিকম্পটি প্রাকৃতিক নয়, কৃত্রিম। ‘হার্প’ প্রযুক্তির সাহায্যে এই ভুমিকম্প ঘটিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। HAARP অর্থাৎ ‘High Frequency Active Auroral Research Project’. এটি আমেরিকার সামরিক বাহিনী পরিচালিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি গোপন পরীক্ষা।

https://twitter.com/theragex/status/1426870855687081987?s=20

আমেরিকার পাশাপাশি রাশিয়াও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃত্রিম ভাবে ভুমিকম্প, সুনামী ঘটানো সম্ভব। টেসলার বিখ্যাত ‘ফ্রী এনার্জি’ থিওরি থেকেই মূলত এই হার্প টেকনোলোজি এসেছে। ২০১৫ সালের ভুমিকম্পকেও কৃত্রিম বলে দাবি করেছিলেন অনেক গবেষক।