নিউজ ডেস্ক: এ যেন কাঁটার মুকুট ! বিরেধী দলের রাজ্য সভাপতি হয়েছেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তাঁকে লাড্ডু খাওয়ানোর হিড়িক লেগেছে। আবার মিষ্টিমুখের আড়ালেই রয়েছে তেতো বিষয়-বঙ্গ বিজেপির একাধিক নেতা নারীঘটিত বিষয়ে অভিযুক্ত। বেশ কিছু নেত্রীর বিরুদ্ধে বারবার অশালীন কাজের অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন ভাইরাল ভিডিও তেমনই ইঙ্গিত দেয়।
সূত্রের খবর, নতুন দায়িত্ব নিয়েই সুকান্ত মজুমদার এই বিষয়গুলি সমাধানে জোর দিচ্ছেন। অভিযোগ, রাজ্য বিজেপির এক প্রাক্তন বিধায়কের নারীঘটিত বিষয়ে বারবার প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে কর্নপাত করেননি দিলীপ ঘোষ।
বিজেপি নতুন রাজ্য সভাপতি সংগঠনে পরিচ্ছন্নতা আনতে চাইছেন বলেই খবর। তবে রাজ্য বিজেপির বহু নেতার মনোভাব দলে যেভাবে ভাঙন ধরাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাতে সুকান্তবাবুর মতো নরম নেতার পক্ষে সব সামাল দেওয়া অসম্ভব।
এদিকে আরএসএস নেতৃত্বের একাংশের মত, যেভাবে আদর্শবিহীন হয়ে বিজেপিতে সবাইকে আনা হচ্ছিল তার ফল পেতেই হবে। সুকান্তবাবুর সামনে কঠিন পরীক্ষা।
সূত্রের খবর, বিধানসভা ভোটে বিজেপি কেন ক্ষমতা দখল করতে পারল না, সেই কারণ খুঁজবেন নতুন রাজ্য সভাপতি। তাঁর কর্মসূচিরর মধ্যে আছে বিস্তারকদের জন্য দেওয়া টাকার হিসেব। এখানে বিস্তর নয়ছয় হয়েছে বলে সাংগঠনিক স্তরেই অভিযোগ ও সরগরম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বারবার।
সুকান্ত মজুমদার রাজনীতিতে নবীন মুখ। তিনি আগে ভালো করে রাজ্য চিনুন, জানিয়েছেন প্রবীন বিজেপি নেতা ও ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়।
প্রশ্ন উঠছে, ভাবানীপুর বিধানসভার উপনির্বাচনের আগেই কেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি পদ থেকে দিলীপবাবুকে অপসারিত করা হলো? সূত্রের খবর, সাম্প্রতিক যে ভাঙন ধরেছে বঙ্গ বিজেপিতে তা রুখতে পারছিলেন না দিলীপ ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে দলেরই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে অভিযোগের পাহাড় জমেছে।
বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দিলীপ ঘোষের সম্পর্কের ফাটল বেড়েছে। দু পক্ষ পরস্পরকে কটাক্ষ করেন অবিরত। বিভিন্ন জেলা থেকে দিলীপবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগের ফিরিস্তি আসছে।