নিউজ ডেস্ক: গোটা আফগানিস্তান দখল করেছে তালিবানরা। দেশের প্রায় প্রতিটি প্রান্তেই কায়েম হচ্ছে শরিয়তি আইন। ইসলামের আদেশ অনুসারেই চলছে দেশ। আর তাতেই উচ্ছ্বসিত পাকিস্তানের ইসলামীয় ধর্ম সংগঠনগুলি। গোটা পাকিস্তানজুড়েই রীতিমতো উতসবের মেজাজে কট্টরপন্থীরা।
আরও পড়ুন G-7 Summit: তালিবানের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করবে বিশ্বের সুপার পাওয়ার’ দেশ
সংবাদসংস্থা আইএএনএস (Indo-Asian News Service) সূত্রে খবর, তালিবানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ পাকিস্তানের ইসলামীয় সংগঠনগুলি। বহুদিন ধরেই পাকিস্তানের বিভিন্ন সংগঠন মদত দিয়ে আসছে। এবার সরকারীভাবে ইসলামাবাদের প্রভাবশালী সংগঠন জমিয়ত-ই-উলেমা-ই-ইসলাম ও দিফা-ই-পাকিস্তান কাউন্সিল-এর প্রধান মৌলানা হামিদ-উল-হক হাক্কানি তালিবানের কাবুল জয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও তালিবানদের আফগানিস্তান দখল এবং আমেরিকান সৈন্য প্রত্যাহার করার জন্য ‘আল্লাকে ধন্যবাদ জানাতে’ ২৭ আগস্ট একটি অনুষ্ঠান পালন করা হবে পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে।
পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় সেই অনুষ্ঠান এবং তালিবান ও লস্করের জঙ্গিদের জন্য চাঁদা সংগ্রহ করতে দেখা গিয়েছে সেদেশের বিভিন্ন সংগঠনগুলিকে। তালিবানের জন্ম হয় পাকিস্তানেই। পাকিস্তানেই মহিলাদের বিভিন্নভাবে কোনঠাসা করা শুরু হয়েছিল, গুলি করা হয়েছিল মালালা ইউসুফজাইকেও।
আরও পড়ুন শিল্পেই বিপ্লব: তালিবানদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে কাবুলের গ্রাফিতি শিল্পী শামসিয়া হাসানি
এরপর আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত সৈন্য ফিরে যাওয়ার পর মুজাহিদিনরা রীতিমতো ক্ষমতাশালী হয়ে ওঠে। আইএসআইয়ের হাত থেকে তাদের রাশ বেরিয়ে যায়। গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার, আহমেদ শাহ মাসুদের মতো মুজাহিদ কমান্ডাররা ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করে তোলে। মুজাহিদিনদের শায়েস্তা করতেই নয়ের দশকে তালিবান প্রতিষ্ঠা করে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন রাজনীতিতে পা রেখেই পুর-প্রার্থী হচ্ছেন ‘করোনা-হিরো’ সোনু সুদ
জমিয়ত-ই-উলেমা-ই-ইসলাম ও দিফা-ই-পাকিস্তান কাউন্সিল-এর প্রধান মৌলানা হামিদ সাংবাদিক সন্মেলনে জানিয়েছেন, ‘বিশ্বের উচিত আফগানিস্তানে এক্ষুনি তালিবান সরকারকে মান্যতা দেওয়া।’ শুধু তাই নয়, আমেরিকা এবং ভারতের মদতেই এতদিন আফগানিস্তানে অশান্তি লেগে ছিল। ফলে তাঁর কথায় আবার নতুন করে ভারতে জঙ্গিহামলার আশঙ্কা বেড়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।