নিউজ ডেস্ক: সরকারে তালিবান জঙ্গিরা। দুয়ারেও তারা হাজির। বন্দুক বাগিয়ে তৈরি। ফলে সংবাদপত্র ছাপানোর আর সাহস নেই কোনও ছাপাখানার। গত ১৫ অাগস্টের পর থেকে প্রায় অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। বহু ছাপাখানা বন্ধ। এসবের সরাসরি আঘাত এসেছে আফগানি সংবাদপত্রের উপরে।
কাবুলের কিছু কাগজ চললেও বিভিন্ন প্রদেশ থেকে বের হওয়া সংবাদপত্রগুলি ছাপানো একেবারেই বন্ধ। পরিস্থিতি বুঝে পুরোপুরি ই-সংস্করণে চলে গিয়েছে আফগান সংবাদত্রের বড় অংশ।
দ্বিতীয় দফার তালিবান সরকার কায়েম হতেই জঙ্গি সংগঠনটির তরফে বলা হয়, বেশি সমালোচনা সহ্য করা যাবে না। তার পরপর কাবুলে সাংবাদিকদের অপহরণ করে মারধরের ভিডিও ফুটেজ থেকে মুখে বারবার আধুনিক মানসিকতার বার্তা দিলেও এটা স্পষ্ট পুরনো মেজাজেই রয়েছে তালিবান। ফলে তালিবান সরকার বিরোধী অবস্থান আর কোনও খবরের কাগজের পক্ষেই নেওয়া সম্ভব নয়।
আফগান ন্যশনাল ইউনিয়ন অফ জার্নালিস্টস জানিয়েছে, তালিবান সরকার আসার পথের পরিস্থিতি ভয়াবহ আর্থিক বিপর্যয়। এর ধাক্কায় ছাপাখানা বন্ধ। অন্তত ১৫০টি সংবাদপত্রের কোনও সংস্করণই আর বের হচ্ছে না। এক্ষেত্রে ই পেপার ভরসা।
একের পর এক সংবাদপত্র বন্ধ হয়েছে। কাজ হারাচ্ছেন সাংবাদিকরা। তবে কিছু বিদেশি সংবাদমাধ্যম কাজ করছে। তাদের খবর ও ছবি গোপনে সরবরাহ করছেন কর্মচ্যুত সাংবাদিকরা।
বিভিন্ন সংবাদপত্রের ইন্টারনেট সংস্করণ, অনলাইন নিউজ পোর্টালের উপর নজরদারি চলছে তালিবান জঙ্গিদের। আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘ওয়াচডগ’ জানাচ্ছে, তালিবানি ফতোয়ায় আফগান সংবাদ সংস্থাগুলি বন্দি। সেই সঙ্গে রয়েছে অর্থনৈতিক বিপর্যয়।