নিউজ ডেস্ক: গোটা আফগানিস্তান দখল করেছে তালিবানরা। দেশের প্রায় প্রতিটি প্রান্তেই কায়েম হচ্ছে শরিয়তি আইন। ইসলামের আদেশ অনুসারেই চলছে দেশ। গোটা পাকিস্তানজুড়েই রীতিমতো উতসবের মেজাজে কট্টরপন্থীরা। তালিবানদের আফগানিস্তান দখল এবং আমেরিকান সৈন্য প্রত্যাহার করার জন্য ‘আল্লাকে ধন্যবাদ জানাতে’ ২৭ আগস্ট একটি অনুষ্ঠান পালন করা হয়েছে পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে।
আরও পড়ুন পঞ্জশির রক্তাক্ত: যে ছবি প্রমাণ দিচ্ছে মাসুদ বাহিনিকে কেন ভয় তালিবানের
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল ‘পাকিস্তান তহেরিক-ই-ইনসাফ’-এর নীলম ইরশাদ শেখ নামের এক নেত্রী সোজাসুজি বলেন, ”তালিবান বলেছে ওরা আমাদের সঙ্গে আছে। এবং কাশ্মীরকে স্বাধীন করতে আমাদের সাহায্যও করবে।” এবার তালিবানদের প্রকাশ্যে সমর্থন করে বিতর্ক উসকে দিলেন কংগ্রেস বিধায়ক ইরফান আনসারি। আফগানিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠীকে ‘বিপ্লবী’ তকমা দিয়ে বিপাকে ঝাড়খণ্ডের ওই রাজনীতিবিদ।
#WATCH | American forces are committing atrocities in Afghanistan. They harass mothers, sisters & children. The fight is against it. Taliban & the people of Afghanistan are happy: Congress MLA Irfan Ansari in Ranchi, Jharkhand pic.twitter.com/bgNGksFMXU
— ANI (@ANI) September 3, 2021
এক সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন কংগ্রেস প্রধান আনসারি বলেন, “আফগানিস্তানে এতদিন ধরেই অত্যাচার চালাচ্ছিল মার্কিন সেনাবাহিনী। মায়েদের, বোনেদের ও শিশুদের উপর অত্যাচার করত তারা। এবার তালিবানরা আফগানিস্তান দখল করায় আফগানিস্তানের মানুষ খুশি।” তালিবানকে শুধু প্রশংসাই নয়, আমেরিকাকেও তোপ দেগেছেন তিনি। জানিয়েছেন, “আমেরিকার সেনা যেখানেই যায় সেখানেই সবার উপর অত্যাচার চালায় তারা। এবার আফগানিস্তানে শান্তি ফিরবে।” তাঁর এই কথাতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন শরিয়তি আইনে চলা আফগানিস্তান থেকে উইঘুর মুসলিমদের চিনে পাঠাবে তালিবান
ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে সমালোচনায় ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে আনসারিকে। পদ্মশিবিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “জামতাড়ার কংগ্রেস বিধায়ক একটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনকে সমর্থন করছেন। যারা আফগানিস্তানের মহিলা ও সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের জন্য কুখ্যাত। তালিবানের ভয়ে সে দেশের নাগরিকরা আফগানিস্তান ছেড়ে পালাচ্ছে। ইরফান আনসারি কি চাইছেন যে ভারতেও এমনটা হোক।” প্রসঙ্গত, ২০০১ সালের আগে তালিবান যখন আফগানিস্তান শাসন করত, তখনও তারা কঠোর শরিয়া আইন জারি করেছিল। এবারেও আগের ছবিই দেখা যাচ্ছে গোটা দেশ জুড়ে।