‘হাল ছেড়ে দেওয়া’ গৃহবন্দি বুদ্ধবাবু শুনলেন নব্যরা ফাইট করেছে

News Desk: অসুস্থ বুদ্ধবাবু শুনলেন উপনির্বাচনে বামেদের বড়সড় লড়াই ও ভোট বৃদ্ধির খবরটি। বামফ্রন্টের নবীন প্রজন্ম লড়াই করছে। তবে তিনি নীরব। হয়ত মনের গভীরে এখনও…

Buddhadeb Bhattacharya

News Desk: অসুস্থ বুদ্ধবাবু শুনলেন উপনির্বাচনে বামেদের বড়সড় লড়াই ও ভোট বৃদ্ধির খবরটি। বামফ্রন্টের নবীন প্রজন্ম লড়াই করছে। তবে তিনি নীরব। হয়ত মনের গভীরে এখনও পরাজয় মানতে না পারার ক্ষেদ রয়েছে। অনেক সিপিআইএম নেতার ক্ষোভ এভাবে তিনি হাল না ছেড়ে দিলে রাজ্যে ভোট রাজনীতিতে অনেক কিছুই হতে পারত। অন্তত দল শূন্য তো হতো না।

পরিবর্তন হয়েছিল ২০১১ সালে। টিএমসির কাছে পরাজয়ের পর আর বাহির মুখো হতেন না তেমন। পরবর্তী সময়ে যদিও বা কয়েকবার বেরিয়েছিলেন গত কয়েক বছর অসুস্থ হয়ে গৃহবন্দি। সিওপিডি পেশেন্ট প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মাঝে কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁর অসুস্থতার সংবাদে রাজ্য জুড়ে চিন্তিত হন বহু বাম-অবাম সমর্থক।

এই গত কয়েক বছরে পরপর ভোটে রাজ্যে বামেদের শুধুই জামানত বাজেয়াপ্ত আর ভয়াবহ বিপর্যয় সংবাদ আসে গণনার দিন। সেসব শুনতেই অভ্যস্ত প্রবীন সিপিআইএম নেতা।

তাৎপর্যপূর্ণ গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে বামেরা রাজ্যে শূন্য হয়েছে। পরপর উপনির্বাচনেও একই ফল। তবে মঙ্গলবার খড়দহ, শান্তিপুর, গোসাবা, দিনহাটা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফল আসতেই দেখা যায় শূন্য থাকলেও বামেদের ভোট বেড়েছে। গণনার এক পর্যায়ে খড়দহ কেন্দ্রে দ্বিতীয়স্থানে এসেছিল সিপিআইএম।

তবে ফলাফল শূন্যই। যে শূন্যতা লোকসভাতে তৈরি হয়েছে তা ভরাট করার জন্য নব্য নেতা ও প্রার্থীদের উপর জোর দিয়েছে সিপিআইএম। আসন্ন রাজ্য সম্মেলন ও পার্টি কংগ্রেসে এ ব্যাপারে শিলমোহর লাগবে।

সিপিআইএম সহ বামদলগুলির তো বটেই রাজ্যবাসীর কাছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি তীব্র আলোচিত। তেমনই সমালোচনা হয় তাঁর পরাজয় না মানতে পেরে নিজেকে একলা করে নেওয়ার নীতি। সেই বুদ্ধবাবু শুনেছেন তাঁর দলেরই নতুন ধারার কর্মীরা লড়ছেন।