News Desk: চিকিৎসকরা আরও একবার জানিয়েছেন, ফের রক্তক্ষরণ হয়েছে বর্ষীয়ান প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার। আর বিএনপি দলের দাবি, মরনাপন্ন দলনেত্রী। সরকার দ্রুত তাঁকে বিদেশে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার অনুমতি দিক। বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকার রাজি নয়। আ সরকারের তরফে বলা হয়েছে আইনি প্রক্রিয়ায় আর্থিক দুর্নীতির মমলায় জেল থেকে ছাড়া পেলেও খালেদা জিয়ার দেশত্যাগে আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি আছে।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে সরকার ও বিএনপির মধ্যে টানাপোড়েনের মাঝে আন্তর্জাতিক চাপ আসতে শুরু করল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দ্রুত মুক্তি দিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিন। এই মর্মে আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য ড. আইভান স্টেফানেক। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস থেকে স্থানীয় সময় বুধবার এই চিঠি পাঠান তিনি। চিঠিতে ড. আইভান স্টেফানেক বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়টিকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বিএনপির দাবি, তাদের দলনেত্রীকে মুক্তি দিতে বারবার আবেদন জানানো হয়েছে। এমনকি খালেদা জিয়ার পরিবারের তরফেও আবেদন করা হয়েছে। সরকারে থাকা দল আওয়ামী লীগের দাবি, খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করছে বিএনপি।
বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা জিয়া এতিমখানা ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের আর্থিক দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত খালেদা জিয়ার মোট ১৭ বছরের জেলের সাজা হয়। তিনি জেলে ছিলেন । তবে করোনা সংক্রমণ ও বয়স জনিত অসুস্থতার কারণে জেল থেকে বাড়িতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়।
ঢাকার বাড়িতে থাকা অবস্থায় করোনা আক্রান্ত হন খালেদা জিয়া। এরপর বেশ কয়েকবার তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। গত ১৩ নভেম্বর খালেদা জিয়া ফের অসুস্থ হন। তাঁকে ঢাকার বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন তিনি।
গত বুধবার রাত থেকে খালেদা জিয়ার অন্ত্রে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসকরা ইনজেকশন দিয়ে তা বন্ধ করতে সক্ষম হন। বৃহস্পতিবার সকালে আবারও রক্তক্ষরণ হলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন খালেদা জিয়া। তবে ওইদিন দুপুরের আগে তার সেই অবস্থার কিছুটা উন্নতি ঘটে বলে মেডিকেল বোর্ডের একজন চিকিৎসক জানান।