নিউজ ডেস্ক: ক্রেমলিন। বিশ্ব রাজনীতির যে ত্রিমুখী নিয়ন্ত্রক রয়েছে তার একটি কোনা হল রুশ রাজনীতির প্রশাসনিক সদর ভবনটি। ঠান্ডা পাথুরে দেওয়ালের গায়ে লাল নীল সবুজ হলুদ কাঁচের বন্ধ জানালাগুলো কবে শেষ খোলা হয়েছিল তা কেউ বলতে পারে না।
সেই ভবনের নিরাপদতম কুঠুরিতে যে প্রাচীন ওক কাঠের বিরাট টেবিল রয়েছে সেখানেই দেখা যায় ভ্লাদিমির পুতিন কে। দেখা যাবে আগামী ২০২৪ সাল পর্যন্ত। রুশ সংবাদ সংস্থা তাস জানাচ্ছে, জাতীয় নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ফের জয়ী। বিরোধী আসনে বসছে কমিউনিস্ট পার্টি।
বিবিসি জানাচ্ছে, ৫০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন পুতিন। গত নির্বাচনে তাঁর দল ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টি ৫৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। এবারের নির্বাচনে পুতিনের জনসমর্থন কমেছে। তাৎপর্যপূর্ণ, বিরোধী আসনে থেকে ভোটে নেমেছিল পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়নের শাসক কমিউনিস্ট পার্টি। তারা এবারেও সরকার গড়তে না পারলেও জনসমর্থন বাড়িয়েছে।রুশ কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান গেন্নাদি জুগানভ কড়া প্রতিদ্বন্দ্ব্বিতায় ফেলে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিনকে। বেশ কয়েকটি আসনে পুতিনের দলকে সরাসরি পরাজিত করেছে কমিউনিস্ট পার্টি।
বিবিসি আরও জানাচ্ছে,পুতিনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে সোচ্চার সমালোচকদের এই নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। ব্যালট বাক্স আগেই ভর্তি করে রাখা এবং জোরপূর্বক ভোট দেওয়ার অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।
১৯৯৯ সালে পুতিন রুশ সরকারের প্রেসিডেন্ট হন। বলা হয় সোভিয়েত জমানার শেষে তৎকালীন কেজিবি গুপ্তচর পুতিন তাঁর ক্ষুরধার বুদ্ধিতে সরকার চালান। সেই সঙ্গে অভিযোগ ওঠে, পুরনো কায়দায় অপহরণের। পার্লামেন্টে বিপুল ক্ষমতা পাওয়ায় পুতিন নিজেকে প্রায় একচ্ছত্র নায়ক করে রেখেছেন। কিন্তু এবার তাঁর জনসমর্থনে ঘাটতি এসেছে।