নিউজ ডেস্ক: সময় বলছে তখনও ভোরের আলো ফোটেনি। তার মধ্যেই হাউই বাজির মতো এক ক্ষেপনাস্ত্র ছুঁড়ে দিল উত্তর কোরিয়া (North Korea) সরকার। স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের চোটে পূর্ব এশিয়া জুড়ে হই হই কাণ্ড।
দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের দাবি, শান্তিপূর্ণ আলোচনার যে ক্ষেত্র ফের তৈরি হচ্ছে তাতে বিঘ্ন ঘটাবে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ। উত্তর কোরিয়া সরকীর তাদের পূর্বাঞ্চলীয় উপকূল বরাবর সমুদ্রে সেই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের সরকার জানিয়েছে, আত্মরক্ষার খাতিরে পিয়ংইংয়ের অস্ত্র পরীক্ষার অধিকার কেউ অস্বীকার করতে পারে না। চলতি মাসের গোড়ার দিকে পিয়ংইয়ং ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে।
বিবিসি জানাচ্ছে,দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন তাঁর দেশের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলকে নির্দেশ দিয়েছেন, সর্বশেষ এই ক্ষেপণাস্ত্রের বিষয়ে রিপোর্ট তৈরি করতে।
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং জানান, সময় এসেছে দুই দেশের মধ্যে শান্তিপূর্ণ অবস্থানের। তবে এর আগেও দুই দেশ একাধিকবার পদক্ষেপ নেয়। সীমান্তের শূন্য রেখায় কিমের সঙ্গে বৈঠক করেন দক্ষিণ কেরিয়ার প্রেসিডেন্ট। তার আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে সিঙ্গাপুরে ঐতিহাসিক বৈঠক করেন কিম।
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে প্রবল চিন্তিত জাপান। কারণ সবকটি ক্ষেপনাস্ত্রের পাল্লায় রয়েছে এই দেশ। কিমের পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় পড়ে যাওয়ায় চিন্তিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।