নিউজ ডেস্ক: ক্রমশ জটিল হচ্ছে মায়ানমারের (Myanmar) পরিস্থিতি। রাজধানী নাইপিডো সহ দেশের সমস্ত বড় শহরগুলিতে টহল দিচ্ছে সেনা। টেলিফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগও বিচ্ছিন্ন। এই পরিস্থিতিতে এবার মিলিটারি জুন্টার উপর চাপ বাড়িয়ে যুদ্ধ ঘোষণা করল মায়ানমারের ‘বিদ্রোহী সরকার’ বা ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’।
আরও পড়ুন জাভেদের RSS-তালিবান তুলনায় এবার নিন্দায় শিব সেনাও
এক বছরের জন্য দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছে সেনাবাহিনী। এর প্রতিবাদে, গণতন্ত্রের দাবিতে শুরু থেকেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছে মায়ানমায়ের জনগন। অন্যদিকে সেনাবাহিনীর হামলা ও নিপীড়ন চলছেই। সেনার গুলিতে মৃত্যু হয়েছে কয়েক হাজার মানুষের। ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি-র নেত্রী আং সান সু চি-সহ বেশ কয়েকজন শাসক-নেতাকে আটক করা হয়েছে। ফলে জুন্টা বিরোধী বিক্ষোভ রূপ নিয়েছে সশস্ত্র প্রতিরোধে।
আরও পড়ুন আফগান সংকটমোচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত মিলছে
আরও পড়ুন আফগানিস্তান: রাষ্ট্রসংঘের মানবিক বিষয়ক মহাসচিবের সঙ্গে তালিবান প্রতিনিধি দলের বৈঠক
গত বছরের নভেম্বরে নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয় আং সান সু চি-র নেতৃত্বাধীন এনএলডি। মায়ানমার সংসদের নিম্নকক্ষের ৪২৫টি আসনের মধ্যে ৩৪৬টিতে জয়ী হয় তারা। কিন্তু, রোহিঙ্গা ইস্যু থেকে শুরু করে একাধিক বিষয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় সু কি সরকারের। নির্বাচনেও ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলে সেনা অভ্যুত্থান ঘটানো হয়।
ব্রিটিশ দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে মায়ানমারের। টানা সামরিক হামলার মুখে নিজেদের রক্ষা করতে বিভিন্ন গোষ্ঠী অস্ত্র হাতে তুলে নিচ্ছে। জুন্টা সরকারকে প্রত্যাখ্যান করে গড়ে ওঠা ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্টের (এনইউজি) নেতাদের বিভিন্ন কথায় গৃহযুদ্ধের আশঙ্কাই দেখা যাচ্ছে।
BREAKING: Acting President Duwa Lashi La of #Myanmar’s @NUGMyanmar gov announces that from today Sep 7, 2021 the defensive war against the military junta has been launched — urges the citizens to revolt against the junta in every corner of the country. #WhatsHappeningInMyanmar pic.twitter.com/o42nYJvm5n
— Cape Diamond (@cape_diamond) September 7, 2021
গণতন্ত্রকামীদের প্রবল বিক্ষোভের পর এবার বার্মিজ সেনার বিরুদ্ধে মোর্চা খুলেছে বেশ কয়েকটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন। সামরিক জুন্টার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক দিয়েছে বেশ কয়েকটি বিদ্রোহী সংগঠন। আন্দোলনে যোগ দিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী কারেনি আর্মি ও নতুন গঠিত কারেনি পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (কেপিডিএফ)।
India welcomes ASEAN initiative on Myanmar & ‘Five-Point Consensus’. Our diplomatic engagements will be aimed at strengthening these efforts. We call for upholding the rule of law & release of detained leaders: India's Ambassador to UN on UNGA Adoption of resolution on Myanmar pic.twitter.com/rM4xJix8WW
— ANI (@ANI) June 19, 2021
কয়েকমাস আগেই মায়ানমারের সামরিক জুন্টার নিন্দায় প্রস্তাব পাশ হয় রাষ্ট্রসংঘে। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা শুধু ভারতের প্রতিবেশী দেশের অভ্যন্তরের বিষয় নয়। বরং এই ঘটনা প্রভাবে ফেলবে ভারতের বিদেশনীতির সুরক্ষা এবং কূটনীতিতে। ফলে আং সান সু কি-সহ আটক নেতাদের মুক্তির দাবিতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সরব হয়েছে ভারত, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া-সহ বেশ কয়েকটি দেশ।