Bangladesh: দুর্গামণ্ডপে কোরান রেখে সাম্প্রদায়িক হামলা ছড়িয়ে গ্রেফতার ইকবাল

নিউজ ডেস্ক: কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরান শরিফ রাখার যে ঘটনা থেকে বাংলাদেশের (Bangladesh) বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছিল, সেই ঘটনার প্রধান সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে…

CCTV footage established main culprit of bangladesh communal violence

নিউজ ডেস্ক: কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরান শরিফ রাখার যে ঘটনা থেকে বাংলাদেশের (Bangladesh) বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছিল, সেই ঘটনার প্রধান সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। বিবিসি জানাচ্ছে এই খবর।

অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনকে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত থেকে পুলিশ আটক করে। তাকে জেরা করা হচ্ছে। উস্কানিমূলক বার্তা দিয়ে পুলিশের জেরার মুখে পড়েছেন ঢাকার বদরুন্নেসা কলেজের সহকারী অধ্যাপিকা রুমা সরকার।

গত ১৩ অক্টোবর হিন্দু সম্প্রদায়ের দূর্গাপূজার সময় কুমিল্লার একটা পূজামণ্ডপে কোরান পাওয়া যায়। এরপরই বাংলাদেশের কয়েক স্থানে সংঘর্ষ এবং পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।

তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হয়েছে সিসিটিভি। কুমিল্লার নানুয়ারদিঘি পূজামণ্ডপে কোরান শরিফ রেখে আসার ফুটেজ পেয়েছে পুলিশ। সেই ফুটেজ দেখেই চক্রান্তকারীদের একজন ইকবাল হোসেন চিহ্নিত হয়।

সিসিটিভি থেকে প্রমাণ হয়েছে, ইকবাল সাম্প্রদায়িক হামলা ছড়ানোর মতলব নিয়েই দুর্গামণ্ডপে কোরান শরিফ রেখে এসেছিল। তার বয়স ৩০ থেকে ৩৫ বছর হবে। তার বাবার নাম নুর আহমেদ আলম। বাড়ি কুমিল্লার সুজানগরে।

কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক জানিয়েছেন, কুমিল্লার নানুয়ারদিঘি এলাকায় দুর্গামণ্ডপে কোরান রেখে হামলার পরিবেশ তৈরি করার চক্রান্তকারীদের গ্রেফতারে সর্বাত্মক শক্তি প্রয়োগ করা হচ্ছে। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, কুমিল্লার ঘটনাটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে সাজানো হয়েছে।