নিউজ ডেস্ক: অবশেষে দেশ ছাড়ার কারণ ব্যাখ্যা করলেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরফ গনি৷ তালিবানরা কাবুল দখলের বেশ কয়েক ঘণ্টা বাদে রীতিমতো ফেসবুকে পোস্ট করে বিশ্ববাসীকে জানালেন গনি৷ তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তালিবান কাবুল নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগেই রবিবার আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি৷
রবিবার রাতে ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে লিখেছেন, তিনি একটি কঠিন সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হয়েছিলেন৷ তিনি কি সশস্ত্র তালিবানের মুখোমুখি হবেন? নাকি যে দেশের জন্য ২০টি বছর দিয়েছেন, সেই দেশ ছেড়ে যাবেন। তিনি লিখেছেন, ‘’আমাকে সরিয়ে দিতে তালিবানরা পুরো কাবুল ও বাসিন্দাদের ওপর হামলা করতে এসেছে। রক্তপাত এড়াতে দেশ ছেড়ে যাওয়া ভালো হবে বলে আমি মনে করেছি,’’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘’তরবারি আর বন্দুকের ওপর নির্ভর করে তারা বিজয়ী হয়েছে। এখন আমাদের দেশবাসীর সম্মান, সম্পদ আর আত্মমর্যাদা রক্ষার দায়িত্বও তাদের,’’ তবে আশরাফ গনি তাজিকিস্তান নাকি উজবেকিস্তান গিয়েছেন, তা এখনও পরিষ্কার নয়।
কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করা ৭২ বছর বয়সী আশরাফ গনি দীর্ঘদিন বিদেশে কাটিয়েছেন। ২০০১ সালে তালিবানের পতনের পর তিনি দেশে ফিরে আসেন। ২০১৪ সালে তিনি প্রথমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য পুনঃনির্বাচিত হন।
এদিকে সোমবার তালিবান নেতারা আফগান বাসিন্দাদের ক্ষতি না করতে মুজাহিদিনদের নির্দেশন দিয়েছে৷ কাবুলের এক বাসিন্দাআয়শা খুররম একটি টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, আজ সকালে তিনি ঘুম থেকে উঠেছেন তাদের বাসার দরজার বাইরে চিৎকার আর গুলির শব্দ শুনে।
The Islamic Emirate has ordered its Mujahideen and once again instructs them that no one is allowed to enter anyone's house without permission. Life, property and honor of none shall be harmed but must be protected by the Mujahedeen.
— Suhail Shaheen. محمد سهیل شاهین (@suhailshaheen1) August 16, 2021
তিনি বলছেন, মানুষজন বলাবলি করছিল যে, মুজাহিদিনরা ঘরে ঘরে গিয়ে গাড়ি এবং ধনসম্পদ লুট করে নিয়ে যাচ্ছিল, কিন্তু যখনি তারা শুনতে পেয়েছে যে, তালিবান কর্মকর্তারা আসছে, তারা দৌড়ে পালিয়েছে।
এর মাত্র এক ঘণ্টা আগেই তালিবান পুনরায় নিশ্চয়তা দিয়ে বলেছে যে, তারা আফগান বেসামরিক নাগরিকদের কোনরকম ক্ষতি না করার জন্য যোদ্ধাদের নির্দেশ দিয়েছে। উল্লেখ্য, কাবুলে প্রবেশের সময় তুলনামূলক উদার মনোভাব প্রদর্শন করেছে তালিবান।