চিন-কিমের মাখো মাখো বন্ধুত্বের কাঁটা জাপানের সামরিক কৌশলে চমক

চিন-উত্তর কোরিয়াকে চাপে ফেলতে নয়া কৌশল জাপানের। বলতে গেলে হাত মেলাল জাপান ও আমেরিকা। চিন ও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে উত্তেজনার মাঝেই মার্কিন বাহিনীকে আরও সমর্থনের…

চিন-উত্তর কোরিয়াকে চাপে ফেলতে নয়া কৌশল জাপানের। বলতে গেলে হাত মেলাল জাপান ও আমেরিকা। চিন ও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে উত্তেজনার মাঝেই মার্কিন বাহিনীকে আরও সমর্থনের ঘোষণা করেছে জাপান। মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ঘোষণা করেছেন যে জাপানের মাটি প্রায় ৫০,০০০ মার্কিন সৈন্য মোতায়েনের মেয়াদ বৃদ্ধির ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে। ব্লিঙ্কন ভার্চুয়ালি এক বৈঠকে বলেন, এই নতুন চুক্তি “আমাদের সামরিক প্রস্তুতি এবং আন্তঃক্রিয়াশীলতা আরও গভীর করার জন্য বৃহত্তর সম্পদ বিনিয়োগ করবে” তিনি আরও বলেন, “আমাদের মিত্রদের কেবল আমাদের কাছে থাকা সরঞ্জামগুলিকে শক্তিশালী করাই নয়, নতুন সরঞ্জামগুলিকেও আরও বিকাশ করতে হবে।”

বিগত কয়েকবছর ধরে টোকিও দেশে মার্কিন বাহিনীর পাশাপাশি মার্কিনিদের অন্যান্য ইউটিলিটিগুলির জন্যেও খরচ বহন করে। প্রসঙ্গত, পূর্ববর্তী চুক্তিটি ২০২১ সালের মার্চ শেষ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ওয়াশিংটনে প্রশাসনিক রদবদলের জন্য এই মেয়াদ এক বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছিল।

মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বলেন, “মিত্র দেশগুলি আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতায় জাপানের ক্রমবর্ধমান অবদানের ক্ষমতা প্রতিফলিত করার জন্য আমাদের ভূমিকা এবং মিশনগুলি বিকশিত করছে”। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপান যুদ্ধ করার অধিকার ত্যাগ করে এবং তারপর থেকে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ জোট গড়ে তোলে, যা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি রক্ষার জন্য চুক্তিবদ্ধ। বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন পাঁচ বছরের প্যাকেজের পরিমাণ হবে ২১১ বিলিয়ন ইয়েন (১.৮ বিলিয়ন ডলার), যা প্রায় ৫% বৃদ্ধি পাবে। এহেন খবরের জেরে চিনের যথেষ্ট অস্বস্তি বাড়বে তা বলাই বাহুল্য। ব্লিঙ্কেন বলেন, “বেজিংয়ের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড তাইওয়ান এবং পূর্ব ও দক্ষিণ চীন সাগর জুড়ে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছে।”