News Desk: নভেল করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ছড়াচ্ছে হু হু করে। করোনার মৃত্যু আহ্বানের আমন্ত্রণ এসেছে। অথচ প্রচলিত টিকাগুলি নিতে অস্বীকার করছেন ইউরোপের বেশ কিছু দেশের বাসিন্দারা। শিল্পন্নোত পশ্চিম ইউরোপের ধনী দেশগুলির এই চরম অবৈজ্ঞানিক মানসিকতার কারণে বিশ্ব বিপদের মুখে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হুঁশিয়ারি কমপক্ষে ৫ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
করোনা প্রতিরোধের টিকা নিতে নারাজ বেশকিছু দেশের বাসিন্দারা। হচ্ছে জ্বলন্ত প্রতিবাদ। এই অবস্থায় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোকে কোভিড টিকা বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাবে শোরোগোল পড়ল। টিকা বিরোধী জনতার বিক্ষোভ আরও জ্বলন্ত হবে বলেই আশঙ্কা।
বিবিসি জানাচ্ছে, টিকা নেওয়ার প্রস্তাব বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেয়েন। বেলজিয়ামের রাজধানী
ব্রাসেলসে সাংবাদিকের সম্মেলনে তিনি বলেন, টিকা বাধ্যতামূলক করা নিয়ে ঠিক কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা জরুরি। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই যৌথ উদ্যোগ প্রয়োজন। আমি মনে করি আলোচনাটা শুরু হওয়া দরকার।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান বলেছেন, ব্যাপক মাত্রায় সংক্রমণে সক্ষম ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট রুখতে টিকা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
এদিকে ওমিক্রন ভয়ে ভীত হয়ে কড়া অবস্থান নিলঅস্ট্রিয়া সরকার। ফেব্রুয়ারি থেকে কোভিড টিকা বাধ্যতামূলক হবে এমন ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। গ্রিসে টিকা না নেওয়া ষাটোর্ধ্বদের প্রতি মাসে ১০০ ইউরো করে জরিমানা গুনতে হচ্ছে।
টিকা গ্রহণের শতাংশে জার্মানির অবস্থান নিম্ন সারিতে। দেশটিক পরবর্তী চ্যান্সেলর হতে যাওয়া ওলাফ শলজ জানিয়েছেন, তিনি টিকা বাধ্যতামূলক করার পক্ষে। তিনি বলেন, গত মার্চ থেকেই টিকা বাধ্যতামূলক চেয়ে আসছি। একই সঙ্গে দ্রুতগতির বুস্টার ডোজ প্রদান কার্যক্রম জরুরি।
বিবিসি জানাচ্ছে, গত ২২ নভেম্বর প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রন শনাক্ত হয়। ২৪ নভেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) একে ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন বা উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে চিহ্নিত করে। এর নামকরন করে ওমিক্রন।