নিউজ ডেস্ক: চিঠিতে দলবিরোধী মন্তব্য করা থেকে নিষেধ করা হয় রাজ্য বিজেপির তরফে। বৃহস্পতিবার সেই চিঠি পাওয়ার পরেই শুক্রবার দলত্যাগ করলেন উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। তাঁর দলত্যাগের পরেই রায়গঞ্জে তৃণমূল কংগ্রেস শিবিরে শুরু হয়েছে তাঁকে বরণের প্রস্তুতি।
বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি দলত্যাগের কথা জানান। আগেই দলের সমস্ত কর্মসূচি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন।
ক্রমাগত বিজেপি বিরোধী সুর চড়াচ্ছিলেন কৃষ্ণবাবু। রায়গঞ্জের সাংসদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। দল ছাড়লেও তৃণমূল কংগ্রসে যোগদানের বিষয়ে নীরব কৃষ্ণ কল্যানী। তাঁর নীরবতা সম্মতির লক্ষণ বলে ধরে নিয়েছে তৃণমূল শিবির।
টিএমসির অন্দরমহলে গুঞ্জন, বিধায়ক দলত্যাগ করতেই উত্তরবঙ্গে বিরোধী দলের অভ্যন্তরে টিএমসি হানা জোরদার শুরু হলো। সূত্রের খবর, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক বিজেপি বিধায়ক দ্রুত দলত্যাগ করতে চলেছেন।
সূত্রের আরও খবর, উত্তরবঙ্গের রাজধানী শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন। নির্বাচনের আগে তিনি সিপিআইএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। ভোটে নিজের রাজনৈতিক গুরু প্রাক্তন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্যের পরাজয় হয়। তাৎপর্যপূর্ণ, অশোকবাবু একেবারে তিন নম্বরে চলে যান। তবে শিষ্য শংকর ঘোষের সঙ্গে অশোক ভট্টাচার্যের সুসম্পর্ক এখনও।