#Afghanistan
নিউজ ডেস্ক: কাবুল (Kabul) থেকে মার্কিন সেনার বিমান সর্বশেষ উড়ানের পরেই আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রক তালিবান জঙ্গিরা বিশ্বজোড়া কূটনৈতিক বার্তা পাঠিয়েছে। তাদের বক্তব্য, সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক! এই বার্তার পরেই চরম কূটনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু করল ভারত। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানাচ্ছে, কাতারের রাজধানী দোহা শহরে ভারতের রাষ্ট্রদূত দীপক মিত্তলের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনা হয় তালিবান নেতা স্তানেকজাইয়ের।
কাতারে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত দীপক মিত্তল ভারতীয় দূতাবাসে তালিবান নেতা স্তানেকজাইকে আহ্বান জানান। সেখানে জঙ্গি সংগঠনটির অন্যতম নেতার সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেন।
বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, স্তানেকজাইয়ের সঙ্গে আলোচনার মূল বিষয় ছিল, ভারতীয় নাগরিকদের দ্রুত দেশে ফেরানোর বিষয়। আলোচনা হয়েছে তাদের নিরাপত্তা নিয়ে। এছাড়াও বেশ কিছু আফগান নাগরিক যারা ইতিমধ্যে ভারতে যাওয়ার আবেদন করেছে, সেই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
আশির দশকে দেরাদুনে ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষিত স্তানেকজাই পূর্বতন তালিবান সরকারের মন্ত্রী। আফগান সেনা হিসেবে ভারতে এসে দেরাদুন মিলিটারি একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নেয় স্তানেকজাই। দেশে ফিরে সোভিয়েত বিরোধী মুজাহিদিন গোষ্ঠীর হয়ে যুদ্ধে নামে। পরে স্তানেকজাই তালিবান সংগঠনের শীর্ষে ওঠে। আফগানিস্তানের প্রথম তালিবান সরকারের আমলে উপ প্রধানমন্ত্রীর পদ ছিল স্তানেকজাইয়ের। ২০০১ সালে মার্কিন সেনা অভিযানে তালিবান সরকারের পতন হয়। তখন স্তানেকজাই আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে কাতারে আশ্রয় নেয় স্তানেকজাই৷
দেরাদুন মিলিটারি একাডেমির সেই শেরু অর্থাৎ শের মহম্মদ আব্বাস স্তানেকজাই সম্প্রতি ভারতের কাছে বার্তায় কূটনৈতিক সম্পর্কের কথা বলেছিল। ভারতে সেনা প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুবাদে এই দায়িত্ব দেয় তার সংগঠন।
কাতারে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত ও তালিবানের মধ্যে হয়েছে তাৎপর্যপূর্ণ কূটনৈতিক বৈঠক। কারণ, মঙ্গলবার সর্বশেষ মার্কিন সেনা কাবুল থেকে চলে গিয়েছে। আফগানিস্তানকে মুক্ত ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছে তালিবান। তারা বিশ্বজোড়া কূটনৈতিক বার্তা দিয়ে সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্কের কথা বলেছে।