নিউজ ডেস্ক: প্রকাশ্যে গাড়ি থামিয়ে বুকের সামনে বন্দুক রেখে নীরবে চলে আসার ইঙ্গিত দিয়েছিল সরকারি তালিবান জঙ্গিরা। সেই থেকে নিরুদ্দেশ কাবুলের ওষুধ ব্যবসায়ী ‘দাওয়াওয়ালা’ বাঁশরি লাল। তালিবান সরকার নীরব। যদিও অপহৃত বাঁশরির বিষয়ে ভারত সরকার খোঁজ চালিয়েছে বিদেশমন্ত্রকের মাধ্যমে। কিন্তু খবর নেই।
অপহরণের এক সপ্তাহ পরেও কোনও খোঁজ নেই দাওয়াওয়ালা বাঁশরি লালের। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি ওষুধের ব্যবসা করেন। কাবুলে তাঁর দোকান আছে। গত ১৫ আগস্ট তালিবান জঙ্গিরা দ্বিতীয়বার আফগানিস্তানের সরকার দখল করেছে। এর পরেই বেশ কয়েকটি অপহরণ, সাংবাদিকদের মারধর, প্রকাশ্যে খুন সবই হয়েছে। তবে ভারতীয় বংশজাত আফগানিকে অপহরণের ঘটনা ব্যাতিক্রম।
বাঁশরি লাল আফগানি। তিনি ভারতীয় বংশজাত। তাঁর আত্নীয়রা দিল্লি ও উত্তর ভারতের বিভিন্ন স্থানে থাকেন। বাঁশরি লালের ওষুধের দোকান কাবুলে বেশ পরিচিত। মনে করা হচ্ছে প্রচুর অর্থ মুক্তিপণ দাবি করেছে তালিবান। তবে এ বিষয়ে বাঁশরির আত্মীয়রা মুখ বন্ধ রেখেছেন। যে কোনও সময়ে বাঁশরি লালের মৃত্যু সংবাদ আসার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে তালিবান শাসিত আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল চিন্তিত। যদিও তালিবান সরকার জানায়, কোনও অবস্থায় পূর্বতন তালিবান সরকারের (১৯৯৬-২০০১) মতো হবে না বর্তমান সরকার। নরম মনোভাব নেবে।
তবে তালিবানি নিয়মে অঙ্গ কেটে নেওয়ার নিয়ম ফের চালু হবে এমনই জানিয়েছে,তালিবান নেতা, বর্তমান কারামন্ত্রী মোল্লা নূরুদ্দিন তুরাবি। বৃহস্পতিবার হুঁশিয়ারি দিয়ে এই তালিবান নেতা বলে, আফগানিস্তানে মৃত্যুদণ্ড এবং অঙ্গহানির মতো কঠোর শাস্তি আবার শুরু হবে। এসব শাস্তি নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য প্রয়োজনীয় বলে উল্লেখ করে এই জঙ্গি নেতা। পূর্বতন তালিবান সরকারের ধর্মীয় পুলিশের প্রধান নুরুদ্দিন নৃশংসতার জন্য কুখ্যাত।